অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত - মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion PDF
মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন – অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত সাজেশন – Madhyamik Bengali Suggestion PDF : অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ও অধ্যায় ভিত্তিতে প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হল। এবার পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় বা মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় ( WB Madhyamik Bengali Suggestion PDF | West Bengal Madhyamik Bengali Suggestion PDF | WBBSE Board Class 10th Bengali Question and Answer with PDF file Download) এই প্রশ্নউত্তর ও সাজেশন খুব ইম্পর্টেন্ট । আপনারা যারা আগামী মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য বা মাধ্যমিক বাংলা – অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত | Madhyamik Bengali Suggestion PDF | WBBSE Board Madhyamik Class 10th (X) Bengali Suggestion Question and Answer খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর ভালো করে পড়তে পারেন।
পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন (West Bengal Madhyamik Bengali Suggestion PDF / Notes) অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত – প্রশ্ন উত্তর – MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (SAQ), সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (Short Question and Answer), ব্যাখ্যাধর্মী বা রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (descriptive question and answer) এবং PDF ফাইল ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে দেওয়া রয়েছে।
Answer: ‘ রথীন্দ্রষভ ‘ বা শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা মেঘনাদ তারকাসুর বধ কালে কার্তিকের মতো ও বিরাটরাজের গোধন রক্ষার্থে বৃহন্নলারূপী কিরীটীর মতো বীর আভরণে ভূষিত হয়েছিলেন ।
Answer: ‘ অভিষেক ‘ নামাঙ্কিত পাঠ্য রচনাংশে মায়াবী মানব বলতে লক্ষ্মী , রঘুবর রামচন্দ্রকে চিহ্নিত করেছেন ।
Answer: আলোচ্য ‘ অভিষেক ’ কবিতায় রক্ষকুলবীর ইন্দ্রজিতের তিরের আঘাতে রাঘব মরেও বেঁচে উঠেছিলেন ।
Answer: ‘ অভিষেক ‘ কবিতানুসারে , স্বর্ণলঙ্কার বর্তমান অবস্থা নিরীক্ষণ করে লক্ষ্মী ত্বরা অর্থাৎ শীঘ্র ইন্দ্রজিৎকে সেখানে যাত্রা করতে বলেছেন ।
Answer: পাঠ্য ‘ অভিষেক ‘ কবিতায় , ‘ কালসমরে ‘ বলতে রাবণের সঙ্গে রামচন্দ্রের সম্ভাব্য ঘোরতর যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে ।
Answer: ‘ রক্ষঃ – চূড়ামণি ‘ শব্দের অর্থ রাক্ষসদের মধ্যে কুলশ্রেষ্ঠ বা শিরোমণি । প্রবল শক্তির অধিকারী ইন্দ্রজিৎ রাক্ষসদের মধ্যে বীর যোদ্ধা , তাই তাকে ‘ রক্ষঃ – চূড়ামণি ‘ বলা হয়েছে ।
Answer: প্রভাষা ছদ্মবেশধারী লক্ষ্মীর কাছে ইন্দ্রজিৎ স্বর্ণলঙ্কার দুর্দশার কথা এবং রাঘবকে সংহার করা সত্ত্বেও তাঁর বেঁচে থাকার কথা জানতে পেরে মেঘনাদ প্রচণ্ড রোয়ে কুসুমদাম ছিঁড়ে ফেললেন ।
Answer: ‘ অভিষেক ‘ কবিতায় ইন্দ্রজিতের কুসুমদাম ছিঁড়ে ফেলা ও অন্যান্য জিনিস ছুড়ে ফেলাকে , অশোক গাছের তলায় অশোক ফুলের আড্ডা বিচ্ছুরণের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ।
Answer: ‘ অভিষেক ‘ কবিতা অনুসারে , মহাবলী মেঘনাদ প্রচণ্ড রোষে কুসুমদাম ছিঁড়ে ফেলে , সোনার আভরণ ছুড়ে ফেলে সকল সাজ নষ্ট করলেন ।
Answer: ‘ অভিষেক ‘ কবিতানুসারে , যখন শত্রুরা স্বর্ণলঙ্কা গ্রাস করতে উদ্যত , তখন ইন্দ্ৰজিৎ নারীদের মাঝে প্রমোদরত — এই ভাবনা প্রকাশ করে । তিনি নিজেকে ধিক্কার দিলেন ।
Answer: এখানে ‘ বৈরিদল ‘ অর্থাৎ শত্রুপক্ষ বলতে রামচন্দ্র ও তাঁর সৈন্যদের বোঝানো হয়েছে । ‘ বেড়ে স্বর্ণলঙ্কা ‘ বলতে বোঝানো হয়েছে । স্বর্ণলঙ্কাকে ঘিরে ফেলা হয়েছে ।
Answer: ‘ অভিষেক ’ কবিতা অনুসারে প্রভাষার মুখে লঙ্কার দুঃসংবাদ শুনে প্রমোদ উদ্যান থেকে যুদ্ধ যাত্রাকালে রথে চেপে আকাশপথে ধাবমান মেঘনাদ ধনুকের ছিলায় যে – টংকার দিয়েছিলেন , তাতে এমন অবস্থা হয়েছিল ।
Answer: পাঠ্য ‘ অভিষেক ‘ কবিতা অনুসারে , শীঘ্র রথ নিয়ে রাবণপুত্র ইন্দ্রজিৎ প্রমোদকানন ত্যাগ করে স্বর্ণলঙ্কার অভিমুখে যাত্রা করবেন ।
Answer: দেবলোকে ত্রাস সঞ্চারকারী মহাবলশালী তারকাসুরকে বধ করে ‘ হৈমবতীসূত ’ অর্থাৎ কার্তিকেয় স্বর্গরাজ্য নিষ্কণ্টক করেছিলেন ।
Answer: ‘ বৃহন্নলারূপী কিরীটি ‘ হলেন বৃহন্নলার ছদ্মবেশধারী তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুন ।
Answer: বিরাট রাজাকে বিপন্মুক্ত করতে কিরীটি তথা অর্জুন গোধন উদ্ধারের জন্য বিরাট পুত্রকে সঙ্গে নিয়েছিলেন ।
Answer: পাণ্ডবশ্রেষ্ঠ অর্জুন দেবরাজ ইন্দ্রের দেওয়া কিরীট বা মুকুট মাথায় পরেছিলেন বলে , অর্জুনকে কিরীটি বলা হয় ।
Answer: ‘ শমীবৃক্ষমূলে ‘ কথাটির মধ্যে বৃহন্নলারূপী অর্জুনের ছদ্মবেশ ত্যাগ করে যুদ্ধসজ্জার প্রসঙ্গের ইঙ্গিত আছে ।
Answer: ‘ অভিষেক ’ কবিতা অনুসারে স্বর্ণলঙ্কায় যাওয়ার সময় ইন্দ্রজিতের অত্যন্ত দ্রুতবেগসম্পন্ন মেঘবর্ণ রথটির চাকায় ছিল বিজলির ছটা , পতাকা ছিল রংধনুর মতো সাতটি বর্ণে রঞ্জিত ।
Answer: ‘ অভিষেক ‘ কবিতানুসারে ইন্দ্রজিৎ যখন স্বর্ণলঙ্কায় যাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছিলেন তখন ইন্দ্রজিতের পত্নী প্রমীলা তাঁর পথ রোধ করে দাঁড়ালেন ।
Answer: মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘ মেঘনাদবধ কাব্য ‘ – এর প্রথম সর্গের নাম ‘ অভিষেক । এ কাব্যের মোট সর্গ সংখ্যা ন – টি ।
Answer: মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘ অভিষেক ‘ রচনাংশটিতে রক্ষরাজ রাবণের পুত্র ইন্দ্রজিতের অভিষেকের কথা বলা হয়েছে ।
Answer: রাবণ ও মন্দোদরীর সন্তান মেঘনাদ দেবরাজ ইন্দ্রকে জয় করেছিলেন বলে বীরশ্রেষ্ঠ ‘ ইন্দ্রজিৎ ‘ নাম গ্রহণ করেছিলেন ।
Answer: মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘ অভিষেক ’ নামাঙ্কিত অংশে বীরেন্দ্রকেশরী বলা হয়েছে রাবণপুত্র ইন্দ্রজিৎকে । বীরেন্দ্রকেশরীর অর্থ বীরসিংহ ।
