ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়) - দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion PDF
ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion PDF : ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন ও অধ্যায় ভিত্তিতে প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হল। এবার পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষায় বা দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষায় ( WB HS Class 12 History Suggestion PDF | West Bengal HS Class 12 History Suggestion PDF | WBCHSE Board Class 12th History Question and Answer with PDF file Download) এই প্রশ্নউত্তর ও সাজেশন খুব ইম্পর্টেন্ট । আপনারা যারা আগামী দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষার জন্য বা উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস | HS Class 12 History Suggestion PDF | WBCHSE Board HS Class 12th History Suggestion Question and Answer খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর ভালো করে পড়তে পারেন।
পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন (West Bengal HS Class 12 History Suggestion PDF / Notes) ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর – MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (SAQ), সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (Short Question and Answer), ব্যাখ্যাধর্মী বা রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (descriptive question and answer) এবং PDF ফাইল ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে দেওয়া রয়েছে।
১. মলে – মিন্টো সংস্কার আইনের প্রধান শর্ত কী ছিল ?
উত্তরঃ মুসলিম সম্প্রদায়ের পৃথকভাবে সদস্য নির্বাচনের অধিকার দেওয়া ।
২. কে , কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নাইট উপাধি ত্যাগ করেন ?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জালিয়ানওয়ালাবাগ – এর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ নাইট উপাধি ত্যাগ করেন ।
৩. মুসলিম লিগ কে প্রতিষ্ঠা করেন ?
উত্তরঃ ঢাকার নবাব সলিম উল্লাহ মুসলিম লিগের প্রতিষ্ঠা করেন ।
৪. ব্রিটিশ ভারতের কয়েকটি বৃহত্তম দেশীয় রাজ্যের নাম লেখো ।
উত্তরঃ হায়দ্রাবাদ , কাশ্মীর , মহীশূর ।
৫. কেন গান্ধিজি অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন ?
উত্তরঃ ১৯২২ আন্দোলন চলাকালীন উত্তরপ্রদেশের চৌরিচৌরায় কিছু আন্দোলনকারী একদল পুলিশকে পুড়িয়ে মারে । সহিংস আচরণের জেরে ক্ষুব্ধ গান্ধিজি আন্দোলন প্রত্যাহার করেন ।
৬. কবে ‘ চোদ্দো দফা দাবি ’ ঘোষিত হয় ? এর উদ্দেশ্য কী ছিল ?
উত্তরঃ ১৯২৯ সালে মুসলিম লিগের দিল্লি অধিবেশনে লিগ নেতা মহম্মদ আলি জিন্না তার চোদ্দো দফা দাবি পেশ করেন । উদ্দেশ্য ছিল ভারতে মুসলিমদের স্বার্থরক্ষা ।
৭. ভাইকম সত্যাগ্রহ কবে শুরু হয় ?
উত্তরঃ কেরালা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি ১৯৪২ সালের ২ মার্চ ত্রিবাঙ্কুরের ভাইকম মন্দিরে দলিতদের প্রবেশের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু করে সেটাই ভাইকম সত্যাগ্রহ ।
৮. ১৯১৬ সালের লখনউ কংগ্রেসের গুরুত্ব উল্লেখ করো ।
উত্তরঃ এই অধিবেশনে চরমপন্থী নেতৃবর্গ পুনরায় দলে ফিরে আসায় নরমপন্থী ও চরমপন্থীদের মধ্যে ঐক্য রচিত হয় । এতে কংগ্রেসের শক্তি বাড়ে ।
৯. মন্টেগু চেমসফোর্ড আইনের একটি শর্ত লেখো ।
উত্তরঃ এই আইনে কেন্দ্র ও প্রাদেশিক সরকারের মধ্যে ক্ষমতা এবং আয় যথাযথভাবে বণ্টিত হয় ।
১০. গোলটেবিল বৈঠকের পর কী নামে শ্বেতপত্র প্রকাশিত হয় ?
উত্তরঃ ১৯৩৩ সালে সরকার ভারতের সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য প্রস্তাবসমূহ ‘ নামে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে ।
১১. মলে – মিন্টো আইনের দু’টি অসংগতি উল্লেখ করো ।
উত্তরঃ প্রথমত , এই আইনে ভারতে কোনো দায়বদ্ধ প্রশাসন গঠনে জোর দেওয়া হয়নি । দ্বিতীয়ত , নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মতামত গুরুত্ব পেত না ।
১২. রাওলাট কমিশন কাকে বলে ?
উত্তরঃ ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ঠেকাতে ১৯১৮ সালে স্যার সিডনি রাওলাট – এর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয় । এটাই রাওলাট কমিশন ।
১৩. মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজনের নাম লেখো ।
উত্তরঃ মুজাফ্ফর আহমেদ , ধরণী গোস্বামী , পি সি জোশি , অমৃত শ্রীপাদ ডাঙ্গে , গঙ্গাধর অধিকারী প্রমুখ ।
১৪. স্বত্ববিলোপ নীতির দু’টি শর্ত লেখো ।
উত্তরঃ কোনো দেশীয় রাজ্যের রাজা অপুত্রক অবস্থায় মারা গেলে তিনি দত্তক পুত্র গ্রহণ করতে পারবেন না । ফলে সেই রাজ্য কোম্পানির অধীনে চলে যাবে ।
১৫. কোন দেশীয় রাজ্যের রাজা প্রথম স্বত্ববিলোপ নীতি গ্রহণ করেছিলেন ?
উত্তরঃ সাঁতারা , ঝাসি , নাগপুর প্রভৃতি ।
১৬. ভারতে সর্বপ্রথম কোথায় ‘ বিভাজন ও শাসন ‘ নীতি কার্যকর হয় ?
