দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion PDF

0
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) - দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion PDF
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) - দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion PDF

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন

HS Class 12 History Suggestion PDF

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion PDF : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন ও অধ্যায় ভিত্তিতে প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হল।  এবার পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষায় বা দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষায় ( WB HS Class 12 History Suggestion PDF  | West Bengal HS Class 12 History Suggestion PDF  | WBCHSE Board Class 12th History Question and Answer with PDF file Download) এই প্রশ্নউত্তর ও সাজেশন খুব ইম্পর্টেন্ট । আপনারা যারা আগামী দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষার জন্য বা উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস  | HS Class 12 History Suggestion PDF  | WBCHSE Board HS Class 12th History Suggestion  Question and Answer খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর ভালো করে পড়তে পারেন। 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন | পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন/নোট (West Bengal Class 12 History Question and Answer / HS History Suggestion PDF)

পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন (West Bengal HS Class 12 History Suggestion PDF / Notes) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর – MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (SAQ), সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (Short Question and Answer), ব্যাখ্যাধর্মী বা রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (descriptive question and answer) এবং PDF ফাইল ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে দেওয়া রয়েছে

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়)

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion : 

১. তাম্রলিপ্ত সরকার কোথায় , কার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা হয় ? / সর্বাধিনায়ক কে ? 

উত্তরঃ মেদিনীপুরের তমলুকে সতীশচন্দ্র সামন্তের নেতৃত্বে । 

২. ক্যাবিনেট মিশন / মন্ত্রী মিশনের সদস্যদের নাম কী ? 

উত্তরঃ স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস , পেথিক লরেন্স , এ . ভি . আলেকজান্ডার । 

৩. জাতিসংঘের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত ? 

উত্তরঃ সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে । 

৪. ওয়াভেল পরিকল্পনা বলতে কী বোঝো ?

উত্তরঃ ১৯৪৫ সালের ১৪ জুন কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের কাছে তৎকালীন বড়োলাট ওয়াভেল একটি প্রস্তাব পেশ করেন । এটিই ওয়াভেল পরিকল্পনা । 

৫. হরিপুরা কংগ্রেসে কে কংগ্রেসের সভাপতি হন ? 

উত্তরঃ ১৯৩৮ সালে হরিপুরা কংগ্রেসে জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হন সুভাষচন্দ্র বসু । 

৬. ক্রিপস প্রস্তাব বলতে কী বোঝো ? 

উত্তরঃ ১৯৪২ সালে ব্রিটিশ মন্ত্রীসভার সদস্য স্ট্যাফোর্ড ক্রিপসের নেতৃত্বাধীন একটি কমিশন এদেশে আসে । স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাব সংবলিত যে একগুচ্ছ প্রস্তাব কমিশন পেশ করে সেটাই ক্রিপস প্রস্তাব নামে পরিচিত। 

৭. মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা বলতে কী বোঝো ? 

উত্তরঃ মাউন্টব্যাটেনের উপদেষ্টা লর্ড ইসমে কর্তৃক ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রেরিত ভারত ভাগ পরিকল্পনার ভিত্তিতে ভারতীয় স্বাধীনতা আইন পাশ হয় । এটাকেই বলে মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা । 

৮. কাদের মধ্যে হয়েছিল রোম – বার্লিন – টোকিও চুক্তি ? 

উত্তরঃ জাপান – ইতালি – জার্মানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪০ সালে রোম – বার্লিন – টোকিও চুক্তিতে স্বাক্ষর করে । 

৯. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতের বড়োেলাট কে ছিলেন ? 

উত্তরঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় ভারতের বড়োেলাট ছিলেন লর্ড লিনলিথগো । 

১০. ভিয়েতমিন বলতে কী বোঝো ? 

উত্তরঃ ১৯৪১ সালে ভিয়েতনামের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে হো – চি – মিন গড়ে তোলেন ভিয়েতমিন । 

১১. আভাস্তি কী ? 

উত্তরঃ একটি সমাজতান্ত্রিক পত্রিকার নাম । 

১২. ফুয়েরার এবং ইল – দু – চে কাকে বলা হয় ? 

উত্তরঃ যথাক্রমে হিটলার ও মুসোলিনি । 

১৩. ভারত ছাড়ো প্রস্তাব কবে অনুমোদিত হয় ? 

উত্তরঃ ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ৪ আগস্ট । 

১৪. ডাচ – ইন্দোনেশীয় চুক্তিতে ‘ লিঙ্গজ্যোতি ’ কারা মধ্যস্থতা করে ? 

উত্তরঃ ১৯৪৬ সালে ডাচ – ইন্দোনেশীয় চুক্তিতে ব্রিটিশরা মধ্যস্থতা করে । 

১৫. ভারতে কোথায় আজাদ হিন্দ বাহিনী পতাকা উত্তোলন করে ? 

