বায়ু (বায়ুমণ্ডল - দ্বিতীয় অধ্যায়) - মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF
মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন – বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) সাজেশন Bayu – Madhyamik Geography Suggestion PDF : বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন ও অধ্যায় ভিত্তিতে প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হল। এবার পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষায় বা মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষায় ( WB Madhyamik Geography Suggestion PDF | West Bengal Madhyamik Geography Suggestion PDF | WBBSE Board Class 10th Geography Question and Answer with PDF file Download) এই প্রশ্নউত্তর ও সাজেশন খুব ইম্পর্টেন্ট । আপনারা যারা আগামী মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য বা মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) | Madhyamik Geography Suggestion PDF | WBBSE Board Madhyamik Class 10th (X) Geography Suggestion Question and Answer খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর ভালো করে পড়তে পারেন।
পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন (West Bengal Madhyamik Geography Suggestion PDF / Notes) বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর – MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (SAQ), সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (Short Question and Answer), ব্যাখ্যাধর্মী বা রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (descriptive question and answer) এবং PDF ফাইল ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে দেওয়া রয়েছে।
Answer : আলজিরিয়ায় ।
Answer : গ্রিক শব্দ Deflare = to blow away অর্থাৎ অন্যত্র বয়ে নিয়ে যাওয়া , বাংলায় অপবাহন ।
Answer : তুর্কি শব্দ ‘ Barchan’- এর অর্থ কিরঘিজ , স্টেপ অঞ্চলের বালিয়াড়ি ।
Answer : ওয়াদি ।
Answer : বোলসন ( Bolson ) ।
Answer : স্যালিনা ।
Answer : টেরিস ।
Answer : ব্যাগনল্ড ।
Answer : ক্যাসেল কপিজ ।
Answer : উষ্ণমরু জলবায়ুতে ।
Answer : অপবাহন , অবঘর্ষ ও ঘর্ষণ প্রক্রিয়ায় ।
Answer : লম্ফদান , ভাসমান ও গড়ানো প্রক্রিয়ায় ।
Answer : অধঃক্ষেপণ , উপলেপন ও অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ।
Answer : সোজা তরবারি ।
Answer : শুষ্ক মরু অঞ্চল ও সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে ।
Answer : লাতিন Ventus শব্দের অর্থ বাতাস , Fact = সৃষ্ট অর্থাৎ Ventifact = বায়ুপ্রবাহের ফলে সৃষ্ট ।
Answer : জার্মান শব্দ ‘ Dreikanter’- এর অর্থ Three sided অর্থাৎ ত্রিপার্শ্ব অর্থাৎ তিন দিক থেকে সৃষ্ট ।
Answer : ভেন্টিফ্যাক্ট ।
Answer : সৌদি আরবের রুব – আল – খালি ।
Answer : কোণাকার শিলাখণ্ডপূর্ণ মরুভূমি ।
Answer : (C) গোবি
Answer : (A) < ২৫ সেমি
Answer : (D) দক্ষিণ আমেরিকা
Answer : (D) অপবাহন
Answer : (B) গৌর
Answer : (A) L. C. King
Answer : (A) তাকলামাকান
Answer : (A) আটাকামা
Answer : (C) তাকলামাকান
Answer : (D) হামাদা
Answer : (D) গৌর
Answer : (C) ব্যাগনল্ড
Answer : (A) পেডিমেন্ট
