সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল - মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion PDF
মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন – সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল সাজেশন – Madhyamik Bengali Suggestion PDF : সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ও অধ্যায় ভিত্তিতে প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হল। এবার পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় বা মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় ( WB Madhyamik Bengali Suggestion PDF | West Bengal Madhyamik Bengali Suggestion PDF | WBBSE Board Class 10th Bengali Question and Answer with PDF file Download) এই প্রশ্নউত্তর ও সাজেশন খুব ইম্পর্টেন্ট । আপনারা যারা আগামী মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য বা মাধ্যমিক বাংলা – সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল | Madhyamik Bengali Suggestion PDF | WBBSE Board Madhyamik Class 10th (X) Bengali Suggestion Question and Answer খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর ভালো করে পড়তে পারেন।
পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন (West Bengal Madhyamik Bengali Suggestion PDF / Notes) সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল – প্রশ্ন উত্তর – MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (SAQ), সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (Short Question and Answer), ব্যাখ্যাধর্মী বা রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (descriptive question and answer) এবং PDF ফাইল ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে দেওয়া রয়েছে।
Answer: ‘ সিন্ধুতীরে ’ কবিতা অনুসারে , সমুদ্রকন্যা পদ্মা ভেবেছিলেন যে , হয়তো প্রবল ঝড়ের প্রকোপে সমুদ্রের বুকে নৌকাডুবি হয়ে পঞ্চকন্যা সমুদ্রপীড়ায় আক্রান্ত হয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছেন ।
Answer: আলাওলের ‘ সিন্ধুতীরে ‘ কবিতায় উদ্যানে ভ্রমণকালে সংজ্ঞাহীন পঞ্চকন্যাকে দেখে পদ্মা তাঁর সখীদের সেই পঞ্চকন্যাকে বসনে ঢেকে উদ্যানে আনার আদেশ দেন ।
Answer: ‘ সিন্ধুতীরে ’ কবিতায় পদ্মা ও তাঁর সখীরা অচৈতন্য পঞ্চকন্যাকে মাথায় ও পায়ে গরম সেঁক দেন । পদ্মা তাঁর অর্জিত বিদ্যাবলে তন্ত্রমন্ত্র ও মহৌষধি দিয়ে তাদের চিকিৎসা করেন ।
Answer: আলাওল রচিত ‘ সিন্ধুতীরে ‘ কাব্যাংশের বর্ণনা অনুযায়ী , সমুদ্রকন্যা পদ্মা ও তার সখীদের বহু যত্ন ও মন্ত্র – তন্ত্র – মহৌষধি সহযোগে । চার দণ্ডব্যাপী চিকিৎসার ফলে পঞ্চকন্যা চেতনা ফিরে পেল ।
Answer: কবি সৈয়দ আলাওল আরাকান রাজসভার অমাত্য মাগন ঠাকুরের আদেশে ‘ পদ্মাবতী ‘ রচনা শুরু করেন । তাই সেকালের মধ্যযুগীয় সাহিত্যরীতি অনুসারে তাঁর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানাতে কবিতার শেষে মাগন ঠাকুরের নামোল্লেখ করা হয়েছে ।
Answer: সৈয়দ আলাওলের ‘ সিন্ধুতীরে ‘ কাব্যাংশটি ‘ পদ্মাবত কাব্যের অন্তর্গত । এখানে কন্যাটি হল সিংহলরাজ গন্ধর্বসেনের কন এবং চিতোররাজ রত্নসেনের দ্বিতীয়া স্ত্রী পদ্মাবতী । রাজা রত্নসেন সমুদ্রে মধ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পড়ে সব হারান । তখন তিনি স্ত্রী পদ্মাবতীস চারসখীকে একটি মান্দাসে তুলে দিয়েছিলেন । মান্দাস প্রবল ঢেউয়ে ভাসে ভাসতে তটভূমিতে আছড়ে পড়েছিল ।
Answer: সৈয়দ আলাওলের ‘ সিন্ধুতীরে ‘ কবিতা অনুসারে সমুদ্রসংল দেশ বা নগরীটি স্বর্গীয় এবং অলৌকিক বৈচিত্র্যে ভরা । সেখানকার মানুষদের কোনো দুঃখ বা দুর্দশা নেই আর সকলে সৎ – ধর্মাচরণ করে ।
Answer: 11 নং প্রশ্নের উত্তর দ্যাখো ।
Answer: সৈয়দ আলাওলের ‘ সিন্ধুতীরে ‘ কবিতায় ‘ সমুদ্র মাঝার ‘ – এ উল্লিখিত দেশটিতে মানুষের কোনো দুঃখদুর্দশা কিংবা কষ্ট ছিল না ।
