শিখন (প্রথম অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন | HS Class 12 Education Suggestion PDF

0
শিখন (প্রথম অধ্যায়) - দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন | HS Class 12 Education Suggestion PDF
শিখন (প্রথম অধ্যায়) - দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন | HS Class 12 Education Suggestion PDF

শিখন (প্রথম অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন

HS Class 12 Education Suggestion PDF

শিখন (প্রথম অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন | HS Class 12 Education Suggestion PDF : শিখন (প্রথম অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন ও অধ্যায় ভিত্তিতে প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হল।  এবার পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান পরীক্ষায় বা দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান পরীক্ষায় ( WB HS Class 12 Education Suggestion PDF  | West Bengal HS Class 12 Education Suggestion PDF  | WBCHSE Board Class 12th Education Question and Answer with PDF file Download) এই প্রশ্নউত্তর ও সাজেশন খুব ইম্পর্টেন্ট । আপনারা যারা আগামী দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য বা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান  | HS Class 12 Education Suggestion PDF  | WBCHSE Board HS Class 12th Education Suggestion  Question and Answer খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর ভালো করে পড়তে পারেন। 

শিখন (প্রথম অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন | পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন/নোট (West Bengal Class 12 Education Question and Answer / HS Education Suggestion PDF)

পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন (West Bengal HS Class 12 Education Suggestion PDF / Notes) শিখন (প্রথম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর – MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (SAQ), সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (Short Question and Answer), ব্যাখ্যাধর্মী বা রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (descriptive question and answer) এবং PDF ফাইল ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে দেওয়া রয়েছে

শিখন (প্রথম অধ্যায়)

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | শিখন (প্রথম অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন | HS Class 12 Education Suggestion : 

১. GMA- এর পুরো কথাটি কী ? 

উত্তরঃ পুরো শব্দটি হলো : General Mental Ability . 

২. শিখন ও পরিণমনের একটি সাদৃশ্য লেখো । 

উত্তরঃ প্রথমত : দু’টিই ব্যক্তির জীবনবিকাশের প্রক্রিয়া বা বিকাশমূলক প্রক্রিয়া । 

দ্বিতীয়ত : দু’টি প্রক্রিয়ার ফলশ্রুতিতেই ব্যক্তির আচরণের পরিবর্তন লক্ষণীয় ৷ 

৩. গ্যাগনির মতে সব থেকে উচ্চ পর্যায়ের শিখন কোনটি ?

উত্তরঃ গ্যাগনিনের মত অনুসারে সব থেকে উচ্চ পর্যায়ের শিখন হলো ‘ সমস্যা সমাধানমূলক শিখন ’ । 

৪. থার্স্টোনের তত্ত্ব অনুসারে যেকোনো দু’টি প্রাথমিক মানসিক ক্ষমতার উল্লেখ করো । 

উত্তরঃ থার্স্টোনের তত্ত্ব অনুসারে দু’টি প্রাথমিক মানসিক ক্ষমতা হলো সংখ্যাগত উপাদান N এবং বাচনিক উপাদান V। 

৫. সাধারণ মানসিক ক্ষমতা কাকে বলে ? 

উত্তরঃ এটি এমন একটি ক্ষমতা যা যে কোনো বৌদ্ধিক কাজে অল্পবিস্তর প্রয়োজন হয় । শিশু জিনগতসূত্রে এই ক্ষমতা অর্জন করে অর্থাৎ এটা সহজাত ও জন্মগত । স্পিয়ারম্যান এটাকেই বলেছেন ‘ G -ক্ষমতা ’ । 

৬. মনোযোগের দু’টি বস্তুগত নির্ধারক কী ? 

উত্তরঃ মনোযোগের দু’টি বস্তুগত নির্ধারকের নাম হলো তীব্রতা ও রং । 

৭. বিশেষ মানসিক ক্ষমতা বলতে কী বোঝো ? 

উত্তরঃ কোনো বিশেষ কাজের জন্য সাধারণ ক্ষমতার পাশাপাশি একটি বিশেষ ক্ষমতার প্রয়োজন হয় এবং ক্ষমতা ওই কাজটি ব্যতীত অন্য কোনো কাজে দরকার হয় না , তাকেই বলে বিশেষ ক্ষমতা । স্পিয়ারম্যান এই ক্ষমতাকে বলেছেন ‘ S ‘ ক্ষমতা 

৮. মনোযোগের একটি অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের উল্লেখ করো । 

উত্তরঃ মনোযোগের একটি অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের নাম দুশ্চিন্তা । 

৯. শিখনের কার্যকরী বিষয়গুলির যেকোনো দু’টি উল্লেখ করো । 

উত্তরঃ শিখনের প্রধান দু’টি কার্যকরী বিষয় হলো— 1. উপযুক্ত পরিবেশ । 2. উপযুক্ত পদ্ধতি । 

১০. শিখন প্রক্রিয়ার পর্যায়গুলি কী ? 

উত্তরঃ শিখন প্রক্রিয়ার স্তরগুলি এইরূপ — 1. অভিজ্ঞতা অর্জন , 2. সংরক্ষণ ধারন 3. পুনরুদ্রেক বা মনে করা , 4. প্রত্যভিজ্ঞা বা চেনা 

১১. শিখনের দু’টি বৈশিষ্ট্য লেখো । 

উত্তরঃ শিখনের দু’টি বৈশিষ্ট্য : 1. শিখন আচরণের পরিবর্তন আনে । 2. শিখন অনুশীলন ভিত্তিক । 

১২. পরিণমন কী ? 

উত্তরঃ পরিণমন এমন একটি চর্চা যা অনুশীলন ও শিখন নিরপেক্ষ স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া , এটি আপনা – আপনি ব্যক্তির মধ্যে সঞ্চারিত হয়ে তার অভ্যন্তরীণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে । 

১৩. SMA- এর পুরো কথাটি কী ? 

উত্তরঃ পুরো নাম Special Mental Ability . 