উত্তরঃ পূর্ব ভারতে কোহিমায় ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে আজাদ হিন্দ বাহিনী ( ১৯৪৫ ) । 

১৬. ভারত ছাড়ো আন্দোলনের তাৎপর্য এককথায় লেখো । 

উত্তরঃ স্বতঃস্ফূর্ত এই গণ – আন্দোলনে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের ভিত প্রতিষ্ঠিত হয় ও কংগ্রেস হৃত মর্যাদা ফিরে পায় । 

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion :

১. ‘ রশিদ আলি দিবস ‘ পালিত হয়– (ক) ২ জানুয়ারি (খ) ১২ ফ্রেব্রুয়ারি (গ) ১৬ মার্চ (ঘ) ২২ মে । 

উত্তরঃ (খ) ১২ ফ্রেব্রুয়ারি

২. ক্লিপস মিশন ভারতে আসে— (ক) ১৯৪২ (খ) ১৯৪৫ (গ) ১৯৪৬ (ঘ) ১৯৪৭ খ্রিঃ । 

উত্তরঃ (ক) ১৯৪২

৩. রোম – বার্লিন – টোকিও অক্ষচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়— (ক) ১৯৩৫ (খ) ১৯৩৬ (গ) ১৯৩৯ (ঘ) ১৯৩৭ খ্রিঃ । 

উত্তরঃ (ঘ) ১৯৩৭ খ্রিঃ ।

৪. আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন – (ক) রাসবিহারী বসু (খ) সুভাষচন্দ্র বসু (গ) জওহরলাল নেহরু (ঘ) কেউই নন ।

উত্তরঃ (ক) রাসবিহারী বসু

৫. ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের পার্ল হারবারের ঘটনার ফলে— ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তিক্ত হয়েছিল । (ক) ইংল্যান্ড (খ) ফ্রান্স (গ) রাশিয়া (ঘ) জাপান । 

উত্তরঃ (ঘ) জাপান ।

৬. স্বাধীন ইন্দোনেশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি হলেন— (ক) ম্যান্ডেলা (খ) ড . সুকর্ণ (গ) সুহার্তো (ঘ) হাব্বিবি । 

উত্তরঃ (খ) ড . সুকর্ণ

৭. ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে পার্ল হারবারের ঘটনার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হয়েছিল— (ক) রাশিয়া (খ) চিন (গ) ফ্রান্স (ঘ) জাপানের । 

উত্তরঃ (ঘ) জাপানের ।

৮. তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের সর্বাধিনায়ক ছিলেন— (ক) অজয় মুখোপাধ্যায় (খ) মাতঙ্গিনি হাজরা (গ) চৈতু পাণ্ডে (ঘ) সতীশচন্দ্ৰ সামন্ত । 

উত্তরঃ (ঘ) সতীশচন্দ্ৰ সামন্ত ।

৯. ব্রিটিশ ভারতের শেষ ভাইসরয় ছিলেন— (ক) মাউন্টব্যাটেন (খ) এটলি (গ) ক্যানিং (ঘ) হেস্টিংস ।

উত্তরঃ (ক) মাউন্টব্যাটেন

১০. আজাদ হিন্দ বাহিনী সর্বপ্রথম ভারতের যে শহরটি দখল করে সেটি হলো (ক) কোহিমা (খ) নাগপুর (গ) গৌহাটি (ঘ) দিশপুর ।

উত্তরঃ (ক) কোহিমা

১১. গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে— (ক) কলকাতায় (খ) দিল্লিতে (গ) বোম্বাইয়ে (ঘ) মাদ্রাজে ৷

উত্তরঃ (খ) দিল্লিতে

১২. ভারতের ‘ লৌহমানব ‘ হিসেবে পরিচিত— (ক) মহাত্মা গান্ধি (খ) আবুল কালাম আজাদ (গ) বি . ভি . প্যাটেল (ঘ) সুভাষচন্দ্র বসু । 

উত্তরঃ (গ) বি . ভি . প্যাটেল

১৩. জাপান কত খ্রিস্টাব্দে পার্ল হারবার আক্রমণ করে ? (ক) ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে (খ) ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে (গ) ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে (ঘ) ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে । 

উত্তরঃ (ক) ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে

১৪. সুভাষচন্দ্র বসু ফ্রি – ইন্ডিয়া সেন্টার গঠন করেন— (ক) জার্মানিতে (খ) জাপানে (গ) ভারতে (ঘ) আন্দামানে । 

