দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন – বারিমন্ডল – সমস্ত প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10th Geography Suggestion PDF

0

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন

WBBSE Class 10th Geography Suggestion

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন - বারিমন্ডল - সমস্ত প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10th Geography Suggestion PDF
দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন – বারিমন্ডল – সমস্ত প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10th Geography Suggestion PDF

 

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন – WBBSE Class 10th Geography Suggestion – বারিমন্ডল অধ্যায় ভিত্তিতে প্রশ্নোত্তর  নিচে দেওয়া হল। এবার পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন পরীক্ষায় এই মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন ( WB WBBSE Class 10th Geography Suggestion  | West Bengal WBBSE Class 10th Geography Suggestion | WBBSE Board Class 10th Geography Question and Answer with PDF file Download) পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট । আপনারা যারা আগামী দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন পরীক্ষার জন্য দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন  | WBBSE Class 10th Geography Suggestion | WBBSE Board Madhyamik Class 10th (X) Geography Suggestion Question and Answer খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর ভালো করে পড়তে পারেন। 

 

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক সাজেশন/নোট (West Bengal WBBSE Class 10th Geography Suggestion / Madhyamik Geography Suggestion) | বারিমন্ডল – MCQ, অতি সংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত ও ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নউত্তর

 

পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন (West Bengal WBBSE Class 10th Geography Suggestion / Notes) বারিমন্ডল – প্রশ্ন উত্তর – MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (SAQ), সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (Short Question and Answer), ব্যাখ্যাধর্মী বা রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (descriptive question and answer) এবং PDF ফাইল ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে দেওয়া রয়েছে

 

বারিমন্ডল

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | বারিমন্ডল – বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর [MCQ]:[প্রতিটি প্রশ্নের মান-1]

 

1. মরা কোটাল হয়—
[A] অমাবস্যা তিথিতে |     [B] পূর্ণিমা তিথিতে [C] প্রতিপদে     [D] শুক্ল ও কৃয়পক্ষের অষ্টমী তিথিতে

 

Answer : [D] শুক্ল ও কৃয়পক্ষের অষ্টমী তিথিতে

 

2. পৃথিবীর বৃহত্তম ও গভীরতম মহাসাগর হল—
[A] সুমেরু মহাসাগর।     [B] ভারত মহাসাগর [C] আটলান্টিক মহাসাগর।     [D] প্রশান্ত মহাসাগর

 

Answer : [C] আটলান্টিক মহাসাগর

 

3. ভূপৃষ্ঠের জলভাগের প্রতিটি স্থানে 24 ঘণ্টায় জোয়ার হয়—
[A] একবার     [B] দু’বার [C] তিনবার।     [D] কোনােটিই সঠিক নয়

 

Answer : [B] দু’বার

 

4. জাপান উপকূলে টাইফুন নামে ভয়ংকর ঝড়-তুফানের সৃষ্টি হয় –
[A] কুরেশিয়ে স্রোত ও শীতল বেরিং স্রোতের মিলনের ফলে     [B] উয় নিরক্ষীয় বিপরীত স্রোত ও শীতল কুমেরু স্রোতের মিলনের ফলে     [C] উয় নিউ সাউথ ওয়েলস স্রোত ও শীতল পেরু স্রোতের মিলনের ফলে [D] কোনােটিই সঠিক নয়।

 

Answer : [A] কুরেশিয়ে স্রোত ও শীতল বেরিং স্রোতের মিলনের ফলে

 

5. মরা কোটাল হয় যখন চন্দ্র ও সূর্য…………. অবস্থান করে।
[A] সমান্তরালে।     [B] একই রেখায় [C] পরস্পরের সমকোণে।     [D] সূক্ষ্মকোণে

 

Answer : [C] পরস্পরের সমকোণে

 

6. সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবীর সরলরৈখিক অবস্থানকে বলে-
[A] সি.জি.গি     [B] প্রতিযােগ।   [C] সংযােগ। [D] কোনােটিই সঠিক নয়

 

Answer : [A] সি.জি.গি

 

7. নিউ ফাউল্যান্ডের কাছে ঘন কুয়াশা ও ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়—
[A] উপসাগরীয় স্রোত ও উত্তর আটলান্টিক স্রোতের মিলনের ফলে     [B] ক্যানারি স্রোতের সঙ্গে উপসাগরীয় স্রোতের মিলনের ফলে [C] উপসাগরীয় স্রোত ও ল্যাব্রাডর স্রোতের মিলনের ফলে     [D] কোনােটিই সঠিক নয়।

 

Answer : [C] উপসাগরীয় স্রোত ও ল্যাব্রাডর স্রোতের মিলনের ফলে

 

8, ক্যালিফোর্নিয়া স্রোত প্রবাহিত হয়—
[A] প্রশান্ত মহাসাগরে     [B] ভারত মহাসাগরে [C] সুমেরু মহাসাগরে     [D] আটলান্টিক মহাসাগরে

 

Answer : [A] প্রশান্ত মহাসাগরে

 

9. আটলান্টিক মহাসাগরে শৈবাল সাগর সৃষ্টি হয়েছে যে স্রোতের দ্বারা সেটি হল—
[A] বেগুয়েলা স্রোত।     [B] ক্যানারি স্রোত [C] ল্যাব্রাডর স্রোত     [D] কুরেশিয়ে স্রোত

 

Answer : [B] ক্যানারি স্রোত

 

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | বারিমন্ডল – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর :[ প্রতিটি প্রশ্নের মান-1]

 

1. আটলান্টিক মহাসাগরের কোন অংশে হিমপ্রাচীর সৃষ্টি হয়?