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো | শিখন (প্রথম অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন | HS Class 12 Education Suggestion :

১. প্রেষণার উদ্ভব হয়— (ক) মনোযোগ থেকে / (খ) দুঃখ থেকে / (গ) অভাববোধ থেকে / (ঘ) শৃঙ্খলাবোধ থেকে । 

উত্তরঃ (গ) অভাববোধ থেকে / 

২. শিখনের দ্বিতীয় স্তর – (ক) গ্রহণ / (খ) ধারণ / (গ) পুনরুদ্রেক / (ঘ) প্রত্যভিজ্ঞা । 

উত্তরঃ (গ) পুনরুদ্রেক / 

৩. যে প্রক্রিয়ায় শিশুরা নতুন নতুন আচরণ করে , তাকে বলে– (ক) পরিণমন / (খ) সঞ্চালন / (গ) শিখন / (ঘ) অভিভাবন । 

উত্তরঃ (গ) শিখন /

৪. সহগতির সহগাঙ্ককে যে ইংরেজি অক্ষরের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় – (ক) b / (খ) s / (গ) r / (ঘ) q /

উত্তরঃ (গ) r / 

৫. দ্বি – উপাদান তত্ত্বের প্রবক্তা – (ক) ফ্রয়েড / (খ) স্পিয়ারম্যান / (গ) থার্স্টোন / (ঘ) থর্নডাইক । 

উত্তরঃ (খ) স্পিয়ারম্যান /

৬. ‘ পুনরুদ্রেক ‘ কথাটির অর্থ – (ক) দেখা / (খ) শোনা / (গ) মনে করা / (ঘ) চিনে নেওয়া । 

উত্তরঃ (গ) মনে করা /

৭. অতীত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নতুন অভিজ্ঞতার অনুশীলনকে বলে– (ক) পরিণমন / (খ) শিখন / (গ) মনোযোগ / (ঘ) প্রেষণা । 

উত্তরঃ (খ) শিখন / 

৮. শিখন , স্মৃতি , প্রত্যক্ষণ এগুলি আসলে কী ? (ক) দৈহিক প্ৰক্ৰিয়া / (খ) মানসিক প্রক্রিয়া /(গ) দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া / (ঘ) প্রাক্ষোভিক প্রক্রিয়া । 

উত্তরঃ (খ) মানসিক প্রক্রিয়া /

৯. পরিণমন হলো – (ক) স্বাভাবিক প্রক্রিয়া / (খ) আদেশ নির্ভর প্রক্রিয়া / (গ) গুণগত প্রক্রিয়া / (ঘ) শর্ত নির্ভর প্রক্রিয়া । 

উত্তরঃ (ক) স্বাভাবিক প্রক্রিয়া /

১০. শিখন কী ধরনের প্রক্রিয়া ? (ক) কৃত্রিম / (খ) স্বাভাবিক / (গ) সহজাত / (ঘ) স্বতঃপ্রণোদিত । 

উত্তরঃ (ক) কৃত্রিম /

১১. ম্যাকডুগাল মনে করেন …….. হলো সুপ্ত মনোযোগ— (ক) তাড়না / (খ) আগ্রহ / (গ) প্রেষণা / (ঘ) শিখন । 

উত্তরঃ (খ) আগ্রহ /

১২. শিখনের প্রথম স্তর- (ক) গ্রহণ / (খ) ধারণ বা সংরক্ষণ / (গ) পুনরুদ্রেক / (ঘ) অনুশীলন । 

উত্তরঃ (খ) ধারণ বা সংরক্ষণ /

১৩. প্রত্যভিজ্ঞা ‘ কথাটির আক্ষরিক অর্থ কী ? (ক) দেখা / (খ) শোনা / (গ) মনে করা / (ঘ) চিনে নেওয়া । 

উত্তরঃ (ঘ) চিনে নেওয়া ।

১৪. যে মানসিক প্রক্রিয়ার সাহায্যে মানুষ পূর্ব অভিজ্ঞতাকে সঞ্চয় করে রাখে , সেটি হলো- (ক) গ্রহণ / (খ) পুনরুদ্রেক / (গ) সংরক্ষণ / (ঘ) পুনঃপরিজ্ঞান । 

উত্তরঃ (গ) সংরক্ষণ /

১৫. পরিবর্তিত পরিবেশের উপযোগী নতুন আচরণ আয়ত্ত করাকে বলে– (ক) ক্ষমতা / (খ) শিখন / (গ) পরিণমন / (ঘ) সংরক্ষণ । 

উত্তরঃ (খ) শিখন /

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | শিখন (প্রথম অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন | HS Class 12 Education Suggestion : 

১. শিক্ষাক্ষেত্রে স্পিয়ারম্যানের দ্বি – উপাদান তত্ত্বের গুরুত্ব লেখো । 

উত্তরঃ যেকোনো বৌদ্ধিক কাজে দু’টি উপাদান কার্যকরী হয় সাধারণ উপাদান ( G ) এবং বিশেষ উপাদান ( S ) । সব ধরনের কাজে সাধারণ উপাদানটি কম – বেশি প্রয়োজন । অন্যদিকে , বিশেষ ধরনের কাজে বা কোনো নির্দিষ্ট কাজে বিশেষ উপাদানটির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে । এটিই স্পিয়ারম্যানের দ্বি – উপাদান তত্ত্ব । নিম্নে এই তত্ত্বের গুরুত্ব বর্ণনা করা হলো। 

  শিক্ষাক্ষেত্রে স্পিয়ারম্যানের দ্বি – উপাদান তত্ত্বটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ । ছাত্র – ছাত্রীদের সঠিক শিক্ষামূলক ও বৃত্তিমূলক নির্দেশনা দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষক – শিক্ষিকারা এই তত্ত্বের সাহায্য নেন । ছাত্র – ছাত্রীদের বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এই তত্ত্বটি বিশেষ সহায়ক হয় । কোনো বিষয়ে সাফল্য লাভের ক্ষেত্রে সেই বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান বা দক্ষতা প্রয়োজন । ছাত্র – ছাত্রীদের ক্ষমতার বিষয়ে জানার পর শিক্ষক – শিক্ষিকারা বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাঁদের পরামর্শ দেন । সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও দ্বি – উপাদান তত্ত্ব সহায়ক হয় । ছাত্র – ছাত্রীদের বিশেষ ক্ষমতার সঙ্গে সংগতি না রেখে পাঠক্রম নির্ধারিত হয় । তাই এক্ষেত্রেও দ্বি – উপাদান তত্ত্বটির গুরুত্ব ছাত্র – ছাত্রী ও শিক্ষকদের কাছে যথেষ্টই রয়েছে । 

২. স্পিয়ারম্যানের মতে মানসিক ক্ষমতার দু’টি উপাদান স্পারম্যাে দ্বি – উপাদান তত্ত্ব ও থাস্টোনের বহু উপাদান তত্ত্বের পার্থক্য লেখো । 

উত্তরঃ স্পিয়ারম্যানের মতে মানসিক ক্ষমতার দু’টি উপাদান হলো মানসিক ক্ষমতা ও বিশেষ মানসিক ক্ষমতা । সাধারণ স্পিয়ারম্যানের দ্বি – উপাদান তত্ত্বের সঙ্গে থাস্টোনের বহু উপাদান তত্ত্বের বেশ কয়েকটি সাদৃশ্য সত্ত্বেও উভয়ের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্যও রয়েছে । এই পার্থক্যগুলি নিম্নরূপ— 

স্পিয়ারম্যানের দ্বি – উপাদান তত্ত্ব 

( 1 ) এই তত্ত্ব অনুযায়ী মানসিক ক্ষমতায় দু’টি উপাদান রয়েছে । 

( 2 ) এখানে দু’টি উপাদান G ( সাধারণ ক্ষমতা ) ও S ( বিশেষ ক্ষমতা ) দ্বারা সূচিত হয় । 

( 3 ) এই তত্ত্ব মতে কোনো কাজ করার জন্য সাধারণ ও বিশেষ উপাদানের থাস্টোনের বহু উপাদান তত্ত্ব 

