বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল - দ্বিতীয় অধ্যায়) - মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF
মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন – বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) সাজেশন Bayu Chap Boloy & Bayu Prabha – Madhyamik Geography Suggestion PDF : বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন ও অধ্যায় ভিত্তিতে প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হল। এবার পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষায় বা মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষায় ( WB Madhyamik Geography Suggestion PDF | Bayu Chap Boloy & Bayu Prabha – West Bengal Madhyamik Geography Suggestion PDF | WBBSE Board Class 10th Geography Question and Answer with PDF file Download) এই প্রশ্নউত্তর ও সাজেশন খুব ইম্পর্টেন্ট । আপনারা যারা আগামী মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য বা মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) | Madhyamik Geography Suggestion PDF | WBBSE Board Madhyamik Class 10th (X) Geography Suggestion Question and Answer খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর ভালো করে পড়তে পারেন।
পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন (West Bengal Madhyamik Geography Suggestion PDF / Notes) বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর – MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (SAQ), সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (Short Question and Answer), ব্যাখ্যাধর্মী বা রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (descriptive question and answer) এবং PDF ফাইল ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে দেওয়া রয়েছে।
Answer : ১০১৩.২৫ মিলিবার ।
Answer : আফ্রিকার সাহারা ও উত্তর আমেরিকার সোনেরান ।
Answer : বোরা ও মিস্টাল ।
Answer : সাহারা মরুভূমিতে ।
Answer : খামসিন ।
Answer : লু ।
Answer : পম্পেরো ।
Answer : বাতপতাকা ।
Answer : মিলিবার ।
Answer : ফন ।
Answer : হ্যারিকেন ।
Answer : টর্নেডো ।
Answer : ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত ।
Answer : লু ।
Answer : ব্যারোগ্রাম ।
Answer : Trough .
Answer : মৌসুমি বায়ু ।
Answer : পশ্চিমা বায়ু ।
Answer : দুপুরবেলায় ।
Answer : চিনুক ।
Answer : বৈশাখ – জ্যৈষ্ঠ ( মে – জুন ) ।
Answer : টাইফুন ।
Answer : চিনুক ।
Answer : ক্রান্তীয় ঘূর্ণিবাত ।
Answer : জানুয়ারি ও জুলাই মাসে ।
Answer : উভয় গোলার্ধে ২৫ ° -৩৫ ° অক্ষাংশের মধ্যে ।
Answer : কোরিওলিস বল ।
Answer : বিজ্ঞানী উইলিয়াম ফেরেল ।
Answer : (D) আগত সৌররশ্মি
Answer : (D) বাতপতাকা
Answer : (A) ১ ডাইন
Answer : (C) ব্যারোগ্রাম
Answer : (A) উত্তর – পূর্ব
Answer : (C) ৮৪৩.৯ এমবি
Answer : (A) নিরক্ষীয় অঞ্চলে
Answer : (C) কুমেরুবৃত্ত
Answer : (B) গতিবেগ বাড়ে
Answer : (D) ফেরেল
Answer : (B) কোরিওলিস
Answer : (D) মেরু
Answer : (A) আয়ন বায়ু
Answer : (C) পশ্চিম
Answer : A) ভোরবেলা
Answer : (C) মৌসুমি বায়ু
Answer : (C) মিস্ট্রাল
Answer : (D) উষ্ণতা
Answer : (D) উত্তর – পশ্চিম পশ্চিমা বায়ু
Answer : (A) ব্যারোমিটার
Answer : (C) ৭ টি
Answer : (A) গর্জনশীল চল্লিশা
Answer : B) আয়ন বায়ু
Answer : A) ৬০ ° -৭o °
Answer : (C) ১ সেমি
Answer : (D) রাত্রে
Answer : (A) দুপুরে
Answer : (D) স্থল বায়ু
Answer : B) নিয়ত বায়ু
Answer : (A) ১৬ কিমি
Answer : (B) দক্ষিণ – পশ্চিম
Answer : (C) অ্যানিমোমিটার
Answer : (A) পম্পেরো
Answer : (A) আয়ন বায়ু
Answer : (B) ২৫ ° –৩৫ ° উত্তর
Answer : (A) আকস্মিক বায়ুপ্রবাহ
Answer : (B) অল্টিমিটার
Answer : (A) নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ে
Answer : (C) মিলিবার
Answer : নিয়ত বায়ু হল তিন প্রকারের । যথা- ( i ) আয়ন বায়ু , ( ii ) পশ্চিমা বায়ু এবং ( iii ) মেরু বায়ু
Answer : আয়ন বায়ু একটি নির্দিষ্ট পথ বরাবর প্রবাহিত হয় । পালতোলা জাহাজের যুগে এই বায়ুর পথ ধরে বাণিজ্য হত বলে এর অপর নাম ‘ বাণিজ্য বায়ু ।
Answer : ইনটার ট্রপিক্যাল কনভার্জেন্স জোন ( Inter tropical convergence zone ) নিরক্ষীয় অঞ্চলে উত্তর – পূর্ব ও দক্ষিণ – পূর্ব আয়ন বায়ু পরস্পর মিলিত হয়ে ঊর্ধ্বমুখী হয় । তাই এই অঞ্চল হল ITCZ ।
Answer : নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্যের লম্ব কিরণে বাতাস হালকা ও উন্ন হয়ে সারাবছর উপরের বায়ুস্তরে ঊর্ধ্বাগমন করে । এই বায়ুর কোনো পার্শ্বপ্রবাহ থাকে না তাই , ৫ ° -১০ ° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষরেখার অঞ্চল শাস্ত থাকে । একে বলে নিরক্ষীয় শান্তবলয় বা ডোলড্রামস্ ।
Answer : দক্ষিণ গোলার্ধে স্থলভাগ অপেক্ষা সমুদ্রের বিস্তার বেশি হওয়ায় পশ্চিমা বায়ু বাধাহীনভাবে প্রবলবেগে গর্জন করে প্রবাহিত হয় । প্রবল বায়ুপ্রবাহের কারণেই ৪০ ° দক্ষিণ অক্ষরেখা ‘ গর্জনশীল চল্লিশা ‘ নামে পরিচিত ।
Answer : কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয়দ্বয় থেকে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে উভয় গোলার্ধে ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে যে নিয়ত বায়ু প্রবাহিত হয় তাকে পশ্চিমা বায়ু বলে । অপরপক্ষে , নিরক্ষীয় অঞ্চলের ঊর্ধ্বমুখী বায়ু পৃথিবীর আবর্তনজনিত কারণে বিক্ষিপ্ত হয়ে কর্কটক্রান্তি ও মকরক্রান্তি উচ্চচাপ বলয় বরাবর নেমে আসে । একেই প্রত্যয়ন বায়ু বলে ।
Answer : সাময়িক বায়ু হল তিন প্রকার । যথা— ( i ) সমুদ্র বায়ু ও স্থলবায়ু , ( ii ) মৌসুমি বায়ু এবং ( iii ) পার্বত্য ও উপত্যকা বায়ু ।
