সংবিধানের সংশোধনের তালিকা – ভারতীয় সংবিধানের উল্লেখযোগ্য সংশোধনী | Indian Polity in Bengali | WiN EXAM

0
সংবিধানের সংশোধনের তালিকা - ভারতীয় সংবিধানের উল্লেখযোগ্য সংশোধনী | Indian Polity in Bengali | WiN EXAM

ভারতীয় রাজনীতি – Indian Polity in Bengali | WiN EXAM

সংবিধানের সংশোধনের তালিকা

ভারতীয় সংবিধানের উল্লেখযোগ্য সংশোধনী

সংশোধনী নং : বছর : মূল সংশোধিত বিষয়

প্রথম ১৯৫১ (ক) সামাজিক এবং শিক্ষাগত দিক দিয়ে অনগ্রসর শ্রেনিসমূহের জন্য
বিশেষ ব্যাবস্থা অবলম্বনের ক্ষামতা সরকারকে দেওয়া হয়।

(খ) সংবিধানে ১৯নং ধারা অনুযায়ী বাক স্বাধীনতা ও মতামত প্রকাশের অধিকারের উপর রাষ্ট্রের যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ আরোপের ক্ষামতা।

(গ) সংবিধানের ৩১নং ধারাটির (সম্পত্তিগত অধিকার সম্পর্কিত) সহিত নতুন দুটি ধারা যুক্তকরন।

দ্বিতীয় ১৯৫২ প্রতি পাঁচ লক্ষ অধিবাসী পিছু একজন লকসভার সদস্য নির্বাচিত হবেন। তৃতীয় ১৯৫৪ সংবিধানের সপ্তম তপশিলে বর্ণিত যুগ্ম তালিকাভুক্ত বিষয়সমূহের তালিকার ৩৩নং বিষয়ে কতগুলি নতুন বিষয় সংযুক্ত হয় এই সংশোধনী দ্বারা।

মানুষ ও পশুখাদ্য, তুলা, পাট প্রভুতি যুগ্মতালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

চতুর্থ ১৯৫৫ জমিদারি বিলোপ সংক্রান্ত ব্যবস্থাদি। ব্যক্তিগত সম্পত্তির উপর রাষ্ট্রের নিয়ন্রন অধিকতর বৃদ্ধি। রাষ্ট্রের জনস্বার্থে বাধ্যতামূলকভাবে ব্যক্তিগত সম্পত্তি অধিগ্রহনের ক্ষামতা লাভ করে।

পঞ্চম ১৯৫৫ সংবিধানের তৃতীয় অণুচ্ছেদটির আংশিক পরিবর্তন। রাস্ত্রপতিকে ক্ষামতা দেওয়া হয় ‘রাজ্যের নাম ও সিমানার’ পরিবরতনজনিত আইন প্রনয়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মতামত প্রদানের সময়সিমাকে নির্দিষ্ট করে দিতে।

ষষ্ঠ ১৯৫৬ আন্তঃরাজ্য বাণিজ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত দ্রব্যসামগ্রীর ক্রয়-বিক্রয়ের উপর কেন্দ্রীয় সরকার কর ধার্যের ক্ষামতা লাভ করে।

সপ্তম ১৯৫৬ কতগুলি নতুন রাজ্যর অভ্যুদয় এবং কয়েকটি রাজ্যের সীমানার পুনর্গঠন।

অষ্টম ১৯৬০ লোকসভা ও রাজ্যের বিধানসভাগুলিতে তপশিলী জাতি, তপশিলী উপজাতি এবং অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ভুক্তদের জন্য আসন সংরক্ষণের মেয়াদবৃদ্ধি (১০ থেকে ২০ বছর)।

নবম ১৯৬০ সংবিধানের প্রথম তপশীলের পরিবর্তন করা হয়। বেরুবাড়ী প্রভুতি অঞ্চল পাকিস্তানকে হস্তান্তরের জন্য সংশোধনীটি করা হয়।

দশম ১৯৬১ দাদরা ও নগর হাভেলি (পর্তুগীজ অধিনতা হতে মুক্ত) ভারতের রাষ্ট্রের সাথে যুক্ত হয়ে কেন্দ্রিশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা পায় এই সংশোধনী দ্ধারা।

একাদশ ১৯৬১ রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় নির্বাচনী সংস্থার কোনো সদস্যপদ শূন্য থাকলেও নির্বাচন অবৈধ বলে বিবেচিত হবে না।