( 4 ) এই তত্ত্বটি ‘ ইলেকট্রিক থিয়োরি ’ নামে পরিচিতি পেয়েছে ।

( 5 ) এখানে সব কাজে সাধারণ উপাদান ব্যবহৃত হয় । অন্যদিকে , নির্দিষ্ট কাজে বিশেষ উপাদান ব্যবহৃত হয় ।

( 6 ) এই তত্ত্বে বিশেষ উপাদানগুলি সহজাত – উভয় ধরেনের হতে পারে ।

থাস্টোনের বহুউপাদান সমুহ 

( 1 ) এই তত্ত্বে বলা হয়েছে মানসিক ক্ষমতা সাতটি প্রাথমিক বা মৌলিক উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত । 

( 2 ) এই তত্ত্বের উপাদানগুলি M , N. , S , R , V এবং W দ্বারা সূচিত হয় । 

( 3 ) এই তত্ত্ব অনুযায়ী , প্রয়োজনের সঙ্গে সংগতি রেখে 7 টি উপাদানের কয়েকটি একত্রে ব্যবহৃত হয় । 

( 4 ) এটি ‘ প্রাথমিক মানসিক তত্ত্ব ‘ নামেও পরিচিত । 

( 5 ) এখানে সব কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শক্তি সাতটি মৌলিক উপাদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ । 

( 6 ) এখানে সাতটি উপাদানই মৌলিক সহজাত বা অর্জিত – উভয় ধরনের হতে এবং বংশগত । পারে । 

৩. আগ্রহ কাকে বলে ? এর বৈশিষ্ট্য লেখো । শিক্ষাক্ষেত্রে আগ্রহের ভূমিকা লেখো । 

উত্তরঃ আগ্রহের সংজ্ঞা : আগ্রহ বা অনুরাগ প্রকৃতপক্ষে একটি স্বাধীন প্রবণতা বা জৈব – মানসিক সংগঠন । প্রখ্যাত মনোবিদ জোন্স , ড্রেভার , ম্যাকডুগাল , লোভেল সকলেই নিজের মতো করে আগ্রহের সংজ্ঞা দিয়েছেন । তার ভিত্তিতে বলা যায় , “ আগ্রহ বলতে সেই মানসিক প্রক্রিয়াকে বোঝায় যা ব্যক্তিকে কোনো বিশেষ কাজে আকৃষ্ট করার পাশাপাশি সেই কাজে একনিষ্ঠ হওয়া এবং সেই কাজ সম্পন্ন করার প্রেরণা দেয় । ” প্রসঙ্গত , এই প্রবণতা সহজাত নয় , অর্জিত । 

আগ্রহের বৈশিষ্ট্য : আগ্রহের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য আছে যা একে অন্যান্য মানসিক প্রক্রিয়া থেকে পৃথক করে । 

প্রথমত : আগ্রহ একটি স্থায়ী মানসিক প্রক্রিয়া বা সংগঠন । 

দ্বিতীয়ত : ব্যক্তির পারিপার্শ্বিক পরিবেশভেদে আগ্রহের রকমফের দেখা যায় । 

তৃতীয়ত : ব্যক্তিভেদে আগ্রহের চরিত্র বা ধরন আলাদা হয় । 

চতুর্থত : আগ্রহের ধরন বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টায় । 

পঞ্চমত : আগ্রহ চাহিদার উপর নির্ভরশীল । চাহিদার অনুভূতি আগ্রহ সৃষ্টি করে । 

ষষ্ঠত : এটি মনোযোগের প্রাথমিক ধাপ । 

সপ্তমত : কোনো কাজে সাফল্য ব্যক্তির আগ্রহ বাড়াতে ভূমিকা নেয় । 

শিক্ষাক্ষেত্রে ভূমিকা : শিক্ষা এবং আগ্রহ দ্বিমুখী সম্পর্কে জড়িত । কারণ শিক্ষা কর্মসূচির লক্ষ্যই হলো স্কুলে নানাবিধ কর্মসূচি পালন ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে পাঠের প্রতি শিশুর আগ্রহ বাড়িয়ে তোলা । শিক্ষায় আগ্রহের ভূমিকাকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যায়– শিশুর সার্বিক বিকাশের পাশাপাশি পাঠের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধির উপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ করে শিক্ষা । ও পাঠ্য বিষয় নির্বাচনে শিশুকে স্বাধীনতা দিতে হবে । এর মাধ্যমে বিষয়ের প্রতি শিশুর আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। 

  • 1. শিশুর মেধা ও পছন্দের দিকে লক্ষ রেখে সহ – পাঠক্রমিক কর্মসূচির পরিকল্পনা করা প্রয়োজন । 
  • 2. শিশুকে নিত্যনতুন অভিজ্ঞতা অর্জনে সাহায্য করা । এতে আগ্রহের পরিসর বাড়ে । 
  • 3. যেকোনো বিষয়ের প্রতি শিশুর স্বতঃস্ফূর্ত মনোভাবকে সর্বদা অনুপ্রাণিত করা প্রয়োজন । এইভাবে দেখা যায় যে শিক্ষণীয় বিষয়ের প্রতি শিশুর আগ্রহ বৃদ্ধির মাধ্যমে শিশুর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠন সম্ভব । 

৪. বুদ্ধি কী ? এর বৈশিষ্ট্য লেখো । শিখনের ক্ষেত্রে মানসিক ক্ষমতার ভূমিকা আলোচনা করো । 

উত্তরঃ বুদ্ধির সংজ্ঞা : এটি শিখনের অন্যতম উপাদান । যেকোনো বিষয়ে জ্ঞান অর্জন এবং কার্যকরী প্রয়োগের ক্ষমতাকেই বলে বুদ্ধি । মনোবিদগণ বিভিন্নভাবে বুদ্ধিকে বিশ্লেষণ করেছেন । তার ভিত্তিতে বলা যায়— “ বুদ্ধি হলো ব্যক্তির একটি জৈব – মানসিক কৌশল যার মাধ্যমে চটজলদি জীবনের যে কোনো পরিস্থিতি বা সমস্যার মোকাবিলায় ব্যক্তি সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারে এবং সমাধানসূত্র নিরূপণে নিজস্ব শক্তি প্রয়োগ করতে পারে । ” 

বুদ্ধির বৈশিষ্ট্য : বুদ্ধির বিচ্ছুরণ বিভিন্নভাবে ঘটতে পারে । এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো— 

  • 1. নিত্যনতুন সমস্যা / পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে সাহায্য করে বুদ্ধি । 
  • 2. অনেক জটিল , বিমূর্ত বিষয় নিয়ে ব্যক্তিকে ভাবতে শেখায় বুদ্ধি । 
  • 3. পুরনো অভিজ্ঞতার মাধ্যমে বর্তমান সমস্যার মোকাবিলা করতে শেখায় বুদ্ধি । 
  • 4. তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে বুদ্ধি । 
  • 5. সমস্যার চুলচেরা বিশ্লেষণে বুদ্ধির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ । 
  • 6. যেকোনো নতুন জিনিস শেখার ক্ষেত্রে বুদ্ধি সহায়তা করে । 