উত্তরঃ (ক) জার্মানিতে

১৫. মন্ত্রী মিশন ভারতে আসে – (ক) ১৯৪২ . (খ) ১৯৪৪ খ্রি .(গ) ১৯৪৫ (ঘ) ১৯৪৬ খ্রি .।

উত্তরঃ (ঘ) ১৯৪৬ খ্রি .।

১৬. গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে— (ক) কলকাতায় (খ) দিল্লিতে (গ) বোম্বাইয়ে (ঘ) ইন্দোরে ।

উত্তরঃ (খ) দিল্লিতে

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion : 

১. ক্রিপস মিশনের প্রস্তাবগুলি আলোচনা করো । ক্রিপস এই মিশনের ব্যর্থতার কারণগুলি উল্লেখ করো । 

উত্তরঃ পটভূমি : ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে বিশ্ব – রাজনীতিতে জটিলতা বাড়ে । জাপান অক্ষশক্তির পক্ষে যোগ দিলে যুদ্ধ পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে । এমতাবস্থায় ভারতে জাপানি আক্রমণের সম্ভাবনা দেখা দেয় । পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল ভারতীয়দের স্বায়ত্তশাসন এবং স্বাধীনতার দাবি নিয়ে দু’পক্ষের আলোচনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন । ব্রিটিশ মন্ত্রীসভার সদস্য , আইনজ্ঞ স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপসের নেতৃত্বে একটি কমিশন ভারতে আসে , এটাই ‘ ক্রিপস মিশন ‘ নামে পরিচিত ।

সূচনা : ১৯৪২ – এর ২৯ মার্চ একগুচ্ছ প্রস্তাব নিয়ে ক্রিপস ভারতে আসেন । ভারতের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আলোচনার পর ক্রিপস ভারতীয়দের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন দীর্ঘমেয়াদি সুযোগসুবিধা সমন্বিত একটি খসড়া পেশ করেন । এটাই ‘ ক্রিপস প্রস্তাব ‘ নামে পরিচিত । 

ক্লিপস মিশনের প্রস্তাবসমূহ : প্রস্তাবগুলি ছিল— 

  • 1. কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইনসভাগুলিকে ভারতীয় নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়োগের কথা বলা হয় । 
  • 2. প্রাদেশিক আইনসভার নিম্নকক্ষ এবং দেশীয় রাজ্যের সদস্যরা দেশীয় রাজা কর্তৃক নির্বাচিত হবেন । 
  • 3. বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ভারতের সংবিধান রচনার জন্য ভারতীয়দের নিয়ে একটি সংবিধানসভা গঠিত হবে । 
  • 4. ভারতকে কানাডার মতো ডোমিনিয়ন স্টেট্স – এর মর্যাদা দেওয়া হবে । 
  • 5. সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য পৃথক সংবিধান প্রবর্তন করা হবে । 
  • 6. সংবিধান অপছন্দ হলে সেই প্রদেশ ভারতীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব সংবিধান তৈরি করতে পারবে । 
  • 7. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতকে নিরাপত্তা দেবে ইংরেজ সরকার । 
  • 8. সংবিধান রচনার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভারতের নিরাপত্তার দায়িত্ব ব্রিটিশ সরকার বহন করবে । 

প্রতিক্রিয়া : ক্রিপস প্রস্তাব ভারতীয় নেতৃবৃন্দের মনঃপুত হয়নি । দেশভাগের সম্ভাবনাকে প্রশ্রয় দেওয়ায় কংগ্রেস এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে । কারণ : 

  • 1. এতে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার কথা বলা হয়নি । 
  • 2. প্রদেশগুলির বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবি মেনে নেওয়ার অর্থ পরোক্ষে জিন্নার দাবি মেনে নেওয়া । 
  • 3. মনোনীত সদস্যরা সংবিধান সভায় আসবেন — এই প্রস্তাব কংগ্রেসের পছন্দ হয়নি । 
  • 4. ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ভারতীয়দের কোনো অধিকার ছিল না । 
  • 5. প্রস্তাবে অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠনের কোনো কথা বলা হয়নি । 

ব্যর্থতার কারণ : 

বিভিন্ন কারণে কংগ্রেস , মুসলিম লিগ , হিন্দু মহাসভা প্রভৃতি দল ক্রিপস প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে । 

  • 1. অখণ্ড ভারতকে খণ্ডিত করার প্রস্তাব থাকায় হিন্দু মহাসভা আপত্তি জানায় । 
  • 2. প্রস্তাবে ভারতকে পূর্ণ স্বাধীনতা দানের কথা বলা হয়নি । 
  • 3. মুসলিম লিগের পৃথক রাষ্ট্রের দাবির বিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল না । 
  • 4. ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দিকে নজর দেওয়া হয়নি । 
  • 5. বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলির দাবিকে উসকে দেওয়া হয়েছিল । 
  • 6. দেশীয় রাজ্যগুলিতে জনমত উপেক্ষা করে রাজন্যবর্গের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল । 

২. মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা কী ? এই পরিকল্পনার ফল কী হয়েছিল ? এই পরিকল্পনার বিষয়ে ভারতীয় নেতৃবৃন্দের কী মনোভাব ছিল ? 