দ্বাদশ ১৯৬২ পর্তুগীজ দের অধিনতা থেকে মুক্তো গোয়া, দমন, দিউ ছিটমহলকে ভারতীয় ইউনিয়নের (কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়া হয়) সহিত যুক্ত করা হয়।

এয়োদশ ১৯৬২ নাগাল্যান্ড একটি পূর্ণ স্বতন্ত্র রাজ্যের মর্যাদা পায়। চতুর্দশ ১৯৬২ ফরাসী অধিকৃত পন্ডিচেরী মুক্ত হয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা লাভ করে।

কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জন্য আইনসভা ও মন্ত্রিসভা গঠনের ব্যবস্থা।

এই অঞ্চলগুলি লকসভার সদস্যসংখা ২০ হতে বৃদ্ধি করে ২৫ করা হয়।

পঞ্চদশ ১৯৬৩ হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়স যথাক্রমে ৬২ ও ৬৫ করা হয়।

ষষ্ঠদশ ১৯৬৩ পার্লামেন্ট ও রাজ্যের আইসভার প্রতি নির্বাচনে প্রার্থীকে দুটি বিষয়ে শপথ নিতে হবে। একটি ভারতরে সংবিধানের প্রতি আনুগত্য ও অপরটি দেশের সার্বভৌমিকতা ও অখন্ডতা অক্ষুন্ন রাখা।

সপ্তদশ ১৯৬৪ ভূমি সংস্কার কর্মসূচিকে সফল করে তুলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় এবং ভূসম্পত্তির সর্বোচ্চ সীমাও নির্দিষ্ট করা হয়।

অষ্টাদশ ১৯৬৬ ভাষার ভিত্তিতে পাঞ্জাব রাজ্যের পুনর্গঠন। চন্ডিগড়কে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দান।

২১-তম ১৯৬৭ সংবিধানের অষ্টম তপশিলে সিন্ধি ভাষার অন্তরভুক্তকরন। ২৪-তম ১৯৭১ মৌলিক অধিকারসহ সংবিধানের যেকোনোও অংশ পরিবর্তনের অধিকার সংসদকে প্রদত্ত করা হয় এবং রাষ্ট্রপতি সংবিধান সংশোধনী বিলে সম্মতি দিতে বাধ্য থাকবেন।

২৬-তম ১৯৭১ দেশীয় ন্রিপতিদের পদ, রাজন্যভাতা ও অন্যান সুজগ-সুবিধা বিলোপ
করা হয়।

৩০-তম ১৯৬১ সুপ্রিম কোর্টের নিকট আপীল করার সুযোগকে সঙ্কুচিত করা হয়। বলা হয় যে, কোনো মামলার সাথে ‘আইনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জরিয়ে আছে’-এই মর্মে হাইকোর্ট দিলে তবেই সুপ্রিম কোর্টে আপীল করা যাবে।

৩১-তম ১৯৭৩ লোকসভার নির্বাচিত আসনসংখ্যা ৫২৫ থেকে বাড়িয়ে ৫৪৫ করা হয়। ৩৩-তম ১৯৭৪ আইনসভার সদস্যদের জোরপূর্বক পদত্যাগ প্রতিরধের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। পার্লামেন্ট বা রাজ্য আইনসভার কোনো সদস্য পদত্যাগ করলে

সংশ্লিষ্ট কক্ষের সভাপতি স্পীকার তদন্ত করে দেখবেন যে, সেই পদত্যাগ স্বেচ্ছামূলক নাকি বলপূর্বক করতে বাধ্য করা হয়েছে, যদি স্বেচ্ছামূলক না হয়, সেই পদত্যাগ গৃহীত হবে না।

৩৫-তম ১৯৭৪ সিকিমকে ভারতের সহযোগী অঙ্গরাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়।

৩৮-তম ১৯৭৫ রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসকদের হাতে অধ্যাদেশ বা অর্ডিন্যান্স জারী করার ব্যাপারে চূড়ান্ত ক্ষামতা ন্যস্ত করা হয়। এ ব্যাপারে আদালতের কোনো ক্ষামতা বা এক্তিয়ার থাকবে না।

৩৯-তম ১৯৭৫ রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও লোকসভার স্পীকার নির্বাচন সংক্রান্ত বিরোধের মীমাংসা আদালত কোরতে পারবে না। উক্ত বিরোধের মীমাংসা ঘটবে পার্লামেন্ট প্রণীত আইন ও কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে।

৪১-তম ১৯৭৬ রাজ্যের রাষ্ট্র কর্তৃক কমিশনের (state public service commission) অবসর গ্রহনের বয়স ৬০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬২ বছর করা হয়।