Answer: প্রশ্নোদ্ধৃত অংশটি সৈয়দ আলাওলের ‘ সিন্ধুতীরে ’ কাব্যাংশ থেকে গৃহীত । ‘ টঙ্গি ’ শব্দের অর্থ হল প্রাসাদ ।
Answer: সৈয়দ আলাওলের ‘ পদ্মাবতী ‘ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘ সিন্ধুতীরে ’ কাব্যাংশে , দুই কন্যার একজন হলেন চিতোররাজ রত্নসেনের দ্বিতীয়া স্ত্রী পদ্মাবতী এবং আরেকজন হলেন সমুদ্ররাজের কন্যা পদ্মা । ‘ নিপতিতা চেতন রহিত ।
Answer: সৈয়দ আলাওলের ‘ পদ্মাবতী ’ কাব্যাংশ অনুসারে রাজা রত্নসেনের দ্বিতীয়া স্ত্রী পদ্মাবতী মান্দাসে শুয়ে ঢেউয়ে ভাসতে ভাসতে সমুদ্রতীরবর্তী এক স্থানে এসে চেতনা হারিয়েছিলেন ।
Answer: কবি সৈয়দ আলাওল আনুমানিক ১৬৪৫ থেকে ১৬৫২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ‘ পদ্মাবতী ’ কাব্যটি রচনা করেন । পাঠ্য ‘ সিন্ধুতীরে ’ কাব্যাংশটি ‘ পদ্মাবতী ’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত । সুতরাং , এটি সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন ।
Answer: সৈয়দ আলাওলের ‘ সিন্ধুতীরে ‘ কবিতা অনুসারে , অচেতন পদ্মাবতীকে দেখে সমুদ্রকন্যা পদ্মার মনে হয়েছিল সমুদ্রঝড়ে আক্রান্ত হয়ে নৌকাডুবি হওয়ার ফলে , সামুদ্রিক পীড়া বা সিন্ধু – ক্লেশের ফলে তিনি জ্ঞান হারিয়েছেন ।
Answer: সপ্তদশ শতকে আরাকান রাজসভার কবি সৈয়দ আলাওল ‘ সিন্ধুতীরে ’ কাব্যাংশটি রচনা করেন ।
Answer: সৈয়দ আলাওল আরাকান রাজসভার পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন ।
Answer: ‘ সিন্ধুতীরে ’ কাব্যাংশটি কবি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘ পদ্মাবতী ’ কাব্যগ্রন্থের ‘ পদ্মা সমুদ্র ’ খণ্ড ( ৩৫ – তম ) থেকে গৃহীত ।
Answer: আলাওল রচিত ‘ পদ্মাবতী ’ কাব্যগ্রন্থটি হিন্দি কবি মালিক মুহম্মদ জায়সী রচিত ‘ পদুমাবৎ ‘ কাব্যের অনুসরণে রচিত ।
Answer: পাঠ্য হিসেবে নির্বাচিত ‘ সিন্ধুতীরে ’ কাব্যাংশটি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘ পদ্মাবতী ‘ কাব্যের ‘ পদ্মা সমুদ্র ‘ নামক ৩৫ – তম খণ্ড থেকে নেওয়া হয়েছে ।
Answer: সৈয়দ আলাওল রচিত ‘ পদ্মাবতী ‘ কাব্যের ‘ পদ্মা সমুদ্র ‘ গণ্ড থেকে গৃহীত ‘ সিন্ধুতীরে ’ কাব্যাংশটি ত্রিপদী ছন্দে রচিত ।
Answer: সৈয়দ আলাওলের ‘ সিন্ধুতীরে ‘ কবিতায় ‘ দিব্য পুরী ‘ বলতে এক অতিমনোহর নগরীর কথা বলা হয়েছে । সেখানে কোনো দুঃখকষ্ট নেই , সর্বদা সত্যধর্ম ও সৎ – আচরণ পালিত হয় ।
Answer: আলাওল তাঁর ‘ সিন্ধুতীরে ’ কবিতায় ‘ সমুদ্রনৃপতি সুতা ’ অর্থাৎ সমুদ্ররাজের কন্যা বলতে , পদ্মা নামের এক গুণবতী কন্যাকে বুঝিয়েছেন । ‘ জায়সী ‘ – র লেখা মূল কাব্যে অবশ্য এঁর নাম ‘ লক্ষ্মী ।
Answer: আলাওলের ‘ ‘ সিন্ধুতীরে ‘ কবিতায় সমুদ্রের নিকটস্থ নগরটিকে ‘ দিব্যস্থান ’ বলা হয়েছে নগরটির সৌন্দর্য , মানুষের দুঃখকষ্টহীনতা , সত্যধর্ম ও সৎ – আচরণ পালনের জন্য । নগরটির সৌন্দর্য স্বর্গের উদ্যানের সঙ্গে তুলনীয় ।
Answer: ‘ সিন্ধুতীরে ’ কবিতা অবলম্বনে , সমুদ্রের তীরে অবস্থিত , সৌন্দর্যময় মনোরম নগরীতে যে – সুউচ্চ পর্বত অবস্থিত , সমুদ্রকন্যা পদ্মা তার পাশে উদ্যান রচনা করেছিলেন ।
Answer: ‘ সিন্ধুতীরে ‘ কাব্যাংশ থেকে গৃহীত আলোচ্য অংশে ‘ তথ্য ‘ বলতে সমুদ্রকন্যা পদ্মার নিজের হাতে রচিত উদ্যানের মধ্যে অবস্থিত রত্নখচিত উচ্চ টঙ্গি অর্থাৎ রাজপ্রাসাদের কথা বলা হয়েছে ।
Answer: সিন্ধুতীরে কবিতায় , সমুদ্রকন্যা পদ্মা পিতৃগৃহে হেসে – খেলে সুখে রাত্রিযাপন করতেন এবং প্রত্যুষে অর্থাৎ খুব সকালে সখীদের সঙ্গে নিয়ে নিজের তৈরি বাগানে ভ্রমণ করতেন ।
Answer: ‘ সিন্ধুতীরে ‘ কবিতানুসারে ভোরবেলা সখীসহ বাগানে বেড়ানোর সময় পদ্মা সমুদ্রতীরে একটি ভেলা দেখতে পেয়ে দ্রুত সেখানে । পৌঁছে ভেলায় অচৈতন্য পাঁচ কন্যাকে দেখতে পেলেন ।
Answer: ‘ সিন্ধুতীরে ‘ কাব্যাংশে সমুদ্রকন্যা পদ্মা উদ্যান – ভ্রমণে এসে সংজ্ঞাহীন পঞ্চকন্যার মধ্যে স্বর্গের অপ্সরার মতো সুন্দর সিংহল – রাজকন্যা পদ্মাবতীকে আবিষ্কার করলেন । এখানে তাঁর কথাই বলা হয়েছে ।