 

Answer : উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিমাংশে হিমপ্রাচীর সৃষ্টি হয়।

 

2. সি. জি. গি. কী?

 

Answer : পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য যখন একটি সরলরেখায় অবস্থান করে তখন সেই অবস্থানকে সি. জি. গি. বলে।

 

3. সৌর জোয়ার কাকে বলে?

 

Answer : সূর্যের আকর্ষণে পৃথিবীতে যে জোয়ার হয় তাকে সৌর জোয়ার বলা হয়।

 

4. চান্দ্র জোয়ার কাকে বলে?

 

Answer : চন্দ্রের আকর্ষণে পৃথিবীতে যে জোয়ার হয় তাকে চান্দ্র জোয়ার বলা হয়। (27 দিনে পৃথিবীর চারদিকে চাঁদের একবার পরিক্রমাকে বলা হয় চান্দ্রমাস।)

 

5. কোনাে স্থানে একটি জোয়ার ও একটি ভাটার মধ্যে সময়ের ব্যবধান কত থাকে?

 

Answer : 6 ঘণ্টা 13 মিনিট।

 

6. মৌসুমি স্রোত কোন মহাসাগরে দেখা যায় ?

 

Answer : ভারত মহাসাগরে মৌসুমি স্রোত দেখা যায়।

 

7. কেন্দ্রাতিগ বল কাকে বলে?

 

Answer : পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বিপরীতমুখী ক্রিয়াশীল বলকে কেন্দ্রাতিগ বল বলে।

 

৪. হিমপ্রাচীর কোন মহাসাগরে দেখা যায় ?

 

Answer : হিমপ্রাচীর আটলান্টিক মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিম অংশে দেখা যায়।

 

9. পশ্চিমবঙ্গে বান ডাকে এমন একটি নদীর নাম লেখাে।

 

Answer : পশ্চিমবঙ্গে হুগলি নদীতে বান ডাকে।

 

10. ভূপৃষ্ঠের শতকরা কত ভাগ স্থান জলভাগ অধিকার করে আছে?

 

Answer : ভূপৃষ্ঠের প্রায় 70 ভাগ স্থান জলভাগ অধিকার করে আছে।

 

11. আটলান্টিক মহাসাগরের দুটি উয় স্রোতের নাম লেখাে।

 

Answer : আটলান্টিক মহাসাগরের দুটি উয় স্রোত হল—(i) উপসাগরীয় স্রোত ও (ii) ব্রাজিল স্রোত।

 

12. পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগরের নাম কী?

 

Answer : পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগরটির নাম প্রশান্ত মহাসাগর।

 

13. পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসাগরের নাম কী?

 

Answer : পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসাগরের নাম আটলান্টিক মহাসাগর।

 

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | বারিমন্ডল – সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : [প্রতিটি প্রশ্নের মান-2]

 

1. মগ্নচড়া কী?

 

Answer : মেরু অঞ্চল থেকে শীতল সমুদ্রস্রোতের সঙ্গে ভেসে আসা হিমশৈল উয়স্রোতের সংস্পর্শে এসে গলে যায়। হিমশৈল মধ্যস্থ নুড়ি, কাকর, বালি, কাদা প্রভৃতি ওজনানুসারে সমুদ্র তলদেশে পর্যায়ক্রমে থিতিয়ে পড়ে। দীর্ঘকাল ধরে এই সম পদার্থ অধঃক্ষিপ্ত হয়ে অগভীর নিমজ্জিত ও চড়ার সৃষ্টি হয়। একে মগ্নচড়া বা ব্যাংক বলে। উদাহরণ : সেবল ব্যাংক, জর্জেস ব্যাংক।

 

2. হিমপ্রাচীর কাকে বলে?

 

Answer : আটলান্টিক মহাসাগরের নিউফাউন্ডল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের নিকট (হ্যালিফক্স ও কড অন্তরীক্ষের মাঝে) উত্তর দিকে (ব্যাকিন উপসাগর) থেকে আগত শীতল ও গাঢ় সবুজ জলের শীতল ল্যাব্রাডার স্রোত এবং দক্ষিণ দিক থেকে আগত উয় ও গাঢ় নীল জলের উপসাগরীয় স্রোত পাশাপাশি পরস্পরের বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয়। এই দুই স্রোতের স্পষ্ট সীমারেখাকে হিমপ্রাচীর বলে। এখানে ঘন কুয়াশার সৃষ্টি হয়।

 

3. নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূলে ঘন কুয়াশা, ঝড় সৃষ্টি হয়—কারণ ব্যাখ্যা করাে।

 

Answer : নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকুলে উম্ন উপসাগরীয় ও শীতল ল্যাব্রাডার স্রোত পরস্পর মিলিত হয়। উয় উপসাগরীয় স্রোতের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বায়ু উয় ও জলীয়বাষ্পপূর্ণ এবং শীতল ল্যাব্রাডার স্রোতের ওপরকার বায়ু শীতল ও শুষ্ক হওয়ায়, দুই ভিন্নধর্মী বায়ু পরস্পরে সংস্পর্শে এলে শীতলবায়ুর প্রভাবে উয় বায়ুস্থিত জলীয় বাষ্প জমে গিয়ে কুয়াশার সৃষ্টি করে। আবার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূলের কাছে এই দুই ভিন্নধর্মী বায়ুর মুখােমুখী সংঘর্ষের ফলে মাঝে মাঝে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়।

 

4. উপসাগরীয় স্রোত (Gulf Current) কাকে বলে?

