বাড়িভাড়া আইন | ভারতীয় আইন – Indian Law in Bengali | WiN EXAM

0
বাড়িভাড়া আইন | ভারতীয় আইন - Indian Law in Bengali | WiN EXAM

ভারতীয় আইন – Indian Law in Bengali | WiN EXAM

বাড়িভাড়া আইন

পশ্চিমবঙ্গ সরকার সম্প্রতি ‘বাড়িভাড়া’ সংক্রান্ত আইনটি সংশোধন করেছে। ১৩ নং ধারায় এ বিষয়ে বলা হয়েছে। প্রশ্তাবিত আইনে মালিকের স্বার্থে কি কি বিধি আছে?
১. নির্দিষ্ট সময় এর মধ্যে ভাড়া প্রাপ্তি।
২. শুধু মাত্র উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভাড়া নেওয়ার কারনে প্রেমিসেস ব্যবহার করা যাবে।
৩. কোনোরকম পূর্ব অনুমতি ভাড়া করা বা অংশের কোনো পরিবর্তন, পরিবর্ধন করা যাবে না।
৪. পূর্ব অনুমতি ছাড়া কোনোরকম অধিকার/ আংশিক অধিকার ওই ভাড়াতে বাড়ির মালিকের বিনা অনুমতিতে করতে পারবে না।
৫. প্রয়োজনে বাড়ির মালিক নোটিশ জারির মাধ্যমে ওই ভাড়ার অংশে ইনস্পেকশন করতে পারেন।
৬. ভারাটে তার ফেয়ার রেন্ট-এর ১০% শতাংশ রক্ষণাবেক্ষণ-এর জন্য বাড়ির মালিককে দিতে বাধ্য।

কি কি কারনে ভারাটে উচ্ছেদ করা যায়

১. ভাড়াটে যাদি অবৈধ কারনে প্রেমিসেস ব্যবহার করে।

২. ইছাকৃত উদাসীনতার ফলে যাদি প্রেমিসেস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৩. অনিমোদন ব্যতিরেকে উপ-ভাড়াটে বসালে।

৪. কোনো বাড়ি বা ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা যাদি ভাড়াটের আনুকূলে করা হয়।

৫. যাদি ভাড়া নেবার পর অধিকাংশ সময় বাড়িটা ফাঁকা অবস্থায় থাকে।

৭. কোনোরকম নুইসেন্স বা বিরক্তিজনক ব্যবহার যাদি ঐ ভাড়াটে মালিক/প্রতিবেশীদের সঙ্গে করে থাকে।

৮. যাদি ভাড়াটে ৩ মাস ভাড়া না দেয় অথাবা ৩টি ভাড়ার জন্য প্রস্তাবিত সময় ৩ বছরের মধ্যে যেখানে নিয়মিত মাসিক ভাড়া দেওয়া হয় নি।

৯. বাড়ির মালিক যাদি সরকারি চাকরিজীবী হন বা মিলিটারির চাকরিজীবী হন তবে তিনি বাড়ি খালি করতে আদেশ দিতে পারেন।

কি কি কারনে ভাড়াটে ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন

যদি এমন ঘটোনা ঘটে যখন যে উদ্দেশ্যে বাড়ির মালিক ঐ ভাড়াটে উচ্ছেদের জন্য মামলা করার ডিক্রি প্রাপ্ত হলেন, কিন্তু ঘটোনাচক্রে দেখা গেল –
১. বাড়ির মালিক ঐ বাড়ির ব্যবহার করছেন না।

২. অন্য ব্যাক্তিবর্গ যারা সংশ্লিষ্ট, তারা ব্যবহার করছেন না, ঐ ভাড়া দেওয়ার অংশ আবার ভাড়া দেওয়া হয়েছে ৫ বছরের মধ্যে অন্য ভাড়াটিয়াকে।

৩. মনে রাখতে হবে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার আবেদন করলে, আবেদনকারীকে তাঁর বক্তব্যের স্বপক্ষে যাথাযথ যুক্তি দেখাতে হবে, তবেই ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন।

ভাড়াটে আইনে বাড়িওয়ালা কী করতে পারেন আর কী পারেন না

১. ৪ নং ধারা অনুযায়ী বাড়িওয়ালা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে পারবে।

২. ৫ নং ধারা অনুযায়ী বাড়িওয়ালার ইচ্ছেমতো কোনো কিছু করার অধিকার নেই।

৩. ৬ নং ধারা অনুযায়ী ভাড়াটিয়ার কোনো আসবাবপত্র বিক্রি করে আত্মসাৎ করতে পারবে না।

৪. ৭ নং ধারা অনুযায়ী বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়ার কোনো প্রতিনিধির কাছ থেকে কোনো অর্থ আদায় করতে পারবে না। তবে এ বিষয়ে সে যদি আদালতের কাছ থেকে কোনো ডিক্রি পায় তবে ১২ নং ধারা মতে ঐ শর্ত বাতিল হতে পারে।

৫. ৮ নং ধারায় বলে হয়েছে, ১৯৪৬ সালের কলকাতার ভাড়াটিয়া আইন আনুসারে, যেখানে ভাড়া ১০০ টাকার উপরে ছিল সেখানে শতকরা ১৫ টাকার বেশি আর যেখানে ১০০ টাকার কম সেখানে শতকরা ১০ টাকার বেশি ভাড়া নিতে পারে।

৬. ৯ নং ধারায় ন্যায্য ভাড়া কখন বাড়ানো  যাবে তা বলা হয়েছে।
যাদি দেখা যায় কর বৃদ্ধির জন্য বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়াচ্ছেন বাড়ি মেরামতির জন্য খরচ হুওয়ায় ভাড়া বাড়াচ্ছেন তবে তা আইনসিদ্ধ, তবে এসব ১০ শতাংশর বেশি ভাড়া বাড়ান যাবে না। 
ভারতীয় আইন – Indian Law / রাষ্ট্রবিজ্ঞনের (Political Science / Indian Polity)  আরও তথ্য জানতে winexam.in ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here