Answer : সমুদ্র বায়ু দিনের বেলা প্রবাহিত হয় । সূর্যের তাপে দিনের বেলা স্থলভাগের উষ্ণতা বাড়ে । ফলে সমুদ্র ও স্থলভাগের মধ্যে বায়ুচাপের ঢাল বেশি হয় । তাই সমুদ্র বায়ুর গতিবেগও বাড়ে । রাত্রে স্থলভাগ ধীরে ধীরে শীতল হয় বলে সমুদ্র ও স্থলভাগের মধ্যে বায়ুচাপের ঢাল কম হয় । ফলে স্থল বায়ু ধীরে ধীরে প্রবাহিত হয় ।
Answer : পার্বত্য বায়ু পর্বতের উপরি অংশ থেকে দ্রুত তাপ বিকিরণে শীতল ও ভারী হয়ে পর্বতের ঢাল বরাবর নীচে নেমে আসে ও উপত্যকায় অবস্থান করে । অপর দিকে , ক্যাটাবেটিক বায়ু বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রবাহিত হয় ।
Answer : দুটি বিখ্যাত ক্যাটাবেটিক বায়ু হল বোরা ও মিস্টাল ।
Answer : স্থানীয়ভাবে বায়ুচাপের তারতম্য ঘটলে যে বায়ুপ্রবাহ ঘটে তাকে স্থানীয় বায়ু বলে । এর প্রবাহ স্থানীয়ভাবেই হয় । যেমন — লু , বোরা , মিস্টাল ইত্যাদি ।
Answer : ইউরোপের আঙ্কস পর্বতের উত্তর ঢালে প্রবাহিত বায়ুপ্রবাহের ফলে সুইটজারল্যান্ডে শীতকালের আবহাওয়া মনোরম থাকে বলে , সুইটজারল্যান্ডকে জলবায়ুগত মরূদ্যান বলে ।
Answer : পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণে বায়ুমণ্ডলের গ্যাসীয় অণুগুলির অবিরাম সংঘর্ষে সমুদ্রপৃষ্ঠে প্রতি একক স্থানের ওপর যে বল প্রয়োগ করে তা হল বায়ুচাপ ।
Answer : মিলিবার হল বায়ুচাপ মাপার একক । এক মিলিবার এমন একটি শক্তি , যা প্রতি বর্গসেমিতে ১০০০ ডাইন চাপ দেয় । সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় বায়ুচাপ হল ১০১৩.২৫ মিলিবার ।
Answer : সমচাপ রেখার সাথে সমকোণে উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের দিকে নির্দিষ্ট দূরত্বে বায়ুচাপের যে পার্থক্য ঘটে , তাকেই বায়ুচাপের ঢাল বলা হয় । এর অপর নাম হল বায়ুচাপের অনুভূমিক অবক্রম হার ( Horizontal Pressure Gradient )
Answer : কোনো নির্দিষ্ট সময়ে ভূপৃষ্ঠের সমচাপ যুক্ত স্থানগুলিকে মানচিত্রে যে রেখা দ্বারা যোগ করা হয় , তা হল সমচাপ রেখা ।
Answer : নিরক্ষীয় অঞ্চলের উষ্ণ – আর্দ্র বায়ু হালকা বলে সর্বদা এই ঊর্ধ্বগামী ( বায়ুস্রোত ) । ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে এখানে কোনো বায়ুপ্রবাহ ঘটে না বলে শান্ত থাকে , যা জাহাজ চলাচলের অসুবিধা ঘটাত । তাই নাবিকগণ এর নাম দেন ‘ ডোলড্রামস ‘ । এটিকে ‘ নিরক্ষীয় অক্ষ’ও ( Equatorial trough ) বলা হয় ।
Answer : সমুদ্রের ওপর বায়ুচাপ বলয়গুলি যতটা স্পষ্ট , মহাদেশের ওপর ততটা নয় । মহাদেশের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য বেশি বলে বলয়গুলি ভেঙে ছোটো ছোটো কোশ আকারে অবস্থান করে । এগুলিকেই বায়ুচাপ কক্ষ বলা হয় । স্থলভাগের বিস্তার যেখানে বেশি কক্ষের সংখ্যাও সেখানে বেশি ।
Answer : ভূপৃষ্ঠের উপর দিয়ে সমান্তরালভাবে উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে বায়ু চলাচলকে বায়ুপ্রবাহ বলে । টেওয়ার্থার মতে , ‘ বায়ু হল প্রাকৃতিক শক্তি যা ভূপৃষ্ঠের বায়ুচাপের সমতা রক্ষা করছে ।
Answer : ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে সমান্তরালে বায়ুচলাচলকে বায়ুপ্রবাহ বলে বায়ু উল্লম্বভাবে অর্থাৎ উপর থেকে নীচে বা নীচ থেকে উপরে চলাচল করলে তাকে বলা হয় বায়ুস্রোত ।
Answer : পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট কোরিওলিস বলের প্রভাবে বায়ু উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের দিকে প্রবাহিত হওয়ার সময় উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয় । বিজ্ঞানী ফেরেল – এর নামানুসারে ইহা ফেরেলসূত্র নামে পরিচিত ।
Answer : ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে ডাচ্ আবহবিদ্ বাইস ব্যালট , বায়ুচাপের তারতম্য ও বায়ুপ্রবাহের মধ্যে একটি সম্পর্ক নির্ধারণ করেন । তাঁর মতে উত্তর গোলার্ধে বায়ুপ্রবাহের দিকে পিছন করে দাঁড়ালে ডানদিকে উচ্চচাপ এবং বামদিকে নিম্নচাপ থাকে । দক্ষিণ গোলার্ধে – এর ঠিক বিপরীত অবস্থা হয় । একেই বলে বাইস ব্যালট সূত্র ।
Ans; স্থায়ী বায়ুচাপ বলয়গুলির ওপর ভিত্তি করে যে বায়ুপ্রবাহসমূহ সারাবছর ধরে নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট পথে , নির্দিষ্ট গতিতে ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে প্রবাহিত হয় , তাদেরকেই নিয়ত বায়ুপ্রবাহ বলে ।
Answer : বায়ুর চাপ কক্ষের অবস্থান ও সংখ্যা নির্ভর করে । মহাদেশ ও মহাসাগরের অবস্থান ও বিস্তৃতির ওপর । দক্ষিণ গোলার্ধে মহাদেশ অপেক্ষা মহাসমুদ্রের বিস্তার বেশি হওয়ায় বায়ুচাপ বলয়গুলির বিস্তৃতি বেশি । কিন্তু উত্তর গোলার্ধে সমুদ্র অপেক্ষ মহাদেশের বিস্তার বেশি হওয়ায় চাপবলয়গুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রে কক্ষের আকারে অবস্থান করে । তাই দক্ষিণ গোলার্ধের তুলনায় উত্তর গোলার্ধে বায়ুচাপ কক্ষের সংখ্যা বেশি ।
Answer : উভয় গোলার্ধের ক্রান্তীয়মণ্ডলে ( i ) মহাদেশের পশ্চিম দিক থেকে আয়ন বায়ু সমুদ্রের দিকে বয়ে যায় , ফলে বায়ুতে জলীয় বাষ্প থাকে না । ( ii ) এই বায়ু যতই নিরক্ষীয় অঞ্চলের দিকে বয়ে যায় উষ্ণতা বাড়তে থাকে বলে জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা বাড়তে থাকে । ( iii ) ক্রান্তীয় মণ্ডলের মরুভূমি অঞ্চলের ওপর উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় অবস্থানের কারণে শুষ্ক বায়ুস্রোত উপর থেকে নীচে নেমে আসে । উল্লিখিত কারণগুলির প্রভাবে ক্রান্তীয়মণ্ডলে মহাদেশের পশ্চিমে দীর্ঘকাল বৃষ্টি না – হওয়ার কারণেই অঞ্চলগুলি মরুভূমিতে ( সাহারা , কালাহারি , সোনেরান , আটাকামা , অস্ট্রেলিয়া ) পরিণত হয়েছে ।
Answer : উত্তর গোলার্ধে সমুদ্র অপেক্ষা স্থলভাগের বিস্তার বেশি হওয়ায় উত্তর – পূর্ব আয়ন বায়ু ঘর্ষণজনিত বাধার কারণে কিছুটা ধীরে ( ১৬ কিমি / ঘণ্টা ) প্রবাহিত হয় । কিন্তু দক্ষিণ গোলার্ধে স্থলভাগের থেকে জলভাগের বিস্তার বেশি বলে দক্ষিণ – পূর্ব আয়ন বায়ু কিছুটা অধিক বেগে ( ২২ কিমি / ঘণ্টা ) প্রবাহিত হয় । দিকের সাথে সমকোণে কাজ করে , ( ii ) এর প্রভাবে বায়ুর বেগের কোনো হেরফের হয় না , ( iii ) বায়ুর বেগ যত বাড়ে , এই বলের প্রভাবে দিক্বিক্ষেপ তত বাড়ে । মনে রাখবে প্রবহমান ( বায়ু , সমুদ্রস্রোত ইত্যাদি ) বস্তুর ওপরই কেবল কোরিওলিস বল কাজ করে ।