Answer: সৈয়দ আলাওলের ‘ সিন্ধুতীরে ’ কবিতা অনুসারে , সংজ্ঞাহীন অপরুপা কন্যাটিকে দেখে , সমুদ্রকন্যা পদ্মা অনুমান করেছিলেন যে , হয়তো বা দেবরাজ ইন্দ্রের অভিশাপে কোনো বিদ্যাধরি স্বর্গর্ভন্ট হয়ে পৃথিবীতে এসে পড়েছেন কিংবা সামুদ্রিক ঝড়ের প্রকোপে এই অবস্থা ।
Answer: (D) আছে
Answer: (A) চিকিৎসা করব
Answer: (C) নিরঞ্জন
Answer: (A) পদ্মা
Answer: (A) পাঁচ
Answer: (B) তন্ত্র – মন্ত্র – মহৌষধি দিয়ে
Answer: (B) আলাওলের পৃষ্ঠপোষক
Answer: (D) ভনিতা
Answer: (A) ভেলা
10.‘ বিদ্যাধরি ’ আসলে কে ? (A) ইন্দ্রের সভার নৃত্যশিল্পী(B) ব্রহ্মার মানসকন্যা(C) ইন্দ্রের সভার বাচিক শিল্পী(D) ইন্দ্রের সভার গায়িকা
Answer: (D) ইন্দ্রের সভার গায়িকা
Answer: (B) পদ্মাবতী
Answer: (C) ফল ফুলে সজ্জিত
Answer: (D) সমুদ্র পার্শ্ববর্তী পার্বত্য অঞ্চলকে
Answer: (D) প্রাসাদ
Answer: (C) রত্নসেনের কন্যা পদ্মাবতী
Answer: (B) সৈয়দ আলাওল
Answer: (A) মালিক মুহম্মদ জায়সী
Answer: (B) পদ্মাবতী
Answer: (A) পদ্মা সমুদ্র খণ্ড
Answer: (A) সপ্তদশ শতক
Answer: A) সুন্দর প্রাসাদ
Answer: C) সমুদ্র মাঝারে
Answer: (B) পদ্মা
Answer: (D) ভোর
Answer: (B) পদ্মা
Answer: (A) সংজ্ঞাহীন
Answer: C) কন্যা
Answer: (D) মেয়েটি হল বিদ্যাধরি
Answer: (A) ইন্দ্রের অভিশাপে
Answer: C) বায়ু
Answer: মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের মুসলমান কবিদের অন্যতম সৈয়দ আলাওল রচিত ‘ পদ্মাবতী ‘ কাব্যের অংশ বিশেষ ‘ সিন্ধুতীৱে ‘ কবিতাটি শুরু হচ্ছে সিংহল – রাজকন্যা পদ্মাবতী ও তার চার সখীর সমুদ্রের জলে পতন ও সমুদ্রবক্ষে অবস্থিত এক নগরীতে এসে পড়া দিয়ে । নগরীর বর্ণনাতে তিনি এক রূপকথার সব পেয়েছির দেশ এঁকেছেন , যে – দেশে মনোরম সৌন্দর্যের পাশাপাশি দুঃখ – ক্লেশের লেশমাত্র নেই , সত্য ধর্ম ও সদাচার যে – নগরীর শিরোভূষণ , সেই নগরীতে বাস করেন সমুদ্রনৃপতি – কন্যা পদ্মা । পর্বতের পাশে অবস্থিত এক সুন্দর উদ্যানের রচয়িতা তিনি , যে – উদ্যানে নানাবর্ণ ও গন্ধের ফুল এবং ফলের সমারোহ । সেখানে আসার পথে পদ্মা সন্দ্বীদের সঙ্গে এক অপরূপা কন্যাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান । সেই কন্যার অবস্থা দেখে সমুদ্রকন্যা পদ্মা অনুমান করেন হয়তো স্বর্গের কোনো অপ্সরা তার সন্দ্বীদের সঙ্গে ইন্দ্রের অভিশাপে স্বর্গভ্রষ্ট হয়েছেন অথবা কোনো সামুদ্রিক ঝড়ের প্রকোপে তাদের এই অবস্থা । মৃতপ্রায় পদ্মাবতী ও তার চার সখীকে রক্ষা করার জন্য সমুদ্রকন্যা পদ্মা নিজের সকল বিদ্যা প্রয়োগ করেন । বহু তন্ত্রমন্ত্র ও মহৌষধি প্রয়োগের পর অবশেষে তাদের জ্ঞান ফেরে । ‘ সিন্ধুতীরে ‘ কবিতার এই হল মূল উপজীব্য ।
Answer: কবিতার বৈশিষ্ট্য ব্যতিক্রমী স্বাস্থ্যের পরিস্ফুটন উত্তর বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে আরাকান রাজসভার মুসলমান কবিরা প্রচলিত রীতিনীতি ও আঙ্গিক থেকে বেরিয়ে এক নতুন দিশার সন্ধান দিয়েছিলেন । যদিও সৈয়দ আলাওলের ‘ পদ্মাবতী ’ ও ‘ লোরচন্দ্রাণী কাব্যের কিছু অংশ ছাড়া প্রায় সব রচনাই ইসলামি শাস্ত্র ও আধ্যাত্মিকতার প্রচার । তা সত্ত্বেও মধ্যযুগে যে সময়ে দেবদেবীর মাহাত্ম্য বর্ণনাই ছিল রচনাকারদের মুখ্য অভিপ্রায় । সেই সময়ে দাঁড়িয়ে সৈয়দ আলাওল ‘ পদ্মাবতী ‘ – তে মানব – মানবীর প্রণয়কাহিনিকে মূল উপজীব্য করে কাব্য রচনা করেছেন । ‘ সিন্ধুতীরে ‘ কবিতাটিতেও লক্ষ করা যায় , পদ্মাবতী ও তার সখীদের চেতনা ফেরাতে সমুদ্রকন্যা পদ্মা ঈশ্বরকে স্মরণ করেছেন ; পিতার পুণ্যবল ও নিজের ভাগ্যের ওপরেও ভরসা করেছেন ; তা সত্ত্বেও সর্বোপরি সমগ্র কবিতাটিতে প্রধান হয়ে উঠেছে মানবিকতা । সমুদ্রকন্যা পদ্মার অচেনা – অজ্ঞাত নামপরিচয়হীন পঞ্চকন্যার আরোগ্য নিয়ে যে – দুশ্চিন্তা , আকুতি ও ব্যাকুলতা প্রকাশিত হয়েছে , তা তৎকালীন সাহিত্যে বিরল । মধ্যযুগীয় সাহিত্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায় , কাব্যের নায়ক বা নায়িকা সংকটজনক পরিস্থিতিতে নিজ নিজ আরাধ্য দেবতাকে স্মরণ করেন এবং দেবতার মাহাত্ম্যেই তার বিপন্মুক্তি ঘটে । কিন্তু ‘ সিন্ধুতীরে ‘ কবিতায় কবি সমুদ্রকন্যা পদ্মাকে দিয়ে ঈশ্বরকে স্মরণ করালেও শেষপর্যন্ত কার্যোদ্ধার করেছেন পদ্মা নিজেই । কোনো দেবমাহাত্ম্য নয় , পদ্মার অন্তরের মানবিকতা এবং জ্ঞান ও বিদ্যাই এতে সহায়ক হয়েছে । সুতরাং , মানবিকতায় পরিপূর্ণ ‘ সিন্ধুতীরে ‘ কবিতাটি মধ্যযুগে লেখা হলেও , আধুনিক সাহিত্যের মানবতাবোধের পূর্বসুরি , এখানেই তার বিশিষ্টতা ও স্বাতন্ত্র্য ।