উত্তরঃ পাঞ্জাবের সেনাবাহিনীতে জন লরেন্স সর্বপ্রথম এই নীতি প্রয়োগ করেন ।
১৭. ‘ সিমলা দৌত্য ‘ বলতে কী বোঝো ?
উত্তরঃ আগা খাঁ – র নেতৃত্বে ১৯০৬ খ্রিঃ ১ অক্টোবর ৩৫ জন অভিজাত মুসলিম সিমলায় বড়োলাট লর্ড মিন্টোর সঙ্গে দেখা করেন । মুসলিমদের স্বার্থরক্ষার দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি মিস্টোকে দেওয়া হয় । এটিই সিমলা দৌত্য নামে পরিচিত ।
১৮. রাওলাট আইনের একটি শর্ত লেখো ।
উত্তরঃ এই আইন অনুসারে ইংরেজ বিরোধী যাবতীয় প্রচারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় ।
১৯. লখনউ চুক্তির ২ টি শর্ত লেখো ।
উত্তরঃ প্রথমত , কংগ্রেস এবং মুসলিম লিগ একত্রে সরকারের কাছে শাসন সংস্কারের দাবি জানাতে একমত হয় । দ্বিতীয়ত , মুসলিম লিগের স্বতন্ত্র নির্বাচনের দাবির সঙ্গে কংগ্রেস একমত হয় ।
১. মন্টেগু চেমসফোর্ড সংস্কার আইন প্রবর্তিত হয়— (ক) ১৯১৯ (খ) ১৯২০ (গ) ১৯২১ (ঘ) ১৯২২ খ্রিঃ ।
উত্তরঃ (ক) ১৯১৯
২. সাইমন কমিশন ভারতে আসে— (ক) ১৯২৫ (খ) ১৯২৬ (গ) ১৯২৭ (ঘ) ১৯২৮ খ্রিঃ ।
উত্তরঃ (ঘ) ১৯২৮ খ্রিঃ ।
৩. রাওলাট আইনকে কে “ উকিল নেহি , দলিল নেহি , আপিল নেহি ” বলে মন্তব্য করেন ? (ক) সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (খ) মহাত্মা গান্ধি (গ) মহম্মদ আলি জিন্না (ঘ) বিপিনচন্দ্র পাল ।
উত্তরঃ (খ) মহাত্মা গান্ধি
৪. জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কে ‘ কাইজার – ই – হিন্দ ’ উপাধি ত্যাগ করেন ? (ক) মহাত্মা গান্ধি (খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (গ) মহম্মদ আলি জিন্না (ঘ) চিত্তরঞ্জন দাশ ।
উত্তরঃ (ক) মহাত্মা গান্ধি
৫. প্রথম গোলটেবিল বৈঠকে ভারতের প্রধান কোন দলটি যোগদান করেনি ? (ক) কমিউনিস্ট পার্টি (খ) হিন্দু মহাসভা (গ) মুসলিম লিগ (ঘ) কংগ্রেস ।
উত্তরঃ (ঘ) কংগ্রেস ।
৬. নবান্ন নাটকের রচয়িতা— (ক) ভবানী ভট্টাচার্য (খ) অমলেন্দু চক্রবর্তী (গ) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (ঘ) বিজন ভট্টাচার্য ।
উত্তরঃ (ঘ) বিজন ভট্টাচার্য
৭. মলে – মিন্টো শাসন সংস্কার আইন পাশ হয়— (ক) ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে (খ) ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে (গ) ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে (ঘ) ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে ।
উত্তরঃ (খ) ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে
৮. ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে কোন তারিখে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল ? (ক) ১৩ এপ্রিল (খ) ২৩ জানুয়ারি (গ) ১৭ জুলাই (ঘ) ১২ সেপ্টেম্বর ।
উত্তরঃ (ক) ১৩ এপ্রিল
৯. রাওলাট আইন কবে পাশ হয় ? (ক) ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে (খ) ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে (গ) ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে (ঘ) ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে ।
উত্তরঃ (খ) ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে
১০. কোন দেশীয় রাজ্যের রাজা প্রথম অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি গ্রহণ করেন ? (ক) সাঁতারা (খ) নাগপুর (গ) হায়দ্রাবাদের নিজাম (ঘ) মারাঠা নেতা ।
উত্তরঃ (গ) হায়দ্রাবাদের নিজাম
১১. মুসলিম লিগ গঠিত হয়— (ক) ১৯০৬ (খ) ১৯০৭ (গ) ১৯০৮ (ঘ) ১৯০৯ খ্রিঃ ।
উত্তরঃ (ক) ১৯০৬
১২. মুসলিম লিগের প্রথম অধিবেশন বসে— (ক) দিল্লিতে (খ) কলকাতায় (গ) ঢাকায় (ঘ) লাহোরে ।
উত্তরঃ (গ) ঢাকায়
১৩. মুসলিম লিগের প্রথম সভাপতি ছিলেন – (ক) মহম্মদ আলি জিন্না (খ) সলিম উল্লাহ (গ) আগা খ (ঘ) আবুল কালাম আজাদ ।
উত্তরঃ (খ) সলিম উল্লাহ
১৪. রাওলাট কমিশনের অপর নাম হলো— (ক) সিডিশন কমিশন (খ) সাইমন কমিশন (গ) অ্যাকওয়ার্থ কমিশন (ঘ) শিল্প কমিশন ।
উত্তরঃ (ক) সিডিশন কমিশন
১৫. মুসলিম লিগের কোন অধিবেশনে পাকিস্তান দাবি করা হয় ? (ক) লাহোর (খ) লখনউ (গ) মাদ্রাজ (ঘ) কলকাতা ৷
উত্তরঃ (ক) লাহোর