Answer : (D) প্লায়া হ্রদ
Answer : (C) আফ্রিকা
Answer : (C) ওয়াদি
Answer : (A) যোধপুর
Answer : (B) আফ্রিকা
Answer : (A) সাহারা
Answer : (B) গোবি
Answer : (B) আটাকামা
Answer : (A) রাজস্থান
Answer : (A) ধান্দ
Answer : (A) ধান্দ
Answer : (A) হোয়াংহো
Answer : (A) অপসারণ প্রক্রিয়া
Answer : (B) ঘর্ষণ
Answer : (A) অবঘর্ষ প্রক্রিয়া
Answer : (B) ওয়াদি
Answer : (B) কোয়ার্টজ
Answer : (D) আর্গ
Answer : (A) বালিময়
Answer : (B) কাতারা
Answer : (C) লোয়েস
Answer : (A) বার্খান
Answer : (A) ইনসেলবার্জ
Answer : (D) শুষ্ক
Answer : (C) সোনেরান
Answer : (B) বার্খান
Answer : মরুভূমি বা মরুপ্রায় শুষ্ক অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহ ও অস্থায়ী জলধারা বা ওয়াদির মিলিত ক্ষয়কাজের ফলে অনেক সময় এইসব অঞ্চলে স্থানে স্থানে কঠিন শিলায় গঠিত অনুচ্চ ক্ষয়ীভূত পাহাড় টিলার আকারে বিক্ষিপ্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় । এইসব অনুচ্চ টিলাকে ইনসেলবার্জ বলে ।
Answer : বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যে মরুভূমি অঞ্চলের উচ্চ মালভূমি ক্ষয় হয়ে বিচ্ছিন্নভাবে টেবিলের আকারে অবস্থান করলে তাকে মেসা বলে । মেসা ক্ষুদ্রাকৃতির হলে তা বিউট নামে পরিচিত ।
Answer : মরুভূমিতে উচ্চভূমি থেকে পাদদেশের দিকে মৃদু ঢালু ( ঢাল ১.৫ ° – ৭ ° ) ভূমিকে বলা হয় পেডিমেন্ট ।
Answer : বায়ুপ্রবাহের দ্বারা বালুকারাশি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বাহিত হয়ে সঞ্চিত হওয়ার পর দীর্ঘ ও উচ্চ বালির স্তূপ গঠন করে । একেই বালিয়াড়ি বলা হয় ।
Answer : বালিয়াড়ি সাধারণত মরুভূমি ( ক্রান্তীয় ও নাতিশীতোর ) মরুপ্রায় ও উপকূল অঞ্চলে গড়ে ওঠে ।
Answer : বায়ুর প্রবাহপথের সঙ্গে আড়াআড়িভাবে গড়ে ওঠা অর্ধচন্দ্রাকার বালিয়াড়িকে বাৰ্খান বলে ।
Answer : বায়ুপ্রবাহের সমান্তরালে দীর্ঘ ও সংকীর্ণ শৈলশিরার মতো বালির পাহাড়গুলিকে সিক্ বালিয়াড়ি বলে । এই বালিয়াড়ি দেখতে খানিকটা তলোয়ারের মতো হয় ।
Answer : কেরলের মালাবার উপকূলের গঠিত বালিয়াড়িকে স্থানীয় ভাষায় টেরিস বলে ।
Answer : আসলে বায়ুপ্রবাহের গতি ; উত্তর : মরু অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহের গতি পরিবর্তনের ফলে বালি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরে যায় । এই থরনের বালিয়াড়িকে বলে অস্থায়ী বা চলমান বালিয়াড়ি । রাজস্থানের মরু অঞ্চলের এই থরনের বালিয়াড়িকে থ্রিয়ান বলে ।
Answer : মরুভূমি ও মরুপ্রায় অঞ্চলে হলুদ ও ধূসর বর্ণের কোয়ার্টজ , ফেল্ডস্পার , ডলোমাইট ও অন্যান্য খনিজ সমৃদ্ধ শিথিল সূক্ষ্ম পলিকণার সঞ্চয়কে লোয়েস বলে ।
Answer : মরুভূমি অঞ্চলে উচ্চভূমি বেষ্টিত অবনমিত অঞ্চলে জল জমে যে সাময়িক হ্রদের সৃষ্টি হয় , তাকে প্লায়া বলে । এই প্লায়াই আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে বোলসন নামে পরিচিত ।
Answer : কেবলমাত্র নুড়ি ও পাথর দ্বারা গঠিত একটি এবড়োখেবড়ো অবশিষ্ট মরুভূমি অঞ্চলকে ডেজার্ট পেভমেন্ট বলে ।
Answer : প্লায়া ও পার্শ্ববর্তী অংশে স্বল্পমেয়াদি প্রবল বর্ষায় উৎপন্ন পলি জমে সৃষ্ট সমভূমি হল বাজাদা বা বাহাদা ।
Answer : মরুভূমিতে বৃষ্টির জলধারার ক্ষয়কাজের ফলে যে সমস্ত ছোটো ছোটো অনিত্যবহ ক্ষণস্থায়ী প্রকৃতির নদী বা শুষ্ক নদীখাতের সৃষ্টি হয় , তাদের ওয়াদি বলে ।