 

Answer : উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের মেক্সিকো উপসাগর থেকে উৎপন্ন একটি উয়স্রোত হল উপসাগরীয় স্রোত। এই স্রোতের কয়েকটি উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য হল— (i) এই স্রোতের জলের রং নীল। (ii) এই স্রোত উয় (27:02°C)। (iii) এই স্রোতের বিস্তার 64 কিমি এবং গভীরতা 914 মিটার। (iv) এই স্রোতের গড় গতিবেগ হল 10-15 মাইল/দিন। (v) এই স্রোত প্রতিসেকেন্ডে 74-93 মিলিয়ন ঘনমিটার জল বহন করে।

 

5. জাপান বা কুরােশীয় স্রোত কাকে বলে?

 

Answer : উত্তর প্রশান্তমহাসাগরের এই স্রোতটি উত্তর নিরক্ষীয় স্রোত প্রথমে পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে এবং পরে ফিলিপাইল্স দ্বীপপুঞ্জে প্রতিহত হয়ে উত্তরে বেঁকে যায় এবং দক্ষিণ নিরক্ষীয় স্রোতের উত্তরগামী শাখার সঙ্গে মিশে কুরােশীয় স্রোত নামে এবং জাপানের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হবার সময় জাপান স্রোত নামে পরিচিত।

 

6. ৰেয়েলা স্রোত কাকে বলে?

 

Answer : দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের এই শীতল স্রোতটি কুমেরু স্রোতের একটি শাখা আফ্রিকার দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে উত্তমাশা অন্তরীপে প্রতিহত হয়ে পশ্চিম উপকূল বরাবর অ্যাগুয়েলার বেঙ্গুয়েলা বন্দর পর্যন্ত বিস্তৃত। এই স্রোতের গড় গতিবেগ ঘণ্টায় 10 কিমি।

 

7. ব্রাজিল স্রোত কাকে বলে?

 

Answer : বেঙ্গুয়েলা স্রোত ও দক্ষিণ নিরক্ষীয় স্রোতের মিলিত প্রবাহ দক্ষিণ আমেরিকার পূর্ব উপকূলে সেন্ট রক অন্তরীপে প্রতিহত হয়ে দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে যায়। এর দক্ষিণের শাখাটি ব্রাজিলের পূর্ব উপকূল বরাবর দক্ষিণে 40° দক্ষিণ অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এই স্রোত ব্রাজিলস্রোত নামে পরিচিত। অধিক উয়তা ও লবণাক্ততা এই স্রোতের প্রধান বৈশিষ্ট্য। গতিবেগ 28 km/hour।

 

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | বারিমন্ডল – ব্যাখ্যামূলক উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : [প্রতিটি প্রশ্নের মান-3]

 

1. সারগাসসা সি বা শৈবাল সাগর কী?

 

Answer : নিয়ত বায়ু দ্বারা পরিচালিত সমুদ্রস্রোত অনেক সময় সমুদ্রের মধ্যবর্তী অংশে স্রোতের আবর্ত বা ঘূর্ণির সৃষ্টি করে। আবর্তের মধ্যবর্তী অংশ স্রোতহীন হওয়ায় সামুদ্রিক আগাছা ও শৈবাল জন্মায়। স্রোতহীন, আগাছা সমৃদ্ধ সমুদ্রের ওই অংশকে সারােগাসাে সি বা শৈবাল সাগর বলে। উদাহরণ : (i) আটলান্টিক মহাসাগরীয় শৈবাল সাগর, (ii) প্রশান্ত মহাসাগরীয় শৈবাল সাগর।

 

2. গ্র্যান্ড ব্যাংক কী?

 

Answer : গ্র্যান্ড ব্যাংক হল বিশ্বের বৃহত্তম মগ্নচড়া।

 

অবস্থান—উত্তর-পশ্চিম আটলান্টিক মহাসাগর, নিউফাউন্ডল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের নিকট অবস্থিত।

 

উৎপত্তির কারণ—শীতল লাব্রাডার স্রোতের সঙ্গে আসা হিমশৈল উয় উপসাগরীয় স্রোতের সংস্পর্শে গলে গিয়ে সমুদ্র তলদেশে নুড়ি, কাকর, বালি, পলি, কাদা প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে সৃষ্টি হয়েছে। বাণিজ্যিক মৎস্য আহরণের জন্য বিখ্যাত।

 

3. সমুদ্রস্রোতের চক্ৰগতি বা জায়র (Gyre) বলতে কী বােঝাে?

 

Answer : পৃথিবীর প্রধান তিনটি মহাসাগরে সমুদ্রস্রোতের গতিপথ অনুসরণ করলে দেখা যায় যে সেগুলি চক্রাকারে ঘুরে জলাবর্ত সৃষ্টি করে। একে সমুদ্রস্রোতের চক্রগতি বা জায়র বলে। কোরিওলিস বলের প্রভাবে এটি হয়। এই চক্রগতিতে সমুদ্রস্রোত উত্তর গােলার্ধে দক্ষিণাবর্তে এবং দক্ষিণ গােলার্ধে বামাবর্তে ঘুরতে থাকে।

 

4. গ্র্যান্ড ব্যাংক মগ্নচড়াটি বাণিজ্যিক মৎস্যক্ষেত্র হিসাবে 
খ্যাতি লাভ করেছে কেন?