Answer: মধুসূদনের অভিষেক ‘ কাব্যাংশে প্রভাষার ছদ্মবেশিনী ধাত্রী আসলে দেবী লক্ষ্মী । প্রমোদোদ্যানে মেঘনাদ তাঁকে দেখে সেখানে আগমনের কারণ ও লঙ্কার কুশল জিজ্ঞাসা করেছিলেন ।
Answer: ‘ অভিষেক ’ নামাঙ্কিত রচনাংশে ধাত্রী ছদ্মবেশধারী লক্ষ্মীর চরণে প্রণাম করে তাকে ‘ মাতঃ ‘ বলে সম্বোধন করেন ।
Answer: মধুসুদনের ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশে ‘ অম্বুরাশি – সুতা ‘ অর্থাৎ লক্ষ্মী , ইন্দ্রজিতের ধাত্রী প্রভাষার ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রমোদকাননে এসে ইন্দ্রজিৎকে বীরবাহুর মৃত্যু ও রাবণের যুদ্ধযাত্রার সংবাদ দিয়েছিলেন ।
Answer: লঙ্কেশ্বর রাবণ ও গন্ধবর্তনয়া চিত্রাঙ্গদার পুত্র হলেন বীরবাহু । বাল্মীকির রামায়ণে বীরবাহুর উল্লেখ না থাকলেও কৃত্তিবাসী রামায়ণে তাঁর উল্লেখ পাওয়া যায় ।
Answer: পাঠ্য ‘ অভিষেক ‘ কবিতায় ‘ মহাশোকী রাক্ষসাধিপতি ‘ বলতে লঙ্কার অধিপতি রক্ষরাজ রাবণকে বলা হয়েছে । পুত্র বীরবাহুর মৃত্যুতে তিনি মহাশোকী ।
Answer: বক্তা প্রভাষার ছদ্মবেশী ‘ অম্বুরাশি – সুতা ‘ অর্থাৎ লক্ষ্মীদেবী ‘ কনক – লঙ্কার দশা ‘ বলতে বীরবাহুর মৃত্যু এবং সেই কারণে রাবণের সসন্যৈ যুদ্ধযাত্রার কথা বলেছেন ।
Answer: ‘ মহাবাহু ‘ হলেন ইন্দ্রজিৎ । রামচন্দ্রকে রাত্রিকালীন যুদ্ধে তিরের আঘাতে খণ্ড খণ্ড করে কেটে ফেলা সত্ত্বেও , তাঁরই হাতে বীরবাহু কীভাবে মারা যেতে পারে এ কথা ভেবে তিনি বিস্মিত হয়েছেন ।
Answer: বার্তাটি হল রাঘবের হাতে বীরবাহুর মৃত্যু । বার্তাটি অদ্ভুত কারণ ইন্দ্রজিতের তিরের আঘাতে যে – রাঘবের মৃত্যু ঘটেছে , সে কী করে বীরবাহুর হত্যাকারী হয় ।
Answer: মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘ অভিষেক ’ নামাঙ্কিত কবিতা থেকে আমরা জানতে পারি , ভগবতীর অপর নাম লক্ষ্মী । ‘
Answer: বক্তা হলেন প্রভাষার রূপ ধারণকারিণী দেবী লক্ষ্মী । তিনি মায়াবী রামচন্দ্রের হাত থেকে রক্ষঃকুলকে রক্ষার জন্য ইন্দ্রজিৎকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেছেন ।
Answer: ‘ অভিষেক ’ কবিতা অনুসারে , ইন্দ্রজিতের প্রিয় বৈমাত্রেয় ভাই বীরবাহুকে , রামচন্দ্র সম্মুখসমরে বধ করেছিলেন ।
Answer: ‘ অভিষেক ’ কবিতানুসারে , লক্ষ্মীর কাছে বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পর বিস্মিত ইন্দ্রজিৎ তাঁকে জানিয়েছিলেন যে , রাত্রিকালীন যুদ্ধে তিনি রাঘবকে সংহার করেছিলেন ।
Answer: পাঠ্য রচনাংশে কবি মাইকেল মধুসুদন দত্ত ‘ ইন্দিরা সুন্দরী ’ তথা লক্ষ্মীকে ‘ রত্নাকর ’ ও ‘ রত্নোত্তমা ‘ বিশেষণে ভূষিত করেছেন ।
Answer: প্রমোদোদ্যানে ছদ্মবেশী লক্ষ্মীর মুখে প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ শুনে মেঘনাদ ফুলমালা ছিঁড়ে , সোনার আভরণ ছুড়ে ফেলে নিজেকে ধিক্কার জানায় ।
Answer: স্বর্ণলঙ্কা যখন শত্রুপক্ষের ঘেরাটোপে , প্রিয় ভাই যখন নিহত , পিতা যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তখন প্রমোদকাননে মেয়েদের মাঝে বিলাসিতা শোভন নয় — তাই এই আত্মধিকার ।
Answer: রামচন্দ্রের হাতে লঙ্কার আক্রান্ত হওয়া ও প্রিয়ানুজ বীরবাহুর মৃত্যুকালে মেয়েদের মাঝে প্রমোদোদ্যানে সময় কাটানো এবং কর্তব্যের গাফিলতিকেই ইন্দ্ৰজিৎ অপবাদ বলেছেন ।
Answer: (A) এক শ্রেষ্ঠ বীর
Answer: (B) কার্তিকেয়
Answer: (C) অর্জুন
Answer: (A) এক বিরাট পুত্র
Answer: (C) শমীবৃক্ষমূলে
Answer: (B) বিজলির ছটা
Answer: (A) রামধনুরূপীকে
Answer: (B) তুরঙ্গম
Answer: (B) ইন্দ্রজিৎ
Answer: (A) স্বর্ণলতা
Answer: (B) সৌন্দর্যময়ী
Answer: (B) চিত্রাঙ্গদাকে
Answer: (C) ব্রততী
Answer: (B) ইন্দ্ৰজিৎকে
Answer: (B) সেবিকা
Answer: (C) প্রমীলাকে
Answer: (A) প্রমীলা
Answer: (B) রাঘবকে
Answer: (B) বিধুমুখী
Answer: (C) আকাশ
Answer: (A) ধনুকের ছিলা
Answer: (C) পক্ষীন্দ্ৰ
Answer: (B) পতাকা
Answer: (C) রাক্ষসবৃন্দকে
Answer: (A) ইন্দ্ৰজিৎ
Answer: (C) রাঘব
Answer: (C) মেঘনাদবধ কাব্য
Answer: (C) ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দ
Answer: (A) প্রথম সর্গ
Answer: (B) নরনারায়ণ
Answer: (A) একেই কি বলে সভ্যতা
Answer: (A) ১৮৭৩ , ২৯ জুন
Answer: (A) ইন্দ্ৰজিৎ
Answer: (C) অমিত্রাক্ষর ছন্দ
Answer: (C) দেবী লক্ষ্মী
Answer: (A) দেবী লক্ষ্মী
Answer: (B) বীরবাহুর
Answer: (D) যুঝিতে
Answer:
Answer: (A) নিশা – রণে
Answer: (B) শত্রুদল
Answer: (A) জননী
Answer: (B) ইন্দ্ৰজিৎ
Answer: (C) ইন্দ্ৰজিৎ
Answer: (A) রাক্ষসকুলের শিরোমণি
Answer: (A) মেঘনাদ
Answer: (A) কর্ণভূষণ
Answer: A) বামাদল
Answer: (C) নারী
Answer: (C) ইন্দ্ৰজিৎ
Answer: (A) রথ
Answer: (D) রিপুকুলে
Answer: মাইকেল মধুসুদন দত্তের ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশে বৃহন্নলারূপী কিরীটি হলেন তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুন । অজ্ঞাতবাসকালে , বিরাট রাজার কন্যা উত্তরার নৃত্য – গীত শিক্ষিকারূপে নিযুক্ত অর্জুন বৃহন্নলাবেশ ধারণ করেন । → অর্জুন যখন বৃহন্নলার ছদ্মবেশে বিরাট রাজার প্রাসাদে ছিলেন , সেসময় দুর্যোধন বিরাট রাজাকে পরাস্ত করে তাঁর সমস্ত কীর্তির পরিচয় গোধন হরণ করেন । তখন অর্জুন রাজপুত্র উত্তরের সারথিরূপে কৌরবদের সঙ্গে যুদ্ধ করে বিরাট রাজাকে বিপদ থেকে মুক্ত করেন । তাঁর সেই গোধন উদ্ধারের কীর্তির কথাই পাঠে উল্লিখিত হয়েছে ।
Answer: মধুসূদনের ‘ অভিষেক ‘ নামক পাঠ্য কাব্যাংশে ‘ রথীন্দ্রর্যভ ‘ ‘ রণীয় ‘ শব্দটি পাই , যার অর্থ ‘ শ্রেষ্ঠ রথী ‘ । এখানে ‘ রথীন্দ্রর্যভ ‘ বলতে ইন্দ্রজিৎকে বোঝানো হয়েছে । প্রমোদকাননে মেয়েদের মাঝে ইন্দ্রজিৎ যখন বিলাসব্যসনে মত্ত ছিলেন । তখন লঙ্কার ঘোর দুর্দিনের খবর পেয়ে নিজেকে সালের বর্ণনা ধিক্কার জানান । শত্রুপক্ষকে বিনাশ করতে এই শ্রেষ্ঠ বীর তারকাসুর বিনাশকালে কার্তিকের মতো ও বিরাট রাজার গোধন রক্ষার সময় বৃহন্নলারূপী অর্জুনের মতো রণসাজে সজ্জিত হলেন ।
Answer: মধুসূদনের ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশে ছদ্মবেশী প্রভাষার কাছে লঙ্কার দুর্দিনের খবর পেয়ে ইন্দ্রজিৎ প্রমোদকানন থেকে লঙ্কার দিকে যাত্রা করেন । ইন্দ্রজিতের বিদায় প্রমীলাকে বিরহ ‘ পতি – কর – যুগ ধরে ব্যথায় আচ্ছন্ন করে । বিরহকাতর প্রমীলা কেঁদে ফেলেন এবং বলেন পতি বিনা কেমন করে তিনি প্রাণ রক্ষা করবেন । গহন বনের মধ্যে হাতিদের দলপতি যেভাবে বনলতাকে পদতলে স্থান দেয় , প্রমীলাও ঠিক সেইভাবে ইন্দ্রজিতের আশ্রয়ে থাকতে চাইছেন ।