শিখনে মানসিক ক্ষমতার ভূমিকা : শিখনের কার্যকারিতা অনেকাংশে শিক্ষার্থীর মানসিক ক্ষমতার উপর নির্ভর করে । 

  • 1. শিক্ষার্থীর আই কিউ ( বুদ্ধ্যঙ্ক ) অনুযায়ী তার শিক্ষাগ্রহণ সম্পন্ন হয় । বুদ্ধির অভাব থাকলে পড়াশোনায় অগ্রগতি অসম্ভব । 
  • 2. বুদ্ধির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীকে পৃথকভাবে বিদ্যাদান করলে পাঠদান গতি পায় । 
  • 3. শিক্ষার্থীর বুদ্ধি ও মেধা অনুযায়ী পাঠক্রম বাছাই করা উচিত । এতে সফলতা আসা সম্ভব। 
  • 4. শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে কোন পেশা বেছে নেবে সেটাও বুদ্ধির উপর নির্ভরশীল । 

৫. আগ্রহের সংজ্ঞা দাও । শিক্ষায় আগ্রহের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করো । 

উত্তরঃ আগ্রহ একটি মানসিক প্রক্রিয়া । একে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মনোবিজ্ঞানী জোন্স | বলেছেন , “ আগ্রহ বলতে আমরা বুঝি বাস্তব বা কাল্পনিক কোনো বস্তু বা অবস্থার প্রতি আনন্দের অনুভূতি , যা ব্যক্তিকে কিছু করতে উদ্বুদ্ধ করে । ” মনোবিদ ম্যাকডুগাল – এর মতে , “ আগ্রহ হলো সুপ্ত মনোযোগ । ” মনোবিজ্ঞানী ড্রেভার এর মতে , “ আগ্রহ হলো গতিশীল মনোভাব । ” সব মিলিয়ে , “ আগ্রহ হলো একটি মানসিক সংগঠন , যা ব্যক্তিকে কোনো বিশেষ । ধরনের কাজের প্রতি মনোনিবেশ করতে এবং তা সম্পাদন করতে প্রেরণা জোগায় । ” 

শিক্ষায় আগ্রহের গুরুত্ব : শিক্ষাক্ষেত্রে শিশুর আগ্রহ বা অনুরাগ ( interest ) বিশেষভাবে প্রয়োজনীয় শ্রেণি শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীর মধ্যে ভবিষ্যৎ জীবনের উপযোগী বিষয় সম্পর্কে আগ্রহ সঞ্চার করতে পারেন তা শিক্ষার্থীর পক্ষে মঙ্গলজনক হয় । শিক্ষায় শিশুর আগ্রহের কয়েকটি প্রয়োজনীয় দিক হলো— 

প্রথমত , শিক্ষণীয় বিষয়ে শিশু যদি আগ্রহ বোধ করে , সেক্ষেত্রে শিশুর আনন্দদায়ক অনুভূতি আসে । তাই বস্তু বা কর্মকেন্দ্রিক এই অনুভূতি শিক্ষাকে কার্যকর করে । 

দ্বিতীয়ত , আগ্রহ কোনো নিষ্ক্রিয় মানসিক সংগঠন নয় । এর সঙ্গে যুক্ত প্রাক্ষোভিক অনুভূতি কোনো কাজের শক্তি জোগায় । অর্থাৎ আগ্রহ প্রেষণা সৃষ্টিতে সাহায্য করে । এই প্রেষণা শিখনের অন্যতম প্রধান শর্ত । 

তৃতীয়ত , আগ্রহ শিশুকে সক্রিয় করে তোলে । সক্রিয়তা শিক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । 

চতুর্থত , শিশুর আগ্রহ বা অনুরাগ তার সেন্টিমেন্ট দ্বারাও প্রভাবিত হয় । সেন্টিমেন্ট হলো শিশুর প্রাক্ষোভিক প্রবণতা । এটাও অভিজ্ঞতার প্রভাবে গড়ে ওঠে । 

পঞ্চমত , শিশুর আগ্রহ অনেক সময় তাকে নতুন কিছু সৃষ্টিতে অনুপ্রাণিত করে । সৃজনশীল ব্যক্তির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো নতুন সৃষ্টির প্রতি আগ্রহ । 

ষষ্ঠত , শিশুর আগ্রহ সমাজ পরিবেশের দ্বারাও প্রভাবিত হয় । সামাজিক পরিবেশে বাস করতে গিয়ে শিশু সামাজিক আচরণগুলি আয়ত্ত করে । 

সপ্ততম , শিশুর আগ্রহের যথাযথ অনুশীলনই তাকে ভবিষ্যৎ জীবনে সফল হতে সাহায্য করে ৷ 

মন্তব্য : আগ্রহের বৈশিষ্ট্যগুলি শিক্ষার পক্ষে তাৎপর্যপূর্ণ । বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শিশুর মনে জ্ঞান আহরণের প্রতি আগ্রহ সঞ্চার করতে পারলে তা সারাজীবন স্থায়ী হবে । এভাবেই শিক্ষা জীবনে পূর্ণতা আনতে পারে । তাই শিক্ষা ও আগ্রহ পারস্পরিক সম্পর্কে আবদ্ধ । 

৬. সাধারণ মানসিক ক্ষমতা কাকে বলে ? সাধারণ মানসিক ক্ষমতার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো । অথবা , বিশেষ মানসিক ক্ষমতা কাকে বলে ? বিশেষ মানসিক ক্ষমতার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো । 

উত্তরঃ সাধারণ মানসিক ক্ষমতা : স্পিয়ারম্যান শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার উপর সমীক্ষা করে সিদ্ধান্তে এসেছেন , এক ধরনের ক্ষমতা আছে যা সবরকম বৌদ্ধিক কাজে কম – বেশি ব্যবহৃত হয় । তাদের বলা হয় সাধারণ মানসিক ক্ষমতা বা ‘ G ‘ । 

সাধারণ মানসিক ক্ষমতার বৈশিষ্ট্য : 

  • 1. সহজাত : প্রত্যেক শিশুই জন্মসূত্রে বা জিনগত সূত্রে সাধারণ মানসিক ক্ষমতার অধিকারী । একটি নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত এই ক্ষমতা বিকশিত হয় । 
  • 2. সর্বজনীন : সব ব্যক্তিই কম বেশি সাধারণ মানসিক ক্ষমতার অধিকারী । 
  • 3. বিকাশপ্রবণতা : প্রত্যেক শিশুর জন্ম থেকে কৈশোর পর্যন্ত সাধারণ মানসিক ক্ষমতা বিকশিত হতে পারে । 
  • 4. সৃজনধর্মী যেকোনো নতুন সমস্যায় মূলত অভিনব উপাদান খুঁজে বের করতে সাধারণ মানসিক ক্ষমতা সাহায্য করে । 
  • 5. জীবনে সাফল্যের চাবিকাঠি : যে ব্যক্তি যত বেশি সাধারণ মানসিক ক্ষমতার অধিকারী হবে সে জীবনে তত বেশি সাফল্যের স্বাদ পাবে ।