৪২-তম ১৯৭৬ সংবিধানের অনেকগুলো অংশের পরিবর্তন ও সংযোগ করা হয়- (ক) ভারতীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা ৫টি বৈশিষ্ট্যর ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটি সংযোজিত হয়েছিল এবং সেই সঙ্গে প্রস্তাবনায় শেষের দিকে ‘সংহতি’ শব্দটি যুক্ত করা হয়।

(খ) সংবিধানের মধ্যে নতুন একটি অংশ যুক্ত করা হয় তা হল চতুর্থ -এ অংশ। এই অংশে দশটি মৌলিক কর্তব্যকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

(গ) প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার পরামর্শ রাষ্ট্রপতি মানতে বাধ্য থাকবেন।

(ঘ) লোকসভার কার্যকালের মেয়াদ ৫ বছর থাকে বাড়িয়ে ৬ বছর করা হয়।

(ঙ) কেন্দ্রীয় আইনের সংবিধানিক বৈধতা বিচারের ক্ষামতা কেবলমাত্র সুপ্রিমকোর্টের হাতেই থাকবে।

(চ) অঙ্গরাজ্যের আইনসভা কর্তৃক রচিত কোনো আইনের বৈধতা বিচারের ক্ষামতা সুপ্রিমকোর্টের হাতে থাকবে না।

(ছ) রাজ্য তালিকার দুটি বিষয় বন ও শিক্ষাকে যুগ্ম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

৪৪-তম ১৯৭৮ লোকসভা ও বিধানসভাগুলির কার্যকালের মেয়াদ ৬ বছর থেকে কমিয়ে পূর্বের ন্যায় ৫ বছর করা হয়। (৪২-তম সংশোধনী দ্বারা লোকসভা ও

বিধানসভার ৬ বছর করা হয়েছিল) জরুরি অবস্থায় ব্যক্তি স্বাধীনতা যাতে সূরক্ষিত থাকে তার ব্যবস্থা করা। সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক

অধিকারের পরিবর্তে আইনগত অধিকারে পরিনত করা হয়েছে।স্বাধীনতার পর এই প্রথম সংবাদপত্রগুলিকে আইনসভার কার্যবিবরণী প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার দেওয়া হয়েছে। অভন্তরীন ক্ষেত্রে কেবলমাত্র সংশোধনী নং বছর মূল সংশোধিত বিষয় ‘সশস্ত্র বিদ্রোহ’ ও বহিরাক্রমণের সময় জাতিয় জরুরি অবস্থা জারি করা হবে। রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পর্কে যদি কোনো বিরোধের সৃষ্টি হয়, তাহলে সুপ্রিমকোর্ট তার নিষ্পত্তি করবে।

৪৫-তম ১৯৮০ লোকসভা ও রাজ্যবিধানসভাগুলিতে তপশিলী জাতি উপজাতি এবং অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সদস্যদের জন্য আসন সংরক্ষণের মেয়াদ আরো ১০ বছর বৃদ্ধি করা হয়।

৪৭-তম ১৯৮৪ ভূমিসংস্কার সম্পর্কিত ১৪টি আইনকে সংবিধানের নবম তফশিলে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

৫২-তম ১৯৮৫ এই সংশোধন দ্বারা ১০১, ১০২, ১৯০ ধারার পরিবর্তন করা হয়। সংবিধানের দশম তফসিল সংযুক্ত করা হয় এবং দলত্যাগ বিরধী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। দলত্যাগের কারনে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বিধানসভার সদস্যদের সদস্যপদ বাতিল করার ব্যবস্থাদি গৃহীত হয়; যেমন কেন্দ্রীয় আইনসভা বা রাজ্য আইনসভার যেকোনো কক্ষের যেকোনো সদস্য তাঁর মনোনীত দলের সদস্যপদ ত্যাগ করলে তিনি আইনসভার সদস্যপদ হারাবেন। তাঁর দলত্যাগ ও সদস্যপদ বাতিল নির্ধারণ করবেন আইনসভার সংশ্লিষ্ট কক্ষের অধ্যক্ষ বা চেয়ারম্যান।

৫৫-তম ১৯৮৬ অরুনাচলপ্রদেশের ভারতর ২৪-তম অঙ্গরাজ্য হিসাবে স্বীকৃতি লাভ।

৫৬-তম ১৯৮৭ গোয়ার ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের ২৫-তম রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতি লাভ।