 

Answer : কারণগুলি হল—(i) এখানে সমুদ্র অগভীর হওয়ায় সূর্যরশ্মি তলদেশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ফলে এখানে মাছের খাদ্য প্ল্যাঙ্কটন প্রচুর পরিমাণে জন্মায়। (ii) উয় ও শীতল স্রোতের মিলনের ফলে এখানে প্রচুর সামুদ্রিক মাছের সমাবেশ ঘটে। (iii) এখানকার নীতিশীতােয় জলবায়ু মাছ শিকার, মাছ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অনুকূল। (iv) এখানে কৃষিজমির অভাব থাকায় মৎস্য আহরণ এখানকার অধিবাসীদের অন্যতম জীবিকা।

 

5. উয়স্রোত ও শীতলস্রোতের মধ্যে পার্থক্যগুলি লেখাে।

 

Answer : উয়স্রোত ও শীতলস্রোতের মধ্যে পার্থক্যগুলি হল-

 

উয়ুস্রোত    শীতলস্রোত
(i) ক্রান্তীয় ও উপক্ৰান্তীয় সমুদ্র    (i) মেরু সমুদ্রে এর উৎপত্তি হয়।
(ii) জলের উয়তা প্রবাহিত অঞ্চলের জলের উয়তা অপেক্ষা বেশি।    (ii) জলের উয়তা প্রবাহিত অঞ্চলের জলের উয়তা অপেক্ষা কম।
(iii) সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের উয়তা বাড়ায়। উচ্চ নাতিশীতােয় অঞ্চলের উপকূলে বরফ জমতে দেয় না।    (iii) উয়তা কমায়। উয় অঞ্চলের উপকূলে মনােরম অবস্থা সৃষ্টি করে।

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | বারিমন্ডল – রচনাধর্মী উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : [প্রতিটি প্রশ্নের মান-5]

 

1. সমুদ্রস্রোতের প্রভাব লেখাে। অথবা, সমুদ্রস্রোতের গুরুত্ব আলােচনা করাে।

 

Answer : সমুদ্রস্রোত জলবায়ু ও মানুষের অর্থনৈতিক কাজকর্মকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। যেমন-

 

     (1) জলবায়ুর ওপর প্রভাব :
     (i) উয়তার হ্রাসবৃদ্ধিতে : উয় সমুদ্রস্রোত উচ্চঅক্ষাংশীয় অঞ্চলে উয়তা বৃদ্ধি করে। যেমন—উয় উত্তর আটলান্টিক স্রোত নরওয়ের উপকুলীয় অঞ্চলে উয়তা বৃদ্ধি করে। শীতল সমুদ্রস্রোত সংশ্লিষ্ট উপকুলীয় অঞ্চলের উয়তা হ্রাস করে। যেমন— শীতল লাব্রাডার স্রোতের প্রভাবে কানাডার পূর্ব উপকূলের উয়তা হ্রাস পায়।
     (ii) বৃষ্টিপাত ও তুষারপাত : উয় উত্তর আটলান্টিক স্রোতের প্রভাবে ইংল্যান্ডের পশ্চিম উপকুলে বৃষ্টিপাত হয়। অন্যদিকে শীতল বেরিং স্রোতের প্রভাবে রাশিয়ার পূর্ব উপকূলে তুষারপাত হয়।
     (iii) ঝড়ঝঞা ও কুয়াশা : উয় ও শীতল সমুদ্রস্রোতের মিলন স্থলে কুয়াশা, ঝড়-ঝঞ্চার সৃষ্টি হয়।
     (iv) মরুভূমির সৃষ্টি : ক্রান্তীয় অঞ্চলে শীতলস্রোত প্রভাবিত মহাদেশগুলির পশ্চিমাংশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কমে গিয়ে উয় মরুভূমি সৃষ্টি করে। যেমন—কালাহারি, সােনেরান, আটাকামা প্রভৃতি মরুভূমি সৃষ্টির অন্যতম কারণ শীতলস্রোত।

 

     (2) পরিবহন ব্যবস্থার ওপর প্রভাব : (i) সমুদ্রস্রোতের অনুকুলে জাহাজ চলাচলের সুবিধা হয়। (ii) উয় সমুদ্রস্রোত উপকূলীয় অঞ্চলের বন্দরগুলিকে বরফযুক্ত রাখে। (iii) শীতল স্রোতের সঙ্গে আগত হিমশৈল জাহাজ চলাচলে বাধা দেয় ও বিপদ সৃষ্টি করে।

 

     (3) মাচড়া ও মৎস্য আহরণ : শীতলস্রোতের সঙ্গে আগত বরফ উয়স্রোতের সংস্পর্শে গলে গিয়ে সেই সঙ্গে আসা নুড়ি, বালি, কাদা অধঃক্ষিপ্ত হয়ে অগভীর মগ্নচড়া সৃষ্টি করে। যেখানে প্ল্যাঙ্কটনের প্রাচুর্য থাকায় বিপুল পরিমাণ মৎস্যের সমাবেশ ঘটে ও বাণিজ্যিক মৎস্য আহরণ ক্ষেত্র তৈরি হয়। যেমন—উত্তর পশ্চিম আটলান্টিক মহাসাগরীয় ক্ষেত্র।

 

     (4) জীবজগতের ওপর প্রভাব : (i) স্রোতের মাধ্যমে সমুদ্রজলের উয়তা নিয়ন্ত্রিত হয় যা সামুদ্রিক জীবের বসবাস নিয়ন্ত্রিত হয়। (i) উম্ন স্রোত সামুদ্রিক জীব, মাছ, প্রবাল, প্ল্যাঙ্কটন বিস্তারের আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। (ii) স্রোতের উর্ধ্বমুখী প্রবাহ বা আবর্তের কারণে লবণতার পরিমাণ নির্ভর করে। (iv) অন্যদিকে এলনিনাের প্রভাবে পেরু চিলি উপকুলে প্ল্যাঙ্কটন ও মাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

 

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | বারিমন্ডল – সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : [প্রতিটি প্রশ্নের মান-2]

 

1. বানডাকা কাকে বলে?