Answer : যে প্রক্রিয়ার দ্বারা উৎপাদনশীল ভূমি ক্রমশ সম্পূর্ণভাবে উৎপাদনে অক্ষম অনুর্বর মরুভূমিতে পরিণত হয় , তাকে মরুকরণ বা মরু অঞ্চলের সম্প্রসারণ বলে ।
Answer : CAZRI- এর পুরো নাম হল Central Arid Zone Research Institute । এটি হল ভারতের একটি সংস্থা , যার সদর দপ্তর যোধপুরে অবস্থিত । এই সংস্থা দেশের মরুকরণ বা মরুভূমির সম্প্রসারণ বোধ করার সম্পর্কে গবেষণা চালায় ও গাছ লাগিয়ে নানা প্রকল্প রূপায়ণ করে ।
Answer : উপকূল ও নদীর মোহানায় বালি তৈরি হয়েছে সিলিকেট সমৃদ্ধ শিলা যান্ত্রিক ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে । কোয়ার্টজ খনিজ রাসায়নিকভাবে পরিবর্তিত হয় না বলেই তা মোটা দানা বালিতে পরিণত হয় । কোনো কোনো উপকূলে চুনাপাথর ( সাদাবালি ) ও প্রবালের খোলক থেকেও বালির উৎপত্তি হয়েছে । এই কারণেই উপকূল ও নদীর মোহানায় বালির সঞ্চয় দেখা যায় ।
Answer : উপকূল অঞ্চলে সমুদ্রের দিক থেকে জোরে বাতাস বয় । এই বাতাস উপকূলের বালিকে উড়িয়ে নিয়ে অন্য স্থানে সঞ্চয় করে বালিয়াড়ি তৈরি করে । তাই উপকূলে বায়ু সঞ্চয়কার্যের মাধ্যমে ভূমি গড়ে ওঠে — ক্ষয়কার্যের ফলে অতটা নয় । এইভাবেই উপকূলে বায়ু ভূমির পরিবর্তন ঘটায় ।
Answer : বায়ু ( i ) মরুভূমি ( ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় উভয় থরনের মরুভূমিতে ) , ( ii ) মরুভূমিসংলগ্ন মরুপ্রায় ও ( iii ) উপকূল অঞ্চলে তার কার্যের মাধ্যমে ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায় ।
Answer : ভূপৃষ্ঠের যেসব স্থানে দীর্ঘকাল থরে গড় বৃষ্টি ২৫ সেমির কম , গাছপালা প্রায় নেই এবং অঞ্চলটি মানুষ বসবাসের অনুপযোগী , সেই স্থানকে মরুভূমি বলে । যেমন — সাহারা , থর , গোবি ইত্যাদি হল পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য মরুভূমি ।
Answer : উত্তর গোলার্ধের দুটি ক্রান্তীয় মরুভূমির নাম হল ( i ) আফ্রিকার সাহারা এবং ( ii ) উত্তর আমেরিকার সোনেরান মরুভূমি ।
Answer : দক্ষিণ গোলার্ধের দুটি ক্রান্তীয় মরুভূমির নাম হল— ( i ) চিলির আটাকামা মরুভূমি ও ( ii ) অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট অস্ট্রেলিয়া মরুভূমি ।
Answer : দুটি নাতিশীতোয় মরুভূমির নাম হল – ( i ) চিনের তাকলামাকান এবং ( ii ) মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমি ।
Answer : মরুভূমির ভিতরের কোনো কোনো জায়গায় জলের উৎস ( আর্টেজীয় কুপ বা হ্রদ ) থাকলে সেখানে গাছপালা , কৃষিকাজ গড়ে ওঠে । এই জায়গাগুলিকেই বলে মরুদ্যান । মরুদ্যান , মরুভূমি অতিক্রমকারী মানুষের কাছে স্বর্গের সমান ।
Answer : মরূদ্যানে ভৌমজল পাওয়া যায় , ফলে সেখানে গাছপালা গড়ে ওঠে এবং কৃষিকাজ ও পশুপালনের পরিবেশ সৃষ্টি হয় । তাই মরুদ্যান জনবসতি গড়ে ওঠার সহায়ক ।
Answer : মরু অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহ দ্বারা বালুকারাশি অপসারিত হওয়ার ফলে , নিম্নস্থ শিলাময় স্তর বেরিয়ে পড়ে । আবরণহীন কেবলমাত্র শিলা দ্বারা গঠিত এই মরুভূমিকে হামাদা বলে ।
Answer : বিশালাকার অঞ্চলজুড়ে কেবলমাত্র বালি দ্বারা গঠিত মরুভূমিকে সাহারা আর্গ বলে । তুর্কিস্তানে একেই কুম বলে । উদাহরণ — সৌদি আরবের বুব – আল – খালি হল পৃথিবীর বৃহত্তম আর্গ ।