উত্তরঃ পটভূমি : হিন্দু – মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং কংগ্রেস ও লিগের পারস্পরিক দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে ভারতে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলি লর্ড ওয়াভেলের স্থলে লর্ড মাউন্টব্যাটেনকে পাঠাবার সিদ্ধান্ত নেন । তিনি ঘোষণা করেন , ১৯৪৮ – এর জুন মাসের মধ্যে ব্রিটিশ সরকার ভারতের কোনো রাজনৈতিক দলের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে ভারত ত্যাগ করবে । 

 মাউন্টব্যাটেন প্রস্তাব / পরিকল্পনা : ১৯৪৭ সালের ৩ জুন লর্ড মাউন্টব্যাটেন এদেশে আসেন । সাম্প্রদায়িক সমস্যা সমাধানে কংগ্রেসকে তিনি দেশভাগের নীতিতে সায় দিতে বলেন । এর আগে ১৯৪৭ – এর ২২ মার্চ দাঙ্গাবিধ্বস্ত ভারতে এসে মাউন্টব্যাটেন ভারতীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ১৩৩ টি বৈঠক করেন । তিনি বুঝতে পারেন যে ভারত বিভাগ ছাড়া সমস্যার সমাধান অসম্ভব । ৩ জুন প্রধান উপদেষ্টা ভি পি মেনন – এর সহযোগিতায় ভারত বিভাগের খসড়া তৈরি করেন তিনি । ওইদিনই এক সাংবাদিক সম্মেলনে মাউন্টব্যাটেন জানান , ভারত ও পাকিস্তান দু’টি পৃথক রাষ্ট্র হবে । ১৯৪৭ – এর ১৫ আগস্টের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে বলেও তিনি জানিয়ে দেন । এই ঘোষণাপত্রটি ‘ মাউন্টব্যাটেন প্রস্তাব ’ নামে বিখ্যাত । 

মাউন্টব্যাটেন প্রস্তাব : প্রস্তাবে বলা হয়— 

  • 1. বাংলা ও পাঞ্জাব ভাগ করার সময় কোন কোন অঞ্চল ডোমিনিয়নভুক্ত হবে তা ঠিক করবে সিরিল র্যাডক্লিফের নেতৃত্বাধীন ‘ বর্ডার কমিশন ‘ । 
  • 2. দেশীয় রাজ্যগুলি সার্বভৌমত্ব পাবে , প্রয়োজনে যেকোনো সময় ডোমিনিয়নে যোগ দিতে পারবে । 
  • 3.কোন ডোমিনিয়নে আসাম , শ্রীহট্ট এবং উত্তর – পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত হবে তা গণভোটে স্থির করা হবে । 
  • 4. সংখ্যালঘু প্রধান সিন্ধু , ব্রিটিশ বেলুচিস্তান , উত্তর – পশ্চিম সীমান্ত , পশ্চিম পাঞ্জাব এবং পূর্ব বাংলাকে নিয়ে পাকিস্তানের জন্ম হবে । 
  • 5  পাকিস্তান ও ভারতবর্ষ নামে দু’টি স্বাধীন ডোমিনিয়ন গড়ে উঠবে । 
  • 6. প্রত্যেক ডোমিনিয়নের গণপরিষদ নিজস্ব সংবিধান তৈরি করতে পারবে । মাউন্টব্যাটেনের প্রস্তাবে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল । এগুলি হলো— 

আজাদের মত : মৌলানা আবুল কালাম আজাদ দেশভাগের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন , “ দেশভাগ হলো এক দৈব দুর্বিপাক । ” তাঁর মতে , ভারতভাগ হলো কংগ্রেসের রাজনৈতিক পরাজয়ের নিদর্শন । 

প্যাটেল ও রাজেন্দ্র প্রসাদের অভিমত : বল্লভভাই প্যাটেল মনে করেন ভারত ভাগ কংগ্রেসের পরাজয় বা নতি স্বীকার নয় , তৎকালীন পরিস্থিতিতে দেশভাগই ছিল সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ । ড : রাজেন্দ্র প্রসাদও মনে করেন , গৃহযুদ্ধের চেয়ে দেশভাগ ভালো । আধুনিক ঐতিহাসিকদের অনেকেই ভারত ভাগ প্রশ্নে কংগ্রেসের অবস্থানকে ‘ বাস্তবসম্মত ’ মনে করেন । 

৩. ভারত ছাড়ো আন্দোলন কেন ব্যর্থ হলো ? এই আন্দোলনের গুরুত্ব আলোচনা করো । 

 অথবা , আগস্ট আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণগুলি সংক্ষেপে লেখো । এর গুরুত্ব কি ছিল ? 