 

Answer : ভরা কোটালের সময় সমুদ্রের জল সংকীর্ণ নদীমুখে বা চড়াযুক্ত নদীমুখে মােহানা দিয়ে উলটো খাতে, খুব উঁচু হয়ে তীব্র গতিতে নদীতে প্রবেশ করে প্রবল জলােচ্ছ্বাস ঘটায়। একে বান ডাকা বলে। হুগলি, ইয়াংসিকিয়াং, টেমস্ নদীতে বানডাকার সৃষ্টি হয়।

 

2. সিজিগি কী?

 

Answer : চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবীর সরলরৈখিক (180°) অবস্থানকে জ্যোতির্বিজ্ঞানে সিজিগি (Sy Zy Gy) বলে। অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে সিজিগি অবস্থান লক্ষ করা যায়। সিজিগি অবস্থানে জোয়ারভাটার প্রাবল্য বেশি হয়।

 

3. যাঁড়াযৗড়ি বান কাকে বলে?

 

Answer : প্রবল বর্ষায় ভরা কোটালের সময় জলস্ফীতির মাত্রা এত বেশি হয় যে ওই অবস্থানকে দুটি ষাঁড়ের (নদীর সমুদ্রগামী জল ও জোয়ারের উজানগামী জল) লড়াই বা যুদ্ধকালীন অবস্থার সাথে তুলনা করে একে যাড়া-যাঁড়ির বান বলে। এই সময় জোয়ারের জল 5-10 মিটার উঁচু হয়। উদাহরণ : ভাগীরথী হুগলি নদীতে বর্ষাকালে এই বান দেখা যায়।

 

4. বেলাের্মি কী?

 

Answer : জোয়ার তরঙ্গের অগ্রগমনকে বেলাের্মি বলা হয়। পৃথিবীর যে যে স্থানবিন্দু সমূহে GMT অনুসারে একই সময় জোয়ার হয়, সেই স্থানগুলিকে একটি কাল্পনিক রেখা দ্বারা যুক্ত করলে যে রেখা পাওয়া যায়, তাকে বলে সহবেলাের্মি রেখা।

 

5. জোয়ার অন্তর কাকে বলে?

 

Answer : যে কোনাে দুটি জোয়ারের সময়ের ব্যবধানকে জোয়ার অন্তর বলে। সাধারণভাবে পরপর দুটি জোয়ারের (মুখ্য জোয়ার ও গৌণ জোয়ার) সময়ের ব্যবধান প্রায় 12 ঘণ্টা 26 মিনিট। তবে দুটি মুখ্য জোয়ার ও দুটি গৌণ জোয়ারের অন্তর হয় 24 ঘণ্টা 52 মিনিট।

 

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | বারিমন্ডল – ব্যাখ্যামূলক উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : [প্রতিটি প্রশ্নের মান-3]

 

1. মুখ্য জোয়ার ও গৌণ জোয়ারের মধ্যে পার্থক্য আলােচনা করাে।

 

Answer : মুখ্য জোয়ার ও গৌণ জোয়ারের মধ্যে পার্থক্যগুলি হল-

 

বিষয়    মুখ্য জোয়ার    গৌণ জোয়ার
সংজ্ঞা    পৃথিবী আবর্তনরত অবস্থায় ভূ-পৃষ্ঠের যে অংশ চাদের সম্মুখীন বা সর্বাপেক্ষা নিবর্তী হয়, সেই স্থানের জলরাশি চন্দ্রের আকর্ষণে অধিকমাত্রায় ফুলে উঠে যে জোয়ারের সৃষ্টি হয়, তাকে মুখ্য বা চন্দ্র জোয়ার বলে।    ভূ-পৃষ্ঠের পৃথিবীর যে অংশে মুখ্য জোয়ার হয় তার বিপরীতে প্রতিপাদ স্থানে প্রধানত পৃথিবীর কেন্দ্রাতিগ বলের প্রভাবে যে জোয়ারের সৃষ্টি হয় তাকে গৌণ জোয়ার বলে।
কার্যকরী বল    চাদের আকর্ষণ বল মুখ্য ভূমিকা পৃথিবীর কেন্দ্রাতিগ বল মুখ্য ভূমিকা নেয়।    পৃথিবীর কেন্দ্রাতিগ বল মুখ্য ভূমিকা।
জোয়ারের প্রাবল্য    মুখ্য জোয়ারের প্রাবল্য গৌণ জোয়ারের তুলনায় অনেক বেশি।    গৌণ জোয়ারের প্রাবল্য মুখ্য জোয়ারের তুলনায় বেশ কম।
ভরকেন্দ্রের দূরত্ব    পৃথিবীর ভরকেন্দ্র থেকে মুখ্য জোয়ার স্থানের দূরত্ব কম অর্থাৎ চাদের অধিকতর নিকটবর্তী।    পৃথিবীর ভরকেন্দ্র থেকে গৌণ জোয়ার স্থানের দূরত্ব পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে দূরত্ব অপেক্ষা প্রায় 4800 কিমি অধিক হওয়ায় ওই স্থানে পৃথিবীর আকর্ষণ বল কম, তাই কেন্দ্রাতিগ বলের প্রভাবেই গৌণ জোয়ার হয়।
2. পূর্ণিমা অপেক্ষা অমবস্যার জোয়ার প্রবল হয় কেন তা ব্যাখ্যা করাে।