১৬. “ The Indian Musalman’s’- গ্রন্থটির রচয়িতা কে ছিলেন ? (ক) সৈয়দ আহমেদ হান্টার (খ) রিজলে (গ) উইলিয়াম (ঘ) ডেনিসন রস ।
উত্তরঃ (গ) উইলিয়াম হান্টার
১৭. কংগ্রেসের কোন অধিবেশনে পূর্ণ স্বরাজের দাবি ওঠে ? (ক) দিল্লি (খ) লাহোর (গ) গুজরাট (ঘ) কলকাতা ৷
উত্তরঃ (খ) লাহোর
১৮. ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে ভারতের ভাইসরয় ছিলেন— (ক) মন্টেগু(খ) চেমসফোর্ড (গ) লর্ড কার্জন (ঘ) লর্ড মিন্টো৷
উত্তরঃ (ঘ) লর্ড মিন্টো
১৯. ভার্নাকুলার প্রেস অ্যাক্ট পাশ হয় কার সময়ে ? (ক) লর্ড লিটন – (খ) লর্ড রিপন (গ) লর্ড নর্থব্রুক (ঘ) লর্ড ময়রার সময়ে ।
উত্তরঃ (ক) লর্ড লিটন
২০. ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি ঘোষণা করেন— (ক) মন্টেগু (খ) ক্লিমেন্ট এটলি (গ) ওয়েলিংটন (ঘ) ম্যাক ডোনাল্ড ।
উত্তরঃ (ঘ) ম্যাক ডোনাল্ড
২১. কত খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইনের দ্বারা ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে ? (ক) ১৮৫৮ খ্রি . (খ) ১৮৬১ খ্রি . (গ) ১৮৯২ . (ঘ) ১৯১০ খ্রি .
উত্তরঃ (ক) ১৮৫৮ খ্রি .
২২. ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের আইন অনুসারে ‘ ভাইসরয় ’ উপাধি পান- (ক) ব্রিটিশ সম্রাট (খ) ভারত সচিব (গ) গভর্নর (ঘ) গভর্নর জেনারেল ।
উত্তরঃ (ঘ) গভর্নর জেনারেল ।
১. ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইনের পটভূমি ব্যাখ্যা করো । এই আইনের ত্রুটিগুলি কী ছিল ?
উত্তরঃ পটভূমি : বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন , জাতীয় কংগ্রেসের নরমপন্থী ও চরমপন্থী গোষ্ঠীর বিরোধ এবং বৈপ্লবিক সন্ত্রাসবাদীদের উত্থানের মতো ঘটনায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লর্ড বালফোর এক কৌশলী আপস নীতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন । তিনি লর্ড কার্জনের কার্যকলাপে অসন্তুষ্ট হয়ে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে লর্ড মিন্টোকে ভারতের গভর্নর জেনারেল করে পাঠান । এইসময় ভারত সচিব ছিলেন লর্ড মলে । লর্ড মলে ও লর্ড মিন্টো এক শাসনতান্ত্রিক সংস্কারের দ্বারা কংগ্রেসের নরমপন্থী গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করতে ও নরমপন্থী – চরমপন্থী বিবাদ দীর্ঘস্থায়ী করতে এবং কংগ্রেস বিরোধী রাজনৈতিক দল মুসলিম লিগের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে সচেষ্ট হন । তাঁদের উদ্যোগে ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের ১ অক্টোবর ভারতের শাসন সংস্কারের জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি খসড়া আইন পেশ করা হয় । ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে এই খসড়া আইন আইনের রূপ পায় । এই আইন মর্লে – মিন্টো আইন , ১৯০৯ নামে পরিচিত ।
আইনের বৈশিষ্ট্য : ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দের মর্লে – মিন্টো শাসন সংস্কার আইনের প্রকৃত নাম ছিল ভারত শাসন আইন । এই আইনের দু’টি দিক ছিল ।
( ক ) কার্যনির্বাহী পরিষদ ,
( খ ) আইন পরিষদ ।
( ক ) কার্যনির্বাহী পরিষদ :
আইন পরিষদ : আইন পরিষদে চার ধরনের নির্বাচকমণ্ডলী রাখার কথা বলা হয় । যথা –
মলে – মিন্টো সংস্কার আইনের ত্রুটি : ভারতীয়দের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক অধিকার দেওয়ার উদ্দেশ্যে মলে – মিন্টো আইন পাশ হলেও এই আইনের বিভিন্ন ত্রুটি ছিল । যেমন –
( ক ) অধিকারহীনতা : এই আইনের মাধ্যমে দেশীয় রাজ্য , সামরিক বিভাগ , বিদেশনীতি প্রভৃতি বিষয়ে কোনো প্রস্তাব আনার অধিকার আইনসভার হাতে ছিল না ।
( খ ) দায়িত্বশীলতার অভাব : মলে – মিন্টো আইনের দ্বারা কেন্দ্রে এবং প্রদেশে নির্বাচিত ভারতীয় জনপ্রতিনিধিদের বিশেষ কোনো গুরুত্ব স্বীকৃত হয়নি । ফলে এই আইন ভারতে কোনো দায়িত্বশীল শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয় ।
২. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাংলায় দুর্ভিক্ষের কারণগুলি কী ছিল ? বাংলায় পঞ্চাশের মন্বস্তরের ফলাফল লেখো ।
অথবা , ১৯৪৩ সালে বাংলায় মন্বন্তর – এর কারণ কী ছিল ?