উত্তরঃ ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ : বিভিন্ন কারণে শেষ পর্যন্ত ভারত ছাড়ো আন্দোলন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছিল । যথা— 

  • 1. উপযুক্ত নেতৃত্বের অনুপস্থিতি : ভারত ছাড়ো আন্দোলন গান্ধিজির একক নেতৃত্বের উপর নির্ভরশীল ছিল । কিন্তু আন্দোলন শুরু হওয়ার পরই গান্ধিজি সহ কংগ্রেস শীর্ষ নেতাদের কারারুদ্ধ করা হয়েছিল । গান্ধিজির অবর্তমানে আন্দোলনকে টেনে নিয়ে যাওয়ার মতো ব্যক্তিত্ব সেসময় দেশে ছিল না ।
  •  2. তীব্র দমন নীতি : এই আন্দোলন দমনের জন্য ব্রিটিশ সরকার তীব্র দমননীতি অনুসরণ করেছিল । দৈহিক নির্যাতন , গ্রেফতার , ঘর পুড়িয়ে দেওয়া , গুলি চালানো— কোনো কিছুই বাদ দেওয়া হয়নি । : 
  • 3. অন্যান্য দলের বিরোধিতা : কমিউনিস্ট দল ভারত ছাড়ো আন্দোলন মেনে নেয়নি । আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা ব্রিটিশকে মদত দেয় । মুসলিম লিগ – সহ অন্য দলগুলিও কংগ্রেসের সঙ্গে সহযোগিতা করেনি। 
  • 4. অসময়ে সূচনা : ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে সুভাষচন্দ্র জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি থাকাকালীন এই আন্দোলন শুরু করার পক্ষপাতী ছিলেন । আর গান্ধিজি আন্দোলনের ডাক দেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্বে । সেসময় ইংল্যান্ড যুদ্ধে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল । 

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের গুরুত্ব : যেসব কারণে আগস্ট আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ তা হলো : 

  • 1. স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্ব : ভারত ছাড়ো আন্দোলন ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্যায় । ব্রিটিশ শাসনকে যে কোনোভাবে দেশ থেকে বিতাড়িত করার সংকল্প এই আন্দোলনে স্পষ্ট হয় । 
  • 2. জাতীয় বিপ্লব : ৪২ – এর আন্দোলন প্রসঙ্গে নেহরু বলেছেন , “ নেতা নেই , সংগঠন নেই , উদ্যোগ নেই অথচ একটা অসহায় জাতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে আর কোনো উপায় না পেয়ে বিদ্রোহী হয়ে উঠল— এ দৃশ্য বিস্ময়ের । ” 
  • 3. ব্রিটিশ শাসনের মৃত্যুঘণ্টা : ভারত ছাড়ো আন্দোলন প্রকৃত অর্থেই ছিল গণবিদ্রোহ । ঐতিহাসিকদের মতে , এই আন্দোলন ব্রিটিশ সরকারকে বুঝিয়ে দিয়েছিল ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান খুব বেশি দূরে নেই । বলা হয় , এই আন্দোলন ব্রিটিশের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছিল । 
  • 4. জাতীয় ঐক্যবোধ : এই আন্দোলনের ফলে অভূতপূর্ব গণজাগরণ ও জাতীয় ঐক্যবোধ গড়ে ওঠে । এর পরিণতিতে ব্রিটিশ শাসনের ভিত নড়ে গিয়েছিল । কার্যত আন্দোলনের চাপেই ১৯৪৭ সালে ইংরেজরা ভারত ছাড়তে বাধ্য হয় ।

৪. নৌ – বিদ্রোহের কারণ ও গুরুত্ব লেখো । 

উত্তরঃ সূচনা : ১৯৪৬ খ্রিঃ ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া ভারতীয় নৌবাহিনীর বিদ্রোহ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা । এই বিদ্রোহের পশ্চাতে অন্যতম উল্লেখযোগ্য কারণগুলি ছিল –