Answer: ‘ পদ্মাবতী ‘ কাব্যের অন্তর্ভুক্ত ‘ সিন্ধুতীরে ‘ কবিতার কবি সৈয়দ আলাওলের কবিপ্রতিভা বিচার করতে গেলে প্রথমেই বিচার্য হয় , অনুবাদক হিসেবে তাঁর সাফল্যের কথা । মুহম্মদ জায়সীর ‘ পদুমাবৎ ‘ কাবাকে , সরল পয়ার ও ত্রিপদীতে রূপান্তরিত করে আলাওল ‘ পদ্মাবতী ‘ কাব্যটির অনুবাদ করেন । তাঁর ভাষা সাবলীল ও সহজ । ‘ সিন্ধুতীরে ‘ কবিতাটি সমগ্র কাব্যের একটি অতিক্ষুদ্র অংশ হলেও , চরিত্রগুলি স্পষ্ট ও মানবিকতার পরিপূর্ণ । পয়ার – ত্রিপদী হলেও কবির দক্ষতা ” সিতীয়ে– কবির , কিন্তু আলাওলের কাব্য জায়সীর অনুবাদ হলেও , তা বিশুদ্ধ মর্ত্যলোকে কেন্দ্র করেই রচিত । আলাওল অনুবাদের সময় খুঁটিনাটির দিকে লক্ষ রেখেছেন । উদ্যানের বর্ণনায় , নগরীর বর্ণনায় বা পদ্মাবতীকে দেখে সমুদ্রকন্যা পদ্মার মানসিক প্রতিক্রিয়া বর্ণনায় তিনি প্রায় নিখুঁত । মধ্যযুগীয় দেবকৃপা নির্ভরতা – ভনিতা প্রভৃতি রীতিনীতি অনুসরণ করেও তিনি মানবতাকে অবলম্বন করে , তাঁর কাব্যে আধুনিকতার স্পষ্ট । ছাপ রেখে গেছেন ।
Answer: মধ্যযুগীয় অন্য কবিরা যে – সময়ে দেবদেবীর মাহাত্ম্য বর্ণনায় রত , তখন আরাকানে বসে আলাওল সম্পূর্ণ মানবীয় প্রেমকাহিনি – নির্ভর কাব্য রচনা করেছেন । তাঁর মৌলিকতার পরিচয় বিধৃত রয়েছে এই কাব্যটিতে । আলাওলের কাব্য জায়সীর প্রায় কবিতার ভাষা আক্ষরিক অনুবাদ হলেও জায়সীর অধ্যাত্মরস তাঁর কাব্যে অনুপস্থিত । আলাওলের অনুবাদের ভাষা এ কথার প্রমাণ দেয় যে , হিন্দি ভাষায় তিনি যথেষ্ট দক্ষ ছিলেন । অন্য অনেক অনুবাদ কাব্যের মতো ‘ পদ্মাবতী ’ আড়ষ্ট অনুবাদ নয়— এক ধরনের রূপকথার সাবলীলতা তাতে লক্ষ করা যায় ।
আলাওল মুহম্মদ জায়সীর কাব্যের হিন্দি চৌপাই ছন্দ ভেঙে বাংলা পয়ার – ত্রিপদীতে তাঁর ‘ পদ্মাবতী ’ রচনা করেছিলেন , কবিতার ছন্দ যা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে । কবিতায় ব্যবহৃত উপমা আলোচ্য ‘ সিন্ধুতীরে ‘ কবিতায় পাঠক সমগ্র ‘ পদ্মাবতী ‘ কাব্যের উপমা সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন । কবি উদ্যানে প্রস্ফুটিত পুষ্পের বর্ণনা দিতে দিয়ে জানাচ্ছেন ‘ সুগন্ধি সৌরভতর ‘ অর্থাৎ সুগন্ধি অপেক্ষাও যার সৌরভ সুঘ্রাণ । পদ্মাবতীকে প্রথম দর্শনেই সমুদ্রকন্যা পদ্মা স্বর্গের অপ্সরা রম্ভার সঙ্গে তুলনা করেছেন । তারপর একে একে ‘ ইন্দ্রশাপে স্বর্গভ্রষ্ট বিদ্যাধরি ‘ , ‘ চিত্রের পোতলি ‘ ইত্যাদি উপমায় ভূষিত করেছেন । এই সমস্ত উপমা থেকেই বোঝা যায় , কবি আলাওলের উপমা সৃষ্টিতে দক্ষতা ছিল প্রশ্নাতীত । তাই ভাষা , ছন্দ ও উপমা নির্মাণে সৈয়দ আলাওল মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে একজন প্রথম শ্রেণির কবি হিসেবেই বিবেচিত হন ।
Answer: প্রশ্নোদ্ভূত অংশটি সৈয়দ আলাওলের ‘ পদ্মাবতী ‘ কাব্যের অন্তর্গত ‘ সিন্ধুতীরে ’ কাব্যাংশ থেকে গৃহীত । এখানে ‘ বালা ’ বলতে সমুদ্ররাজার কন্যা গুণবতী পদ্মার কথা ‘ বালা ‘ – র পরিচয় বলা হয়েছে । বালার সৌন্দর্যপ্রীতির পরিচয়