Answer : উত্তর গোলার্ধে দক্ষিণপশ্চিম পশ্চিমা বায়ু প্রবাহিত অঞ্চলে মহাসাগরের তুলনায় মহাদেশের বিস্তার খুব বেশি হওয়ায় বায়ুর বেগ খুব কম । কিন্তু দক্ষিণ গোলার্ধে উত্তর – পশ্চিম পশ্চিমা D , বায়ু প্রবাহিত অঞ্চলে মহাদেশের তুলনায় মহাসাগরের বিস্তার খুব বেশি হওয়ায় পশ্চিমা বায়ু অতি প্রবল বেগে গর্জন করে প্রবাহিত হয় । তাই দক্ষিণ গোলার্ধে পশ্চিমা বায়ুকে সাহসিক পশ্চিমা বায়ু বলা হয় ।
Answer : উপকূল অঞ্চলে দিনের বেলা সমুদ্র থেকে স্থলভাগের যে মৃদুমন্দ বাতাস বয় তা হল সমুদ্র বায়ু । সমুদ্র বায়ু উৎপত্তি : দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপে প্রকৃতির নিয়মে সমুদ্র অপেক্ষা স্থলভাগ বেশি উত্তপ্ত হয় । ফলে স্থলভাগে সৃষ্ট হয় নিম্নচাপ এবং সমুদ্রে উচ্চচাপ । এইরূপ অবস্থায় চাপের সমতা ল রক্ষার জন্য বায়ু সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে বয়ে যায় । = • বৈশিষ্ট্য : ( ১ ) মোটামুটি সকাল ১০ টার পর থেকে বিকাল পর্যন্ত এই বায়ু বয় । ( ২ ) দুপুরে বায়ুচাপের ঢাল সর্বাধিক হয় বলে সমুদ্র বায়ুর বেগ দুপুরে সবচেয়ে বেশি ।
Answer : উপকূল অঞ্চলে রাতের বেলা স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে যে মৃদুমন্দ বাতাস বয় তা হল স্থলবায়ু ।
Answer : মৌসুমি বায়ুর উৎপত্তি , গতিপ্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য সমুদ্র বায়ু ও স্থলবায়ুর মতোই । কিন্তু ইহার ব্যাপ্তি ও প্রবাহকাল স্থলবায়ু ও সমুদ্র বায়ু অপেক্ষা অধিক । গ্রীষ্মকালে প্রবল উষ্ণতায় স্থলভাগে যে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় , তার প্রভাবেই উচ্চচাপযুক্ত সমুদ্র থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু স্থলভাগে প্রবেশ করে । একেই মৌসুমি বায়ুর আগমন বা গ্রীষ্ম মৌসুমি বলে । আবার শীতকালে সূর্যের আপাত গতির কারণে সমুদ্রে উষ্ণতা বেশি এবং স্থলভাগে উষ্ণতা কম হওয়ায় সমুদ্রে নিম্নচাপ ও স্থলভাগে উচ্চচাপ বিরাজ করে । এই সময় স্থলভাগ থেকে বায়ু সমুদ্রের দিকে বয়ে যায় । একেই মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাগমন বা শীত মৌসুমি বলে । যেহেতু মৌসুমি বায়ুর উৎপত্তি ও গতিপ্রকৃতি সমুদ্র বায়ু ও স্থল বায়ুর মতোই তাই ট্রেওয়ার্থী , ফন্ প্রভৃতি আবহবিদগণের মতে ‘ মৌসুমি বায়ু হল স্থল বায়ু ও সমুদ্র বায়ুর বৃহৎ সংস্করণ ।
Answer : রাত্রিবেলা পর্বতের উপরি অংশের বায়ু দ্রুত তাপ বিকিরণে শীতল ও ভারী হয়ে পড়ে বলে পর্বতের ঢাল বরাবর ভারী বায়ু নীচে নেমে উপত্যকায় অবস্থান করে । এটি হল পার্বত্য বায়ু । পার্বত্য বায়ু বিস্তৃর্ণ অঞ্চল ও দীর্ঘ সময় ধরে প্রবাহিত হলে তখন । তা ক্যাটাবেটিক বায়ু । বোরা , মিস্টাল প্রভৃতি হল ক্যাটাবেটিক বায়ুর উদাহরণ । দিনের বেলা সূর্যতাপে উপত্যকার নিম্নাংশ অপেক্ষা ঢালু অংশ ( mountain slope ) বেশি গরম হয় । ফলে উপত্যকায় নিম্নাংশের বায়ু পর্বতের ঢাল বরাবর উপরের দিকে ওঠে । এটি হল উপত্যকা বায়ু । একে অ্যানাৰেটিক বায়ুও বলা হয় । এই দুই বায়ু প্রবাহের কারণেই পার্বত্য অংশে উষ্ণতা র বৈপরীত্য দেখা যায় ।
Answer : কোনো অল্পপরিসর স্থান যদি হঠাৎ বেশিমাত্রায় উত্তপ্ত হয় তবে সেই স্থান তখন নিম্নচাপের সৃষ্টি হওয়ার ফলে চারিদিকের অপেক্ষাকৃত শীতল ও উচ্চচাপের স্থানগুলো থেকে বায়ু প্রচণ্ড বেগে ওই নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে ছুটে আসে এবং ঘুরতে ঘুরতে ওই নিম্নচাপের কেন্দ্রে প্রবেশ করে । এইভাবে ঘূর্ণবাতের সৃষ্টি হয় ।
Answer : ঘূর্ণবাতের বৈশিষ্ট্যগুলি হল : ( i ) এই বায়ুপ্রবাহ উত্তর গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে অর্থাৎ বামাবর্তে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে অর্থাৎ দক্ষিণাবর্তে ঘুরে ঘুরে কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হয় । ( ii ) ঘূর্ণবাত স্বল্পস্থায়ী কিন্তু প্রবল গতিবেগ সম্পন্ন । ( ii ) ঘূর্ণবাতের সঙ্গে ঝড় , বৃষ্টি এবং বজ্রপাত হয় । ( iv ) ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে । ( v ) ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের ধ্বংস ক্ষমতা অতি ভয়ংকর । ( vi ) সরল ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতে ‘ চক্ষু ’ সৃষ্টি হয় ।
Answer : নাতিশীতোয় ঘূর্ণবাতের বৈশিষ্ট্যগুলি হল ( i ) এই ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে থাকে নিম্নচাপ এবং বাইরে উচ্চচাপ । ( ii ) এর কেন্দ্র ও বাইরে চাপের পার্থক্য থাকে ১০-২০ মিলিবার । ( iii ) এর আকৃতি ও বিস্তৃতি খুব বেশি হয় । ( iv ) এই ঘূর্ণবাতের স্থায়িত্বকাল দীর্ঘ ও গতিবেগ কম হয় । ( v ) এর প্রভাবে একটানা বেশ কয়েকদিন ঝিরঝিরে বৃষ্টি ও তুষারপাত হয় । ( vi ) শীতকালে এই ঘূর্ণবাত বেশি দেখা যায় ।
Answer : ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত কর্কটক্রান্তি ও মকরকান্তি রেখার মধ্যবর্তী অঞ্চল বরাবর সৃষ্ট ঘূর্ণবাতকে ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত বা উপমণ্ডলীয় ঘূর্ণবাত বলে । বিশেষত ৬ ° উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২০ ° দক্ষিণ অক্ষাংশে এই ধরনের ঘূর্ণবাত দেখা যায় । সাধারণত অতিরিক্ত উষ্ণতার জন্য সমুদ্রের উপরের বায়ু শুষ্ক , আর্দ্র ও ঊর্ধ্বমুখী হয় , ফলে সেখানে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় এবং চারদিক থেকে প্রবল বেগে বায়ু ঘুরতে ঘুরতে নিম্নচাপের কেন্দ্রের দিকে ছুটে আসে । এই প্রবল গতিবেগসম্পন্ন কেন্দ্রমুখী ঘূর্ণায়মান ঊর্ধ্বমুখী বায়ুপ্রবাহকে ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত বলে ।