Answer: ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশে ‘ ধনি ‘ বলতে ইন্দ্ৰজিৎ – পত্নী প্রমীলাকে বোঝানো হয়েছে ।
ধাত্রী প্রভাষা বেশধারী লক্ষ্মী যখন স্বর্ণলঙ্কার দুর্দিন , ইন্দ্রজিতের ভাই বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ ও রাবণের যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতির খবর ইন্দ্রজিতের কাছে দিলেন , তখন তিনি প্রমোদকাননে নারীদের ‘ ধনি ‘ কাঁদলেন কেন মাঝে বিলাসব্যসনে মত্ত ছিলেন । স্বর্ণলতা যেভাবে বড়ো গাছকে আঁকড়ে ধরে , সেভাবে প্রমীলা রক্ষকুলনিধি ইন্দ্রজিৎকে আঁকড়ে ধরে , তাঁর পথ রোধ করে কেঁদে ফেলেন । স্বামীর বিচ্ছেদ – বেদনায় পত্নীর কাতা ও ব্যথাতুর রূপটি প্রমীলার মধ্যে দিয়ে ফুটে ওঠে ।
Answer: মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘ অভিষেক ’ কবিতা থেকে গৃহীত অংশে , ইন্দ্রজিৎ – পত্নী প্রমীলার মনে এই প্রশ্ন জেগেছে । মনে প্রশ্ন জেগে ওঠার কারণ ইন্দ্ৰজিৎ , ধাত্রী প্রভাষা – বেশী লক্ষ্মীর কাছে স্বর্ণলঙ্কার দুর্দিনের খবর পান । এই সংবাদ শুনে , তিনি স্বর্ণলঙ্কার উদ্দেশে রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুত হন । এমন সময় পত্নী প্রমীলা তাঁর পথ রোধ করে দাঁড়ান । প্রমীলা স্বামীর কাছে , তাঁকে ত্যাগ করার কারণ জানতে চান । জানতে চান এই হতভাগিনি ইন্দ্ৰজিৎ – বিনা কেমনভাবে বেঁচে থাকবেন । ব্রততীকে মাতঙ্গ ত্যাগ করলেও যেমন যূথনাথ আশ্রয় দেয় , ঠিক তেমনভাবেই তিনি কোনোক্রমে ইন্দ্রজিতের পদাশ্রয়ে নিজ স্থান খুঁজেছেন । আসলে স্বামীবিরহে বিরহাতুরা এক পত্নীর অন্তরের রূপটি এই উক্তির মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে ।
Answer: মাইকেল মধুসুদন দত্ত রচিত ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশে প্রমোদ উদ্যানে প্রভাষার মুখে লঙ্কার দুর্দিনের কথা শুনে ইন্দ্রজিৎ লঙ্কার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে প্রমীলা তাঁর পথ রোধ করেন এবং প্রমোদ উদ্যান পরিত্যাগের কারণ জানতে চান । উত্তরে ইন্দ্রজিৎ বলেন , প্রমীলা মেঘনাদের প্রত্যুত্তর যে দৃঢ় বন্ধনে তাঁকে আবদ্ধ করে রেখেছেন , তা চিরন্তন । তারই কল্যাণে রাঘবকে পরাস্ত করে দ্রুত ফিরে আসবেন বলে বিদায় নেন ।
Answer: পাঠ্য ‘ অভিষেক ’ কাব্যাংশে ছদ্মবেশী প্রভাষার কাছে লঙ্কার দুর্দিনের সংবাদ শুনে প্রমোদকানন ত্যাগ করে ইন্দ্রজিং শত্রুর হাত থেকে লঙ্কাকে রক্ষার্থে লঙ্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন । তাঁর এই আগমনকে আকাশপথে মৈনাক পর্বতের সোনার পাখাবিস্তার করে উজ্জ্বল করে তোলার সঙ্গে তুলনা করেছেন । লঙ্কার কেঁপে ওঠার ক্রুদ্ধ ইন্দ্রজিতের ধনুকের গুণ পরানো ও শর কারণ নিক্ষেপকে মেঘের মাঝে গরুড়ের গর্জনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে । এর ফলেই লঙ্কা ও সমুদ্র কেঁপে উঠেছে ।
Answer: মধুসূদন দত্তের ‘ অভিষেক ’ কাব্যাংশে রামচন্দ্রের মায়াবলে পুনরায় জীবন ফিরে পাওয়ার প্রসঙ্গটি উত্থাপিত হয়েছে । ধাত্রী প্রভাষা – রূপী লক্ষ্মী ইন্দ্রজিৎকে লঙ্কার ঘোরতর দুর্দিনের কথা জানান এবং এও বলেন , ‘ মায়াবী মানব সীতাপতি ; তব শরে মরিয়া বাঁচিল । এ সংবাদ শোনামাত্র ইন্দ্রজিৎ প্রমোদ উদ্যান ত্যাগ মায়ার পরিচয় করে লঙ্কায় পিতা রাবণের কাছে উপস্থিত হলেন । রাজা রাবণ তখন নিজেই যুদ্ধযাত্রার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন । এই অবস্থায় ইন্দ্রজিৎ রাবণকে রামচন্দ্রের পুনর্জীবন লাভের কারণ জানতে চাইলেন ।
Answer: মধুসুদন দত্তের ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশ থেকে গৃহীত উদ্ধৃত পঙ্ক্তিটির বক্তা ইন্দ্রজিৎ । তিনি পিতাকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে , কোন্ মায়াবলে রামচন্দ্র তাঁর তিরে নিথর হয়েও পুনরায় বেঁচে উঠলেন । আসলে পরাক্রমশালী ইন্দ্রজিৎ দু – বার যুদ্ধে রামচন্দ্রের বক্তার না বোঝার কারণ প্রাণনাশের উদ্যোগ করেছিলেন । তাই বারবার রামের পুনর্জীবন লাভ তাঁর কাছে গভীর বিস্ময়ের ব্যাপার । এ কোনো ি মায়াবল ছাড়া সম্ভব নয় । তাই তিনি এই উক্তির মাধ্যমে অন্তর্মনের বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করেছেন ।
Answer: আমাদের পাঠ্য মধুসূদনের ‘ অভিষেক ’ নামক কাব্যাংশে রাবণ ও মন্দোদরীর বীরপুত্র ইন্দ্রজিতের কনক – আসন ত্যাগের কথা বলা হয়েছে । । ইন্দ্ৰজিৎ প্রমোদ উদ্যানে স্ত্রী প্রমীলা ও তাঁর সখীদের নিয়ে প্রমোদবিহারে ব্যস্ত ছিলেন । এমন সময় ধাত্রী প্রভাষার ছদ্মবেশে দেবী লক্ষ্মী সেখানে উপস্থিত হন । ধাত্রী প্রভাষার এই অপ্রত্যাশিত আগমনের কারণ জানার জন্য ও তার প্রতি খাজ্ঞাপনের জন্য ইন্দ্রজিৎ কনক – আসন ত্যাগ করেছিলেন । মধুসুদনের ইন্দ্রজিৎ এখানে বিয়ে , শ্রদ্ধা ও সৌজন্যবোধের প্রতীকরূপে প্রতিভাত ।
Answer: মধুসূদনের অভিষেক ’ নামক পাঠ্য কাব্যাংশে ‘ অম্বুরাশি – সুতা ’ অম্বুরাশি – সুতা শব্দটি পাই । ইনি আসলে দেবী লক্ষ্মী । দেবতা ও অসুরের সমুদ্রমন্থনকালে জল থেকে উত্থিত বলে তাঁর এমন নাম ।
দেবী লক্ষ্মী ধাত্রী তাঁকে আসার কারণ প্রভাষার রূপে প্রমোদ উদ্যানে হাজির হলে ইন্দ্রজিৎ ও লঙ্কার কুশল জিজ্ঞাসা করেন । অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে তিনি ( দেবী লক্ষ্মী ) রামের সঙ্গে ভীষণ যুদ্ধে ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ ও বক্তার উত্তর পুত্রশোকে শোকগ্রস্ত পিতা রাবণের যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতির কথা জানান ।
Answer: মহাবাহুর পরিচয় মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ( মেঘনাদবধ কাব্য : প্রথম সর্গ ) পাঠ্য ‘ অভিষেক ‘ রচনাংশে ‘ মহাবাহু ’ হলেন রক্ষকুলমণি বীরেন্দ্রকেশরী ইন্দ্রজিৎ মেঘনাদ । কবি এখানে ইন্দ্রজিতের প্রবল শক্তি ও পরাক্রমের জন্য তাঁকে ‘ মহাবাহু ‘ বিশেষণে ভূষিত করেন । ( ইন্দ্ৰজিৎ যখন ধাত্রীরূপী দেবী লক্ষ্মীর কাছে রামচন্দ্রের সঙ্গে সম্মুখসমরে বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ জানলেন , তখন তিনি অত্যন্ত বিস্ময় প্রকাশ করলেন । কারণ তিনি নিজে রাত্রিকালীন যুদ্ধে রামকে সংহার করেছেন । মৃত ব্যক্তি কীভাবে বীরবাহুকে সংহার করবে এ কথা ভেবেই তিনি বিস্মিত ।