Answer : বিভিন্ন আকৃতির প্রস্তরখণ্ড দিয়ে ঢাকা মরুভূমিকে আলজিরিয়ার রেগ বলে । মিশর ও লিবিয়ায় এটিই সেরীর নামে পরিচিত ।
Answer : ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন অঞ্চল বায়ুর প্রকৃতি হওয়ায় এবং ভূমিতে ঝোপঝাড় থাকায় বায়ুর গতিবেগ কম হয় এবং বায়ুবাহিত পদার্থসমূহ বাধাপ্রাপ্ত হয় । আবার ঊর্ধ্ব অংশে বায়ুর গতিবেগ বেশি থাকলেও বায়ুবাহিত পদার্থের পরিমাণ কম থাকে । তাই অবঘর্ষ প্রক্রিয়া ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন অঞ্চল বা ঊর্ধ্বে তত কার্যকর হয় না । ভূপৃষ্ঠ থেকে সামান্য ওপরে ( ২–১ মিটার ) এই প্রক্রিয়া সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয়ে থাকে ।
Answer : প্রবল বায়ুপ্রবাহে বালিস্তর অপসারিত হয়ে কোনো কোনো স্থানে গর্ত বা অবনমিত অঞ্চল সৃষ্টি করে । একেই অপবাহনসৃষ্ট গর্ত বা ব্লো আউট বলে ।
Answer : বায়ুর গতিপথে কঠিন ও কোমল শিলায় গড়া কোনো বৃহৎ শিলাখণ্ড অনুভূমিকভাবে অবস্থান করলে নীচের কোমল অংশ বিভিন্ন ঋতুতে বায়ুর ঘর্ষণের ফলে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সরু স্তম্ভের মতো হয় এবং উপরের কম ক্ষয়প্রাপ্ত কঠিন অংশটি বিরাট আয়তন নিয়ে ব্যাঙের ছাতার মতো দাঁড়িয়ে থাকে । স্তম্ভাকৃতি এই কঠিন শিলাখণ্ডকে গৌর বলে ।
Answer : মরুভূমি বা মরুপ্রায় অঞ্চলে উপরের স্তরে কঠিন । শিলা ও নীচের স্তরে কোমল শিলা পর্যায়ক্রমে অনুভূমিকভাবে অবস্থান করলে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় বায়ুর ক্ষয়কাজের ফলে কঠিন শিলাগঠিত অংশ অতি অল্প ক্ষয় পেয়ে চ্যাপটা ও প্রায় সমতল চূড়াবিশিষ্ট টিলার মতো দাঁড়িয়ে থাকে এবং কোমল শিলাস্তরগুলি বেশি ক্ষয় পেয়ে ফাটল বরাবর লম্বা খাত বা গহ্বরের সৃষ্টি হয় । এই রকম দুটি গহ্বর বা খাতের মধ্যে চ্যাপটা মাথা টিলার মতো যে ভূমিরূপ গঠিত হয় তাকে জিউগেন বলে ।
Answer : মরুভূমি বা মরুপ্রায় অঞ্চলে কঠিন ও কোমল শিলাস্তরগুলি পাশাপাশি লম্বভাবে অবস্থান করলে দীর্ঘকাল থরে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় বায়ুর ক্ষয়কাজের ফলে কোমল শিলাস্তরগুলি দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে গহ্বর বা সুড়ঙ্গের আকার ধারণ করে এবং কঠিন শিলাস্তরগুলি পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন মূর্তি আকৃতির শৈলশিরার মতো দাঁড়িয়ে থাকে । এই থরনের ভূমিরূপ ইয়ারদাং নামে পরিচিত ।
Answer : বায়ুর প্রবাহপথে কোনো বৃহৎ প্রস্তরখণ্ড অবস্থান করলে এর প্রতিবাত পার্শ্ব দীর্ঘকাল থরে অবঘর্ষ পদ্ধতিতে ক্ষয় হয়ে মসৃণ ও ছুঁচোলো হয় এবং শিলাস্তরটি ব্রাজিল দেশীয় বাদামের ন্যায় আকৃতি ধারণ করে । একে ভেন্টিফ্যাক্ট বলে ।
Answer : মরুভূমির কোনো প্রস্তরখণ্ড যদি বিভিন্ন ঋতুতে প্রবাহিত ভিন্নমুখী বায়ুপ্রবাহে অবঘর্ষ পদ্ধতিতে দীর্ঘকাল ক্ষয় হয়ে ত্রিকোণাকার বা ক্ষুদ্র পিরামিড আকৃতি ধারণ করে , তাকেই ড্রেইকান্টার বলে ।
Answer : ভারতের থর মরুভূমি অঞ্চলে অপসারণের ফলে ছোটো ছোটো গর্তের সৃষ্টি হয় । এই গর্তগুলিতে জল জমে সাময়িক হ্রদের সৃষ্টি হয় । এগুলি ‘ ধান্দ ‘ নামে পরিচিত ।