উত্তরঃ খাদ্য উৎপাদন কমে যাওয়া ১৯৪০-৪১ সালে বাংলায় সীমিত আকারে খাদ্য সংকটে গরিবের সঞ্চয় ফুরিয়ে যায় । ১৯৪২ – এর অক্টোবরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে ধানের ফলন কমে যায় । মারা যায় প্রায় দু’লক্ষ গবাদি পশু । মানুষের সঞ্চিত খাদ্য শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৯৪৩ সালে দেখা দেয় মন্বন্তর ।
বাংলায় পঞ্চাশের মন্বস্তরের কারণ : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংরেজ সরকারের তীব্র অর্থনৈতিক শোষণে অবিভক্ত বাংলায় ১৯৪৩ সালে ( ১৩৫০ বঙ্গাব্দ ) এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ শুরু হয় । এই মন্বন্তর বাংলাকে শ্মশানে পরিণত করে । এর বিভিন্ন কারণ ছিল—
খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত : ১৯৪২ – এর বন্যায় গ্রামীণ রাস্তাগুলি ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয় । ফলে দূর দুরান্তে খাদ্যশস্য পাঠানোয় অসুবিধা দেখা দেয় ।
বার্মা থেকে চাল আমদানি ব্যাহত : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে বার্মা থেকে কলকাতা তথা বাংলায় চাল আসত । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান বার্মা দখল করে নেওয়ায় চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যায় ।
জাপানি আক্রমণের আশঙ্কা : জাপান যেকোনো সময় বাংলা হয়ে ব্রিটিশ ভারতে আক্রমণ করতে পারে , এই আশঙ্কা করেছিল ব্রিটিশ সরকার । এজন্য পোড়ামাটির নীতি অনুসারে বার্মার নিকটস্থ চট্টগ্রাম ছেড়ে আসার সময় সেখানকার নৌকা , মোটর যান , গোরুর গাড়ি প্রভৃতি ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেয় । ফলে বাংলার সীমান্তে খাদ্য সরবরাহ অসম্ভব হয়ে পড়ে ।
চার্চিলের ভূমিকা : বাংলায় খাদ্যাভাবের সময় অস্ট্রেলিয়া , কানাডা , আমেরিকা জাহাজে করে বাংলায় খাদ্যশস্য পাঠাতে চেয়েছিল । কিন্তু যুদ্ধের জন্য জাহাজ লাগবে এই যুক্তিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল কোনো জাহাজ দিতে রাজি হননি ।
সেনার জন্য খাদ্য রপ্তানি : বাংলায় খাদ্যভাবের মধ্যেই ব্রিটিশ সরকার যুদ্ধের সময় সেনাদের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্যশস্য বাইরে পাঠায় । এতে বহু খাদ্য অপচয় হয় । বেড়ে যায় খাদ্যসংকট ।
বাণিজ্য গণ্ডি : ১৯৪২ সালে ব্রিটিশ সরকার ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য গণ্ডি চালু করে । ফলে ব্যবসায়ীরা অন্য প্রদেশ থেকে খাদ্যশস্য আমদানি করতে পারেনি ।
মজুতদারি : জাপানের আক্রমণের আশঙ্কায় ইংরেজ সরকার বাংলা থেকে প্রচুর পরিমাণ চাল মজুত করে । দুর্ভিক্ষের পরে ৯০ হাজার টন চাল নষ্ট হয়েছিল । খাদ্য সংকটের আশঙ্কায় অনেক ব্যবসায়ী চাল কিনে গুদামে মজুত করে এবং দুর্ভিক্ষের সময় চড়া দামে বিক্রি করে।
সংকটকে উপেক্ষা : বাংলায় খাদ্য সংকট শুরু হলে তা মোকাবিলায় তৎপর হয়নি ব্রিটিশ সরকার । মৃত্যু – মিছিল শুরু হলেও ত্রাণকার্য হয়েছে ধীর গতিতে ।
পঞ্চাশের মন্বস্তরের ফলাফল : মন্বন্তরের বিভিন্ন ফলাফল দেখা যায়—
ব্যাপক প্রাণহানি : মন্বন্তরে মৃতের সংখ্যা ব্রিটিশ সরকার ইচ্ছা করেই প্রকাশ করেনি । দুর্ভিক্ষে অন্তত ৪০-৭০ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিল বলে অনুমান । মৃতদেহ সৎকারের লোক ছিল না । মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মৃত মানুষের মাংসে শকুন , শিয়াল কুকুরেরও অরুচি ধরে ।
অর্থনৈতিক বিপর্যয় : মন্বন্তরে বাংলায় ঘটে যায় চূড়ান্ত অর্থনৈতিক বিপর্যয় । সর্বস্বান্ত মানুষকে দুর্ভিক্ষের সময় থালা – বাটি হাতে রাস্তায় ভিক্ষা করতে দেখা যায় । শেষপর্যন্ত অনাহারে রাস্তার ধারে পড়ে থাকত এদের মৃতদেহ ।
মানবিক বিপর্যয় : মন্বন্তরে চূড়ান্ত মানবিক বিপর্যয় দেখা যায় । কুকুরের সঙ্গে লড়াই করে ডাস্টবিন থেকে মানুষ খাদ্য খেতে শুরু করেছিল । মানুষ তার প্রিয়জনকে মৃত্যুদশায় ফেলে রেখে বাঁচার তাগিদে বাড়ি ছাড়ে । অভাবের জ্বালায় অনেকে স্ত্রী – সন্তানকে বিক্রি করে ।
কমিশন গঠন : দুর্ভিক্ষের কারণ খুঁজতে সরকার ‘ দুর্ভিক্ষ অনুসন্ধান কমিশন ‘ গঠন করে । ১৯৪৫ সালে কমিশন রিপোর্ট জমা দেয় । রিপোর্টে সরকারের সার্বিক ব্যর্থতার সমালোচনা করা হয় ।
সাহিত্য সৃষ্টি : মন্বন্তরের পটভূমিকায় বিজন ভট্টাচার্য লেখেন ‘ নবান্ন ‘ নাটক । বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ‘ অশনি সংকেত ‘ উপন্যাসে , চিত্তপ্রসাদ তার ‘ ক্ষুধার্ত বাংলা : ১৯৪৩ – এর নভেম্বরে মেদিনীপুর জেলায় ভ্রমণ – ফুটিয়ে তোলেন দুর্ভিক্ষের মর্মস্পর্শী বিবরণ ।
গ্রন্থ নিষিদ্ধকরণ : চিত্তপ্রসাদের ‘ ক্ষুধার্ত বাংলা : ১৯৪৩ – এর নভেম্বরে মেদিনীপুর জেলায় ভ্রমণ ’ গ্রন্থটি নিষিদ্ধ হয় । ৫০০০ কপি বাজেয়াপ্ত করে সরকার ।
মূল্যায়ন : পঞ্চাশের মন্বন্তর নিয়ে গবেষণা আজও চলছে । এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন , এই সময়ের ঘটনা ও তথ্য অনুসরণে পরবর্তীকালে দেশে কোনো বঙ্কিমচন্দ্র জন্মগ্রহণ করলে হয়তো আর একটি ‘ আনন্দমঠ ‘ সৃষ্টি হবে ।
৩. ভারতীয় অর্থনীতিতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কী প্রভাব পড়েছিল ?