কবি আলাওল সিন্ধুতীরের যে অংশে পদ্মাবতী অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিল সেখানকার এক সুন্দর বর্ণনা তুলে ধরেছেন । ‘ সমুদ্রনৃপতিসুতা ’ পদ্মা এখানেই তার বাসস্থান গড়ে তোলেন । অপরূপ সৌন্দর্যময় প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য স্থানটিকে দিব্যভূমির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে । সেখানে কোনো দুঃখকষ্ট ছিল না । ছিল শুধু সআচরণ ও সত্যধর্ম পালনের অভ্যাস । সেই দিব্যভূমির উপরের দিকে ছিল এক পর্বত । সেখানেই সমুদ্রকন্যা পদ্মা এক উদ্যান তৈরি করেন । যে – উদ্যানে ফল ও ফুলের প্রাচুর্য ছিল । নানান ফুলের সুগন্ধে বাগানটি ভরে থাকত । এরই মাঝে পদ্মা রত্নশোভিত বিচিত্র প্রাসাদ গড়ে তোলেন । এইরূপ অপরুপ রুপময় সৌন্দর্যপূর্ণ স্থান পরিত্যাগ করতে কারই বা ভালো লাগে । তাই পদ্মাও সমুদ্রতীরের সেই দিব্যস্থান ত্যাগ না করে সেখানেই সর্বক্ষণ থাকেন । এভাবে এই স্থানটির বর্ণনায় । কবি সমুদ্রকন্যার হৃদয়ের প্রকৃতিপ্রেম ও সৌন্দর্যবোধকে যেমন তুলে ধরেছেন , তেমনই মানবিক সৌন্দর্যপ্রীতির এক চিরকালীন আবেদনকে ফুটিয়ে তুলেছেন । মধ্যযুগীয় সাহিত্যে যা আধুনিক সৌন্দর্যভাবনার পূর্বসূরি । পিতৃপুরীতে রাত্রিযাপন করে পুনরায় সকালে সখীদের সঙ্গে উদ্যানে ফিরে আসার মধ্য দিয়ে পদ্মার হৃদয়ের সেই দিকটিরই প্রকাশ ঘটেছে ।
Answer: সৈয়দ আলাওলের ‘ সিন্ধুতীরে ’ কাব্যাংশ অনুসারে সমুদ্রকন্যা মাসে কারা , কাকে দ্যাখে পদ্মা সখীদের সঙ্গে উদ্যানে যাওয়ার সময় সমুদ্রতীরে ভেলায় চার সখীসহ পদ্মাবতীকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পান ।
মান্দাসে ভাসমান অসহায় পঞ্চকন্যাকে দেখে পদ্মা কৌতূহলবশত দ্রুত সেখানে ছুটে যান । চার সখীর মাঝে এক অপরূপ সৌন্দর্যময়ী নারীকেও অচেতন অবস্থায় দেখেন । সেই কন্যার অবস্থা দেখে তাঁর মনে হয় ইন্দ্রের অভিশাপে হয়তো কোনো স্বর্গের অপ্সরা সখীদের পরবর্তী ঘটনার বর্ণনা সঙ্গে স্বর্গভ্রষ্ট হয়েছেন কিংবা কোনো সামুদ্রিক ঝড়ের প্রভাবে এই অবস্থা । তখনও তাদের শরীরে আর সামান্য শ্বাসবায়ু অবশিষ্ট আছে দেখে ; পদ্মার মন দয়ায় পূর্ণ হয়ে ওঠে । তিনি স্নেহপূর্ণ মনে ঈশ্বরের কাছে এদের জন্য মঙ্গল কামনা করেন । পিতার পুণ্য এবং নিজের ভাগ্যবলের দোহাই দিয়ে পঞ্চকন্যার জীবন ফিরে পাওয়ার আশায় তিনি বিধাতার কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করতে থাকেন । সেইসঙ্গে নিজেও যথাসাধ্য চিকিৎসা করার সংকল্প করেন । এরপরেই তাঁর নির্দেশে সখীরা পঞ্চকন্যাকে কাপড় দিয়ে ঢেকে উদ্যানে নিয়ে যায় । বারবার তাদের মাথায় পায়ে আগুনের গরম সেঁক দেয় । একইসঙ্গে তন্ত্রমন্ত্র ও মহৌষধ অর্থাৎ পদ্মার সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় অবশেষে চারদণ্ড পরে পঞ্চকন্যা চেতনা ফিরে পায় । এভাবেই সমুদ্রকন্যার মায়া , মমতা ও ভালোবাসায় পদ্মাবতী এবং তাঁর সখীরা পুনর্জীবন লাভ করে ।
Answer: সপ্তদশ শতকের আরাকান রাজসভার কবি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘ পদ্মাবতী ’ কাব্যের থেকে গৃহীত ‘ সিন্ধুতীরে ’ নামক পদ্যাংশ থেকে কন্যার পরিচয় আলোচ্য অংশটি উদ্ধৃত । কাব্যের মুখ্য চরিত্র পদ্মাবতীকেই এখানে ‘ কন্যা ‘ বলে সম্বোধন করা হয়েছে । পদ্মাবতী ছিলেন সিংহল রাজদুহিতা । ইতিহাস ও লোকশ্রুতি অনুসারে এই পদ্মাবতী পরবর্তীকালে চিতোরের রানা রত্নসেনের দ্বিতীয় পত্নীর মর্যাদা লাভ করেন ।
পাঠ্য ‘ সিন্ধুতীরে ’ কবিতা অনুসারে পদ্মাবতী সমুদ্রের তীরে যেখানে পড়েছিলেন , সেখানে একটি অনন্য সৌন্দর্যময় নগরী অবস্থিত । সেখানে দুঃখদুর্দশার লেশ মাত্র নেই । ন্যায় , সত্যধর্ম ও সদাচা সেখানে সর্বদা বিরাজমান । সেই সমুদ্র তীরবর্তী স্থানে পর্বত সমীপে সমুদ্ররাজ ও তাঁর কন্যার বাসস্থান । সমুদ্র – অধিপতি – কন্যা পদ্মা স্থানটির বর্ণনা CAR সেখানে এক উদ্যান রচনা করেছিলেন । নানা সৌন্দর্যময় ও সুগন্ধি ফুলে সে – উদ্যান সুরভিত । সেইসব ফুলের সৌরভ মূল্যবান সুগন্ধির চেয়েও সুগন্ধময় । সমুদ্রসুতার এই উদ্যানটি বিভিন্ন ধরনের সুলক্ষণযুক্ত বৃক্ষে পরিপূর্ণ । এইখানে মণিমাণিক্যখচিত প্রাসাদে রাজকন্যা বসবাস করতেন । হতচেতন পদ্মাবতী তাঁর সখীসহ এখানে এসে পড়েছিলেন ।