বৈশিষ্ট্য : ( i ) এই ঘূর্ণবাতে সমচাপরেখার আকৃতি গোলীয় প্রকৃতির । ( ii ) ঘূর্ণবাত সবল ও দুর্বল উভয় প্রকৃতির হয় । ( iii ) সবল ঘূর্ণবাতে প্রবল ঝড়বৃষ্টি এবং দুর্বল ঘূর্ণবাতে প্রবল বৃষ্টি হয় । ( iv ) সবল ঘূর্ণবাতে ‘ ঘূর্ণবাতের চক্ষু’সৃষ্টি হয় । ( v ) স্থলভাগ ও সমুদ্র উভয় অংশে এই ঘূর্ণবাতের উৎপত্তি ঘটলেও সমুদ্রের সংখ্যা অধিক । ( vi ) গ্রীষ্মের শেষে শরৎকালে এই প্রকার ঘূর্ণবাত বেশি সংখ্যায় সৃষ্টি হয় ।
জোন রাখে : কয়েকটি ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত : টাইফুন : এটি জাপান – চিন সাগরে সৃষ্ট এক ধরনের প্রবল বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় । ও হ্যারিকেন : এটি হল পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের নিকটবর্তী । ক্যারিবিয়ান সাগরে উদ্ভূত বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় । ও টর্নেডো : ক্রান্তীয় মণ্ডলে ভূপৃষ্ঠের স্বল্প পরিসর স্থান থেকে ঊর্ধ্বাকাশে প্রসারিত কৃষ্ণকায় ফানেল আকৃতিবিশিষ্ট মেঘ যে সর্বাপেক্ষা বিধ্বংসী ঘূর্ণবাতের জন্ম দেয় , তাই হল টর্নেডো । এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ অংশে বেশি সংখ্যায় দেখা যায় । পূর্ব ভারতে মাঝে মাঝেই টর্নেডোর আবির্ভাব ঘটে । সাইক্লোন : ভারতমহাসাগর , আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতকে সাইক্লোন বলে ।
Answer : বায়ুচাপের বৈশিষ্ট্যগুলি হল : ( i ) বায়ুচাপের তারতম্যের কারণেই বায়ুপ্রবাহ হয় । ( ii ) বায়ুচাপের পরিবর্তনে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটে । ( iii ) গভীর নিম্নচাপ ও উচ্চচাপ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সৃষ্টি করে — ঝড় , বৃষ্টি , তুষারঝড় হয় । ( iv ) আবহাওয়া মানচিত্রে বায়ুচাপের বণ্টন ও প্রকৃতি দেখে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হয় ।
অথবা , ‘ উষ্ণতা বাড়লে বায়ুচাপ কমে এবং উষ্ণতা কমলে বায়ুচাপ বাড়ে ? —উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো ।
Answer : বায়ুর উষ্ণতার সঙ্গে বায়ুচাপের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর কিন্তু বিপরীতমুখী অর্থাৎ উষ্ণতা বাড়লে বায়ুর চাপ কমে ও উষ্ণতা কমলে বায়ুর চাপ বাড়ে । কোনো স্থানে উষ্ণতা বাড়লে বায়ু হালকা হয়ে উপরে উঠে । যায় , বায়ুর ঘনত্ব কমে , ফলে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় । সারাবছর ধরে অধিক উষ্ণতার জন্যই নিরক্ষীয় অঞ্চল বরাবর নিম্নচাপ বলয়ের সৃষ্টি হয়েছে । অধিক উষ্ণতার কারণেই গ্রীষ্মকালে ভারতের উত্তর পশ্চিমে নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হয় । আবার কোনো স্থানে উষ্ণতা কমলে বায়ুর ঘনত্ব বাড়ে , বায়ু শীতল ও ভারী হয় এবং প্রাকৃতিক কারণেই শীতল ও ভারী বায়ু উচ্চচাপ যুক্ত হয় । সারাবছর উষ্ণতা অত্যন্ত কম থাকে বলেই কোরিওলিস বল সর্বাধিক হওয়া সত্ত্বেও দুই মেরু অঞ্চলে উচ্চচাপ বলয়ের সৃষ্টি হয়েছে । উষ্ণতা কম থাকে বলেই শীতকালে আমাদের এখানে বায়ুরচাপ বেশি হয় ।
Answer : সমচাপ রেখার বৈশিষ্ট্যগুলি হল – ( i ) পৃথিবীপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানে বায়ুচাপের বিভিন্নতার জন্য আলাদা আলাদা সমচাপ রেখা আঁকা হয়ে থাকে । ( ii ) সমচাপ রেখাগুলি সাধারণত বিভিন্ন অক্ষরেখার সঙ্গে সমান্তরালভাবে পূর্ব – পশ্চিমে অবস্থান করে । ( iii ) সমচাপ রেখাগুলি নিজেদের থেকে দূরে দূরে অবস্থান করলে আবহাওয়া শান্ত থাকে এবং কাছাকাছি অবস্থান করলে বায়ুপ্রবাহের গতি প্রবল হয় । ( iv ) সমচাপ রেখাগুলি নিজেদের কাছাকাছি চক্রাকারে অবস্থান করলে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে । ( v ) সমচাপ রেখা চক্রাকার হলে তাকে কোশ ( Air pressure cell ) বলে । ( vi ) নিম্নচাপযুক্ত অঞ্চলকে বলে Trough এবং উচ্চচাপযুক্ত অঞ্চলকে বলে Ridge
Answer : সমচাপ রেখার সাথে সমকোণে উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের দিকে প্রতি একক দূরত্বে বায়ুচাপের যে পার্থক্য হয় তা হল বায়ুচাপের ঢাল বা চাপ ঢাল । বায়ুচাপের ঢাল নির্ভর করে দুটি স্থানের দূরত্ব এবং ওই দুটি স্থানের বায়ুচাপের পার্থক্যের ওপর । বায়ুচাপের ঢাল বেশি হলে বায়ুর গতিবেগ বাড়ে এবং কম হলে বায়ুর গতিবেগ কমে ।
Answer : উষ্ণতা , বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ , পৃথিবীর আবর্তন প্রভৃতির তারতম্যজনিত কারণে সাতটি ( ৭ টি ) স্থায়ী বায়ুচাপ বলয়ের উৎপত্তি ঘটেছে । এগুলি হল- ( i ) নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় , ( ii ) কটীয় উচ্চচাপ বলয় , ( iii ) মকরীয় উচ্চচাপ বলয় , ( iv ) সুমেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয় , ( v ) কৃমেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয় , ( vi ) সুমেরু উচ্চচাপ বলয় , ( vii ) কুমেরু উচ্চচাপ বলয় ।
Answer : নিরক্ষীয় অঞ্চলে নিম্নচাপ বলয় সৃষ্টির কারণগুলি হল— ( i ) সারাবছর লম্ব সূর্যরশ্মির কারণে গড় উষ্ণতা সর্বদা বেশি । ( ii ) স্থলভাগ অপেক্ষা জলভাগের বিস্তার বেশি এবং উষ্ণতা বেশি বলে আর্দ্রতাও সারাবছর খুব বেশি । ( iii ) পৃথিবীর আবর্তন বেগ বেশি বলে ঊর্ধ্বগামী উদ্বু – আর্দ্র হালকা বায়ু বিক্ষিপ্ত হয় ।
Answer : সুমেরুবৃত্ত ও কুমেরুবৃত্ত প্রদেশে নিম্নচাপ বলয় সৃষ্টি হওয়ার কারণগুলি হল ( i ) ক্রান্তীয় অঞ্চল অপেক্ষা এখানে কোরিওলিস বল বেশি বলে বায়ুর গতিবিক্ষেপ ঘটে । ( ii ) মেরু অঞ্চল থেকে আগত শীতল বায়ুর সঙ্গে ক্রান্তীয় অঞ্চল থেকে আগত উদ্বু – আর্দ্র বায়ুর সংঘর্ষে বায়ু ঊর্ধ্বগামী হয় । ( iii ) উষ্ণ সমুদ্রস্রোত এই অঞ্চলে প্রচুর তাপ বয়ে নিয়ে আসে , যা এই অঞ্চলের উষ্ণতা বাড়ায় ।
Answer : কর্কটীয় ও মকরীয় অঞ্চল বরাবর উচ্চচাপ বলয় সৃষ্টির কারণগুলি হল— ( i ) নিরক্ষীয় অঞ্চলের উর্ধ্বমুখী বায়ু পৃথিবীর আবর্তনের প্রভাবে উভয় গোলার্ধ বিক্ষিপ্ত হয়ে কর্কটীয় ও মকরীয় অঞ্চল বরাবর বায়ু স্রোতরূপে নেমে আসে । পলে বায়ুর পরিমাণ এখানে বাড়ে । ( ii ) মেরুবৃত্ত প্রদেশের বায়ু কোরিওলিস বলের প্রভাবে বিক্ষিপ্ত হয়ে এখানে এসে পৌঁছোয় । উল্লিখিত কারণে কর্কটীয় ও মকরীয় অঞ্চল বরাবর বায়ুর পরিমাণ বাড়ে বলেই এখানে উচ্চচাপ বলয় সৃষ্টি হয়েছে ।