অথবা , ভারতের উপর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়া কী ছিল ?
অথবা , যুদ্ধ – পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট ভারতের কৃষকদের উপর কী প্রভাব ফেলে ?
উত্তরঃ ভারতীয় অর্থনীতিতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব : ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ইংল্যান্ড যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে । যুদ্ধে ভারতের অর্থসম্পদ ও সেনাকে ব্যাপকভাবে কাজে লাগায় ব্রিটিশ সরকার । এর ফলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ভারতীয় অর্থনীতিতে যুদ্ধের প্রত্যক্ষ প্রভাব চোখে পড়ে । এ বিষয়ে নীচে বলা হলো—
আর্থিক সংকট : প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ভারতের প্রচুর পরিমাণ অর্থ – সম্পদ ব্যয় করা । হয় । যুদ্ধের সময় দেশের কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদন কমে যায় । ফলে রপ্তানি হ্রাস পায় , এতে ভারতে দারিদ্র্য বাড়ে ।
ঋণ সংগ্রহ : প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী আর্থিক দুর্দশা কাটাতে ব্রিটিশ সরকার বিপুল পরিমাণ ঋণ সংগ্রহ করে । এতে জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩০ শতাংশ বেড়ে যায় । প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে এই ঋণ ছিল ২৭৪ মিলিয়ন পাউন্ড , দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে এটা ৮৮৪.২ মিলিয়ন পাউন্ডে পৌঁছয় ।
মূল্যবৃদ্ধি : যুদ্ধের প্রভাবে কৃষি ও শিল্পপণ্যের উৎপাদন কমলেও পণ্যের চাহিদা কমেনি । ফলে এসময় দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায় । ১৯১৪-১৯২০ – এর মধ্যে বস্ত্র , চিনি , লবণ কেরোসিন ইত্যাদির দাম একলাফে দ্বিগুণ হয়ে যায় ।
দরিদ্রদের দুর্দশা : কৃষি উৎপাদন হ্রাস , দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে দেশের দরিদ্র মানুষদের অবস্থা সঙ্গীন হয় । কারণ জিনিসের দাম বাড়লেও তাদের মজুরি বাড়ানো হয়নি । ফলে শ্রমিকরা তাদের উপার্জন দিয়ে এবং কৃষকরা কৃষিপণ্য বিক্রি করে জীবন কাটাতে ব্যর্থ হয় ।
কর বৃদ্ধি : কৃষক ও শ্রমিকদের কথা চিন্তা না করে ব্রিটিশ সরকার আর্থিক ভার লাঘব করতে কৃষকদের উপর করের বোঝা চাপায় এবং তা জোর করে আদায়ও শুরু হয় ।
কৃষকদের উপর অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব : কৃষকদের উপর প্রভাব ছিল এইরূপ—
খাদ্য উৎপাদন হ্রাস : আর্থিক সংকট কাটাতে সরকার খাদ্যশস্যের বদলে কৃষককে রপ্তানিযোগ্য ও অর্থকরী ফসল উৎপাদনে বাধ্য করে । ফলে খাদ্যশস্যের উৎপাদন কমে যায় ।
খাদ্যসংকট : কৃষি জমিতে খাদ্যশস্যের পরিবর্তে অর্থকরী ফসল চাষের ফলে কৃষক পরিবারে দেখা দেয় খাদ্যসংকট । দেশের বহু স্থানে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ।
কর বৃদ্ধি : দেশে খাদ্যসংকট ও দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতির মধ্যেও সরকার কৃষকের করের বোঝা বাড়িয়ে দেয় । বাড়তি কর আদায় করতে কৃষকদের উপর অত্যাচার বেড়ে যায় ।
মূল্যায়ন : প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর দেশজুড়ে অর্থনেতিক সংকটের প্রভাব অনুভূত হয় । সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা হয় গুজরাট সহ পশ্চিম ভারতে । এর প্রতিবাদে গুজরাটে ১১১৮ ও ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে ।
৪. রাওলাট আইনের উদ্দেশ্য কী ছিল ? গান্ধিজি কেন এই আইনের বিরোধিতা করেছিলেন ?