Answer: মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের এক অবিস্মরণীয় সৃষ্টি সৈয়দ আলাওলের ‘ পদ্মাবতী ’ । এই কাব্যটি ‘ হিন্দি – অবধি ‘ ভাষার কবি মালিক মহম্মদ জায়সী রচিত ‘ পদুমাবৎ ‘ কাব্যের ভাবানুবাদ । আলাওল তাঁর কাব্যকে অবলম্বন করে বাংলা ভাষায় পয়ার – ত্রিপদী ছন্দে ‘ পদ্মাবতী ‘ কাব্য রচনা করেন । ‘ পদ্মাবতী ’ মৌলিক কাব্য না হলেও আলাওলের লেখনীর গুণে মৌলিকত্ব লাভ করেছে । এর কাহিনি রাজপুত ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত । তাই হিন্দুসমাজ ও জীবনের কবিতাই এতে প্রাধান্য লাভ করেছে । মুহম্মদ জায়সীর ‘ পদুমাবৎ ‘ রচনার প্রায় একশো বছর পর কবি আলাওল আরাকানে ‘ পদ্মাবতী ‘ রচনা করেন । আরাকানে মগরাজা থদোমিস্তার রাজত্বকালে সৈয়দ আলাওল নিজের প্রতিভার স্ফুরণ ঘটিয়েছিলেন । রাজা থদোমিস্তার মৃত্যুর পর তাঁর এক পুত্র ও এক কন্যা যুগ্মভাবে শাসনকার্য চালাতে থাকেন । এই কন্যার প্রধান অমাত্য ছিলেন মাগন ঠাকুর , যাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় মূলত ‘ পদ্মাবতী ’ কাব্য রচিত হয় । আলাওলের প্রতিভায় মুগ্ধ মাগন ঠাকুরের নির্দেশেই তিনি ‘ পদ্মাবতী ’ রচনায় উদ্যোগী হন । তবে জায়সীর কাব্য প্রধানত অধ্যাত্মতত্ত্বের ব্যাখ্যা হলেও আলাওল মোটেই সে – পথে হাঁটেননি । বরং তিনি এক অসামান্য মানবীয় প্রেমকাব্য রচনা করেছেন । মধ্যযুগের ধর্মভাব – ভারাক্রান্ত কাব্যিক পরিমণ্ডলে দাঁড়িয়ে আলাওল মানবিক প্রেমের জয়গান গেয়েছেন । এখানেই তাঁর অনন্যতা ও স্বাতন্ত্র্য ।
Answer: মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের মুসলমান কবিদের মধ্যে অন্যতম ‘ সমুদ্রনৃপতিসুতা ’ – র কবি সৈয়দ আলাওল । তাঁর ‘ পদ্মাবতী ’ কাব্য থেকে গৃহীত আমাদের পাঠ্য ‘ সিন্ধুতীরে ’ কাব্যাংশে ‘ সমুদ্রনৃপতিসুতা ’ হলেন পদ্মা । নাম ‘ সমুদ্রনৃপতিসুতা ’ – র চরিত্র আলাওলের ‘ পদ্মাবতী ’ কাব্য থেকে ‘ সিন্ধুতীরে ’ কবিতাটি গৃহীত হলেও এখানে কবি পদ্মাবতী অপেক্ষা সমুদ্রনৃপতিকন্যা পদ্মার ওপরই বেশি করে আলোকপাত করেছেন । কবি যে – পদ্মার কথা বলেছেন তিনি গুণযুক্তা , সৌন্দর্যপ্রিয় , কৌতূহলী , উদার , পরদুঃখে কাতর , সেবাপরায়ণা অর্থাৎ এককথায় সর্বগুণসম্পন্না নারী ।
> সৌন্দর্যপ্রিয় ও প্রকৃতিপ্রেমী : সমুদ্রের মাঝে মনোহর দ্বীপ দেখে সেখানে তিনি সুন্দর উদ্যান ও রত্নখচিত প্রাসাদ গড়ে তোলেন এবং সেখানেই তিনি সর্বদা থাকতেন । এর থেকে তাঁর সৌন্দর্যপ্রিয়তা ও প্রকৃতিপ্রেমের পরিচয় পাওয়া যায় ।
> কৌতূহলী সদাহাস্যময়ী পদ্মা উদ্যানে ভ্রমণকালে সমুদ্রতীরে ভেলা দেখে কৌতূহলী হয়ে পড়েন । এই কৌতূহলের বশবর্তী হয়েই তিনি সেখানে গিয়ে পদ্মাবতীসহ পাঁচকন্যাকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করেন ।
> সেবাপরায়ণ শুধু উদ্ধার নয় তিনি তাঁর সেবাপরায়ণতা গুণের দ্বারা তাদের যথাসাধ্য সেবাশুশ্রুষার ব্যবস্থাও করেন । > উদারমনা ও পরোপকারী : তিনি অকপটে অপরূপা সুন্দরী নারী পদ্মাবতীর সৌন্দর্যের তারিফ করে তাঁর উদার মানসিকতারই পরিচয় দিয়েছেন । তাঁর তন্ত্রমন্ত্র , মহৌষধ ইত্যাদি প্রয়োগে পঞ্চকন্যার চেতনা এ ছাড়াও পদ্মার মায়া – মমতা , বাস্তববুদ্ধি এবং ঈশ্বরের প্রতি অগাধ বিশ্বাস তাঁকে পাঠকের কাছে আরও বেশি করে আদৃত করেছে ।
Answer: মধ্যযুগীয় দেবনির্ভর সাহিত্য থেকে বাংলা সাহিত্যের মুক্তি ঘটাতে এবং তাকে মানবিক করে তুলতে আরাকান রাজসভার কবি সাহিত্যিকদের অবদান অনস্বীকার্য । আলাওল এই কন্যার পরিচয় অন্যতম কবি । আমাদের পাঠ্য ‘ সিন্ধুতীরে ’ কবিতাটি তাঁর ‘ পদ্মাবতী ‘ কাব্যের অংশ – বিশেষ । এখানে কন্যা বলতে ‘ সমুদ্রকন্যা ‘ পদ্মার কথা বলা হয়েছে । রাজসভার কন্যা কোথায় এবং কেন সর্বক্ষণ থাকে
→ কবি আলাওল সিন্ধুতীরের যে অংশে পদ্মাবতী অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিল সেখানকার এক সুন্দর বর্ণনা তুলে ধরেছেন । ‘ সমুদ্রনৃপতিসুতা ’ পদ্মা এখানেই তার বাসস্থান গড়ে তোলেন । অপরূপ সৌন্দর্যময় প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য স্থানটিকে দিব্যভূমির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে । সেখানে কোনো দুঃখকষ্ট ছিল না । ছিল শুধু সদ্আচরণ ও সত্যধর্ম পালনের অভ্যাস । সেই দিব্যভূমির উপরের দিকে ছিল এক পর্বত । সেখানেই । সমুদ্রকন্যা পদ্মা এক উদ্যান তৈরি করেন । যে – উদ্যানে ফল ও ফুলের প্রাচুর্য ছিল । নানান ফুলের সুগন্ধে বাগানটি ভরে থাকত । এরই মাঝে পদ্মা রত্নশোভিত বিচিত্র প্রাসাদ গড়ে তোলেন । এইরূপ অপরূপ রূপময় সৌন্দর্যপূর্ণ স্থান পরিত্যাগ করতে কারই বা ভালো লাগে । তাই পদ্মাও সমুদ্রতীরের সেই দিব্যস্থান ত্যাগ না করে সেখানেই সর্বক্ষণ থাকেন ।