Answer : বায়ু ক্ষয় করে যেসকল পদার্থ সৃষ্টি করে তা তিনটি পদ্ধতির মাধ্যমে বাহিত হয় – ( i ) ভাসমান প্রক্রিয়া : অপেক্ষাকৃত সূক্ষ্ম ধূলিকণা বায়ুপ্রবাহের ফলে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয় । ( ii ) লম্ফদান : অপেক্ষাকৃত মাঝারি আকারের নুড়ি , শিলাখণ্ড ভূমির সাথে ধাক্কা খেয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে এগিয়ে চলে । ( iii ) গড়ানো প্রক্রিয়া : বড়ো আকারের নুড়ি ও প্রস্তরখণ্ড বায়ুপ্রবাহের ফলে ভূমির সাথে গড়িয়ে গড়িয়ে এগিয়ে যায় ।
Answer : মরুভূমি ও মরুপ্রায় অঞ্চলে হলুদ ও ধূসর বর্ণের কোয়ার্টজ , ফেল্ডস্পার , ডলোমাইট ও অন্যান্য খনিজ সমৃদ্ধ শিথিল সুক্ষ্ম পলিকণার সঞ্চয়কে লোয়েস বলে । বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে এই সূক্ষ্ম পলিকণা বহুদুরে পরিবাহিত ও সঞ্চিত হয়ে যে ভূমি গঠন করে তাকে লোয়েস ভূমি বলে । মধ্য এশিয়ার গোবি মরুভূমি থেকে হাজার হাজার বছর থরে লোয়েস মৃত্তিকা বহন করে চিনের হোয়াংহো অববাহিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সমভূমি গঠন করেছে ।
Answer : মরুভূমি সম্প্রসারণের কারণগুলি হল—
( ১ ) বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং মরু সম্প্রসারণের প্রধান কারণ ।
( ২ ) মরুপ্রান্ত ও মরুপ্রায় অঞ্চলে দীর্ঘদিন থরা হলে তা মরুগ্রাসে পড়ে ।
( ৩ ) মরুপ্রায় অঞ্চলে অত্যধিক পশুচারণে মাটি আলগা হয়ে অঞ্চলটি মরুগ্রাসের কবলে পড়ে । পশ্চিম সাহারায় এই কারণে মরুভূমি বেড়েছে ।
( ৪ ) গাছপালা কেটে ফেলা মরু সম্প্রসারণের অন্যতম কারণ । মিশরে ফ্যারাওদের অবিবেচনাপ্রসূতভাবে গাছ কাটার কারণে মরুভূমি প্রাচীনকাল থেকেই বেড়ে চলেছে ।
( ৫ ) মরুপ্রায় অঞ্চলে অবৈজ্ঞানিক প্রথায় চাষ , অধিক জলসেচে মাটির লবণতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে মরু সম্প্রসারণ ঘটছে । ভারতে থর মরুভূমি এই কারণেই একটু একটু করে বাড়ছে ।
Answer : মরুভূমি সম্প্রসারণের ফলে সৃষ্ট সমস্যাগুলি হল –
( ১ ) বিশাল কৃষিজমি ধ্বংস হয় , সিন্ধু সভ্যতাও মরুকরণের কারণেই ধ্বংস হয়েছিল বলে মনে করা হয় ।
( ২ ) জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয় এবং উদ্ভিদ ও প্রাণীর উৎপাদন Unge IMPLE BI ক্ষমতা কমে ।
( ৩ ) মাটির জৈব পদার্থের পরিমাণ কমে জমি উর্বরতা শক্তি হারায় ।
( ৪ ) ভৌমজলের ভাণ্ডার কমে ।
( ৫ ) মরুকরণ কবলিত এলাকা থেকে মানুষকে সরতে হয় ফলে সামাজিক সমস্যা বাড়ে এবং environmental refugee এর সৃষ্টি হয় ।
( ৬ ) মরুকরণ অঞ্চলগুলিতে অর্থনৈতিক চাপ বাড়ে ।
Answer : মরুভূমি সম্প্রসারণ রোধ করার উপায়গুলি হল—
( ১ ) মরুভূমিতে যে সামান্য বৃষ্টি হয় তা থরে রাখার জন্য গর্ত , চেক ড্যাম তৈরি দরকার ।
( ২ ) জমির লবণতা যাতে কমে তার জন্য বিভিন্ন ফসলের চাষ দরকার । শুঁটি জাতীয় উদ্ভিদ চাষে জমির উর্বরতা বাড়ে ।
( ৩ ) বালিয়াড়ি সম্প্রসারণ রোধের জন্য বেড়া দেওয়ার মতো করে গাছ লাগানো দরকার । ভারতের Central Arid Zone Research . Institute ( CAZRI – সদর দপ্তর যোধপুর ) এই ব্যাপারে বেশ সাফল্য পেয়েছে ।
( ৪ ) অগভীর বালিস্তরে মুনা জাতীয় ঘাস লাগালে তা দ্রুত বেড়ে অঞ্চলকে ঢেকে দেয় । ফলে বালি উড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে ।
( ৫ ) খরা প্রতিরোধকারী বিভিন্ন গাছ লাগিয়ে সবুজ অরণ্যে ভরিয়ে দেওয়া দরকার ।
( ৬ ) পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ দরকার ।