  • 1. নিম্নমানের খাদ্য সরবরাহ : দীর্ঘদিন ধরে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ভারতের নৌ – সেনাদের অতি নিম্নমানের খাদ্য সরবরাহ করা হতো । এর বিরুদ্ধে নৌ – সেনাদের প্রতিবাদে সরকার কর্ণপাত না করায় তাদের মধ্যে ক্ষোভ ধূমায়িত হয়ে উঠেছিল । 
  • 2. বেতন বৈষম্য : সমযোগ্যতা সত্ত্বেও ভারতীয় নৌ – কর্মচারীদের ব্রিটিশ কর্মচারীদের মতো বেতন দেওয়া হতো না । বেতনের ক্ষেত্রে এই বৈষম্য ভারতীয় নৌসেনাদের ক্ষুব্ধ করে তোলে । 
  • 3. পদোন্নতির সুযোগ না থাকা : ভারতীয় নৌ – কর্মচারীদের কোনোদিনই পদোন্নতি হতো না । অফিসাররা ছিলেন সকলেই শ্বেতাঙ্গ । এছাড়া ভারতীয় নৌসেনাদের চাকরির মেয়াদ শেষে পুনর্বাসনেরও ব্যবস্থা ছিল না । সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে এই স্বল্পতা ভারতীয় নৌসেনাদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভের সঞ্চার করে। 
  • 4. ব্রিটিশ কর্মচারীদের দুর্ব্যবহার : জাতি বিদ্বেষগত কারণে ব্রিটিশ কর্মচারীদের দেশীয় নৌকর্মচারীদের উপর দুর্ব্যবহারও নৌ – বিদ্রোহের অপর একটি কারণ ।  
  • 5. দক্ষিণ এশিয়ার মুক্তি সংগ্রাম : নৌসেনারা ইন্দোনেশিয়ায় প্রেরিত ভারতীয় নাবিকদের প্রত্যাবর্তন – এর দাবি জানায় । এই স্থানে কর্মসেনাদের এই দাবি না মানায় তারা বিদ্রোহের পথে পা বাড়ায় । 
  • 6. I.N.A সেনাদের বিচার : আজাদ হিন্দ বাহিনীর সেনাপতিদের লালকেল্লায় বিচার তদানীন্তন ভারতীয় সেনাদের মনে দারুণ ক্ষোভের সঞ্চার করে যার চরম অভিব্যক্তি ঘটে নৌ – বিদ্রোহের মাধ্যমে । 

বিদ্রোহের সূচনা : ১৯৪৬ খ্রিঃ ১৮ ফেব্রুঃ বোম্বাই – এর নৌ – প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ‘ তলোয়ার ’ জাহাজের ১৫০০ জন নাবিক অখাদ্য আহার গ্রহণে অস্বীকার করে । ঐদিনই জাহাজের যত্রতত্র ‘ জয়হিন্দ ’ , ‘ ইনক্লাব জিন্দাবাদ ’ , ‘ বন্দেমাতরম ’ , ‘ ইংরেজ ভারত ছাড়ো ‘ ইত্যাদি লেখার অপরাধে বলাই দত্তকে গ্রেপ্তার করা হলে নৌ – বিদ্রোহের সূত্রপাত হয় । 

গুরুত্ব : ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের অস্তিমলগ্নে সংঘটিত নৌ – বিদ্রোহের গুরুত্ব অপরিসীম । ডঃ সুমিত সরকার – এর মতে— “ নৌসেনাদের অভ্যুত্থান আজাদ হিন্দ ফৌজের মুক্তিযুদ্ধের থেকেও ছিল অধিক গুরুত্বপূর্ণ । ”

  • 1. ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সংকট : নৌবিদ্রোহের দ্বারা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত্তি টলে যায় এবং ইংরেজরা অনুধাবন করেন ভারতীয় নৌসেনাদের উপর ভরসা করে বেশিদিন রাজত্ব চালানো সম্ভব নয় । 
  • 2. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি : নৌ – বিদ্রোহের দ্বারা হিন্দু – মুসলিম নৌসেনা ও সাধারণ মানুষের ঐক্যবদ্ধ লড়াই – এ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয় ।
  • 3. বীরোচিত সংগ্রাম : নৌ – বিদ্রোহের তীব্রতা ও বিস্তার লক্ষ করে সুমিত সরকার সহ অন্যান্য ঐতিহাসিকদের মতে , নৌ – বিদ্রোহ ছিল বীরোচিত সংগ্রাম যা ব্রিটিশদের ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার সংকেত দিয়েছিল ।
  • 3. ক্ষমতা হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত : গবেষক রজনীপাম দত্তের মতে নৌ – বিদ্রোহের ফলে আতঙ্কিত হয়ে ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী মিশন প্রেরণ করেছিল । 

মূল্যা : ভারতের স্বাধীনতা লাভের প্রাক্কালে নৌ – বিদ্রোহ ছিল শেষ উল্লেখযোগ্য সংগ্রাম । রজনীপাম দত্তের মতে “ নৌ নাবিকদের অভ্যুত্থান , সাধারণ মানুষের সমর্থন এবং বোম্বাই – এর শ্রমিক শ্রেণির নায়কোচিত সিদ্ধান্ত ভারতের নবযুগের সংকেত দিয়েছিল যা ছিল ভারতীয় ইতিহাসে এক বৃহত্তম দিক চিহ্ন । ” 

৫. ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান পর্যালোচনা করো । 

উত্তরঃ সূচনা : ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের শেষ পর্বে একদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং অন্যদিকে ভারত ছাড়ো আন্দোলন চলাকালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজের ভূমিকা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যমণ্ডিত 