Answer: উদ্ধৃত অংশটি মধুসুদন দত্ত রচিত ( মেঘনাদবধ কাব্য : প্রথম সর্গ ) ‘ অভিষেক ‘ নামক পাঠ্য কবিতা থেকে গৃহীত । + কোন বার্তা এবং কেন অদ্ভুত , লক্ষ্মীদেবী ইন্দ্রজিতের ধাত্রী প্রভাষার ছদ্মবেশে এসে স্বর্ণলঙ্কার সকল সংবাদ তাঁকে জানালেন । সম্মুখসমরে রামের সঙ্গে প্রচণ্ড যুদ্ধে নিহত হয়েছেন ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভাই বীরবাহু । কিন্তু ইন্দ্ৰজিৎ এ সংবাদে অত্যন্ত বিস্ময়াপন্ন হলেন । কারণ তিনি নিজের হাতে রাত্রিকালীন যুদ্ধে রামকে হত্যা করেছেন । আর সেই মৃত রাঘব কিনা তাঁর ভাই – এর হত্যাকারী — এই বার্তাই তাঁর কাছে অদ্ভুত লেগেছে ।
Answer: পাঠ্য ‘ অভিষেক ’ কাব্যাংশে উক্ত নামের উল্লেখ পাওয়া যায় । সীতাপতি অযোধ্যার রাজা দশরথের জ্যেষ্ঠপুত্র ছিলেন রাম । এই রামচন্দ্রের স্ত্রীর নাম সীতা । এই কারণে রামচন্দ্রকে ‘ সীতাপতি ‘ বলা হয়েছে । ‘ মায়াবী মানব ’ বলার কারণ সীতাপতি রামচন্দ্রকে লক্ষ্মীদেবী ‘ মায়াবী মানব ‘ বলেছেন । কারণ মায়াবী না – হলে প্রবল শক্তিশালী ইন্দ্রজিতের তিরে রামের মৃত্যু হলেও , তিনি কীভাবে পুনরায় দৈবপ্রভাবে পুনর্জীবন লাভ করেন । এই কারণে কাব্যাংশে রামকে ‘ মায়াবী মানব ’ রূপে উপস্থাপনা করা হয়েছে ।
Answer: বক্তা ইন্দিরা সুন্দরী অর্থাৎ লক্ষ্মী দেবী ‘ রক্ষঃ – চূড়ামণি ‘ বলে ‘ রক্ষাঃ – চূড়ামণি ’ ইন্দ্রজিৎকে সম্বোধন করেছেন । কালসমর ‘ কালসমর ‘ বলতে বোঝায় কাল রূপ সমর বা ভয়ংকর যুদ্ধ । এক্ষেত্রে রামচন্দ্রের সঙ্গে রাক্ষসদের ভয়ংকর প্রাণঘাতী যুদ্ধকে বোঝানো হয়েছে । ছদ্মবেশী দেবী লক্ষ্মী প্রমোদকাননে ইন্দ্রজিতের সামনে যখন হতাশার সুরে বীরবাহুর মৃত্যু , রাবণের যুদ্ধযাত্রার কথা বলছিলেন তখন তা তাঁর বিশ্বাস হচ্ছিল না । দেবী মায়াবী মানব রামচন্দ্রের জেগে ওঠা ও তাঁর দৈবী শক্তির পরিচয় দিতে শব্দটি ব্যবহার করেছেন ।
Answer: ইন্দিরা সুন্দরীর বার্তার প্রভাব উত্তর মাইকেল মধুসুদন রচিত ‘ মেঘনাদবধ কাব্য ‘ – এর ‘ অভিষেক ‘ নামাঙ্কিত পাঠ্য কাব্যাংশে ইন্দিরা সুন্দরীর বার্তা পেয়ে ইন্দ্রজিৎ প্রচণ্ড কোধে কুসুমদাম অর্থাৎ ফুলমালা ছুড়ে ফেললেন এবং সোনার অলংকার দূরে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন । অশোক ফুল গাছের তলায় যেমন আভাময় হয়ে পড়ে থাকে , ঠিক তেমনই ইন্দ্রজিতের সেইসব সোনার অলংকার সোনা शি আভা ছড়িয়ে মাটিতে পড়ে রইল ।
Answer: উদ্ধৃত অংশটির বক্তা মধুসুদনের ‘ মেঘনাদবধ কাবা ’ থেকে গৃহীত ‘ অভিষেক ‘ নামক কাব্যাংশের অন্যতম চরিত্র ইন্দ্রজিতের । মেঘনাদ প্রমোদকাননে বিলাসব্যসনে মত্ত থাকার সময় কে , কেন প্রশ্নোত প্রভাষার ছদ্মবেশে লক্ষ্মী এসে ইন্দ্রজিৎকে তার প্রিয় ভ্রাতা বীরবাহুর মৃত্যু এবং শোকস্তব্ধ রাবণের শত্ৰু রাঘব নিধনে ব্রতী হওয়ার কথা জানায় । লঙ্কার এই দুর্দিনে ইন্দ্রজিৎ প্রমোদকাননে মেয়েদের মাঝে থেকে রাজধর্ম পালনে ব্যর্থ হয়েছেন বলে তাঁর এই আত্মধিক্কার ।
Answer: প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশটি ‘ অভিষেক ’ নামাঙ্কিত কাব্যাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে । বক্তা ইন্দ্ৰজিৎ প্রভাষা রাক্ষসীর বেশধারিণী লক্ষ্মীদেবীর মুখে ভাইয়ের মৃত্যুসংবাদ এবং রাবণের যুদ্ধপ্রস্তুতির কথা শুনে দ্রুত প্রমোদ উদ্যান ত্যাগ করে লঙ্কায় যাত্রা করতে উদ্যত হলেন । যখন তিনি বুঝলেন স্বর্ণলঙ্কার ঘোরতর দুর্দিনে তিনি নারীদের মাঝে বিলাসব্যসনে মত্ত , তখন নিজেকে তিনি ধিক্কার জানালেন ও শত্রুকুলের নিধন করবার প্রতিজ্ঞা করে সকল অপবাদ ঘোচাবেন বলে দৃঢ় সংকল্প নিলেন ।
Answer: আমাদের পাঠ্য কাব্যাংশ ‘ অভিষেক ‘ – এ কেন্দ্রীয় চরিত্র মেঘনাদ বা ইন্দ্রজিৎ । পাঠ্যাংশের স্বল্প পরিসরে তাঁর চরিত্রের বেশ কিছু দিক ফুটে ওঠে ।
বীরত্ব : বীর ইন্দ্রজিৎ নিজের বাহুবলের ওপর যথেষ্ট আস্থাশীল । বীরবাহুর মৃত্যু ও পিতার যুদ্ধযাত্রার কথা শুনে তাঁর বীরসত্তা জেগে ওঠে । বীরোচিত সাজসজ্জা করে তিনি লঙ্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ।
আত্মপ্রত্যয় : ইন্দ্ৰজিৎ আগে দু – বার রামচন্দ্রকে পরাজিত করেছেন , এমনকি তাঁকে নিহতও করেছেন । তবু কোনো এক মায়া বলে আবার জীবন ফিরে পেয়েছেন রাম । কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি যখন রামচন্দ্রকে বন্দি করে রাবণের পদতলে নিয়ে আসার কথা বলেন , তখন তাঁর মধ্যে আত্মপ্রত্যয় ও দৃঢ়তা লক্ষ করা যায় ।
কর্তব্যবোধ প্রমোদকাননে বিলাসে মত্ত থাকাকালীন প্রভাষা – রূপী লক্ষ্মীর কাছে লঙ্কার দুর্দিন এবং পিতার যুদ্ধযাত্রার কথা শোনামাত্রই ইন্দ্রজিৎ লঙ্কায় উপস্থিত হন । যোগ্য সন্তান থাকা সত্ত্বেও পিতার যুদ্ধযাত্রাকে তিনি নিজের কলঙ্ক বলেই মনে করেন ।
দেশপ্রেম ও আত্মসমালোচনা : স্বর্ণলঙ্কা শত্রুসেনা দ্বারা আক্রান্ত অথচ তিনি প্রমোদকাননে বিলাসে মত্ত এ কথা জেনে ইন্দ্রজিৎ নিজেকে ধিক্কার দেন । এর থেকে তাঁর দেশপ্রেমের যেমন পরিচয় পাওয়া যায় , তেমনই বোঝা যায় আত্মপ্রত্যয়ী প্রয়োজনে নিজের সমালোচনা করতেও তিনি পিছপা নন ।
→ পত্নীপ্রেম স্ত্রী প্রমীলার কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় তাকে আশ্বস্ত করে ইন্দ্রজিৎ বলেন ভালোবাসার যে , দৃঢ় বন্ধনে তাঁরা আবদ্ধ তা ছিন্ন হওয়ার নয় । এ তাঁর পত্নীপ্রেমেরই পরিচয় । এভাবেই মহাকাব্যের খলনায়ক মধুসূদনের লিখনকৌশলে হয়ে উঠেছে । কবির পছন্দের নায়ক ।
Answer: মধুসূদনের ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশে কিঙ্করী হলেন প্রমীলা ।। ‘ কিঙ্করী ‘ শব্দের অর্থ দাসী । স্বামীর বিরহে কাতর । এক স্ত্রীর আকুতি প্রমীলার এই উক্তির মধ্য দিয়ে বিনীর পরিচয় প্রতিফলিত হয়েছে ।। চরিত্ৰবৈশিষ্ট্য প্রমীলা রাবণের পুত্রবধূ মেঘনাদের স্ত্রী । মহাকাব্যে চিত্রিত প্রমীলা চরিত্র কবির কল্পনাপ্রসূত । মূল বাল্মীকি রামায়ণে এই চরিত্র সম্পর্কে উল্লেখ না থাকলেও কৃত্তিবাসী রামায়ণে এই চরিত্রের উল্লেখ আছে । প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সাহিত্যের সংমিশ্রণে মধুসুদন তাঁর এই মানসকন্যাকে অঙ্কন করেছেন । যা বাংলা সাহিত্যে বিরল ।