Answer : মরুভূমিতে বায়ু প্রধান শক্তিরূপে কাজ করে কেন : ( ১ ) যান্ত্রিক আবহবিকারের প্রাবল্য : যান্ত্রিক আবহবিকারে শিলা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে অবশেষে বালিকণায় পরিণত হয় । বালি বায়ু ক্ষয়কার্যের প্রধান উপাদান । ( ২ ) বৃষ্টির অভাব : বৃষ্টি এখানে হয় না । বালিস্তর সর্বদা আলগা ও শিথিল থাকে , যা বায়ু সহজেই উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে । ( ৩ ) গাছপালার অভাব : বৃষ্টির অভাবে গাছপালা নেই বলেই বায়ু বাধাহীনভাবে প্রবাহিত হতে পারে ।
Answer : বালি হল শিলাজাত অজৈব পদার্থ যার ব্যাস ০.০২-২.০ মিমি । মরুভূমি গঠনের প্রধান উপাদান হল বালি । এই বালি গঠনের প্রধান উপাদান হল কোয়ার্টজ খনিজ । এ ছাড়া বালির মধ্যে থাকে ফেল্ডস্পার , অভ্র , জিপসাম প্রভৃতি খনিজ । মরুভূমি অঞ্চলের সিলিকেট সমৃদ্ধ শিলা ( গ্রানাইট , ডায়োরাইট , গ্যাব্রো , বেলেপাথর ইত্যাদি ) যান্ত্রিক অববাহিকা – এর প্রভাবে প্রথমে চূর্ণবিচূর্ণ এবং পরে অবঘর্ষ ও ঘর্ষণক্ষয় প্রক্রিয়ায় ছোটো হতে হতে শেষে বালিকণায় পরিণত হয় । এইভাবেই মরুভূমিতে বালির উৎপত্তি হয় ।
Answer : বায়ু তিনটি পদ্ধতিতে ক্ষয়কাজ করে— ( 1 ) অবঘর্ষ : মরু অঞ্চলে বায়ুর সাথে বাহিত বালি , অতিক্ষুদ্র প্রস্তরখণ্ড শিলাস্তরের ওপরে আছড়ে পড়ে এবং শিলার ওপর আঁচড় কাটা দাগ , গভীর ক্ষত , মৌচাকের মতো দাগ , অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি করে , একে বলে অবঘর্ষ । অবঘর্ষ প্রক্রিয়া ভূমির সামান্য উপরে শিলাস্তরের ওপর সর্বাধিক ক্রিয়াশীল । ( 2 ) ঘর্ষণ ক্ষয় : ভূপৃষ্ঠের উপর দিয়ে বায়ুর প্রভাবে বাহিত বিভিন্ন আকৃতির নুড়ি , প্রস্তরখণ্ড একে অপরের সাথে ঠোকাঠুকিতে ভেঙে অবশেষে বালিকণায় পরিণত হয় , এটি হল ঘর্ষণ ক্ষয় প্রক্রিয়া । ( 3 ) অপবাহন : জলের অভাবে মরুভূমির বালি , পলি আলগা শিথিল অবস্থায় থাকে । তাই প্রবল বায়ুপ্রবাহে এই বালি ও পলিকণা অপসারিত হয় । এটি হল অপবাহন প্রক্রিয়া বা deflation । এর প্রভাবে মরুভূমিতে অবনত স্থান , ছোটো – বড়ো গর্তের সৃষ্টি হয় ।
Answer : যে যে বিষয়গুলি বায়ুর ক্ষয়কার্যকে প্রভাবিত করে , সেগুলি হল –
( ক ) শুষ্ক জলবায়ু ( Dry climate )
( খ ) স্বল্প বৃষ্টিপাত ( Scanty rainfall )
( গ ) উদ্ভিদের আবরণের স্বল্পতা ( Low vegetation )
( ঘ ) আল্গা ভূপৃষ্ঠ ( Lonse earth cover )
( ঙ ) যান্ত্রিক আবহবিকারের প্রাবল্য ( Importance of mechanical weathering )
Answer : সমুদ্র উপকূলের ঠিক পিছনের দিকে , প্রধানত বায়ু ও সমুদ্রতরঙ্গের কার্যের ফলে বালিয়াড়ি গড়ে ওঠে । উন্মুক্ত উপকূলের বালি উড়ে গিয়ে বেশ কিছুটা দূরে স্তূপাকারে সঞ্চিত হয় । বেলাভূমিতে এই বালি সঞ্চিত হয়ে ঢিবির মতো দেখতে বালিয়াড়ি গঠিত হয় । পূর্ব মেদিনীপুরের কাথিতে এইরূপ বালিয়াড়ি দেখা যায় ।
Answer :
বিষয় | বার্খান | সিফ্ বালিয়াড়ি |
সংজ্ঞা | বায়ুর গতিপথে উল্লম্বভাবে গঠিত অর্ধ চন্দ্রকার বালিয়াড়ি । | বায়ুর গতিপথে আড়াআড়িভাবে গঠিত দীর্ঘ তরবারির মতো বালিয়াড়ি । |
উচ্চতা | এর উচ্চতা ৩২ মিটার বা ১০০ ফুট । | এর উচ্চতা ১০০ মিটার । |
ঢাল | এর প্রতিবাদ অংশ মৃদু ঢাল এবং অনুবাত অংশ খাড়া । | এর ঢালের তেমন কোনো পার্থক্য নেই, উভয় দিকই প্রায় সমান ঢালবিশিষ্ট । |
অবস্থান | এগুলি ইতস্তত বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থান করে । | এগুলি একে অপরের সামন্তরালে অবস্থান করে । |