 

Answer : পূর্ণিমা তিথিতে চঁাদ ও সূর্যের মাঝখানে পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করায় পৃথিবীর যে অংশ চাদের ঠিক সামনে আসে সেখানে হয় মুখ্য চান্দ্র জোয়ার এবং প্রতিপাদ স্থানে হয় মুখ্য সৌর জোয়ার। ফলে পূর্ণিমা তিথিতে যে তীব্র জোয়ারের সৃষ্টি হয় তা পূর্ণিমার ভরা জোয়ার বা ভরা কোটাল বলে। অন্যদিকে অমাবস্যা তিথিতে একই সরলরেখায় পৃথিবীর একই দিকে চাঁদ ও সূর্য অবস্থান করলে তাদের মিলিত আকর্ষণ বল পৃথিবীর একই স্থানে হওয়ায় ওই স্থানে জলরাশি অতি প্রবলমাত্রায় স্ফীত হয় এবং ভরা কোটাল নামে পরিচিত। পূর্ণিমাতে একটি স্থানে চাদের একক মহাকর্ষ শক্তি, অমাবস্যাতে চাঁদ ও সূর্যের যৌথ মহাকর্ষ বল কাজ করায় অমাবস্যার জোয়ারে প্রাবল্য বেশি।

 

3. দিনে দুবার জোয়ার ভাটার কারণ কী?

 

Answer : আবর্তনের ফলে পৃথিবীর যে অংশ চঁাদের সামনে আসে সেখানে মুখ্য জোয়ার এবং তার বিপরীত প্রান্তে গৌণ জোয়ার হয়। এই দুই স্থানের সমকোণে অবস্থিত স্থানে ভাটা হয়। পৃথিবীর একবার আবর্তনের মধ্যে অর্থাৎ 24 ঘণ্টায় পৃথিবীর প্রতিটি স্থান একবার করে চাঁদের সামনে আসে। ফলে সেই স্থানে মুখ্য জোয়ার ও প্রতিপাদ স্থানে গৌণ জোয়ার হয়। এই গৌণ জোয়ারের 12 ঘন্টা 26 মিনিট পর প্রতিপাদ স্থানটি চাদের সামনে এলে সেখানে মুখ্য জোয়ার হয় এবং প্রথমে যে স্থানে মুখ্য জোয়ার হয়েছিল সেখানে গৌণ জোয়ার হয়। সুতরাং 24 ঘন্টায় একই স্থানে দিনে দুবার জোয়ার এবং জোয়ারের সমকোণী অবস্থানে ভাটা হয়। ভাঁটাও দিনে দু’বার সংঘটিত হয়।

 

4. অ্যাপােজি ও পেরিজির মধ্যে পার্থক্য লেখাে।

 

Answer : অ্যাপােজি ও পেরিজির মধ্যে পার্থক্য

 

বিষয়    অ্যাপােজি    পেরিজি
(i) সংজ্ঞা    চাদের পৃথিবী পরিক্রমণ কালে চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে দূরত্ব যখন সর্বাধিক থাকে সেই অবস্থানকে অ্যাপােজি বলে।    চাদের পৃথিবী পরিক্রমণ কালে চঁাদ ও পৃথিবীর মধ্যে দূরত্ব যখন সবচেয়ে কম থাকে, সেই অবস্থানকে পেরিজি বলে।
(ii) দূরত্ব    অ্যাপােজি অবস্থানে চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যেকার দূরত্ব 4,07,000 কিমি.    পেরিজি অবস্থানে চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে কার দূরত্ব 3,56,000 কিমি।
(iii) দৃশ্যমান অপর নাম    এই সময় চাঁদকে ছােটো ও অনুজ্জ্বল দেখায়।    এই সময় চঁাদকে অ্যাপােজি অপেক্ষা 12%-14% বড়াে ও 25-30 গুণ বেশি উজ্জ্বল দেখায়।
জোয়ারের তীব্রতা    অ্যাপােজি অবস্থানে জোয়ার ভাটার তীব্রতা কম হয়।    পেরিজি অবস্থান জোয়ারভাটার তীব্রতা বেশি হয়।

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | বারিমন্ডল – রচনাধর্মী উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : (প্রতিটি প্রশ্নের মান-5]

 

1. জোয়ার ভাটা কীভাবে সৃষ্টি হয় চিত্রসহ ব্যাখ্যা করাে।

 

Answer : প্রধানত দুটি কারণে পৃথিবীতে জোয়ার ভাটার সৃষ্টি হয়। যথা-(i) পৃথিবীর ওপর চঁদ ও সূর্যের মিলিত মহাকর্ষ বলের প্রভাব এবং (ii) পৃথিবীর আবর্তন জনিত কেন্দ্রাতিগ বলের প্রভাব।

 

     (i) পৃথিবীর ওপর চাঁদ ও সূর্যের মিলিত মহাকর্ষ বলের প্রভাব : নিউটনের মহাকর্ষ নিয়ম অনুযায়ী পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য পরস্পর পরস্পরকে আকর্ষণ করে। যে বস্তুর ভর যত বেশি আকর্ষণ বল তার তত বেশি এবং যে বস্তুর দূরত্ব যত বেশি তার আকর্ষণ বল তত কম।

 