পতিবিরহে কাতর : পাঠ্যে আমরা প্রমীলাকে পাই এমন এক নারী হিসেবে যে যুদ্ধগামী পতিকে বিদায় দিতে অনিচ্ছুক । একজন কুলবধূর পক্ষে তাই স্বাভাবিক । তিনি পতিপ্রেমে মুগ্ধ , তাই সাময়িক পতিবিরহ যে তার পক্ষে অসহনীয় তার উল্লেখ তাঁর উক্তিতেই পাওয়া যায় ।
যোগ্য পত্নী : প্রমীলা মেঘনাদের সুযোগ্য পত্নী । সর্বজয়ী প্রেমে সে মেঘনাদকে জয় করেছেন । মেঘনাদের উক্তিতেই তা স্পষ্ট , ইন্দ্রজিতে জিতি তুমি , সতি , / বেঁধেছ যে দৃঢ় বাঁধে , কে পারে খুলিতে / সে বাঁধে ? ‘ — এ কেবল মুখের কথা নয় , এ এক পরমসত্য । নারী যে বিচিত্র রূপ ধরতে পারে , তা প্রমীলার মধ্যে দেখা যায় । যেভাবে তিনি দেব – দৈত্য – নর – ত্রাস রণরঙ্গে মত্ত বীরকে নিজের প্রেমে আবদ্ধ করেছেন তা তুলনাহীন ।
Answer: মধুসূদনের রাবণ এক ভাগ্যবিড়ম্বিত নায়ক । পাঠ্যাংশে আমরা তাঁকে পাই একজন স্নেহশীল পিতা , দৈবাহত রাজা , দায়িত্ববান শাসক , ভ্রাতৃপ্রেমী অগ্রজ , সমরবিশেষজ্ঞ এবং ধর্মভীরু হিসেবে ।
স্নেহশীল পিতা : বীরবাহুর মৃত্যুতে শোক এবং ইন্দ্রজিৎকে যুদ্ধে পাঠাতে না চাওয়া লঙ্কেশ্বর রাবণের অকৃত্রিম পুত্রস্নেহের পরিচায়ক ।
দৈবাহত রাজা : রাবণের রণসজ্জার মধ্যে তাঁর তেজোদৃপ্ত রাজসিক ভাব যথেষ্ট প্রকাশিত হলেও এই রাজাকেই আমরা নিয়তির কাছে অসহায় ভাবে আত্মসমর্পণ করতে দেখি । তিনি ‘ বিধি বাম ’ বলে ইন্দ্রজিতের কাছে অসহায়তা প্রকাশ করেন ।
দায়িত্ববান শাসক : কুম্ভকর্ণ ও বীরবাহুর মৃত্যুতে লঙ্কাপুরী যখন বীরশূন্য তখন দেশকে বাঁচাতে রাজা রাবণ স্বয়ং যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতি নেয় । তাঁর এই উদ্যোগ রাজা হিসেবে তাঁর দায়িত্বকেই প্রকট করে ।
স্রাতৃপ্রেমী অগ্রজ : দেশের সুরক্ষার স্বার্থে রাবণ কুম্ভকর্ণকে অকালে জাগিয়ে যুদ্ধে পাঠান এবং যুদ্ধে কুম্ভকর্ণের মৃত্যু হয় । এজন্য তিনি শুধু শোকগ্রস্তই হন না বরং নিজেকে দায়ীও মনে করেন ।
সমর বিশেষজ্ঞ লঙ্কেশ্বর দেশের স্বার্থে যোগ্য বীর ইন্দ্রজিৎকে সেনাপতি পদে বরণ করে নেন । তবে তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে তিনি ইন্দ্রজিৎকে রাতে যুদ্ধে যেতে নিষেধ করেন ।
ধর্মভীরু : ইন্দ্ৰজিৎকে সেনাপতি পদে অভিষিক্ত করার সময় রাবণ শাস্ত্রবিধি মেনেই তা করেন । এমনকি যুদ্ধে যাওয়ার আগে তিনি ইন্দ্রজিৎকে ইষ্টদেবতার পূজা করার উপদেশ দেন । এ তাঁর ধর্মভীরুতারই প্রকাশ ।
Answer: পাঠ্য ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত উত্ত প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন । কৈলাসের দক্ষিণে অবস্থিত মৈনাক পর্বত হিমালয় ও মেনকার পুত্র । পুরাণ অনুসারে পূর্বকালে পর্বতদের পাখা থাকত । পাখির মতো তাঁরা পৌরাণিক আখ্যান চারদিকে আকাশপথে ভ্রমণ করতে পারতেন । দেবতা ও ঋষিরা এই পর্বতদের সর্বদা ভয় করতেন । ইন্দ্ৰ একবার ক্রুদ্ধ হয়ে সব পর্বতের পক্ষচ্ছেদ করেছিলেন । কিন্তু মৈনাক পবনদেবের সাহায্যে সাগরে আশ্রয় নিয়ে ইন্দ্রের আক্রমণ থেকে রক্ষা পান । হনুমানের সাগর পার হওয়ার সময় পবনদেবের উপকারের কথা স্মরণ করে তাঁর বিশ্রামের জন্য মৈনাক পর্বত জল থেকে উঠে এসে হনুমানকে তাঁর উপর বিশ্রাম নিতে বলেন । হনুমান তাঁকে স্পর্শ করে ধন্যবাদ জানিয়ে চলে যান । রামায়ণে আমরা এই কাহিনির উল্লেখ পাই । → প্রভাষা ধাত্রীর ছদ্মবেশধারী লক্ষ্মীর কাছে স্বর্ণলঙ্কার ঘোরতর দুর্দিনের কথা শুনে , ইন্দ্রজিতের প্রমোদকানন ত্যাগ করে স্বর্ণলঙ্কার উদ্দেশে যাত্রাকে ইন্দ্রজিতের লঙ্কাযাত্রা কবি মৈনাক শৈলের হৈমপাখা বিস্তার করে সমস্ত আকাশময় ঘুরে বেড়ানোর সঙ্গে তুলনা করেছেন । ক্রুদ্ধ ইন্দ্রজিতের ধনুকের টংকার যেন মেঘমাঝে গরুড়ের প্রবল গর্জন । ইন্দ্রজিতের এই প্রবল প্রতাপে স্বর্ণলঙ্কাসহ সমুদ্র বারবার কেঁপে উঠতে থাকে ।
Answer: আমাদের পাঠ্য মধুসূদনের ‘ অভিষেক ’ নামক কাব্যাংশে ‘ রাজেন্দ্র ’ বলতে লঙ্কাধিপতি রাবণকে বোঝানো হয়েছে । অসুরারি রিপু ইন্দ্রজিৎ তাঁর পিতাকে এ নামে অভিহিত করেছেন ।
বক্তার প্রশ্নোদৃত মন্তব্যের কারণ প্রভাষার ছদ্মবেশধারী লক্ষ্মীর মুখে রামের হাতে বীরবাহুর মৃত্যু এবং লঙ্কার এই ঘোর দুর্দিনে শোকাহত রাবণের যুদ্ধযাত্রার কথা শুনে নিজেকে । তীব্র ধিক্কার জানিয়ে প্রমোদকানন ত্যাগ করে ইন্দ্রজিৎ লঙ্কায় আসেন । রামের মায়া না বুঝলেও ইন্দ্রজিৎ তাঁকে ভস্ম করার কিংবা বেঁধে আনার অঙ্গীকার করে পিতার কাছে । যুদ্ধের অনুমতি চান । বিধাতার কাছে পরাজিত পুত্রবৎসল পিতা রাবণ লঙ্কার রাজবংশের শেষ প্রদীপকে নির্বাপিত করতে চান না । তাই তিনি ইন্দ্ৰজিৎকে যুদ্ধের অনুমতি দিতে নারাজ । কিন্তু পৌরুষের মাহাত্ম্যে উজ্জ্বল দেবরাজ ইন্দ্রকে যিনি পরাস্ত করেছেন তিনি । যুদ্ধে না – গিয়ে পিতাকে পাঠালে ইন্দ্র হাসবেন এবং অগ্নি রাগ করবেন । তাই পিতার ভেঙে পড়া মানসিকতা ও নিজের বীরদর্পকে উজ্জীবিত করার জন্য গভীর আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে ইন্দ্রজিতের এমন মন্তব্য ।
Answer: মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশ থেকে আলোচ্য প্রশ্নোদৃত অংশটি গৃহীত । উক্ত অংশে বক্তা হলেন রাবণতনয় ইন্দ্রজিৎ এবং শ্রোতা হলেন রক্ষরাজ রাবণ ।
প্রভাষার ছদ্মবেশধারী লক্ষ্মীর কাছে ইন্দ্রজিৎ স্বর্ণলঙ্কার ঘোরতর দুর্দিনের সংবাদ – সহ আর একটি অবিশ্বাস্য সংবাদ পেলেন , বস্তার মন্তব্যের কারণ পরাজিত ও মরণোন্মুখ রামচন্দ্র পুনরায় বেঁচে উঠে , ভাই বীরবাহুকে হত্যা করেছেন । ক্লোধে প্রমোদকানন ত্যাগ করে ইন্দ্ৰজিৎ স্বর্ণলঙ্কায় এসে উপস্থিত হলেন এবং পিতাকে আশ্বস্ত করে স্বয়ং শত্রুনিধনের উদ্দেশ্যে যুদ্ধযাত্রার বাসনা প্রকাশ করেন ।
পুত্রবৎসল পিতা রাবণের পুত্রকে যুদ্ধে পাঠাতে মন সায় দেয় না । বক্তার আশ্বস্ত করা কথা । ইন্দ্রজিৎ রাবণকে আশ্বস্ত করে বলেন — রামচন্দ্র একজন সামান্য মানুষ , তাই তাকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ তিনি দেখেন না । ইন্দ্রজিতের মতো সেবক থাকতে পিতা যদি যুদ্ধে যান তবে তা কলঙ্কের সমান । এই ঘটনায় মেঘবাহন ইন্দ্র হাসবেন , আর অগ্নিদেবও ক্রোধান্বিত হবেন । পর পর দু – বার শত্রুকুলকে মৃতপ্রায় করে যুদ্ধক্ষেত্রে জয়ী হয়েছেন ইন্দ্রজিৎ । এবার তিনি দেখতে চান কোন ওষুধের বলে রাঘব পুনরায় প্রাণ ফিরে পায় । এই বিশ্বাস নিয়ে তিনি রাবণরাজাকে আশ্বস্ত করে যুদ্ধযাত্রার অনুমতি চাইলেন ।