বৈশিষ্ট্য | এর দু – প্রান্তে দুটো শিং থাকে । | দুটি সিফের মাঝে করিডোর দেখা যায় । |
Answer :
বিষয় | পেডিমেন্ট | ইনসেলবার্জ |
সংজ্ঞা | পর্বত পাদদেশের ঢালু সমতল উচ্চভূমিকে বলে পেডিমেন্ট । | পেডিমেন্ট বা পদদেশীয় সমভূমির মাঝে অবস্থিত অনুচ্চ টিলাগুলিকে বলে ইনসেলবার্জ । |
ক্ষয়ের মাধ্যম | বায়ু ও সাময়িক জলধারার মিলিত কর্যের ফলে পেডিমেন্ট গঠিত হয় । | প্রধানত বায়ুর কার্যের ফলেই এই ভূমিরূপ গঠিত হয় । |
আকৃতি | এটি হল প্রস্তরময় এক সমতলভূমি । | এগুলি গোলাকৃতি শিখরদেশযুক্ত এবং খাড়া পার্শ্বদেশ বিশিষ্ট হয় । |
Answer :
বিষয় | মোনাডনক | ইনসেলবার্জের |
বিষয় | সমপ্রায়ভূমির মধ্যে কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত অনুচ্চ টিলা বা পাহারগুলিকে মোনাডনক বলে । | পেডিপ্লেনের মধ্যে কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত অনুচ্চ টিলাগুলিকে ইনসেলবার্জ বলে । |
উৎপত্তি | এটি নদী বা জলধারার কার্যে গঠিত ভূমিকার । | এটি বায়ু ও জলধারার কার্যে গঠিত হয় । |
আকৃতি | এটি প্রায় গোলাকার এবং আকৃতি কিছুটা ওল্টানো গামলার মতো । | এটি মোনাডনক অপেক্ষা তীক্ষ্ণ আকৃতি বিশিষ্ট । |
অঞ্চল | এটি আদ্র অঞ্চলে গঠিত ভূমিরূপ । | এটি শুষ্ক মরুভূমি ও মরুপ্রায় অঞ্চলে গঠিত ভূমিরূপ । |
Answer : বিজ্ঞানী ব্যাগনন্ডের মতে , আকৃতি অনুসারে বালিয়াড়ি প্রধানত দু – রকমের হয় , যেমন- তির্যক বালিয়াড়ি এবং ও অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি ।
(1) তির্যক বালিয়াড়ি ( Transverse Dunes ) : মরুভূমি অঞ্চলে যেখানে সারাবছর থরে একই দিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হতে থাকে । সেখানে বায়ুর গতির সঙ্গে তির্যক বা আড়াআড়ি ভাবে যেসব বালিয়াড়ি গঠিত হয় তাদের তির্যক য়াড়ি বলা হয় । তির্যক বালিয়াড়ির মধ্যে বাৰ্খান উল্লেখযোগ্য ।
‘ বাৰ্খান ’ একটি তুর্কি শব্দ , এর অর্থ হল ‘ কিরঘিজ স্টেপস অঞ্চলের বালিয়াড়ি ‘ । তির্যক বালিয়াড়ির মধ্যে যে সমস্ত বালিয়াড়ির গঠন অর্ধচন্দ্রাকৃতি , অর্থাৎ যেসব বালিয়াড়িকে আধখানা চাঁদের মতো দেখতে হয় তাদের বার্খান বলে ।
বৈশিষ্ট্য : ( i ) বার্খানের দুই প্রান্তে দুটি শিং ( Horn ) – এর মতো শিরা দেখা যায় । ( ii ) এরা বায়ুর গতির দিকে ক্রমশ ঢালু এবং বিপরীত দিকে খাড়া হয়ে থাকে । ( iii ) সাধারণত মরুভূমিতে সমতল অংশে বার্থান গড়ে ওঠে । পৃথিবীর বিভিন্ন মরুভূমিতে ছোটো – বড়ো নানান আকৃতির বাখনি দেখা যায় । ( iv ) সাধারণত বার্খানের উচ্চতা ১৫-৩৫ মিটার , প্রস্থ ৪০-৭০ মিটার এবং আয়তন ৫ বর্গমিটার থেকে ২০০ বর্গমিটার পর্যন্ত হয় । সাহারা মরুভূমি অঞ্চলে অনেক বৃহদায়তন বার্খান দেখা যায় ।
(2) অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি : বায়ুর গতির সঙ্গে সমান্তরালভাবে গড়ে ওঠা বালিয়াড়িকে অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি বলা হয় । একেই সিফ বালিয়াড়ি বলা হয় । সিফ একটি আরবি শব্দ , যার অর্থ হল ‘ সোজা তলোয়ার । অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ির মধ্যে যেসব বালিয়াড়ি আকারে বেশ সরু, কিন্তু খুব লম্বা তাদের সিফ্ বালিয়াড়ি বলা হয় । এই বালিয়াড়ির অনুবাত প্রাপ্তটি তলোয়ারের মতো সরু এবং প্রতিবাত প্রান্তটিচওড়া ও গোল হয় । দুটি সি বালিয়াড়ির মধ্যবর্তী অঞ্চলকে ‘ করিডোর ’ বলে , এর মধ্য দিয়ে বায়ু প্রবল বেগে সোজা প্রবাহিত হয় । অনুদৈর্ঘ্য তথা সিহ বালিয়াড়ির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হল :