Answer: আমাদের পাঠ্য ‘ সিন্ধুতীরে ‘ কবিতাটি সৈয়দ আলাওল রচিত পঞ্চকন্যা কারা ‘ পদ্মাবতী ‘ কাব্যের অংশ – বিশেষ । এই কবিতায় পণকন্যা বলতে সিংহল রাজকন্যা ‘ পদ্মাবতী ‘ ও তার চার সখীকে ( চন্দ্রকলা , বিজয়া , রোহিণী , বিষন্নলা ) বোঝানো হয়েছে ।
প্রাতঃকালে ভ্রমণরতা পদ্মা সমুদ্রতীরে ভেলায় চার সখীসহ অপরূপ পদ্মাবতীকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পান । তাদের বসন ও কেশ বিন্যাস দেখে পদ্মার মনে হয়েছিল সমুদ্রের প্রবল ঝড়ে তাদের এই অবস্থা । মমতাবশত পদ্মা তাদের পরীক্ষা করে দেখেন যে , তাদের মধ্যে সামান্যতম শ্বাস বর্তমান । স্নেহময়ী পদ্মা বিধাতার ওপর বিশ্বাস রেখে দেবতার কাছে অচৈতন্য পঞ্চকন্যার জীবন ফিরে পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করেন । তিনি দেবতার কাছে এও অঙ্গীকার করেন যে , তিনি এই কন্যাদের প্রাণপণে চিকিৎসা করবেন । সেইমতো সখীদের তিনি নির্দেশও দেন । সঙ্গীরা পঞ্চকন্যাকে কাপড়ে ঢেকে উদ্যানের মাঝে আনেন । তারপর তাদের মাথায় ও পায়ে গরম সেঁক দেওয়া হয় , এ ছাড়া মন্ত্র – তন্ত্র – মহৌষধ সব কিছুই প্রয়োগ করা হয় । এইভাবে চারদণ্ড চলার পর পঞ্চকন্যা চেতনা ফিরে পান ।
Answer: সপ্তদশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি আলাওলের ‘ পদ্মাবতী ’ কাব্য থেকে আমাদের পাঠ্য ‘ সিন্ধুতীরে ’ কবিতাটি গৃহীত । এখানে ‘ বালা ’ শব্দের অর্থ ‘ কন্যা ‘ । কবিতায় সমুদ্ররাজের কন্যা পদ্মাকে বোঝানো হয়েছে ।
সমুদ্রকন্যা পদ্মা সমুদ্রতীরে ভেলায় চার সখী পরিবৃতা এক অপরূপা বিস্মিত হওয়ার কারণ সুন্দরী রমণীকে দেখেছিলেন । তাকে দেখে তাঁর রম্ভা অর্থাৎ স্বর্গের অপ্সরা বলে মনে হয় এবং তিনি তার রূপে বিস্মিত হন । বস্তার প্রতিক্রিয়া → সখী পরিবৃতা অচৈতন্য পদ্মাবতীর রূপ – লাবণ্য দেখে পদ্মা তাকে স্বর্গের অপ্সরার সঙ্গে তুলনা করেন এবং বিস্মিত হন । তিনি এও চিন্তা করেন যে , কন্যা বুঝি স্বর্গের গায়িকা বিদ্যাধরি । ইন্দ্রের শাপে হয়তো স্বর্গ থেকে ভ্রষ্ট হয়েছেন । তার ( তাদের ) অচৈতন্য অবস্থায় অপলক চাহনি , পরনের কাপড় ও মাথার চুলের অবিন্যস্ত অবস্থা দেখে সমুদ্রকন্যা পদ্মার মনে হয় এই কন্যারা প্রবল সমুদ্র ঝড়ের মুখে পড়েছিল । তাই হয়তো তাদের নৌকা ভেঙে গিয়েছিল কিংবা সমুদ্রপীড়ায় কাবু হওয়ার ফলে তাদের এই অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছে । অচৈতন্য পদ্মাবতীকে পরীক্ষা করার সময় পদ্মার মনে হয়েছে অপূর্ব সুন্দরী কন্যা যেন পটে আঁকা ছবি ।
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Bengali Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik English Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Geography Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik History Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Physical Science Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Life Science Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Mathematics Suggestion 2023 Click Here
PDF Name : মাধ্যমিক বাংলা – সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল – সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion PDF
Price : FREE
Download Link : Click Here To Download
West Bengal Madhyamik Bengali Suggestion PDF prepared by expert subject teachers. WB Madhyamik Bengali Suggestion with 100% Common in the Examination.