উত্তরঃ সূচনা : প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে ভারতীয়দের ব্রিটিশ বিরোধী গণআন্দোলন ও বৈপ্লবিক কার্যকলাপ বন্ধ করে দেবার উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডের বিচারপতি স্যার সিডনি রাওলাটের ‘ সিডিশন কমিশন ‘ – এর সুপারিশে 1919 খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে যে আইন প্রবর্তিত হয় তা রাওলাট আইন নামে পরিচিত ।
আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য :
( A ) বিপ্লবী আন্দোলন দমন : ভারতবর্ষে সরকার – বিরোধী যে বৈপ্লবিক আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা দমনের জন্য রাওলাট আইন প্রবর্তিত হয় ।
( B ) মুসলিম ক্ষোভের প্রশমন : প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ সরকার পরাজিত তুরস্কের ব্যবচ্ছেদ ঘটালে এবং তুরস্কের খলিফার ক্ষমতা খর্ব করলে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায় সরকারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ।
( C ) গণআন্দোলন : প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি , খরা , মহামারি , বেকারত্ব বৃদ্ধি প্রভৃতির ফলে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ভারতীয়রা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয় , আর এইজন্যে সর্বত্র গণআন্দোলনও ছড়িয়ে পড়ে ।
( D ) রাওলাটের আইনের বিভিন্ন দিক / ধারা :
এই আইনে ভারতীয় প্রতিক্রিয়া :
মূল্যায়ন : রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে ভারতীয়রা একাধিক প্রতিক্রিয়ামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করলে ব্রিটিশ সরকার কঠোর দমননীতি গ্রহণ করে এই আইন বহাল রাখে ।
৫. মন্টেগু চেমসফোর্ট সংস্কার আইন ( 1919 ) -এর বৈশিষ্ট্য লেখো । এই আইনের বিরোধিতা বা ত্রুটিগুলি আলোচনা করো । এই আইনের ধারাগুলি কী ?
উত্তরঃ সূচনা : ব্রিটিশ সরকার ভারতবর্ষকে শাসন করার জন্য বিভিন্ন সময়ে একাধিক আইন প্রবর্তন করেছিল । অনুরূপভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন ভারতে একাধিক বিক্ষিপ্ত রাজনৈতিক ঘটনা এবং ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে মর্লে – মিন্টো সংস্কার আইন ভারতীয়দের কোনো আশা – আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেনি । তাই পুনরায় ভারতীয়রা শাসনতান্ত্রিক অধিকারে দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে । আর সেইসময় ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের জন্য শাসনতান্ত্রিক সুবিধার্থে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে মন্টেগু চেমসফোর্ট সংস্কার আইন প্রবর্তনের পথে পা বাড়ায় ।
আইন প্রবর্তনের কারণ : ১৯১৯ – এর মন্টেগু চেমসফোর্ট সংস্কার আইন প্রবর্তনের কারণে বলা যায়
মর্লে – মিন্টো সংস্কার আইনের ব্যর্থতা : মলে – মিন্টো সংস্কার আইন ভারতীয়দের দাবি পূরণ করতে পারেনি এবং ভারতীয় জনবিক্ষোভেরও অবসান ঘটাতে পারেনি ।
চরমপন্থী ও নরমপন্থী কংগ্রেসের মিলন : ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেসে চরমপন্থী ও নরমপন্থীদের মধ্যে আদর্শগত বিরোধের নিষ্পত্তি হওয়ায় কংগ্রেস পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী হয়ে ওঠে ।
কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের মধ্যে সমঝোতা : ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের মধ্যে পুনর্মিলনও মন্টেগু চেমসফোর্ট সংস্কার আইনের পথ প্রশস্ত করেছিল ।
ভারতীয়দের স্বায়ত্তশাসনের দাবি : হোমরুল আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ভারতীয়দের মধ্যে স্বায়ত্তশাসনের দাবি জোরালো হতে শুরু করলে ব্রিটিশ সরকার তার নিষ্পত্তি ঘটানোর জন্য ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে মন্টেগু চেমসফোর্ট সংস্কার আইন প্রবর্তন করেন ।
মন্টেগু চেমসফোর্ট আইনের ধারা : ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে মন্টেগু – চেমসফোর্ট সংস্কার আইনের প্রধান ধারাগুলি ছিল এইরকম—
প্রথমত , ভারত সচিবের কাউন্সিলের সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে অন্তত ১০ জন এবং অনধিক ১২ জন করা হয়।
দ্বিতীয়ত , ভারত সচিবের বেতন , ভাতা ব্রিটিশ সরকার বহন করবে বলে ঠিক হয় ।
তৃতীয়ত , ভারতের রাজস্ব সংক্রান্ত প্রস্তাব অধিকাংশের ভোটে পাশ করা বাধ্যতামূলক করা হয় ।
চতুর্থত , ভারতের শাসন ব্যবস্থার অন্তর্গত বিষয়গুলি কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক দুই ভাগে ভাগ করা হয় ।
পঞ্চমত , প্রাদেশিক আইনসভার শতকরা ৭০ জন সদস্য নির্বাচিত এবং ৩০ জন সদস্য মনোনীত করার ব্যবস্থা করা হয় ।
ষষ্ঠত , নতুন আইনে কেন্দ্রে দুই কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা গঠন করা হয় ।
সপ্তমত , কেন্দ্রীয় আইনসভার হাতে সমগ্র ভারতের জন্য আইন প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয় ।
এই আইনের ত্রুটি : মন্টেগু চেমসফোর্ট সংস্কার আইনের দ্বারা যথার্থ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হিসেবে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক শাসনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু ত্রুটি লক্ষ করা যায় । যেমন –
ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ : কার্যনির্বাহ পরিষদকে আইনসভার নিয়ন্ত্রণ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত রাখা হয় । কেন্দ্রে সব ক্ষমতা বড়োলাটের হাতে কেন্দ্রীভূত হওয়ায় ভারতবাসীর আশা – আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ থেকে যায় ৷
প্রতিবন্ধকতা : প্রাদেশিক শাসনকার্য সংরক্ষিত এবং হস্তান্তরিত এই দুই ভাগে • বিভক্ত করে একদিকে ক্ষমতাহীন দায়িত্ব ও অন্যদিকে দায়িত্বহীন ক্ষমতা অর্পণ করার ব্যবস্থা করা হয় । ফলে সুষ্ঠভাবে শাসনকার্য পরিচালনার পক্ষে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় এবং প্রশাসনিক দক্ষতা ক্ষুণ্ণ হয় ।