বিশেষ মানসিক ক্ষমতা : স্পিয়ারম্যানের মতে , যে মানসিক উপাদানটি বিশেষ বিশেষ কাজের ক্ষেত্রে দেখা যায় তাদের বলা হয় বিশেষ মানসিক ক্ষমতা বা ‘ S ‘ । 

  • 1. বিশেষধর্মী : বিশেষ মানসিক ক্ষমতা হলো বিশেষধর্মী । কোনো বিশেষ কাজ সম্পন্ন করার সময় বিশেষধর্মী ক্ষমতা ব্যবহৃত হয় । : 
  • 2. পেশাগত ক্ষমতায় সহায়তাকারী বিশেষ মানসিক ক্ষমতা কোনো ব্যক্তিকে কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা প্রদর্শনে সাহায্য করে । 
  • 3. যুদ্ধবন্ধ : বিশেষ বিশেষ ধরনের কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ ধরনের মানসিক ক্ষমতা দরকার হয় । এটি যেকোনো জটিল কাজ সম্পন্ন করতে সাহায্য করে । 
  • 4. ব্যক্তিভেদে পৃথক ক্ষমতা : বিশেষ মানসিক ক্ষমতা কোনো একজন ব্যক্তির মধ্যে নয় , ব্যক্তিভেদে বিভিন্ন ধরনের বিশেষ মানসিক ক্ষমতা দেখা যায় । 

৭. শিক্ষায় শিখনের প্রভাব আছে কি ? শিখনের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করো । 

উত্তরঃ শিক্ষা ও শিখন : শিক্ষার সকল ক্ষেত্রে শিখনের প্রভাবই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ । শিক্ষা বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে সর্বাগ্রে এসে যায় শিখন প্রসঙ্গ । শিখন এমন একটি অনন্ত প্রক্রিয়া যা আমৃত্যু চলতেই থাকে । শিখন প্রক্রিয়ার বিকাশের মধ্য দিয়েই শিশু পরিবেশ ও সমাজের সঙ্গে মানিয়ে চলতে অভ্যস্ত হয় । শিখন হলো সুসংগঠিত একটি পদ্ধতি যা ব্যক্তিকে বিচিত্র অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ করে । শিক্ষার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য শিশুকে সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা । 

শিখনের প্রকৃতি : শিখন বিষয়ে সম্যকভাবে অবহিত হতে হলে শিখনের প্রকৃতি বা চরিত্র বুঝে নেওয়া প্রয়োজন । শিখনের প্রকৃতি মোটামুটি এইরূপ 

নব নব অভিজ্ঞতা : শিখন শিশুকে প্রতিদিন নতুন কিছু অভিজ্ঞতা অর্জনে অভ্যস্ত করে । শিখনের মাধ্যমে শিশু পুরনো আচরণ পালটে ফেলে নতুন আচরণে অভ্যস্ত হয় । 

আচরণগত পরিবর্তন : শিখন চলতে থাকলে শিশুর আচরণে পরিবর্তন আসাটাই স্বাভাবিক । আচরণগত পরিবর্তনই শিখনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য । 

” নতুন কিছু শেখার ইচ্ছা : শিখন প্রক্রিয়া শিশুকে নতুন কিছু শিখতে অনুপ্রাণিত করে । যে শিশু একদিন জ্বলন্ত কয়লায় হাত দিয়েছিল , বড়ো হয়ে সে কিন্তু শিখনের কারণেই এই আচরণ আর করে না । অর্থাৎ তার এবিষয়ে জ্ঞান অর্জন হয়েছে । 

নির্দিষ্ট লক্ষ্য : সব ক্ষেত্রে শিখন হয় উদ্দেশ্যমুখী । কারণ উদ্দেশ্য বা লক্ষ্যবিহীন শিখন প্রক্রিয়া পরিপূর্ণতা পায় না । 

নতুন কিছু করার তাগিদ : শিখনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো সমস্যার উপস্থিতি । জীবনে জটিলতা বা সমস্যা দেখা না দিলে শিশু নতুন কিছু করার তাগিদ অনুভব করে না । সমস্যা সমাধানের মাধ্যমেই শিশু নতুন কিছু করার আনন্দ খুঁজে পায় । এভাবেই তার আচরণে আসে নতুনত্ব । 

অনুশীলনের উপর নির্ভরতা : শিখনের সাফল্য অনেকাংশে অনুশীলনের উপর নির্ভরশীল । অনুশীলনের প্রভাবে শিখন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয় । এজন্যই বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে শিখনের হার লঘু হয়ে যায় । 

৮. পরিনমন কাকে বলে ? শিক্ষাক্ষেত্রে পরিণমনের ভূমিকা আলোচনা করো । অথবা , পরিণমন বলতে কী বোঝো ? শিখন ও পরিণমন কীভাবে সম্পর্কিত লেখো । 

অথবা , শিখন ও পরিণমনের মধ্যে সম্পর্ক কী তা সংক্ষেপে আলোচনা করো । শিক্ষার ক্ষেত্রে পরিণমনের গুরুত্ব লেখো । 

উত্তরঃ পরিণমন : পরিণমন একটি চর্চা যা অনুশীলন ও শিখন নিরপেক্ষ স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া , এটি আপনা – আপনি ব্যক্তির মধ্যে সঞ্চারিত হয়ে তার অভ্যন্তরীণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে । 

শিখনও পরিণমনের সম্পর্ক : 

  • 1. শিখন ও পরিণমন উভয়েই বিকাশমূলক প্রক্রিয়া । মানুষের জীবন বিকাশে উভয় প্রক্রিয়ার গুরুত্ব রয়েছে । তবুও এদের মধ্যে কিছু সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য দেখা যায়। 
  • 2. পরিণমন একটি স্বতঃস্ফূর্ত , স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়া । এই প্রক্রিয়া সহজাত ও অভ্যন্তরীণ বলে বাহ্যিক পরিবেশ একে বিশেষ প্রভাবিত করতে পারে না । 
  • 3. শিখন এক ধরনের শর্তসাপেক্ষ বিকাশমূলক মানসিক প্রক্রিয়া । শিখনের সাহায্যে শিশুরা জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করে । 
  • 4. শিখন ও পরিণমন উভয়েই পরস্পরের উপর নির্ভরশীল । সঠিক পরিণমন ছাড়া শিখন সম্ভব হয় না । এটি শিখনের সীমারেখা নির্ধারণ করে । কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিখনও পরিণমনকে তরান্বিত করে । ফলে উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে এবং উভয়েই শিশুর বিকাশের সহায়ক । 

শিক্ষাক্ষেত্রে পরিণমনের ভূমিকা গুরুত্ব : শিক্ষাক্ষেত্রে পরিণমনের গুরুত্ব নিম্নরূপ— 