Answer : দুই মেরুতে কোরিওলিস বল সর্বাধিক । তাই এখানকার বায়ু বিক্ষিপ্ত হওয়ারই কথা । কিন্তু দুই মেরুতে উষ্ণতা সারাবছর খুবই | কম হওয়ায় এখানকার বায়ু শীতল , ভারী , শুষ্ক ও আধক ঘনতৃবুর । ফলে কোরিওলিস বল দুই মেরু অঞ্চলের বায়ুকে বিক্ষিপ্ত করছে । পারে না । অত্যধিক শীতল অবস্থা এখানে উচ্চচাপ সৃষ্টির মূল কারণ । তাই দুই মেরুতে কোরিওলিস বল অধিক হলেও উচ্চচাপ বলয়ের সৃষ্টি হয়েছে ।
Answer : গোলার্ধে কর্কটক্রান্তি রেখার নিকটবর্তী ২৫ ° –৩৫ ° উত্তর অক্ষাংশের মধ্যবর্তী কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয়ের বায়ু নিম্নমুখী হওয়ায় এর কোনো পার্শ্বপ্রবাহ থাকে না । এই জন্য এই অঞ্চলকে ককটীয় শাস্তবলয় বলে । প্রাচীন কালে পালতোলা জাহাজগুলি কর্কটীয় শাস্তবলয়ে এলে গতিহীন হয়ে পড়ত । শোনা যায় , মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ থেকে উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে ঘোড়াভর্তি জাহাজগুলি যাওয়ার সময় কর্কটীয় শাস্ত বলয় অতিকহ । করতে দীর্ঘ সময় লেগে যেত । তাই পানীয় জলের ব্যয়সংকোচের কারণে ঘোড়াগুলিকে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হত । এই ঘটনা থেকেই কর্কটীয় শান্তবলয়কে অশ্ব অক্ষাংশ আখ্যা দেওয়া হয় ।
Answer : পৃথিবীর বায়ুচাপের তারতম্যের ক্ষেত্রে উষ্ণতা র প্রভাব সর্বাধিক । পৃথিবীর উষ্ণতার প্রধান উৎস হল সূর্য । সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়নের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন অক্ষাংশে সূর্যরশ্মির পতনকোদের তারতম্য হয় বলে উষ্ণতা র তারতম্য ঘটে । তাই চাপবলয়গুলি সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়নের সঙ্গে সঙ্গে সরতে থাকে ।
Answer : বায়ুচাপ বলয়গুলির সীমানা পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে বায়ুপ্রবাহ , বৃষ্টিপাত ও জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটে । আবহবিদদের মতে গ্রীষ্মকালে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলা স্থান পরিবর্তন করে ভারতের মাঝবরাবর মৌসুমি অক্ষরূপে ( Monsoon Trough ) অবস্থান করে বলেই মৌসুমি বায়ু ভারতে প্রবেশ করে । কর্কটীয় ও মকরীয় চাপবলয়ের সীমানা পরিবর্তনের জন্য ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে শীতকালে পশ্চিমাবায়ু প্রবেশ । করে বৃষ্টিপাত ঘটায় । তাই এখানে গ্রীষ্মকাল শুষ্ক ও শীতকাল আর্দ্র হয় ।
Answer :
ভিত্তি | নিয়ত বায়ু | সামরিক বায়ু |
বিষয় | ভূপৃষ্ঠের সামন্তরালে সারাবছর একই দিকে একই গতিবেগে প্রবাহিত হয় । | বছরের একটি নির্দিষ্ট ঋতুতে বা দিনের বিশেষ সময়ে প্রবাহিত বায়ু হল সাময়িক বায়ু । |
উদাহরণ | আয়ন বায়ু, পশ্চিমা বায়ু, সমুদ্র বায়ু । | স্থলবায়ু, সমুদ্র বায়ু, মৌসুমি বায়ু হল সাময়িক বায়ু । |
কারণ | পৃথিবীর সাতটি স্থায়ী বায়ুচাপ বলয় নিয়ত বায়ু হল নিয়ত বায়ু উৎপত্তির কারণ । | বিশেষ ঋতুতে স্থলভাগে নিম্নচাপ ও সমুদ্রে উচ্চচাপ কিংবা এর বিপরীত অবস্থা সাময়িক বায়ুর । |
প্রভাব | সারা পৃথিবী জুড়ে জলবায়ুর ওপর নিয়ত বায়ুর প্রভাব রয়েছে । ক্রান্তীয় মণ্ডলে মহাদেশের পশ্চিমে বেশি বৃষ্টি সবায়ুব্রবাহের কারণেই ঘটে । উর্ধাকাশের বায়ু সঞ্চলনে এই প্রভাব অতীব গুরুত্বপূর্ণ । | উপকূল, সেই সঙ্গে বেশ কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলের জলবায়ুর ওপর এই বায়ুর প্রভাব রয়েছে । ঊর্ধাকাশের বায়ু সঞ্চালনের এর বায়ুর প্রভাব অতটা নেই । |
Answer :
ভিত্তি | অয়ন বায়ু | পশ্চিমা বায়ু |
প্রবাহের নাম | কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় দুটি থেকে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে এই বায়ু প্রবাহিত হয় । | কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় দুটি থেকে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে এই বায়ু প্রবাহিত হয় । |
নামকরণ | নির্দিষ্ট পথে এই বায়ু প্রবাহিত হয় বলে (আয়ন শব্দের অর্থ পথ) ইহা আয়ন বায়ু নামে পরিচিত । | পশ্চিম থেকে প্রবাহিত হয় বলে ইহা পশ্চিমা বায়ু পরিচিত । |
জলবায়ুর ওপর প্রভাব | এর প্রভাবে ক্রান্তীয় অঞ্চলে মহাদেশের পূর্বে প্রবল বৃষ্টি হয়, কিন্তু পশ্চিম অংশ বৃষ্টিহীন থাকে । তাই মহাদেশের পশ্চিম অংশে বড়ো বড়ো মরুভূমির সৃষ্টি হয়েছে । | এই বায়ুপ্রবাহে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে মহাদেশের পশ্চিমে বৃষ্টি হয় কিন্তু পূর্ব অংশ স্বল্প বৃষ্টিপাতযুক্ত বলে নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমির সৃষ্টি হয়েছে । |
Answer : বায়ুপ্রবাহের কারণগুলি হল : ( i ) বায়ুচাপের তারতম্য বা বায়ুচাপের ঢালের শক্তি বায়ুচাপের তারতম্যই বায়ুপ্রবাহের মূল কারণ । বায়ু সর্বদা উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের দিকে বয়ে যায় । বায়ুর গতিবেগ নির্ধারিত হয় বায়ুচাপের ঢালের শক্তির ওপর । বায়ুচাপের ঢাল যত বাড়ে বায়ুর গতিবেগ তত বাড়ে ।
( ii ) পৃথিবীর আবর্তন ও কোরিওলিস বল : পৃথিবীর আবর্তনে সৃষ্ট বল হল কোরিওলিস বল । এই বলের প্রভাব নিরক্ষরেখায় শূন্য এবং মেরুতে সর্বাধিক । এই বলের প্রভাবে বায়ু উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে প্রবাহিত হয় , যা ফেরেলের সূত্র ( বিজ্ঞানী উইলিয়াম ফেরেল – এর নামানুসারে ১৮৫৫ ) নামে পরিচিত ।
( iii ) বাইস ব্যালট সূত্র : ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ডাচ আবহবিদ বাইস ব্যালট বায়ুচাপের তারতম্য ও বায়ুপ্রবাহের মধ্যে একটি সম্পর্ক । নির্ধারণ করেন । তাঁর মতে উত্তর গোলার্ধে বায়ুপ্রবাহের দিকে পিছন করে দাঁড়ালে ডানদিকে উচ্চচাপ এবং বামদিকে নিম্নচাপ থাকে । দক্ষিণ গোলার্ধে এর ঠিক বিপরীত অবস্থা হয় । এটি হল বাইস ব্যালট সূত্র ।
( iv ) ঘর্ষণের প্রভাব : ভূপৃষ্ঠের সাথে বায়ুর সংঘর্ষে বায়ু ধীর গতিসম্পন্ন হয় । উচ্চতা যত বাড়ে বাধা তত কমে বলে বায়ুর বেগ বাড়ে । সংঘর্ষজনিত কারণেই স্থলভাগ অপেক্ষা সমুদ্রে বায়ুর বেগ বেশি ।