অপর্যাপ্ত : জাতীয় কংগ্রেস মন্টেগু চেমসফোর্ট সংস্কারকে অপর্যাপ্ত , অসন্তোষজনক ও নৈরাশ্যকর বলে মন্তব্য করেছিল । অন্যদিকে জাতীয় কংগ্রেসের নরমপন্থীরা এই সংস্কার আইনকে একটি সঠিক ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ বলেছেন ।
স্বায়ত্তশাসনের অভাব : এই আইনে প্রদেশে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি । কেননা প্রদেশের গভর্নর ছিলেন চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী । তাই বলা যায় , এই আইনের দ্বারা ব্রিটিশ শাসনের শক্তি আরো মজবুত হয়েছিল ।
ভোটাধিকার : মন্টেগু – চেমসফোর্ট আইনে সর্বসাধারণের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়নি , যা একাধারে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানকে ভারতবর্ষে দীর্ঘস্থায়ী করে তুলেছিল ।
৬. জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট আলোচনা করো । এই ঘটনার গুরুত্ব কী ছিল ?
উত্তরঃ সূচনা : ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতবর্ষে সর্বাধিক পৈশাচিক , ভয়াবহ এবং অমানবিক হত্যাকাণ্ড ছিল 1919 খ্রিস্টাব্দে পাঞ্চাবের অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড । এই ঘটনা সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ইংল্যান্ডের অপশাসনকে পরিষ্কার করে তুলে ধরেছিল ।
জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট :
প্রথমত , প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অবসানে সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে শুরু হয়েছিল ব্রিটিশ সরকারের কঠোর দমনমূলক নীতি ও সীমাহীন অত্যাচার । এইসময় সৈন্য ও অর্থ সংগ্রহের জন্য ইংরেজ সরকার যে নির্যাতন শুরু করেছিল তা এই ঘটনার জন্য অনেকাংশে দায়ী ।
দ্বিতীয়ত , প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব বৃদ্ধি এবং শিল্প ধ্বংসের ফলে দেশজুড়ে বেকারের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায় যা ভারতের অর্থনৈতিক কাঠামোকে অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত করে ।
তৃতীয়ত , 1919 খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন দমনের জন্য ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে মন্টেগু চেমসফোর্ড শাসন সংস্কার আইন পাশ করা হয় । কিন্তু এই আইন ভারতীয়দের দাবিদাওয়া পূরণে ব্যর্থ হয় যা জনমানসে হতাশার সৃষ্টি করে ।
চতুর্থত , প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন অবস্থায় ব্রিটিশ সরকার ভারতবর্ষে ব্রিটিশ বিরোধী কার্যকলাপ বন্ধের জন্য কুখ্যাত রাওলাট আইন পাশ করে । এই আইনের ভয়াবহতা জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের জন্য অনেকাংশে দায়ী ।
পঞ্চমত , রাওলাট আইনের বিরোধিতা করে গান্ধিজির নেতৃত্বে রাওলাট সত্যাগ্রহ অনুষ্ঠিত হয় । এইসময়ে 1919 খ্রিস্টাব্দের 10 এপ্রিল রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনে মদত দেবার অপরাধে ড . সৈফুদ্দিন কিচলু ও ড . সত্যপালকে গ্রেপ্তার করা হলো পাঞ্জাবে এক অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ।
জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড : এই পরিস্থিতিতে পাঞ্জাবে জেনারেল মাইকেল ও ডায়ার এক সমারিক আইন জারি করেন , এরই প্রতিবাদে 13 এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগের বাগানে ঘেরা এক স্থানে নিরস্ত্র সাধারণ মানুষ সমবেত হলে জেনারেল ডায়ার – এর নির্দেশে 1600 রাউন্ড গুলি চালানো হলে সেখানে শতাধিক মানুষ নিহত এবং অজস্র মানুষ আহত হন । এই কলঙ্কিত ঘটনা ইতিহাসে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত ।
গুরুত্ব : প্রথমত , জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড সমগ্র ভারতবর্ষে তথা বিশ্ববাসীর কাছে ব্রিটিশ সরকারের নগ্ন সাম্রাজ্যবাদী ছবি ফুটিয়ে তুলেছিল । ব্রিটিশ সরকারের বর্বরতাকে চিহ্নিত করেছিল ।
দ্বিতীয়ত , এই ঘটনার প্রতিবাদে সমাজের সকল স্তরের মানুষ ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে সমবেত হতে শুরু করেছিল । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশদের দেওয়া নাইট উপাধি ত্যাগ করেন । গান্ধিজি লেখেন— “ এই শয়তানের সরকারের সংশোধন অসম্ভব , একে ধ্বংস করতেই হবে । ”
তৃতীয়ত , এই ঘটনার প্রতিবাদ ভারতের বাইরে ইংল্যান্ডেও হয় । প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অ্যামকুইন মন্তব্য করেন— “ One of the worst outrages in the whole of our history ” , এর পরিপ্রেক্ষিতে হান্টার কমিশন গঠিত হয় এবং জেনারেল ডায়ারকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ।
চতুর্থত , জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে সর্বভারতীয় অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের প্রধান দাবি ছিল এই নৃশংস ঘটনা ও অন্যায়ের সুবিচার করা ।
আরোও দেখুন:-
HS Bengali Suggestion 2023 Click here
আরোও দেখুন:-
HS English Suggestion 2023 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Geography Suggestion 2023 Click here
আরোও দেখুন:-
HS History Suggestion 2023 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Political Science Suggestion 2023 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Philosophy Suggestion 2023 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Sociology Suggestion 2023 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Sanskrit Suggestion 2023 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Education Suggestion 2023 Click here
PDF Name : ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion PDF
Price : FREE
Download Link : Click Here To Download
West Bengal HS Class 12 History Suggestion PDF prepared by expert subject teachers. WB HS History Suggestion with 100% Common in the Examination.