  • 1. পরিশীলিত আচরণ : পরিণমনের মাধ্যমে পরিবর্তিত আচরণগুলিকে যথাযথ শিখনের দ্বারা পরিশীলিত করা যায় । 
  • 2. শিক্ষা পরিকল্পনায় পরিণমন : যথাযথ পরিণমনের অভাবে শিশু সঠিকভাবে পাঠ গ্রহণ করতে পারে না । ফলে শিশুর শারীরিক ও মানসিক পরিণমনের দিকে খেয়াল রেখে নানা স্তরে শিক্ষা পরিকল্পনা করতে হয় । 
  • 3. পরিণমন অনুযায়ী শিক্ষা ব্যবস্থা : মানবজীবনে শৈশব ও কৈশোরে পরিণমনের প্রভাব খুব বেশি দেখা যায় । তখন পরিণমন অনুযায়ী শিক্ষার ব্যবসা করা জরুরি । কারণ এইসময় শিশুর জীবনে সঠিকভাবে পরিণমন খুবই প্রয়োজন । 

৯. মনোযোগ বলতে কী বোঝো ? শিক্ষাক্ষেত্রে মনোযোগের ভূমিকার মূল্যায়ন করো । 

অথবা , মনোযোগ কাকে বলে ? শিক্ষায় মনোযোগের ভূমিকা লেখো । 

উত্তরঃ মনোযোগ : শিখন প্রক্রিয়ার একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো মনোযোগ । বিভিন্ন মনোবিদ নিজস্ব ভঙ্গিতে মনোযোগের সংজ্ঞা দিয়েছেন । রস বলেছেন , এমন একটি প্রক্রিয়া যেটি চিন্তার বিষয়কে স্পষ্টভাবে মনের সম্মুখে এনে দেয় , তাকেই বলে মনোযোগ । ম্যাকডুগালের মতে , মনের যে সক্রিয়তা জ্ঞানমূলক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে তা – ই মনোযোগ । উডওয়ার্থ – এর ভাষায় পাশাপাশি অবস্থিত অসংখ্য উদ্দীপকের মধ্য থেকে কোনো একটিকে বেছে নেওয়ার পদ্ধতিই মনোযোগ । এককথায় , যে কোনো বিষয় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট জ্ঞান অর্জনের জন্য মনকে নিবেশিত করার দৈহিক ও মানসিক প্রক্রিয়াকে বলা হয় মনোযোগ । 

শিক্ষায় মনোযোগের ভূমিকা : শিক্ষার সঙ্গে মনোযোগের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে । শিখন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণ করা জরুরি । মনোযোগ আকর্ষণের এই কৌশলগুলি নিম্নরূপ : 

  • 1. মনোযোগ আকর্ষী কৌশল : জীবনবিকাশের নানা স্তরে মনোযোগের রূপভেদ ঘটে । শৈশবে ব্যক্তিনিরপেক্ষ মনোযোগের প্রাধান্য থাকে বলে তখন বস্তুর বৈশিষ্ট্য মনোযোগ নির্ধারণ করে । শৈশবে শিশু খেলাধুলার প্রতি স্বত : স্ফুর্তভাবে মনোযোগী হয় । তাই এইসময়ে শিশুর পাঠক্রম হবে খেলাভিত্তিক । ফলে তার মনোযোগ বাড়বে পাঠক্রমে । 
  • 2. ইচ্ছাসাপেক্ষ কৌশল : শৈশব পেরিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা যায় ইচ্ছাসাপেক্ষ মনোযোগ । এইসময় শিক্ষার্থীর মনোযোগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে শিখনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবহিত করা , উপদেশ প্রদান , লঘু শাসন ইত্যাদির প্রয়োগ করতে হয় ।
  • 3. পরিসর অতিক্রম না করা : শিক্ষার্থীদের পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে শিক্ষককে খেয়াল রাখতে হবে বিষয়বস্তু যেন তাদের মনোযোগের পরিসরকে ছাপিয়ে না যায় । এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সামনে বিষয়বস্তু সহজ ও বোধগম্য করে উপস্থাপন করতে হবে । 
  • 4. নির্ধারক প্রয়োগ : তীব্রতা , স্পষ্টতা , নতুনত্ব ইত্যাদি নির্ধারক প্রয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর প্রয়োজনের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে । 
  • 5. বিষয় – বৈচিত্র্য প্রয়োগ : মনোযোগ সদা চঞ্চল । কোমলমতি শিশুদের কোনো বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ মনোযোগী করা যায় না । ফলে শিক্ষককে একটি বিষয় ছেড়ে অন্য বিষয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পঠনপাঠনে মনোযোগী করে তুলতে হবে । 

  সবশেষে , পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে মনোযোগ প্রধান শর্ত বলে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণের বিষয়ে শিক্ষককে সচেতন হতেই হবে । 

১০. গ্যাগনির মত অনুসারে শিখনের প্রকারভেদ করো । 

উত্তরঃ শিক্ষামনোবিদ গ্যাগনি ব্যক্তির মানসিক প্রক্রিয়াগুলির জটিলতার স্তর অনুসারে শিখনের প্রকারভেদ সম্পর্কে তার মতবাদ প্রকাশ করেন । শিখনের আটটি প্রকার তিনি চিহ্নিত করেন । একটি বিশেষ সজ্জাক্রম অনুযায়ী তিনি সেগুলিকে বিন্যস্তও করেছেন । গ্যাগনির মত অনুসারে শিখনের প্রকারভেদ নিম্নরূপ — 

  • 1. সংকেত শিখন : সর্বাধিক সরল প্রকৃতির এই শিখনের প্রথম বর্ণনা করেন মনোবিদ প্যাভলভ । এটি প্রাচীন অনুবর্তনজনিত শিখন । বর্ণ , শব্দ , নামতার মতো শিখনে সংকেত শিখনের প্রভাব লক্ষ করা যায় । 
  • 2. উদ্দীপক – প্রতিক্রিয়া শিখন : সক্রিয় অনুবর্তন নামে পরিচিত এই শিখন কৌশল আসলে একটি উন্নত শিখন । এখানে প্রাণীর প্রতিক্রিয়ার পর শক্তিদায়ী উদ্দীপকের ব্যবহার হয় । এখানে প্রেষণা ও পুরস্কারের গুরুত্ব বেশি । 
  • 3. শৃঙ্খলিতকরণ শিখন : শৃঙ্খলিতকরণ উন্নত মানের শিখন কৌশল । এতে অতি জটিল চিত্তন কর্মসমন্বয় দক্ষতা অর্জিত হয় । 
  • 4. বাচনিক সংযোগসাধনমূলক শিখন : প্রকৃতপক্ষে এটিও একপ্রকার শৃঙ্খলিতকরণ । এখানে নানা উপাদানের মধ্যে সংযোগসাধন করা হয় । 
  • 5. বিনিশ্চয় শিখন : এটি খুবই জটিল ও কঠিন শিখন প্রক্রিয়া । এর দ্বারা শিক্ষার্থীদের সেই সব দক্ষতা গড়ে তোলা হয় , যার দ্বারা তারা একইরকম একগুচ্ছ উদ্দীপকের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে । 
  • 6. ধারণা শিখন : ধারণা শিখনে কোনো বস্তু বা বিষয় সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে শিক্ষক সেগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্যের উপর গুরুত্ব দেন । 
  • 7. নিয়ম শিখন নিয়ম শিখন : আসলে খুব উচ্চমানের প্রজ্ঞামূলক শিখন । শিক্ষার্থীরা এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধারণার মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক খুঁজে পায় এবং সাধারণ নিয়মাবলি সম্পর্কে অবহিত হয় । 
  • 8. সমস্যা সমাধানমূলক শিখন : এটি বিশেষ এক ধরনের শিখন প্রক্রিয়া । এর দ্বারা শিক্ষার্থীরা প্রয়োজন মতো প্রতিক্রিয়া জানানোর ধরন আবিষ্কার করে । প্রকৃতপক্ষে এটি সবচেয়ে জটিল শিখন কৌশল । 