Answer : পৃথিবীতে ৭ টি স্থায়ী বায়ুচাপ বলয়ের ওপর ভিত্তি করে তিনপ্রকার নিয়ত বায়ু প্রবাহিত হয়— ( ক ) আয়ন বায়ু , ( খ ) পশ্চিমা বায়ু , ( গ ) মেরু বায়ু ।
( ক ) আয়ন বায়ু : কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয়দ্বয় থেকে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে উভয় গোলার্ধে যে বায়ু প্রবাহিত হয় তা হল আয়ন বায়ু । ফেরেল – এর সূত্রানুসারে উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যথাক্রমে উত্তর – পূর্ব আয়ন বায়ু ও দক্ষিণ – পূর্ব আয়ন বায়ু রূপে বয়ে যায় ।
গতিবেগ : উত্তর গোলার্ধে এই বায়ুর বেগ ১৬ কিমি / ঘণ্টা এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ২২ কিমি / ঘণ্টা ।
জলবায়ুর ওপর প্রভাব : ( i ) এই বায়ুর প্রভাবে ক্রান্তীয় মণ্ডলে মহাদেশের পূর্বে প্রবল বৃষ্টি হয় এবং পশ্চিম অংশ বৃষ্টিহীন থাকে বলে মরুভূমির সৃষ্টি হয়েছে । ( ii ) নিরক্ষীয় অঞ্চলে এই বায়ুদ্বয় মিলিত ও ঊর্ধ্বমুখী হয়ে প্রবল বৃষ্টি ঘটায় ।
( খ ) পশ্চিমা বায়ু : কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয়দ্বয় থেকে মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় উচ্চচাপ বলয়দ্বয়ের দিকে উভয় গোলার্ধে যে বায়ু বয়ে যায় তা হল পশ্চিমা বায়ু । ফেরেল – এর সূত্রানুসারে এই বায়ু বেঁকে উত্তর গোলার্ধে দক্ষিণ – পশ্চিম । পশ্চিমা বায়ু এবং দক্ষিণ গোলার্ধে উত্তর – পশ্চিম পশ্চিমা বায়ু রূে প্রবাহিত হয় ।
গতিবেগ : উত্তর গোলার্ধে এই বায়ু ধীরে এবং দক্ষিণ গোলাসে প্রবল বেগে বয় । তাই দক্ষিণ গোলার্ধে এই বায়ুকে সাহসী পশ্চিম বায়ু বলা হয় । জলবায়ুর ওপর প্রভাব : ( i ) এই বায়ুপ্রবাহে উপক্রান্তীয় মণ্ডল মহাদেশের পশ্চিমে বৃষ্টি ও তুষারপাত ঘটে । ( ii ) ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে শীতকালে এই বায়ু প্রবেশ করে বৃষ্টিপাত ঘটায়
( গ ) মেরু বায়ু দুই মেরুদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ঙ্গয় থেকে মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়দ্বয়ের দিকে প্রবাহিত বায়ু হল মের বায়ু । এই বায়ু ফেরেল – এর সূত্রানুসারে উত্তর গোলার্ধে উত্তর পূর্ব এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ – পূর্ব মেরু বায়ুরূপে প্রবাহিত হয় । গতিবেগ : উত্তর গোলার্ধের তুলনায় দক্ষিণ গোলার্ধে এই বায়ুর বেগ বেশি ।
জলবায়ুর ওপর প্রভাব : ( i ) মেরু থেকে আগত অত্যন্ত শীত এই বায়ুর প্রভাবে শীতকালে কানাডা , সাইবেরিয়ায় শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়ে । ( ii ) দক্ষিণ গোলার্ধে এই বায়ুর সাথে উন্ন – আর্দ্র সমুদ্র বায়ুর সংঘর্ষে ঘূর্ণবাতের উৎপত্তি ঘটে ।
Answer : স্থায়ী ৭ টি বায়ুচাপ – এর ওপর ভিত্তি করে ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে নিয়মিতভাবে সারাবছরে প্রবাহিত বায়ু হল নিয়ন্ত বায়ু ।
এটি তিনপ্রকার- ( i ) আয়ন বায়ু ( ii ) পশ্চিমা বায়ু ( iii ) মেরু বায়ু । নিম্নে আয়ন বায়ু সম্পর্কে আলোচনা করা হল । আয়ন বায়ুর প্রভাব ( i ) আয়ন বায়ু : কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয়দ্বয় থেকে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে নির্দিষ্ট পথে ( আয়ন শব্দের অর্থ ‘ পথ ‘ ) প্রবাহিত বায়ু হল আয়ন বায়ু । পালতোলা জাহাজের যুগে এই বায়ুর পথ ধরে বাণিজ্য হত বলে এর অপর নাম ‘ বাণিজ্য বায়ু ‘ । উভয় গোলার্ধে এই বায়ু ৫ ° – ৩৫ ° অক্ষরেখার মধ্যে বাহিত হয় ।
প্রবাহের দিক : ফেরেল – এর সূত্রানুসারে এই বায়ু উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে যথাক্রমে উত্তর – পূর্ব আয়ন বায়ু ও দক্ষিণ – পূর্ব আয়ন বায়ু রূপে প্রবাহিত হয় ।
গতিবেগ : উত্তর গোলার্ধে এই বায়ুর গড় বেগ ১৬ কিমি / ঘণ্টা কিন্তু দক্ষিণ গোলার্ধে ২২ কিমি / ঘণ্টা ।
জলবায়ুর ওপর প্রভাব : ( i ) এই বায়ুপ্রবাহের কারণেই ক্রান্তীয় মণ্ডলে মহাদেশের পূর্বদিকে প্রবল বৃষ্টি হয় । ( ii ) পশ্চিম অংশে অনাবৃষ্টি থাকে বলে ৫ টি বড়ো বড়ো মরুভূমি ( সাহারা , কালাহারি , সোনেরান , আটাকামা , অস্ট্রেলিয়া ) সৃষ্টি হয়েছে । ( iii ) নিরক্ষীয় অঞ্চল হল
Answer : ভূপৃষ্ঠে স্থায়ী বায়ুচাপ বলয়গুলির ওপর নির্ভর করে সারাবছর ধরে যে বায়ু ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে প্রবাহিত হয় , তাকেই নিয়ত বায়ু বলে । সাতটি স্থায়ী বায়ুচাপ বলয়ের ওপর ভিত্তি করে উভয় গোলার্ধে তিনপ্রকার নিয়ত বায়ু প্রবাহিত হয়—
( i ) আয়ন বায়ু : কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয়দ্বয় থেকে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে যে দুটি বায়ু সারাবছর ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে প্রবাহিত হয় , তাকে আয়ন বায়ু বলে । এই বায়ু ‘ বাণিজ্য বায়ু ’ নামেও পরিচিত । ফেরেল – এর সূত্রানুসারে এই বায়ু উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে ও দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে গিয়ে যথাক্রমে উত্তর পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব আয়ন বায়ু নামে প্রবাহিত হয় ।
( ii ) পশ্চিমা বায়ু : কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয়দ্বয় থেকে দুই মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে যে বায়ু সারাবছর প্রবাহিত হয় , তাকেই পশ্চিমা বায়ু বলে । ফেরেল সূত্রানুসারে এই বায়ুদ্বয় উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে ও দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে গিয়ে যথাক্রমে দক্ষিণ – পশ্চিম পশ্চিমা বায়ু এবং উত্তর – পশ্চিম পশ্চিমা বায়ু রূপে প্রবাহিত হয় ।