  • 1. জাতীয় রাজনীতিতে সুভাষচন্দ্র : অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে নেতাজি জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে নিজেকে সংযুক্ত করেন । তাঁর জনপ্রিয়তার কারণে 1937 এবং 1938 খ্রিস্টাব্দে পরপর দু’বার তাঁকে কংগ্রেস সভাপতি মনোনীত এবং নির্বাচিত করা হয় । 
  • 2. সুভাষচন্দ্রের দেশত্যাগ : তার বিশ্বাস ছিল শান্তিপূর্ণ আলাপ – আলোচনার মাধ্যমে ইংরেজরা কোনো দিনই ভারতকে স্বাধীনতা দেবে না । তাই তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে বৈদেশিক সাহায্য নিয়ে ভারতকে স্বাধীন করার প্রয়াস চালান । এই জন্যে বিশ্বযুদ্ধকালে 1940 খ্রিস্টাব্দে ভারত রক্ষা আইনে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় যদিও ব্রিটিশের কড়া প্রহরা এড়িয়ে জিয়াউদ্দিনের ছদ্মবেশে দেশত্যাগ করে তিনি বেরিয়ে পড়েন । 
  • 3. বৈদেশিক সাহায্য লাভের প্রচেষ্টা : ভারত থেকে কাবুল হয়ে বার্লিনে যাওয়ার পথে নেতাজি মস্কোতে কিছুদিন অবস্থান করেন । মস্কোয় তিনি রুশ নেতাদের কাছে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্যে সাহায্য প্রার্থনা করেন । 

 এরপর জার্মানির বার্লিনে পৌঁছে প্রায় 20 জন প্রবাসী ভারতীয়কে নিয়ে গড়ে তোলেন ‘ Free India Centre ‘ । এর কিছুদিন পরেই সেখানে ভারতীয় যুদ্ধবন্দিদের নিয়ে গঠন করেন ‘ Indialigion ‘ । এরপর তিনি হিটলারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী রিবনট্রপ – এর কাছে ভারতীয় মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে সাহায্য প্রার্থনা করেন । এছাড়া তিনি ব্রিটিশ বিরোধী জাপানের কাছ থেকে সাহায্যের আশ্বাস লাভ করার জন্যে জাপানি প্রধানমন্ত্রী তোজোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন । 

আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠা : 1943 খ্রিস্টাব্দে 21 অক্টোবর নেতাজি আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করার কথা ঘোষণা করেন যার লক্ষ্য ছিল ভারত থেকে ব্রিটিশ শাসনের উৎখাত করা । © I.N.A- এর নেতৃত্ব গ্রহণ জাপানে ব্যাংককে রাসবিহারী বসুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা INDIAN NATIONAL ARMY ‘ বা ‘ আজাদ হিন্দ ফৌজ ’ – এর পরিচালনার মূল দায়িত্ব 1943 খ্রিস্টাব্দে নেতাজি সুভাষচন্দ্রকে দেওয়া হয় । আজাদ হিন্দ বাহিনীর নেতৃত্ব গ্রহণের পর তিনি গান্ধি বিগ্রেড , আজাদ বিগ্রেড , নেহেরু বিগ্রেডে বিভক্ত করে আজাদ হিন্দ বাহিনীকে পুনর্গঠন করেন । 

ভারত অভিযান : 1943 খ্রিস্টাব্দে 23 অক্টোবর আজাদ হিন্দ সরকার ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে ব্রিটেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে । এরপর আজাদ হিন্দের সেনারা তাইপিং থেকে যাত্রা শুরু করে পাহাড় , পর্বত , নদী টপকে 406 মাইল পায়ে হেঁটে ভারত সীমান্তের দিকে পাড়ি দেন । অবশেষে কোহিমা পর্যন্ত এসে ভারতের মাটিতে তিরঙ্গা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে নেতাজি 1946 খ্রিস্টাব্দে 6 এপ্রিল ‘ দিল্লি চলো ‘ – এর ডাক দেন । এছাড়া তিনি ঘোষণা করেন— “ তোমরা আমাকে রক্ত দাও , আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব । ” 

মূল্যায়ন : নেতাজি চরম আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ভারতবাসীর স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন তাই গান্ধিজি আজাদ হিন্দ বাহিনীর মূল্যায়নের বলেছিলেন— “ যদি আজাদ হিন্দ ফৌজ তাদের আশু লক্ষ্যে পৌছাতে পারেনি তবুও তারা এমন কিছু করেছে যে জন্যে তারা গর্ববোধ করতে পারে । ”

উচ্চমাধ্যমিক সাজেশন ২০২৪ – HS Suggestion 2024

আরোও দেখুন:-

HS Bengali Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS English Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Geography Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS History Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Political Science Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Philosophy Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Sociology Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Sanskrit Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Education Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Physics Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Chemistry Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Biology Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Mathematics Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Suggestion 2024 Click here

পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক  ইতিহাস পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর ও শেষ মুহূর্তের সাজেশন ডাউনলোড। দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। West Bengal HS  History Suggestion Download. WBCHSE HS History short question suggestion. HS Class 12 History Suggestion PDF download. HS Question Paper  Political science. WB HS 2022 History suggestion and important questions. HS Class 12 History Suggestion PDF.