৫৭-তম ১৯৮৭ হিন্দিতে ভাষাস্তরিত ভারতীয় সংবিধান ইংরেজি ভাষায় লিখিত সংবিধানের মতই মূল সংবিধান হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে।

৫৮-তম ১৯৮৭ নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, মেজোরাম, অরুনাচলপ্রদেশ প্রভুতি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পূর্ণ অঙ্গরাজ্যের মর্যাদা লাভ করে।

৬০-তম ১৯৮০ বৃত্তিকর বৃদ্ধি ক্ষমতা রাজ্যসরকারগুলিকে দেওয়া হয়।

৬১-তম ১৯৮৯ ভোটাধিকার অর্জনের বয়সসীমা ২১ থকে কমিয়ে ১৮ বছর করা হয় এবং ভোটাধিকার প্রদান সম্পর্কিত যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিসয়টি নির্ধারিত করা হয়।

৬৪-তম ১৯৯০ পাঞ্জাব রাজ্যের হিংসাত্মক ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ আরও অতিরিক্ত ৬ মাস বৃদ্ধি করা হয়। ফলে পাঞ্জাবের রাষ্ট্রপতি শাসন জারীর মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৩ বছর ৬ মাস।

৬৭-তম ১৯৯০ পাঞ্জাবে রাষ্ট্রপতি্র শাসন আরও ৬ মাস বাড়িয়ে মোট ৪ বছর করা হল।

৬৮-তম ১৯৯১ পাঞ্জা্বে রাষ্ট্রপতির শাসন আরও ১ বছর বাড়িয়ে মোট ৫ বছর করা হল। ১৯৮৭ সালের ১১ই মে জারি করা রাষ্ট্রপতির শাসনের মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্য এই ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।

৬৯-তম ১৯৯১ দিল্লিকে জাতীয়া রাজধানী অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

৭১-তম ১৯৯২ কোঙ্কনি, মনিপুরি, ও নেপালি এই তিনটি ভাষাকে অষ্টম তফশিলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অষ্টম তফসিলে উল্লিখিত সরকারি ভাষার সংখ্যা ১৫ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হল।

৭৩-তম ১৯৯২ পাঞ্চায়েতের গঠন, আসন সংরক্ষণ, পাঞ্চায়েতের কার্যকর, পাঞ্চায়েতের সদস্যদের অযোগ্যতা, পাঞ্চায়েতের ক্ষমতা কৃতিত্ব, ও দায়িত্ব, সংবিধানের ২৮০ ধারা সংশোধনী, একাদশ তম তফসিলের অন্তর্ভুক্তি ইত্যাদি আছে এই সংবিধান সংবিধানীতে।

৭৪-তম ১৯৯২ পৌরসভার গঠন, বিভিন্ন ওয়ার্ড ও কমিটি সমূহের গঠন, আসন সংরক্ষণ, পৌরসভার কার্যকাল সদস্যদের অযোগ্যতা, পৌরসভার ক্ষমতা কৃতিত্ব দায়িত্বসমুহ, সংবিধানের ২৮০ ধারার সংশোধন, দ্বাদশতম তফসিলের অন্তর্ভুক্তি প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এই সংশোধনী দ্বারা। 

৭৮-তম ১৯৯৯ লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভায় তপশিলী জাতি, উপজাতি ও অ্যাঙ্গলো-
ইন্ডিয়ানদের সংরক্ষেন জন্য আসন সংরক্ষেন মেয়াদ আরও ১০ বছর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

৮০-তম ২০০০ দশম অর্থ কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্য অর্থ ভাগাভাগির ব্যাপারে ৮০-তম সংবিধান সংশধনী আইনের একটি বিকল্প ব্যবাস্থা বিধিবদ্ধ করা হয়। কেন্দ্র ও রাজ্যসমূহের মধ্যে ‘করব্যবাবস্থা বণ্টন’ সম্পর্কিত নীতির পরিবর্তন ঘটানো হয়। কর থেকে প্রাপ্ত আয়ের ২৯ শাতাংশ রাজ্যগুলিকে প্রদানের কথা বলা হয়েছে।

৮২-তম ২০০০ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের চকরির ক্ষেত্রে তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য পরিক্ষার ‘ন্যুনতম প্রাপ্ত নম্বর’ কমানো জেতে পারে। এমন কি পরিক্ষার মূল্যায়নের মানকে হ্রাস বা কমানো যাবে। মূল উদ্দেশ্য যাতে সরকারী তপশীলি জাতি ও উপজাতিরা লাভ করতে পারে।