( iii ) মেরু বায়ু : সুমেরু ও কুমেরু দেশীয় উচ্চচাপ বলয়দ্বয় । থেকে দুই মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়দ্বয়ের দিকে যে দুটি বায়ু সারাবছর প্রবাহিত হয় তাকেই মেরু বায়ু বলে । ফেরেল – এর সূত্রানুসারে এই বায়ুদ্বয় বেঁকে গিয়ে উত্তর গোলার্ধে উত্তর – পূর্ব মেরু বায়ু এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ – পূর্ব মেরু বায়ু নামে প্রবাহিত হয় ।
Answer : বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন অংশে বায়ুর চাপ বিভিন্ন রকম হয় । বায়ুচাপের তারতম্যের এই কারণগুলি হল—
( i ) উষ্ণতা : বায়ুচাপের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক হল উষ্ণতা । বায়ুর উষ্ণতার সাথে বায়ুচাপের সম্পর্ক বিপরীতমুখী ।
উষ্ণতা বাড়লে বায়ুর ঘনত্ব কমে , প্রসারিত হয় এবং হালকা হয়ে উপরে ওঠে ফলে বায়ুচাপ কমে । আবার উষ্ণতা কমলে বায়ুর ঘনত্ব বাড়ে , সংকুচিত হয় এবং ভারী হয়ে নীচে অবস্থান করে বলে চাপ বাড়ে ।
( ii ) উচ্চতা : উচ্চতা বৃদ্ধিতে বায়ুর ওজন ও ঘনত্ব কমতে থাকে বলে বায়ুর চাপও কমে । মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে বায়ুকণাগুলির অধিকাংশ ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থান করে বলে বায়ুর ঘনত্ব বেশি এবং ওই বায়ু চাপ বেশি দেয় । ভূপৃষ্ঠে গড় ১০০০ মিটার উচ্চতা বৃদ্ধিতে ১২.৬ মিলিবার বায়ুচাপ কমে । তাই পর্বতের উপরে বায়ুচাপ কম , সমভূমিতে বেশি ।
( iii ) জলীয় বাষ্প : জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু সাধারণ বায়ুর থেকে হালকা এবং ঘনত্ব কম বলে প্রসারিত হয়ে ঊর্ধ্বমুখী হয় । ফলে বায়ুর চাপ কমে । তাই যে বায়ুতে জলীয় বাষ্প যত বেশি , সেই বায়ুর চাপও তত কম । শুষ্ক বায়ুর চাপ বেশি ।
( iv ) পৃথিবীর আবর্তন : পৃথিবীর আবর্তনের প্রভাবে যে কেন্দ্রবিমুখ শক্তির ( Centrifugal force ) সৃষ্টি হয় তার ফলে বায়ু বিক্ষিপ্ত হয় । বায়ু বিক্ষিপ্ত হলে বায়ুর ঘনত্ব কমে এবং সেই বায়ু চাপ কম দেয় ।
( v ) স্থলভাগ ও জলভাগের বণ্টন : প্রকৃতির নিয়মে জলভাগ অপেক্ষা স্থলভাগ যেমন তাড়াতাড়ি উত্তপ্ত হয় তেমনি তাড়াতাড়ি ঠান্ডাও হয় । উপকূল অঞ্চলে তাই দিনের বেলা স্থলভাগে বায়ুরচাপ কম এবং জলভাগে বায়ুচাপ বেশি হয় । রাত্রে ঠিক বিপরীত অবস্থা দেখা দেয় ।
Answer : পৃথিবীতে মোট ৭ টি স্থায়ী বায়ুচাপ বলয় সৃষ্টি হয়েছে , এর মধ্যে ৩ টি নিম্নচাপ বলয় ও ৪ টি উচ্চচাপ বলয় ।
( i ) নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় : নিরক্ষরেখার উভয় পাশে গড়ে ৫ ° উত্তর –৫ ° দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে অবস্থিত নিম্নচাপ বলয়টি নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় নামে পরিচিত । এটি নিরক্ষীয় শান্তবলয় বা ডোলড্রামস নামে পরিচিত ।
কারণ : ( i ) এখানে সারাবছর লম্ব সূর্যরশ্মির কারণে উষ্ণতা খুব বেশি , ( ii ) বায়ুতে আর্দ্রতা সারাবছরে খুব বেশি এবং ( iii ) আবর্তনবেগ বেশি বলে উষ্ণ আর্দ্র ঊর্ধ্বগামী বায়ু বিক্ষিপ্ত হয় । এই তিনটি কারণে এখানে নিম্নচাপ বলয় সৃষ্টি হয়েছে । ( ii ) কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় বা উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় : উভয় গোলার্ধে গড়ে ২৫ ° –৩৫ ° অক্ষরেখার মধ্যে যে – দুটি চাপবলয় রয়েছে , তা হল উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় । এটি অশা অক্ষাংশ নামে পরিচিত ।
কারণ : ( i ) নিরক্ষীয় অঞ্চলের ঊর্ধ্বগামী বায়ু আবর্তনের প্রভাবে শীতল ও ভারী হয়ে এখানে নেমে আসে । ( ii ) মেরুবৃত্ত প্রদেশের শীতল ও ভারী বায়ু , কোরিওলিস বলের প্রভাবে এখানে পৌঁছোয় । এই দুটি কারণে এখানে উচ্চচাপ বলয় সৃষ্টি হয়েছে । ( iii ) সুমেরু ও কুমেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয় : উত্তর গোলার্ধের ৬০০–৭০ ° অক্ষরেখার মধ্যে এই দুটি নিম্নচাপ বলয় অবস্থিত ।
কারণ : ( i ) মেরু অঞ্চল থেকে আগত শীতল বায়ুর সঙ্গে ক্রান্তীয় মণ্ডল থেকে আগত উষ্ণ বায়ুর সংঘর্ষে বায়ু ঊর্ধ্বগামী হয় ।
কারণ : ( ii ) অধিক কোরিওলিস বলের প্রভাবে বায়ুর গতিবিক্ষেপ ঘটে এবং কারণ : ( iii ) উষ্ণ সমুদ্রস্রোত এই অঞ্চলের উষ্ণতা বাড়ায় — এই তিনটি কারণে এখানে নিম্নচাপ বলয় – এর সৃষ্টি হয়েছে । ( iv ) মেরুদেশীয় উচ্চচাপ বলয় : উভয় গোলার্ধে ৮০ ° মেরু পর্যন্ত চাপ বলয় দুটি অবস্থিত । কারণ : ( i ) প্রায় সারাবছর উষ্ণতা হিমাঙ্কের নীচে থাকে বলে বায়ু সর্বদা অতি ঘনত্বযুক্ত শীতল ও ভারী । ( ii ) কোরিওলিস বল বেশি হলেও বায়ু খুবই শীতল বলে বিক্ষিপ্ত হতে পারে না ।
Answer : পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়েছে মোট ৭ টি স্থায়ী বায়ুচাপ বলয় , যার মধ্যে ৩ টি নিম্নচাপ বলয় ও ৪ টি উচ্চচাপ বলয় ।
( i ) নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় : ২ ও ৩ কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় । ৪ ও ৫ সুমেরুবৃত্ত ও কুমেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয় এবং ৬ ও ৭ সুমেরু ও কুমেরু উচ্চচাপ বলয় । অবস্থান : নিরক্ষরেখার উভয় পাশে গড়ে ৫ ° উত্তর –৫০ দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে এই চাপ বলয়টি অবস্থিত ।
উৎপত্তির কারণ : ( i ) প্রায় সারাবছর লম্ব সূর্যরশ্মির কারণে এখানে সারাবছর উষ্ণতা খুব বেশি । ( ii ) এই অঞ্চলে স্থলভাগের তুলনায় সমুদ্রের বিস্তার বেশি এবং উষ্ণতা অধিক বলে বাতাসে আর্দ্রতাও খুব বেশি । ( iii ) পৃথিবীর আবর্তন বেগ এখানে খুব বেশি বলে হালকা উন্ন – আর্দ্র ঊর্ধ্বগামী বায়ু বিক্ষিপ্ত হয় । এই তিনটি কারণেই নিরক্ষীয় অঞ্চলে নিম্নচাপ বলয়ের উৎপত্তি ঘটেছে ।
জলবায়ুগত বৈশিষ্ট্য : ( i ) এই অঞ্চলে বায়ু সর্বদা ঊর্ধ্বগামী ( বায়ুস্রোত ) । ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে বায়ুপ্রবাহ হয় না বলেই এই অঞ্চল সারাবছর শান্ত থাকে । তাই অঞ্চলটি নিরক্ষীয় শান্তবলয় বা ডোলড্রাম নামে পরিচিত । ( ii ) এই অঞ্চলটি উভয় গোলার্ধ থেকে আয়ন বায়ুদ্বয়কে পৃথক করে । তাই এই অঞ্চলটি ITCZ ( Inter Tropical Convergence Zone ) নামে পরিচিত ।