১১. শিক্ষাক্ষেত্রে প্রেষণার ভূমিকা আলোচনা করো । 

অথবা , শিখনে প্রেষণার ভূমিকা লেখো । 

উত্তরঃ ব্যক্তির আচরণ পরিবর্তনের প্রক্রিয়া হলো শিখন । তাই শিখনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে প্রেষণা । শিখনে প্রেষণার এই ভূমিকা আলোচিত হলো – 

  • 1. উদ্যম সৃষ্টি : কোনো ব্যক্তির কর্মসম্পাদনের জন্য সবার আগে দরকার উদ্যম । প্রেষণা ব্যক্তির মধ্যে সেই উদ্যম সৃষ্টি করে ব্যক্তিকে কর্মে ঝাপিয়ে পড়ার শক্তি জোগায় । 
  • 2. আচরণের প্রবণতা নির্ধারণ : শিক্ষার্থীর আচরণের প্রবণতা নির্ণয়ে প্রেষণার বড়ো ভূমিকা রয়েছে । একজন শিক্ষার্থীর আচরণ কতটা উদ্দেশ্যমুখী হবে , কোন বিষয়ে কীভাবে সাড়া দেওয়া উচিত বা সাড়া না দেওয়া উচিত ইত্যাদি স্থির করে প্রেষণা 
  • 3. যথাযথ কর্মসম্পাদন : প্রেষণার তাড়নায় কোনো কাজ যথাযথ উপায়ে সম্পাদিত হয় , শিক্ষার্থী নিজের চেষ্টাতেই অনেক কিছু শিখে ফেলে ও জটিল বিষয়কেও আয়ত্ত করে । 
  • 4. মনোযোগ বৃদ্ধি ও শিখন কৌশলে প্রভাব : প্রেষণার দ্বারা শিক্ষার্থী কোনো একটি বিষয়ে অধিক মনোযোগী হয় । এতে শিখন প্রক্রিয়া সহজ হয় । শিক্ষার্থী যেকোনো পাঠ অর্থপূর্ণভাবে শিখতে পারে । এভাবে প্রেষণার তাড়নায় শিখন কৌশলও প্রভাবিত হয়। 
  • 5. আচরণের গতিপথ নির্ণয় : শিক্ষার্থীর আচরণের গতিপথ নির্ণয় করাও প্রেষণার কাজের অন্তর্ভুক্ত । আচরণ সম্পাদনই শিক্ষার লক্ষ্য নয় , সেই আচরণকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে । শিক্ষার্থীর আচরণের সঠিক গতিপথ নির্ণয় করার পরই প্রেষণার পরিতৃপ্তি সম্ভব হয় । 

১২. শিখনের তিনটি স্তর উল্লেখ করো । স্তরগুলির পরিচয় দাও । 

উত্তরঃ শিখনের স্তর শিখনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর হলো – 1. সংরক্ষণ বা ধারণ , 2. পুনরুদ্রেক / মনে করা , 3. প্রত্যভিজ্ঞা / চেনা । নীচে স্তরগুলির পরিচয় দেওয়া হলো । 

( 1 ) সংরক্ষণ : সংরক্ষণ আদতে একটি প্রক্রিয়া , যার মাধ্যমে নানা অভিজ্ঞতা দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে রূপান্তরিত হয় । একেই বলে সংরক্ষণ । বাস্তবে মানুষ শিখনের মাধ্যমে যা কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে , তার অনেকটাই ভুলে যায় । তবুও কিছু অংশ স্মৃতির মণিকোঠায় সংরক্ষিত হয় , মনোবিজ্ঞানে এরই নাম সংরক্ষণক্রিয়া । এক্ষেত্রে কতকগুলি বিষয় গুরুত্ব পায় । বিষয়গুলি এইরূপ— 

( ক ) বিষয়টি ভালোভাবে বুঝে নেওয়া এবং পুন : পুন : অনুশীলন । 

( খ ) বিষয়টি যত বেশি সাম্প্রতিক হবে , ততই মনে রাখার সুবিধা হবে । 

( গ ) বিষয়টির প্রতি আগ্রহ থাকলে সংরক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হবে । 

( 2 ) পুনরুদ্রেক : শিখনের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর । কারণ সংরক্ষিত বিষয়টি যদি ঠিক সময় , ঠিক জায়গায় পুনরুদ্রেক করা না যায় তা হলে শিখন সম্পূর্ণতা পায় না । পূর্ব অভিজ্ঞতাকে পুনরায় মনে করাকে বলে পুনরুদ্রেক । এটি দু’প্রকার । 

( ক ) প্রত্যক্ষ পুনরুদ্ৰেক : যখন কোনো অভিজ্ঞতাকে পুনরুদ্রেক করার সময় তার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কযুক্ত অভিজ্ঞতার সাহায্য নেওয়া হয় তখন তাকে বলে প্রত্যক্ষ পুনরুদ্রেক । ( খ ) পরোক্ষ পুনরুদ্রেক : যখন কোনো অভিজ্ঞতাকে পুনরুদ্রেক করার ক্ষেত্রে তার সঙ্গে পরোক্ষভাবে সম্পর্কযুক্ত অভিজ্ঞতার সাহায্য নেওয়া হয় তখন তাকে বলে পরোক্ষ পুনরুদ্রেক । পুনরুদ্রেক প্রক্রিয়ায় তিনটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ । এগুলি হলো – ( ১ ) সান্নিধ্যের সূত্র , ( ২ ) সাদৃশ্যের সূত্র , ( ৩ ) বৈসাদৃশ্যের সূত্র । 