৮৪-তম ২০০১ লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভা আসন সংখ্যা ২০২৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে। ২০০১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা অনুসারে লোকসভা ও বিধানসভাগুলির ভৌগোলিক এলাকার পরিবর্তন ও সংশোধন করা হয়।

৮৫-তম ২০০১ তপশীলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত সরকারি কর্মচারীদের সংরক্ষণের নিয়ম মোতাবেক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিয়মমাফিক পদন্নোতির জন্য বিশেষ সংরক্ষনমূলক ব্যাবস্থা গৃহীত হয়েছে।

৮৬-তম ২০০২ শিক্ষাকে মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ৬-১৪ বছর বয়সের সকল শিশুর শিক্ষার অধিকার মৌলিক অধিকারের মর্যাদা লাভ করেছে। একইভাবে শিক্ষাকে মৌলিক কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নির্দেশমূলক নীতি সম্পর্কিত ৪৫ ধারাটি সংশোধন করে একটি নতুন অনুচ্ছেদ বিকল্প হিসাবে যুক্ত করা হয়েছে।

৮৭-তম ২০০৩ এই সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচনী ক্ষেত্রসমূহের পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। SC/ST দের জন্য সংরক্ষিত নির্বাচনী ক্ষেত্রসমূহের ও পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। ২০০১ সালের জনগণনা অনুযায়ী জনসংখ্যার ভিত্তিতে এই পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে ৮৮-তম ২০০৩ কেদ্র ও রাজ্য কর্তৃক চাকরির উপর কর ধার্য ও আদায় সম্পর্কেকরা হয়েছে এই সংশোধনীতে। সেবামুলক ক্ষেত্রে কেন্দ্র কর আরোপ করবে কিন্তু কর সংগ্রহ ও রাজ্য সরকার উভয়ের দ্বারাই সম্পাদিত হবে পার্লামেন্ট প্রণীত আইন অনুসারে।

৮৯-তম ২০০৩ তপশিলি জাতি ও উপজাতিসমূহের দুটি পৃথক জাতীয় কমিশনের কথা বলা হয়েছে এই সংশোধনীতে।

৯১-তম ২০০৩ কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী সমেত মন্ত্রিসভাএ সদস্য সংখ্যা লোকসভার মোট সদস্যসংখ্যার ১৫ শতাংশ এর অধিক হবে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীসমেত রাজ্যের মন্ত্রীসভার সদস্যসংখ্যা সেই রাজ্যের বিধানসভার মোট সদস্যসংখ্যা ১৫ শতাংশ এর অধিক হবে না এবং এই সদস্য সংখ্যা ১২ এর থেকে কম হবে না।

৯২-তম ২০০৩ অষ্টম তপশিলের বোড়ো, ডোগরী, মৈথিলী ও সাঁওতালী এই চারটি ভাষা যুক্ত করা হয়েছে এবং অষ্টম তপশিলে ভারতে স্বীকৃতি ভাষার সংখ্যা হল ২২ টি।

৯৩-তম ২০০৫ এই সংশোধনী দ্বারা Article 15 তে একটি নতুন আইনের সংযোজন করা হয়েছে। এই আইন দ্বারা রাজ্য একাটি বিশেষ ক্ষামতাবলে SC/ST বা শিক্ষার দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া শ্রেনির জন্য বিশেষ সংরক্ষণ ব্যাবস্থা

নিতে পারে। সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যতিত অন্যান যেকোনো সরকার পোষিত বা সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকার এই সকল শ্রেনির জন্য শিক্ষা গ্রহনের ব্যাবস্থা করতে পারবে। ৯৪-তম ২০০৬ এই সংশোধনী দ্বারা বিহারে উপজাতি উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রি নিয়োগের ব্যাপারে সকল বাধা দূর করা হয়। এই সংশোধনী দ্বারা Article 164(1) কে সংশোধন করা হয় এবং ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়ের পূর্ব উল্লেখিত নিয়মটি বলবৎ করা হয়। Article 164(1) এখন থেকে কেবলমাত্র ৪টি রাজ্য- মধ্যপ্রদেশ, উড়িষ্যা, ছত্তিশগড় এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্য প্রযোজ্য হবে।

১০৮-তম ২০০৮ পার্লামেন্ট ও রাজ্য বিধানসভায় মহিলাদের জন্য একতৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।

ভারতীয় রাজনীতি -Indian Polity / রাষ্ট্রবিজ্ঞনের (Political Science)  আরও তথ্য জানতে winexam.in ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here