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Bengali Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik English Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Geography Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik History Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Physical Science Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Life Science Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Mathematics Suggestion 2023 Click Here
PDF Name : মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF
Price : FREE
Download Link1 : Click Here To Download
Download Link2 : Click Here To Download
West Bengal Madhyamik Geography Suggestion PDF prepared by expert subject teachers. WB Madhyamik Geography Suggestion with 100% Common in the Examination.
West Bengal Madhyamik Geography Suggestion Download. WBBSE Madhyamik Geography short question suggestion. Madhyamik Geography Suggestion PDF download. Madhyamik Question Paper Geography.
মাধ্যমিক ভূগোল (Madhyamik Geography) বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর।
মাধ্যমিক ভূগোল পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বোর্ডের (WBBSE) সিলেবাস বা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী দশম শ্রেণির ভূগোল বিষয়টির সমস্ত প্রশ্নোত্তর। সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা, তার আগে winexam.in আপনার সুবিধার্থে নিয়ে এল মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশান – বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর । ভূগোলে ভালো রেজাল্ট করতে হলে অবশ্যই পড়ুন । আমাদের মাধ্যমিক ভূগোল ।
আমরা WBBSE মাধ্যমিক পরীক্ষার ভূগোল বিষয়ের – বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর – সাজেশন নিয়ে বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর নিয়ে বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়)চনা করেছি। আপনারা যারা এবছর দশম শ্রেণির ভূগোল পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাদের জন্য আমরা কিছু প্রশ্ন সাজেশন আকারে দিয়েছি. এই প্রশ্নগুলি পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণির ভূগোল পরীক্ষা তে আসার সম্ভাবনা খুব বেশি. তাই আমরা আশা করছি Madhyamik ভূগোল পরীক্ষার সাজেশন কমন এই প্রশ্ন গুলো সমাধান করলে আপনাদের মার্কস বেশি আসার চান্স থাকবে।
মাধ্যমিক ভূগোল, মাধ্যমিক ভূগোল, মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর, নবম শ্রেণি ভূগোল, দশম শ্রেণি ভূগোল, নবম শ্রেণি ভূগোল, দশম শ্রেণি ভূগোল, ক্লাস টেন ভূগোল, মাধ্যমিকের ভূগোল, ভূগোল মাধ্যমিক – বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়), দশম শ্রেণী – বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়), মাধ্যমিক ভূগোল বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়), ক্লাস টেন বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়), Madhyamik Geography – বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়), Class 10th বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়), Class X বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়), ইংলিশ, মাধ্যমিক ইংলিশ, পরীক্ষা প্রস্তুতি, রেল, গ্রুপ ডি, এস এস সি, পি, এস, সি, সি এস সি, ডব্লু বি সি এস, নেট, সেট, চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতি, Madhyamik Geography Suggestion , West Bengal Madhyamik Class 10 Geography Suggestion, West Bengal Secondary Board exam suggestion , WBBSE , মাধ্যমিক সাজেশান, মাধ্যমিক সাজেশান , মাধ্যমিক সাজেশান , মাধ্যমিক সাজেশন, মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশান , মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশান , মাধ্যমিক ভূগোল , মাধ্যমিক ভূগোল, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, Madhyamik Geography Suggestion Geography , মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF,মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF, Madhyamik Class 10 Geography Suggestion PDF.
এই ” মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুর চাপবলয় ও বায়ু প্রবাহ (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF ” পোস্টটি থেকে যদি আপনার লাভ হয় তাহলে আমাদের পরিশ্রম সফল হবে। আরোও বিভিন্ন স্কুল বোর্ড পরীক্ষা, প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার সাজেশন, অতিসংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত ও রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (All Exam Guide Suggestion, MCQ Type, Short, Descriptive Question and answer), প্রতিদিন নতুন নতুন চাকরির খবর (Job News in Geography) জানতে এবং সমস্ত পরীক্ষার এডমিট কার্ড ডাউনলোড (All Exam Admit Card Download) করতে winexam.in ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।
একাদশ শ্রেণীর সমস্ত বিষয় সাজেশন ২০২৩ Class 11 All Subjects Suggestion 2023 PDF Download একাদশ…
একাদশ শ্রেণীর গণিত সাজেশন ২০২৩ Class 11 Mathematics Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর গণিত…
একাদশ শ্রেণীর জীববিদ্যা সাজেশন ২০২৩ Class 11 Biology Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর জীববিদ্যা…
একাদশ শ্রেণীর রসায়ন সাজেশন ২০২৩ Class 11 Chemistry Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর রসায়ন…
একাদশ শ্রেণীর পদার্থবিদ্যা সাজেশন ২০২৩ Class 11 Physics Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর পদার্থবিদ্যা…
একাদশ শ্রেণীর সমাজবিজ্ঞান সাজেশন ২০২৩ Class 11 Sociology Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর সমাজবিজ্ঞান…