Answer: মাইকেল মধুসূদনের ‘ অভিষেক ’ থেকে গৃহীত উদ্ধৃতিটির * ও অপবাদ বক্তা রক্ষোকুলের শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা ইন্দ্রজিং । তিনি প্রমোদকাননে বিলাসব্যসনে মগ্ন অবস্থায় প্রভাষা রূপী লক্ষ্মীর কাছে বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ এবং পিতা রাবণের যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতির কথা শোনেন । লঙ্কার এমন ঘোর দুর্দিনে নিজের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ও অসন্তুষ্ট ইন্দ্রজিৎ আত্মধিক্কার দেন । সেইসঙ্গে যুদ্ধে শত্রুকুলের আমূল বিনাশ ঘটিয়ে সমস্ত অপবাদ মুছে ফেলার সংকল্প করেন ।
অপবাদ ঘোচাতে বস্তুা যা করেছিলেন → ইন্দ্রজিতের নির্দেশে দ্রুত গগনচারী রথ এসে উপস্থিত হয় । তিনি রণসাজে সজ্জিত হন । তাঁর যোদ্ধা রুপ শুধু দেবসেনাপতি কার্তিক এবং বৃহন্নলারূপী অর্জুনের সঙ্গে তুলনীয় । এ সময় স্ত্রী প্রমীলা তাঁর পথ রোধ করে দাঁড়ালে ইন্দ্রজিতের কণ্ঠে ধ্বনিত হয় ভালোবাসা আর আত্মবিশ্বাসের উদ্দীপ্ত বাণী । তারপর প্রাণাধিক প্রিয় ‘ বিধুমুখী ‘ – র কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তিনি আকাশপথে লঙ্কাপুরীতে এসে পৌঁছোন । তাঁর ধনুকের ছিলার টংকারে সমগ্র জলধিসহ লঙ্কা কেঁপে ওঠে । ইন্দ্রজিৎকে দেখে সমস্ত রাক্ষসসৈন্যদল সাহস ও অহংকারে রণহুংকার দিয়ে ওঠে । মধুসুদনের ইন্দ্রজিতের মধ্যে সাহস , সততা এবং বিনয়ের এক আশ্চর্য সংমিশ্রণ দেখা যায় । এই সমস্ত গুণের সাহায্যেই তিনি অসহায় পিতাকে আশ্বস্ত করেন । আর দ্বিতীয়বার রাঘবকে বধ করার জন্য রাবণের কাছে অনুমতি চান । পিতা রাবণ প্রথমে ইষ্টদেবতার পূজা সাঙ্গ করে পরদিন সকালে তাঁকে যুদ্ধযাত্রার পরামর্শ দেন এবং যথানিয়মে ইন্দ্রজিৎকে সেনাপতি পদে বরণ করে নেন ।
Answer: ‘ অভিষেক ’ কবিতাটি মাইকেল মধুসূদনের ‘ মেঘনাদবধ কাব্য ’ গ্রন্থের ‘ প্রথম সর্গ ’ থেকে গৃহীত । এক্ষেত্রে উল্লেখ্য কবির দেওয়া প্রথম সর্গটির নামও ‘ অভিষেক । ‘ নামকরণের সার্থকতা ‘ অংশটি দ্যাখো ।
Answer: মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘ মেঘনাদবধ কাব্য ’ – এর প্রথম সর্গ থেকে সংকলিত আমাদের পাঠ্য ‘ অভিষেক ’ নামক কাব্যাংশে ‘ মহাবাহু বলতে রাবণ ও মন্দোদরী পুত্র ইন্দ্রজিৎকে বোঝানো হয়েছে । প্রবল পরাক্রমী বীরত্বের জন্য তাঁকে এই বিশেষণে বিশেষিত করা হয়েছে । প্র প্রমোদ উদ্যানে যখন ইন্দ্রজিৎ বিলাসমত্ত , ধাত্রী প্রভাষার ছদ্মবেশধারী দেবী লক্ষ্মী তখন সেখানে আসেন । ধাত্রীকে দেখে ইন্দ্ৰজিৎ কিছুটা হতচকিত হয়ে পড়েন এবং সিংহাসন ত্যাগ করে বিনম্র চিত্তে তাঁর আগমনের কারণ ও লঙ্কার কুশল জিজ্ঞাসা করলেন । ছদ্মবেশী দেবী তাঁর শিরঃচুম্বন করে কনকলঙ্কার দুর্দশার ইঙ্গিত দেন । তিনি আরও জানান , এক ভীষণ যুদ্ধে ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যু ঘটেছে এবং শোকাহত রাবণ সেইজন্য সসৈন্যে যুদ্ধযাত্রার আয়োজন করছেন । এসব শুনেই মহাবাহু ইন্দ্রজিতের এমন বিস্ময়ের উদ্রেক ঘটেছে । রামের হাতে প্রিয় ভ্রাতা বীরবাহুর মৃত্যু ঘটেছে এ কথা শুনে তাঁর মনে বিস্ময় জেগেছে , কারণ ইন্দ্রজিৎ ইতিপূর্বে বিস্ময়ের কারণ রাত্রিকালীন যুদ্ধে রামকে তিরের আঘাতে টুকরো টুকরো করে কেটে হত্যা করেন । অথচ সেই রামের হাতেই বীরবাহুর মৃত্যু হয়েছে । ব্যাপারটা তাঁকে বিস্মিত করেছে । তাই ইন্দ্রজিৎ ভগবতীর কাছে অত্যন্ত বিস্ময়ের সঙ্গে এর বাস্তবতা জানতে চেয়েছেন ।
Answer: মধুসূদনের ‘ মেঘনাদবধ কাব্য ’ – এর প্রথম সর্গ থেকে সংকলিত ‘ ইন্দিরা সুন্দরী কে ? আমাদের পাঠ্য ‘ অভিষেক ‘ নামক কাব্যাংশে ইন্দিরা সুন্দরী ‘ বলতে বিরুপত্নী লক্ষ্মীদেবীকে বোঝানো হয়েছে ।
ধাত্রী প্রভাষার ছদ্মবেশে দেবী লক্ষ্মীর মুখে বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ শুনে ইন্দ্ৰজিৎ বিস্মিত হয়েছিলেন , কারণ তার দ্বারা পরাস্ত ও নিহত রামের হাতে বীরবাহুর কীভাবে মৃত্যু হতে পারে । ইন্দ্রজিতের কাছে এই বার্তা অদ্ভুত বলে মনে হয়েছে এবং বার্তার উৎস জানতে চাইলে লক্ষ্মীদেবী সীতাপতি রাঘবকে মায়াবী মানব বলে অভিহিত করেন ও ইন্দ্রজিৎকে এই কালসমরে লঙ্কাকে রক্ষার আহ্বান জানান । ইন্দিরা সুন্দরীর মুখে ইন্দ্রজিৎ মায়াবী মানব সীতাপতির পুনরুজ্জীবনের কথা শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন । তিনি গলার ফুলের মালা ছিঁড়ে , হাতের সোনার বালা ও কানের অলংকার সমস্ত ছুড়ে ফেললেন । অশোক গাছের মেঘনাদের প্রতিক্রিয়া তলায় অশোক ফুল যেভাবে পড়ে থাকে সেভাবেই ইন্দ্রজিতের সমস্ত অলংকার তাঁর পদতলে শোভা পাচ্ছিল । তীব্র আত্মধিক্কারে তিনি নিজেকে প্রশ্ন করেন — যখন শত্ৰুদল স্বর্ণলঙ্কা ঘিরে ফেলেছে তখন তাঁর মতো বীরের পক্ষে কি নারীদের মাঝে বিলাসমত্ত থাকা শোভা পায় ? তীব্র ক্রোধ ও আত্মগ্লানির বশবর্তী হয়ে ইন্দ্রজিৎ অনুচরদের যুদ্ধযাত্রার জন্য রথ প্রস্তুত করতে বলেন এবং শত্রুপক্ষকে বধ করে অপবাদ ঘোচানোর অঙ্গীকার করেন ।
Answer: কবি মধুসূদন দত্তের ‘ মেঘনাদবধ কাব্য ’ – এর প্রথম সর্গের অন্তর্গত পাঠ্য ‘ অভিষেক ’ কাব্যাংশ থেকে উপরোন্ত উদ্ধৃতাংশটি গৃহীত । ‘ বৃহন্নলারূপী কিরীটি ‘ হলেন পাণ্ডবশ্রেষ্ঠ অর্জুন । তিনি দেবরাজ ইন্দ্রের দেওয়া কিরীট বা মুকুট মাথায় ধারণ করতেন বলে তাঁর আর এক নাম কিরীটি । পাঠ্যে উল্লিখিত ‘ বৃহন্নলারূপী কিরীটি ’ তথা তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুন , বিরাট বৃত্তান্তের বর্ণনা রাজার গৃহে অজ্ঞাতবাসে থাকার সময় রাজকন্যা উত্তরাকে নৃত্যগীতাদি শিক্ষাদানের জন্য বৃহন্নলা ছদ্মনাম গ্রহণ করেন । সেই সময় কৌরব ভ্রাতৃবর্গ বিরাট রাজার গোধন অপহরণ করে বিরাটকে পরাজিত ও বন্দি করেন । রাজপুত্র উত্তরের সারথিরূপে এবং বৃহন্নলারূপী অর্জুন যুদ্ধে কৌরবদের সম্মুখীন হন এবং গোধনসমূহ উদ্ধার করে , শত্রুদের পরাজিত করে বিরাট রাজাকে বিপদ থেকে মুক্ত করেন । ‘ অভিষেক ’ কবিতায় কবি মধুসূদন অত্যন্ত সচেতনভাবেই দুই শ্রেষ্ঠ যোদ্ধার পরাক্রম বোঝাতে ধনুর্ধর অর্জুনের সঙ্গে ইন্দ্রজিতের সাহসিকতার তুলনা করেছেন । নাশিতে তারকে মহাসুর ‘ — মূল অর্থ → নাশিতে তারকে মহাসুর বলতে , দেবসেনাপতি কার্তিকেয়র হাতে তারকাসুর বধের প্রসঙ্গটি উত্থাপিত হয়েছে । তারকাসুর একসময় স্বর্গরাজ্য অধিকার করে দেবলোকে ত্রাসের সঞ্চার করেছিল । পার্বতী ও মহাদেবের পুত্র দেব সেনাপতি কার্তিকেয় স্বর্গরাজ্য নিষ্কণ্টক করার জন্য তারকাসুরকে বধ করে দেবতাদের রক্ষা করেন । স্বাজাত্যবোধ ও স্বাদেশিকতায় উদ্দীপিত পিতৃভক্ত বীর ইন্দ্রজিৎকে কবি দেবসেনাপতি কার্তিকের সঙ্গে তুলনা করেছেন ।