     পৃথিবী থেকে সূর্য গড়ে 15 কোটি কিমি দূরে অবস্থিত এবং চাঁদ ও 3 লক্ষ 84 হাজার 400 কিমি দূরে অবস্থিত। তাই পৃথিবীর ওপর চাঁদের আকর্ষণ বল (2.2 গুণ) বেশি। প্রধানত চাঁদের আকর্ষণেই সমুদ্রের জল স্ফীত হয়ে জোয়ারের সৃষ্টি করে। জোয়ারের সমকোণস্থ অঞ্চলের জলতল নেমে গিয়ে ভাটার সৃষ্টি করে। সূর্যের চন্দ্রের চেয়ে প্রায় 255 লক্ষ গুণ ভারি হলেও বহু দূরে (প্রায় 391 গুণ) অবস্থিত হওয়ার জন্য সূর্যের আকর্ষণে জোয়ার তত প্রবল হয় না। সিজিগি অবস্থানে পৃথিবীর একই স্থানে চাঁদ ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণ কার্যকরী হওয়ায় জোয়ার খুব প্রবল হয়।

 

     (i) পৃথিবীর আবর্তনজনিত কেন্দ্রাতিগ বলের প্রভাব : পৃথিবীর আবর্তনজনিত কারণে কেন্দ্রাতিগ বলের সৃষ্টি হয়, যার প্রভাবে সমুদ্রের জলরাশি বাইরের দিকে বিক্ষিপ্ত হওয়ায় প্রবণতা লাভ করে। এই বল মহাকর্ষ বলের বিপরীতে কাজ করে। অর্থাৎ চাঁদের আকর্ষণে যে স্থানে জোয়ার হয় তার বিপরীতে প্রতিপাদ স্থানে কেন্দ্রাতিগ বল অধিক কার্যকরী হওয়ায় সেখানে জোয়ার (গৌণ জোয়ার) হয়, তবে প্রাবল্য তুলনামূলক কম। জোয়ারের স্থানে বিপুল জলরাশি সরবরাহের জন্য এদের মধ্যবর্তী সমকোণস্থ স্থানগুলিতে জলতল নেমে গিয়ে ভাটার সৃষ্টি করে।

 

     এছাড়া, সমুদ্রতলের ঢাল, তটভূমির প্রকৃতি, জলস্তরের ওঠানামা, জলের পৃষ্ঠতলে বায়ুর গতিশক্তির ঘর্ষণ প্রভৃতি জোয়ারভাটা সৃষ্টিতে পরােক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে।

 

2. ভরা কোটাল এবং মরা কোটাল কীভাবে সৃষ্টি হয় ব্যাখ্যা করাে।

 

Answer : ভরা কোটাল : আবর্তনকালে পূর্ণিমা ও অমাবস্যা তিথিতে পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য একই সরলরেখায় অবস্থান করে (সিজিগি অবস্থান)। এই সময় জোয়ার অতি প্রবল হয় এবং সাধারণ জোয়ার অপেক্ষা 20% জল বেশি ফুলে ওঠে। একেই ভরা কোটাল বলে।

 

     পূর্ণিমায় ভরা কোটাল : পূর্ণিমা তিথিতে সিজিগি অবস্থানে পৃথিবী থাকে চাদ ও সূর্যের মাঝখানে (প্রতিযােগ)। এই অবস্থায় চাঁদের আকর্ষণে জোয়ার প্রবল আকার নেয় এবং বিপরীত অংশে কেন্দ্রাতিগ বলের প্রভাব ও সূর্যের আকর্ষণেও জোয়ার প্রবল হয়। একেই পূর্ণিমার ভরা কোটাল বা তেজ কোটাল বলে।

 

     অমাবস্যায় ভরা কোটাল : অমাবস্যা তিথিতে সিজিগি অবস্থানে চাদ থাকে পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে (সংযােগ)। এই অবস্থায় পৃথিবীর যে অংশে চাদের আকর্ষণ বল কাজ করে সেখানেই সূর্যের আকর্ষণ বলও কাজ করে। ফলে জল প্রবলভাবে ফুলে ওঠে এবং জোয়ার অতি প্রবল আকার নেয়। একে অমাবস্যার ভরা কোটাল বা তেজ কোটাল বলে। পূর্ণিমার ভরা কোটাল অপেক্ষা অমাবস্যার ভরা কোটাল অনেক তেজি হয়।

 

     মরা কোটাল বা মরা জোয়ার : কৃয় ও শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পৃথিবীর সাপেক্ষে চাঁদ ও সূর্য পরস্পরের সমকোণে অবস্থান করে। এরূপ অবস্থায় পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের ঠিক সামনে থাকে সেখানে জোয়ার হয়। এক্ষেত্রে চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ বল পরস্পরের বিপরীতে কাজ করে বলে সমুদ্রের জলরাশি সেভাবে ফুলে ওঠে না। অষ্টমী তিথির এই জোয়ারকে মরা কোটাল বা মরা জোয়ার বলে।

মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৪ – Madhyamik Suggestion 2024

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Bengali Suggestion 2024 Click Here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik English Suggestion 2024 Click Here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Geography Suggestion 2024 Click Here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik History Suggestion 2024 Click Here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Life Science Suggestion 2024 Click Here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Mathematics Suggestion 2024 Click Here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Physical Science Suggestion 2024 Click Here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Suggestion 2024 Click Here

FILE INFO : WBBSE Class 10th Geography Suggestion with PDF Download for FREE | দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন বিনামূল্যে ডাউনলোড | বারিমন্ডল – প্রশ্ন উত্তর – MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর, সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর, ব্যাখ্যাধর্মী, প্রশ্নউত্তর

 

File Details:
PDF Name : দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন – বারিমন্ডল – সমস্ত প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10th Geography Suggestion PDF
Language : Bengali
Size : 648.9 kb
No. of Pages : 10
Download Link : Click Here To Download

পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক  ভূগোল পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর ও শেষ মুহূর্তের সাজেশন ডাউনলোড। দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। West Bengal Madhyamik  Geography Suggestion Download. WBBSE Madhyamik Geography short question suggestion. WBBSE Class 10th Geography Suggestion download. Madhyamik Question Paper Geography. WB Madhyamik 2019 Geography suggestion and important questions. WBBSE Class 10th Geography Suggestion  pdf.