West Bengal HS History Suggestion Download. WBCHSE HS History short question suggestion. HS Class 12 History Suggestion PDF download. HS Question Paper Political science.
দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস (HS Political science) ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর। দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন – ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর | WB HS History Suggestion
দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের (WBCHSE) সিলেবাস বা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস বিষয়টির সমস্ত প্রশ্নোত্তর। সামনেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, তার আগে winexam.in আপনার সুবিধার্থে নিয়ে এল ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়) – উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন | Higher Secondary History Suggestion । ইতিহাস বিষয়ে ভালো রেজাল্ট করতে হলে অবশ্যই পড়ুন আমাদের দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন বই ।
আমরা WBCHSE উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ের – ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস সাজেশন | West Bengal Class 12th Suggestion আলোচনা করেছি। আপনারা যারা এবছর দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাদের জন্য আমরা কিছু প্রশ্ন সাজেশন আকারে দিয়েছি. এই প্রশ্নগুলি পশ্চিমবঙ্গ দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস পরীক্ষা তে আসার সম্ভাবনা খুব বেশি. তাই আমরা আশা করছি HS ইতিহাস পরীক্ষার সাজেশন কমন এই প্রশ্ন গুলো সমাধান করলে আপনাদের মার্কস বেশি আসার চান্স থাকবে।
History Class XII, History Class Twelve, WBCHSE, syllabus, HS Political science, দ্বাদশ শ্রেণি ইতিহাস, ক্লাস টোয়েলভ ইতিহাস, উচ্চ মাধ্যমিকের ইতিহাস, ইতিহাস উচ্চ মাধ্যমিক – ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়), দ্বাদশ শ্রেণী – ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়), উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়), ক্লাস টেন ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়), HS History – ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়), Class 12th ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়), Class X ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়), ইংলিশ, উচ্চ মাধ্যমিক ইংলিশ, পরীক্ষা প্রস্তুতি, রেল, গ্রুপ ডি, এস এস সি, পি, এস, সি, সি এস সি, ডব্লু বি সি এস, নেট, সেট, চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতি, HS Suggestion, HS Suggestion , HS Suggestion , West Bengal Secondary Board exam suggestion, West Bengal Higher Secondary Board exam suggestion , WBCHSE , উচ্চ মাধ্যমিক সাজেশান, উচ্চ মাধ্যমিক সাজেশান , উচ্চ মাধ্যমিক সাজেশান , উচ্চ মাধ্যমিক সাজেশন, দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশান , দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশান , দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস , দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, HS Suggestion History , দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস – ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion PDF PDF, দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস – ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion PDF PDF, দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস – ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস – ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion PDF PDF, দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস – ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion PDF PDF,দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস – ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion PDF PDF, দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস – ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion PDF, HS History Suggestion PDF , West Bengal Class 12 History Suggestion PDF.
এই (ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (পঞ্চম অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion PDF) পোস্টটি থেকে যদি আপনার লাভ হয় তাহলে আমাদের পরিশ্রম সফল হবে। আরোও বিভিন্ন স্কুল বোর্ড পরীক্ষা, প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার সাজেশন, অতিসংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত ও রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (All Exam Guide Suggestion, MCQ Type, Short, Descriptive Question and answer), প্রতিদিন নতুন নতুন চাকরির খবর (Job News) জানতে এবং সমস্ত পরীক্ষার এডমিট কার্ড ডাউনলোড (All Exam Admit Card Download) করতে winexam.in ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।
একাদশ শ্রেণীর সমস্ত বিষয় সাজেশন ২০২৩ Class 11 All Subjects Suggestion 2023 PDF Download একাদশ…
একাদশ শ্রেণীর গণিত সাজেশন ২০২৩ Class 11 Mathematics Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর গণিত…
একাদশ শ্রেণীর জীববিদ্যা সাজেশন ২০২৩ Class 11 Biology Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর জীববিদ্যা…
একাদশ শ্রেণীর রসায়ন সাজেশন ২০২৩ Class 11 Chemistry Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর রসায়ন…
একাদশ শ্রেণীর পদার্থবিদ্যা সাজেশন ২০২৩ Class 11 Physics Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর পদার্থবিদ্যা…
একাদশ শ্রেণীর সমাজবিজ্ঞান সাজেশন ২০২৩ Class 11 Sociology Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর সমাজবিজ্ঞান…