Answer: মধুসূদনের ‘ মেঘনাদবধ কাব্য ’ – এর প্রথম সর্গ থেকে গৃহীত পাঠ্য ‘ অভিষেক ’ নামক কাব্যাংশে আমরা ‘ রথীন্দ্রভ ‘ রথীন্দ্রবর্ষ কে ? শব্দটি পাই , যার অর্থ শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা । এক্ষেত্রে রাবণপুত্র ইন্দ্রজিতের বীরত্ব বোঝাতে ‘ রথীন্দ্রভ ’ শব্দটি কবি ব্যবহার করেছেন ।
ইন্দ্ৰজিৎকে শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা হিসেবে বর্ণনা করতে গিয়ে কবি তাঁকে দেবসেনাপতি কার্তিক ও বৃহন্নলারুপী তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুনের বীরত্বের সাথে তুলনা করেছেন । স্ত্রী প্রমীলা – সহ নারীদের মাঝে তুলনীয় বিষয় ও বিলাসমত্ত ইন্দ্রজিৎ ছদ্মবেশী লক্ষ্মীদেবীর মুখে যখন ঘটনার উল্লেখ শুনলেন , তার প্রিয় ভাই বীরবাহু রাঘবের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন এবং পিতা রাবণ শোকাহত অবস্থাতেই যুদ্ধযাত্রার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন , তখন তিনি নিজেকে তীব্র ধিক্কার জানান । শত্রুপক্ষকে বধ করেই তিনি এই অপবাদ ঘোচাতে চান । বীরসাজে সজ্জিত ইন্দ্রজিতের পরাক্রম বোঝাতেই কবি এই দুই শ্রেষ্ঠ যোদ্ধার সাহসিকতার সঙ্গে ইন্দ্রজিতের সাহসিকতার তুলনা করেছেন । তারকাসুর স্বর্গরাজ্য অধিকার করে দেবলোকে ত্রাসের সঞ্চার করেছিল । পার্বতী ও মহাদেবের পুত্র কার্তিকেয় তাকে হত্যা করে স্বর্গরাজ্য দেবতাদের ফিরিয়ে দেন । বৃহন্নলারুপী কিরীটি অর্থাৎ অর্জুন অজ্ঞাতবাসকালে বিরাট রাজকন্যার নৃত্যগীতাদির শিক্ষক ছিলেন । সেই সময় দুর্যোধনরা বিরাটের গোধন অপহরণ করলে প্রবল পরাক্রমী অর্জুন তথা বৃহন্নলারূপী কিরীটি তা রক্ষা করেন ।
Answer: পাঠ্য ‘ অভিষেক ‘ নামাঙ্কিত কাব্যাংশে মধুসুদন ইন্দ্রজিতের শ্রমীলার পরিচায় স্ত্রী হিসেবে প্রমীলাকে উপস্থিত করেছেন । বাল্মীকি রামায়ণে না থাকলেও আমরা কৃত্তিবাসী রামায়ণে তাকে পাই । এখানে প্রমীলা কবির নিজস্ব পরিকল্পনা ।
প্রমোদ উদ্যানে বিলাসে মত্ত থাকাকালীন প্রভাষা – রূপী ছদ্মবেশী দেবী লক্ষ্মী মুখে রাঘবের হাতে বীরবাহুর মৃত্যু ও শোকাহত রাবণের যুদ্ধনাত্রার কথা শুনে ক্রুদ্ধ ইন্দ্রজিৎ নিজেকে ধিক্কার জানিয়ে রণসাজে সজ্জিত হয়ে যখন বীরদর্পে যুদ্ধে গমনোদ্যত , তখন প্রমীলার দেখা পাওয়া যায় । তিনি তখন স্বামীর দুটি পা ধরে কেঁদে জানতে চান , ইন্দ্ৰজিৎ তাঁকে রেখে আজ কোথায় চলেছেন ? স্বামীর বিরহে কীভাবে তিনি দিনপাত করবেন ? এ প্রসঙ্গে প্রমীলার বক্তব্য গভীর জঙ্গলে ইন্দ্রজিৎ ও প্রমীলার হাতির দল বনলতার আকর্ষণ ছিন্ন করলেও , দলপতি কথোপকথন তাকে পদতলে স্থান দেয় । তিনিও এটুকুই চান । আজ কেন ইন্দ্ৰজিৎ এই সেবিকাকে ত্যাগ করে যাচ্ছেন ? স্বামী – স্ত্রীর চিরন্তন বন্ধনের কথা মনে করিয়ে ইন্দ্রজিৎ যত দ্রুত সম্ভব ফিরে আসার অঙ্গীকার করেন । কারণ হিসেবে তিনি বলেন , প্রমীলাই তো ইন্দ্রজিতের কল্যাণী । তাঁর মঙ্গল কামনার জোরে এই যুদ্ধে ইন্দ্রজিৎ রাঘবকে অনায়াসে নাশ করতে পারবেন । প্রমোদকানন থেকে লঙ্কায় যাত্রাকালে ইন্দ্রজিৎ এভাবেই প্রমীলার কাছ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন ।
Answer: মধুসূদনের ‘ মেঘনাদবধ কাবা ‘ – এর প্রথম সর্গ থেকে গৃহীত পাঠ ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশের উদ্ধৃত অংশটিতে পিতা পিতা ও পুত্রের পরিচয় হলেন লঙ্কাধিপতি রাবণ এবং পুত্র হল রাবণপুত্র ইন্দ্ৰজিং ।
পিতা রাবণকে প্রণাম জানিয়ে ইন্দ্রজিৎ যুদ্ধযাত্রার অনুমতি চান । তাঁর হাতে নিশারণে নিহত রাম পুনর্জীবন লাভ করেছেন শুনে , রামের মায়া না বুঝলেও ; তিনি রাঘবকে বায়ুঅস্ত্রে ভস্ম করার কিংবা রাজপদে বেঁধে আনার সংকল্প করেন । পুত্রের কথায় পুত্রবৎসল এক পিতার হৃদয়ের প্রকৃত স্বরূপটি ফুটে ওঠে । সেখানে ধ্বনিত হয় স্নেহ – হাহাকার ও অসহায়তা । রক্ষোকুলের শ্রেষ্ঠ সম্পদটিকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠাতে তাঁর মন চায় না । তিনি পিতা – পুত্রের কথোপকথন চান না স্বর্ণলঙ্কার শেষ কুলপ্রদীপটি নির্বাপিত হোক । কারণ স্বয়ং বিধাতাও রাবণের প্রতি বিরূপ । না – হলে শিলা যেমন জলে ভাসে না , তেমনই মৃত কখনও পুনর্জীবন পায় না । অথচ এক্ষেত্রে তাই ঘটেছে । কিন্তু পৌরুষ ও সৎসাহসে উদ্দীপ্ত ইন্দ্ৰজিৎ অগ্নিদেবকে রুষ্ট করতে কিংবা পরাজিত ইন্দ্রদেবের হাসির পাত্র হতে পারেন না । তাই তিনি দ্বিতীয়বার রাঘবকে পরাজিত করার জন্য পিতার আব্বা চান । রাবণের অন্তর ক্ষতবিক্ষত মানসিক টানাপোড়েনে তিনি আকুল – অস্থির । তাঁর দৃষ্টির সামনে ভূপতিত পর্বতসম কুম্ভকর্ণ । তিনি প্রাণাধিক প্রিয় ‘ বীরমণি ‘ – কে প্রথমে ইস্টদেবের পূজা ও তারপর নিকুম্ভিলা যজ্ঞ সাঙ্গ করে পরদিন সকালে যুদ্ধযাত্রা করতে বলেন । কিন্তু দ্বিধা – দ্বন্দ্ব প্রশমিত করে যথাবিধি মেনে সেনাপতি পদে ইন্দ্রজিতের অভিষেক ঘটান । এখানে এক ভাগ্যবিড়ম্বিত শোকাহত ও নিঃসঙ্গ পিতার পাশে , সাহস – অহংকার আর বীরধর্মে উজ্জীবিত পুত্রের আশ্চর্য ছবি তুলে ধরেছেন কবি মধুসুদন ।
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Bengali Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik English Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Geography Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik History Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Physical Science Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Life Science Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Mathematics Suggestion 2023 Click Here
PDF Name : মাধ্যমিক বাংলা – অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত – সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion PDF
Price : FREE
Download Link : Click Here To Download
West Bengal Madhyamik Bengali Suggestion PDF prepared by expert subject teachers. WB Madhyamik Bengali Suggestion with 100% Common in the Examination.