( 3 ) প্রত্যভিজ্ঞা : শিখনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্তর প্রত্যভিজ্ঞা প্রত্যভিজ্ঞা বলতে বোঝায় একটি পরিচিতির বোধ , যা না থাকলে শিখন সফল হয় না । ‘ প্রত্যভিজ্ঞা ‘ কথার অর্থ ‘ চিনে নেওয়া ’ । পূর্বেকার অভিজ্ঞতা বা জ্ঞানকে বর্তমানে চিনে নেওয়ার ক্রিয়াই হলো প্রত্যভিজ্ঞা । মনোবিজ্ঞানীদের মতে , প্রত্যভিজ্ঞা বলতে বোঝায় একটি পরিচিতির বোধ , যা না থাকলে স্মরণক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় না ।

উচ্চমাধ্যমিক সাজেশন ২০২৪ – HS Suggestion 2024

আরোও দেখুন:-

HS Bengali Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS English Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Geography Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS History Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Political Science Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Philosophy Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Sociology Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Sanskrit Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Education Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Physics Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Chemistry Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Biology Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Mathematics Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Suggestion 2024 Click here

পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক  শিক্ষা বিজ্ঞান পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর ও শেষ মুহূর্তের সাজেশন ডাউনলোড। দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। West Bengal HS  Education Suggestion Download. WBCHSE HS Education short question suggestion. HS Class 12 Education Suggestion PDF download. HS Question Paper  Political science. WB HS 2022 Education suggestion and important questions. HS Class 12 Education Suggestion PDF.

Get the HS Class 12 Education Suggestion PDF by winexam.in

 West Bengal HS Class 12 Education Suggestion PDF  prepared by expert subject teachers. WB HS  Education Suggestion with 100% Common in the Examination.

Class 12th Education Suggestion

West Bengal HS  Education Suggestion Download. WBCHSE HS Education short question suggestion. HS Class 12 Education Suggestion PDF  download. HS Question Paper  Political science.

দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন – শিখন (প্রথম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর |  WB HS Education  Suggestion

দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান (HS Political science) শিখন (প্রথম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর। দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন – শিখন (প্রথম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর |  WB HS Education  Suggestion

শিখন (প্রথম অধ্যায়) – উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন | Higher Secondary Education Suggestion

দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের (WBCHSE) সিলেবাস বা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী  দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষা বিজ্ঞান বিষয়টির সমস্ত প্রশ্নোত্তর। সামনেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, তার আগে winexam.in আপনার সুবিধার্থে নিয়ে এল শিখন (প্রথম অধ্যায়) – উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন | Higher Secondary Education Suggestion । শিক্ষা বিজ্ঞান বিষয়ে ভালো রেজাল্ট করতে হলে অবশ্যই পড়ুন আমাদের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন বই ।

শিখন (প্রথম অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন | West Bengal Class 12th Suggestion

আমরা WBCHSE উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার শিক্ষা বিজ্ঞান বিষয়ের – শিখন (প্রথম অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন | West Bengal Class 12th Suggestion আলোচনা করেছি। আপনারা যারা এবছর দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষা বিজ্ঞান পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাদের জন্য আমরা কিছু প্রশ্ন সাজেশন আকারে দিয়েছি. এই প্রশ্নগুলি পশ্চিমবঙ্গ দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষা বিজ্ঞান পরীক্ষা  তে আসার সম্ভাবনা খুব বেশি. তাই আমরা আশা করছি HS শিক্ষা বিজ্ঞান পরীক্ষার সাজেশন কমন এই প্রশ্ন গুলো সমাধান করলে আপনাদের মার্কস বেশি আসার চান্স থাকবে।

দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন – শিখন (প্রথম অধ্যায়) | HS Class 12 Education Suggestion with FREE PDF Download

Education Class XII, Education Class Twelve, WBCHSE, syllabus, HS Political science, দ্বাদশ শ্রেণি শিক্ষা বিজ্ঞান, ক্লাস টোয়েলভ শিক্ষা বিজ্ঞান, উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষা বিজ্ঞান, শিক্ষা বিজ্ঞান উচ্চ মাধ্যমিক – শিখন (প্রথম অধ্যায়), দ্বাদশ শ্রেণী – শিখন (প্রথম অধ্যায়), উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান শিখন (প্রথম অধ্যায়), ক্লাস টেন শিখন (প্রথম অধ্যায়), HS Education – শিখন (প্রথম অধ্যায়), Class 12th শিখন (প্রথম অধ্যায়), Class X শিখন (প্রথম অধ্যায়), ইংলিশ, উচ্চ মাধ্যমিক ইংলিশ, পরীক্ষা প্রস্তুতি, রেল, গ্রুপ ডি, এস এস সি, পি, এস, সি, সি এস সি, ডব্লু বি সি এস, নেট, সেট, চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতি, HS Suggestion, HS Suggestion , HS Suggestion , West Bengal Secondary Board exam suggestion, West Bengal Higher Secondary Board exam suggestion , WBCHSE , উচ্চ মাধ্যমিক সাজেশান, উচ্চ মাধ্যমিক সাজেশান , উচ্চ মাধ্যমিক সাজেশান , উচ্চ মাধ্যমিক সাজেশন, দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশান ,  দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশান , দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান , দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, HS Suggestion Education , দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান – শিখন (প্রথম অধ্যায়) – সাজেশন | HS Class 12 Education Suggestion PDF PDF, দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান – শিখন (প্রথম অধ্যায়) – সাজেশন | HS Class 12 Education Suggestion PDF PDF, দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান – শিখন (প্রথম অধ্যায়) – সাজেশন | দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান – শিখন (প্রথম অধ্যায়) – সাজেশন | HS Class 12 Education Suggestion PDF PDF, দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান – শিখন (প্রথম অধ্যায়) – সাজেশন | HS Class 12 Education Suggestion PDF PDF,দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান – শিখন (প্রথম অধ্যায়) – সাজেশন | HS Class 12 Education Suggestion PDF PDF, দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান – শিখন (প্রথম অধ্যায়) – সাজেশন | HS Class 12 Education Suggestion PDF, HS Education Suggestion PDF ,  West Bengal Class 12 Education Suggestion PDF.

FILE INFO : HS Class 12 Education Suggestion PDF Download for FREE | দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন বিনামূল্যে ডাউনলোড করুণ | শিখন (প্রথম অধ্যায়) – MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর, সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর, ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নউত্তর

PDF Name : শিখন (প্রথম অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন | HS Class 12 Education Suggestion PDF

Price : FREE

Download Link : Click Here To Download

  এই (শিখন (প্রথম অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন | HS Class 12 Education Suggestion PDF) পোস্টটি থেকে যদি আপনার লাভ হয় তাহলে আমাদের পরিশ্রম সফল হবে। আরোও বিভিন্ন স্কুল বোর্ড পরীক্ষা, প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার সাজেশন, অতিসংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত ও রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (All Exam Guide Suggestion, MCQ Type, Short, Descriptive Question and answer), প্রতিদিন নতুন নতুন চাকরির খবর (Job News) জানতে এবং সমস্ত পরীক্ষার এডমিট কার্ড ডাউনলোড (All Exam Admit Card Download) করতে winexam.in ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here