 

Get the WBBSE Class 10th Geography Suggestion by winexam.in

 West Bengal WBBSE Class 10th Geography Suggestion  prepared by expert subject teachers. WB Madhyamik Geography Suggestion with 100% Common in the Examination.

 

Class 10th Geography Suggestion

West Bengal Madhyamik  Geography Suggestion Download. WBBSE Madhyamik Geography short question suggestion. WBBSE Class 10th Geography Suggestion  download. Madhyamik Question Paper Geography.

 

বিষয় দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন – বারিমন্ডল – প্রশ্ন উত্তর |  WB Madhyamik Geography Suggestion

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন (Madhyamik Geography) বারিমন্ডল – প্রশ্ন উত্তর

 

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | বারিমন্ডল

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বোর্ডের (WBBSE) সিলেবাস বা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী  দশম শ্রেণির ভূগোল বিষয়টির সমস্ত প্রশ্নোত্তর। সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা, তার আগে winexam.in আপনার সুবিধার্থে নিয়ে এল দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন সাজেশান – বারিমন্ডল – প্রশ্ন উত্তর । ভূগোলে ভালো রেজাল্ট করতে হলে অবশ্যই পড়ুন । আমাদের দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন

 

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | বারিমন্ডল

আমরা WBBSE মাধ্যমিক পরীক্ষার ভূগোল বিষয়ের – বারিমন্ডল – প্রশ্ন উত্তর – সাজেশন নিয়ে বারিমন্ডল – প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনারা যারা এবছর দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাদের জন্য আমরা কিছু প্রশ্ন সাজেশন আকারে দিয়েছি. এই প্রশ্নগুলি পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন পরীক্ষা  তে আসার সম্ভাবনা খুব বেশি. তাই আমরা আশা করছি Madhyamik ভূগোল পরীক্ষার সাজেশন কমন এই প্রশ্ন গুলো সমাধান করলে আপনাদের মার্কস বেশি আসার চান্স থাকবে।

 

WiN EXAM Institute

 

 এই (দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন – বারিমন্ডল – সমস্ত প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10th Geography Suggestion PDF) পোস্টটি থেকে যদি আপনার লাভ হয় তাহলে আমাদের পরিশ্রম সফল হবে। আরোও বিভিন্ন স্কুল বোর্ড পরীক্ষা, প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার সাজেশন, অতিসংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত ও রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (All Exam Guide Suggestion, MCQ Type, Short, Descriptive Question and answer), প্রতিদিন নতুন নতুন চাকরির খবর (Job News in Geography) জানতে এবং সমস্ত পরীক্ষার এডমিট কার্ড ডাউনলোড (All Exam Admit Card Download) করতে winexam.in ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।
Tags:Geography ix, Geography x, Geography class ix, Geography class x, Geography ix and x, Geography nine and ten, Geography nine, Geography ten, Geography class nine, Geography class ten, Geography class nine and ten, class ix geograpgy, class x Geography, class ix and x Geography, wbbse, syllabus, madhyamik Geography, madhyamik Bhugol, Bhugol madhyamik, class x Bhugol, madhyamiker Bhugol, madhyomik Bhugol, madhyomik Geography, nobom shreni Bhugol, doshom shreni Bhugol, nobom and doshom shreni Bhugol, nabam shreni Bhugol, dasham shreni Bhugol, exam preparation, examination preparation, gr D preparation, group D preparation, preparation, rail, net, set, wbcs, psc, ssc, csc, upsc, poriksha prostuti, pariksha prastuti, দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন, দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন, মাধ্যমিক মাধ্যমিক, নবম শ্রেণি ভূগোল, দশম শ্রেণি ভূগোল, নবম শ্রেণি ভূগোল, দশম শ্রেণি ভূগোল, ক্লাস টেন ভূগোল, মাধ্যমিকের ভূগোল, ভূগোল মাধ্যমিক – বারিমন্ডল, দশম শ্রেণী – বারিমন্ডল, মাধ্যমিক ভূগোল বারিমন্ডল, ক্লাস টেন বারিমন্ডল, Madhyamik Geography – বারিমন্ডল, Class 10th বারিমন্ডল, Class X বারিমন্ডল, জিওগ্রাফি, মাধ্যমিক জিওগ্রাফি, পরীক্ষা প্রস্তুতি, রেল, গ্রুপ ডি, এস এস সি, পি, এস, সি, সি এস সি, ডব্লু বি সি এস, নেট, সেট, চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতি, Madhyamik Suggestion, Madhyamik Suggestion , Madhyamik Suggestion , West Bengal Secondary Board exam suggestion, West Bengal Secondary Board exam suggestion , WBBSE,  WBBSE , মাধ্যমিক সাজেশান, মাধ্যমিক সাজেশান , মাধ্যমিক সাজেশান , মাধ্যমিক সাজেশন, দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন সাজেশান , দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন সাজেশান , দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন , দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, Madhyamik Suggestion Geography , WBBSE Class 10th Geography Suggestion , WBBSE Class 10th Geography Suggestion

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here