West Bengal Madhyamik Bengali Suggestion Download. WBBSE Madhyamik Bengali short question suggestion. Madhyamik Bengali Suggestion PDF download. Madhyamik Question Paper Bengali.
মাধ্যমিক বাংলা (Madhyamik Bengali) সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল – প্রশ্ন উত্তর।
মাধ্যমিক বাংলা পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বোর্ডের (WBBSE) সিলেবাস বা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী দশম শ্রেণির বাংলা বিষয়টির সমস্ত প্রশ্নোত্তর। সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা, তার আগে winexam.in আপনার সুবিধার্থে নিয়ে এল মাধ্যমিক বাংলা সাজেশান – সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল – প্রশ্ন উত্তর । বাংলাে ভালো রেজাল্ট করতে হলে অবশ্যই পড়ুন । আমাদের মাধ্যমিক বাংলা ।
আমরা WBBSE মাধ্যমিক পরীক্ষার বাংলা বিষয়ের – সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল – প্রশ্ন উত্তর – সাজেশন নিয়ে সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল – প্রশ্ন উত্তর নিয়ে সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওলচনা করেছি। আপনারা যারা এবছর দশম শ্রেণির বাংলা পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাদের জন্য আমরা কিছু প্রশ্ন সাজেশন আকারে দিয়েছি. এই প্রশ্নগুলি পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণির বাংলা পরীক্ষা তে আসার সম্ভাবনা খুব বেশি. তাই আমরা আশা করছি Madhyamik বাংলা পরীক্ষার সাজেশন কমন এই প্রশ্ন গুলো সমাধান করলে আপনাদের মার্কস বেশি আসার চান্স থাকবে।
মাধ্যমিক বাংলা, মাধ্যমিক বাংলা, মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর, নবম শ্রেণি বাংলা, দশম শ্রেণি বাংলা, নবম শ্রেণি বাংলা, দশম শ্রেণি বাংলা, ক্লাস টেন বাংলা, মাধ্যমিকের বাংলা, বাংলা মাধ্যমিক – সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল, দশম শ্রেণী – সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল, মাধ্যমিক বাংলা সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল, ক্লাস টেন সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল, Madhyamik Bengali – সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল, Class 10th সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল, Class X সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল, ইংলিশ, মাধ্যমিক ইংলিশ, পরীক্ষা প্রস্তুতি, রেল, গ্রুপ ডি, এস এস সি, পি, এস, সি, সি এস সি, ডব্লু বি সি এস, নেট, সেট, চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতি, Madhyamik Bengali Suggestion , West Bengal Madhyamik Class 10 Bengali Suggestion, West Bengal Secondary Board exam suggestion , WBBSE , মাধ্যমিক সাজেশান, মাধ্যমিক সাজেশান , মাধ্যমিক সাজেশান , মাধ্যমিক সাজেশন, মাধ্যমিক বাংলা সাজেশান , মাধ্যমিক বাংলা সাজেশান , মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক বাংলা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, Madhyamik Bengali Suggestion Bengali , মাধ্যমিক বাংলা – সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল – সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক বাংলা – সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল – সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক বাংলা – সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল – সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক বাংলা – সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল – সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক বাংলা – সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল – সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক বাংলা – সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল – সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion PDF PDF,মাধ্যমিক বাংলা – সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল – সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক বাংলা – সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল – সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion PDF, Madhyamik Class 10 Bengali Suggestion PDF.
এই (মাধ্যমিক বাংলা – সিন্ধুতীরে (কবিতা) সৈয়দ আলাওল – সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion PDF PDF) পোস্টটি থেকে যদি আপনার লাভ হয় তাহলে আমাদের পরিশ্রম সফল হবে। আরোও বিভিন্ন স্কুল বোর্ড পরীক্ষা, প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার সাজেশন, অতিসংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত ও রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (All Exam Guide Suggestion, MCQ Type, Short, Descriptive Question and answer), প্রতিদিন নতুন নতুন চাকরির খবর (Job News in Bengali) জানতে এবং সমস্ত পরীক্ষার এডমিট কার্ড ডাউনলোড (All Exam Admit Card Download) করতে winexam.in ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।
একাদশ শ্রেণীর সমস্ত বিষয় সাজেশন ২০২৩ Class 11 All Subjects Suggestion 2023 PDF Download একাদশ…
একাদশ শ্রেণীর গণিত সাজেশন ২০২৩ Class 11 Mathematics Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর গণিত…
একাদশ শ্রেণীর জীববিদ্যা সাজেশন ২০২৩ Class 11 Biology Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর জীববিদ্যা…
একাদশ শ্রেণীর রসায়ন সাজেশন ২০২৩ Class 11 Chemistry Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর রসায়ন…
একাদশ শ্রেণীর পদার্থবিদ্যা সাজেশন ২০২৩ Class 11 Physics Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর পদার্থবিদ্যা…
একাদশ শ্রেণীর সমাজবিজ্ঞান সাজেশন ২০২৩ Class 11 Sociology Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর সমাজবিজ্ঞান…