Get the HS Class 12 History Suggestion PDF by winexam.in

 West Bengal HS Class 12 History Suggestion PDF  prepared by expert subject teachers. WB HS  History Suggestion with 100% Common in the Examination.

Class 12th History Suggestion

West Bengal HS  History Suggestion Download. WBCHSE HS History short question suggestion. HS Class 12 History Suggestion PDF  download. HS Question Paper  Political science.

দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর |  WB HS History  Suggestion

দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস (HS Political science) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর। দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর |  WB HS History  Suggestion

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন | Higher Secondary History Suggestion

দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের (WBCHSE) সিলেবাস বা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী  দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস বিষয়টির সমস্ত প্রশ্নোত্তর। সামনেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, তার আগে winexam.in আপনার সুবিধার্থে নিয়ে এল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন | Higher Secondary History Suggestion । ইতিহাস বিষয়ে ভালো রেজাল্ট করতে হলে অবশ্যই পড়ুন আমাদের দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন বই ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস সাজেশন | West Bengal Class 12th Suggestion

আমরা WBCHSE উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ের – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস সাজেশন | West Bengal Class 12th Suggestion আলোচনা করেছি। আপনারা যারা এবছর দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাদের জন্য আমরা কিছু প্রশ্ন সাজেশন আকারে দিয়েছি. এই প্রশ্নগুলি পশ্চিমবঙ্গ দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস পরীক্ষা  তে আসার সম্ভাবনা খুব বেশি. তাই আমরা আশা করছি HS ইতিহাস পরীক্ষার সাজেশন কমন এই প্রশ্ন গুলো সমাধান করলে আপনাদের মার্কস বেশি আসার চান্স থাকবে।

দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) | HS Class 12 History Suggestion with FREE PDF Download

History Class XII, History Class Twelve, WBCHSE, syllabus, HS Political science, দ্বাদশ শ্রেণি ইতিহাস, ক্লাস টোয়েলভ ইতিহাস, উচ্চ মাধ্যমিকের ইতিহাস, ইতিহাস উচ্চ মাধ্যমিক – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়), দ্বাদশ শ্রেণী – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়), উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়), ক্লাস টেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়), HS History – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়), Class 12th দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়), Class X দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়), ইংলিশ, উচ্চ মাধ্যমিক ইংলিশ, পরীক্ষা প্রস্তুতি, রেল, গ্রুপ ডি, এস এস সি, পি, এস, সি, সি এস সি, ডব্লু বি সি এস, নেট, সেট, চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতি, HS Suggestion, HS Suggestion , HS Suggestion , West Bengal Secondary Board exam suggestion, West Bengal Higher Secondary Board exam suggestion , WBCHSE , উচ্চ মাধ্যমিক সাজেশান, উচ্চ মাধ্যমিক সাজেশান , উচ্চ মাধ্যমিক সাজেশান , উচ্চ মাধ্যমিক সাজেশন, দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশান ,  দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশান , দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস , দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, HS Suggestion History , দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion PDF PDF, দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion PDF PDF, দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – সাজেশন | দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion PDF PDF, দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion PDF PDF,দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion PDF PDF, দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion PDF, HS History Suggestion PDF ,  West Bengal Class 12 History Suggestion PDF.

FILE INFO : HS Class 12 History Suggestion PDF Download for FREE | দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন বিনামূল্যে ডাউনলোড করুণ | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর, সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর, ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নউত্তর

PDF Name : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion PDF

Price : FREE

Download Link : Click Here To Download

  এই (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন | HS Class 12 History Suggestion PDF) পোস্টটি থেকে যদি আপনার লাভ হয় তাহলে আমাদের পরিশ্রম সফল হবে। আরোও বিভিন্ন স্কুল বোর্ড পরীক্ষা, প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার সাজেশন, অতিসংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত ও রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (All Exam Guide Suggestion, MCQ Type, Short, Descriptive Question and answer), প্রতিদিন নতুন নতুন চাকরির খবর (Job News) জানতে এবং সমস্ত পরীক্ষার এডমিট কার্ড ডাউনলোড (All Exam Admit Card Download) করতে winexam.in ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here