West Bengal Madhyamik Bengali Suggestion Download. WBBSE Madhyamik Bengali short question suggestion. Madhyamik Bengali Suggestion PDF download. Madhyamik Question Paper Bengali.
মাধ্যমিক বাংলা (Madhyamik Bengali) অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত – প্রশ্ন উত্তর।
মাধ্যমিক বাংলা পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বোর্ডের (WBBSE) সিলেবাস বা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী দশম শ্রেণির বাংলা বিষয়টির সমস্ত প্রশ্নোত্তর। সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা, তার আগে winexam.in আপনার সুবিধার্থে নিয়ে এল মাধ্যমিক বাংলা সাজেশান – অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত – প্রশ্ন উত্তর । বাংলাে ভালো রেজাল্ট করতে হলে অবশ্যই পড়ুন । আমাদের মাধ্যমিক বাংলা ।
আমরা WBBSE মাধ্যমিক পরীক্ষার বাংলা বিষয়ের – অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত – প্রশ্ন উত্তর – সাজেশন নিয়ে অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত – প্রশ্ন উত্তর নিয়ে অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্তচনা করেছি। আপনারা যারা এবছর দশম শ্রেণির বাংলা পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাদের জন্য আমরা কিছু প্রশ্ন সাজেশন আকারে দিয়েছি. এই প্রশ্নগুলি পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণির বাংলা পরীক্ষা তে আসার সম্ভাবনা খুব বেশি. তাই আমরা আশা করছি Madhyamik বাংলা পরীক্ষার সাজেশন কমন এই প্রশ্ন গুলো সমাধান করলে আপনাদের মার্কস বেশি আসার চান্স থাকবে।
মাধ্যমিক বাংলা, মাধ্যমিক বাংলা, মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর, নবম শ্রেণি বাংলা, দশম শ্রেণি বাংলা, নবম শ্রেণি বাংলা, দশম শ্রেণি বাংলা, ক্লাস টেন বাংলা, মাধ্যমিকের বাংলা, বাংলা মাধ্যমিক – অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দশম শ্রেণী – অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত, মাধ্যমিক বাংলা অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত, ক্লাস টেন অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত, Madhyamik Bengali – অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত, Class 10th অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত, Class X অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত, ইংলিশ, মাধ্যমিক ইংলিশ, পরীক্ষা প্রস্তুতি, রেল, গ্রুপ ডি, এস এস সি, পি, এস, সি, সি এস সি, ডব্লু বি সি এস, নেট, সেট, চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতি, Madhyamik Bengali Suggestion , West Bengal Madhyamik Class 10 Bengali Suggestion, West Bengal Secondary Board exam suggestion , WBBSE , মাধ্যমিক সাজেশান, মাধ্যমিক সাজেশান , মাধ্যমিক সাজেশান , মাধ্যমিক সাজেশন, মাধ্যমিক বাংলা সাজেশান , মাধ্যমিক বাংলা সাজেশান , মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক বাংলা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, Madhyamik Bengali Suggestion Bengali , মাধ্যমিক বাংলা – অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত – সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক বাংলা – অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত – সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক বাংলা – অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত – সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক বাংলা – অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত – সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক বাংলা – অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত – সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক বাংলা – অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত – সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion PDF PDF,মাধ্যমিক বাংলা – অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত – সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক বাংলা – অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত – সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion PDF, Madhyamik Class 10 Bengali Suggestion PDF.
এই (মাধ্যমিক বাংলা – অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত – সাজেশন | Madhyamik Bengali Suggestion PDF PDF) পোস্টটি থেকে যদি আপনার লাভ হয় তাহলে আমাদের পরিশ্রম সফল হবে। আরোও বিভিন্ন স্কুল বোর্ড পরীক্ষা, প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার সাজেশন, অতিসংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত ও রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (All Exam Guide Suggestion, MCQ Type, Short, Descriptive Question and answer), প্রতিদিন নতুন নতুন চাকরির খবর (Job News in Bengali) জানতে এবং সমস্ত পরীক্ষার এডমিট কার্ড ডাউনলোড (All Exam Admit Card Download) করতে winexam.in ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।
একাদশ শ্রেণীর সমস্ত বিষয় সাজেশন ২০২৩ Class 11 All Subjects Suggestion 2023 PDF Download একাদশ…
একাদশ শ্রেণীর গণিত সাজেশন ২০২৩ Class 11 Mathematics Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর গণিত…
একাদশ শ্রেণীর জীববিদ্যা সাজেশন ২০২৩ Class 11 Biology Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর জীববিদ্যা…
একাদশ শ্রেণীর রসায়ন সাজেশন ২০২৩ Class 11 Chemistry Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর রসায়ন…
একাদশ শ্রেণীর পদার্থবিদ্যা সাজেশন ২০২৩ Class 11 Physics Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর পদার্থবিদ্যা…
একাদশ শ্রেণীর সমাজবিজ্ঞান সাজেশন ২০২৩ Class 11 Sociology Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর সমাজবিজ্ঞান…