Answer : মর্ মরুপ্রায় অঞ্চলে হঠাৎ অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে সাময়িক সময়ের জন্য অস্থায়ী নালা সৃষ্টি হয়ে যায় । বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যে ভূমিরূপে নানা পরিবর্তন হয় । ( ক ) পেডিমেন্ট ( Pediment ) : পেডিমেন্ট শব্দের অর্থ ‘ পাহাড়ের দেশ ‘ ( Pedi = পাদদেশ ; Mont = পর্বত ) ।
উৎপত্তি : বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে মরুভূমির পর্বতের পাদদেশে এই পেডিমেন্টের উৎপত্তি হয় । মরুমধ্যস্থিত পর্বত পাদদেশে বায়ুবাহিত ও জলধারার মিলিত ক্ষয় ও সঞ্চয় ক্রিয়ায় গড়ে ওঠা ঊর্ধ্বাংশ ঢালু ও নিম্নাংশ প্রায় সমতল আকৃতির বিশিষ্ট ভূমিরূপকে পেডিমেন্ট বলে ।
বৈশিষ্ট্য : পেডিমেন্ট শব্দটি ব্যবহার করেন জে . কে . গিলবার্ট । এর ঢাল ৬০-৭ ° মতো হয় । এর আকৃতি অবতল প্রকৃতির । পাদদেশে নুড়ি বালি জমে সাময়িক জলধারার সৃষ্টি হয় । শ্রেণিবিভাগ : পেডিমেন্ট তিন থরনের— ( i ) আবৃত পেডিমেন্ট পাতলা নুড়ির আবরণে ঢাকা পেডিমেন্ট । ( ii ) সম্মিলিত বা একত্রীভূত পেডিমেন্ট : একাধিক পেডিমেন্ট পরস্পর মিশে সৃষ্ট পেডিমেন্ট । ( iii ) ব্যবচ্ছিন্ন পেডিমেন্ট : ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলস্রোত দ্বারা বিচ্ছিন্ন পেডিমেন্ট । উদাহরণ : আফ্রিকার সাহারা মরুভূমির উত্তর – পশ্চিম প্রান্তে আটলাস পর্বতের পাদদেশে পেডিমেন্ট দেখা যায় । ( খ ) বাজাদা ( Bajada ) : মরুভূমি ও মরুপ্রায় অঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি প্রবল বর্ষণের প্রভাবে সৃষ্ট হওয়া অস্থায়ী জলধারা ও বায়ুপ্রবাহের মিলিত সঞ্চয়কাজের ফলে যে প্রায় সমতল ভূমির সৃষ্টি করে তাকে বলে বাজাদা । উৎপত্তি : কখনো কখনো মরু ও মরুপ্রায় অঞ্চলের পর্বতের পাদদেশে অস্থায়ী জলধারা বা ওয়াদি গঠিত একাধিক পলল ব্যঞ্ছনী একসঙ্গে অবস্থান করলে বাজাদা গড়ে ওঠে ।
বৈশিষ্ট্য : ( i ) সুক্ষ্ম পলি ও বালি দ্বারা গঠিত এই বাজাদা কয়েক কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত হয় । ( ii ) এর গড় ঢাল হয় ৩ ° —৪ °
উদাহরণ : সাহারা মরুভূমির আটলাস পর্বতের পাদদেশবর্তী অঞ্চলে বাজাদা ভূমিরূপ দেখা যায় । এ ছাড়া কালাহারি , আরব ও অস্ট্রেলীয় মরুভূমিতেও বাজাদা দেখা যায় । ( গ ) ওয়াদি ( Wadi ) : আরবি শব্দ ‘ ওয়াদি ’ – এর অর্থ ‘ শুষ্ক উপত্যকা ’ । মরু অঞ্চলে সৃষ্ট শুষ্ক নদীখাতগুলিকে ওয়াদি বলে । ↑ উৎপত্তি : মরু অঞ্চলে হঠাৎ প্রবল বৃষ্টি হলে , বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বেগবতী ক্ষণস্থায়ী জলধারা ঢালু পর্বতগাত্রে নদীখাতের সৃষ্টি করে । শুষ্ক অঞ্চলে জলের অধিগ্রহণ ( Infiltration ) এবং অধিক পরিমাণে বাষ্পীভবন ( Evaporation ) ফলে নদীখাত দ্রুত শুকিয়ে যায় এবং ওয়াদি সৃষ্টি হয় । মরুভূমি অঞ্চলে যেখানে ২৫-৫০ সেমি বাৎসরিক বৃষ্টি ঘটে , তখন সেখানে ওয়াদি গড়ে ওঠে ।
বৈশিষ্ট্য : ( i ) এটি স্বল্প দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট নদীখাত । ( ii ) বছরের অধিকাংশ সময়ই নদীখাত শুষ্ক থাকে । • উদাহরণ : আরব মরুভূমিতে বহু ওয়াদি দেখা যায় । ( ঘ ) প্লয়া ( Playa ) : মরু অঞ্চলে অপসারণ সৃষ্ট গর্ভে লবণাক্ত জল জমে যে হ্রদ সৃষ্টি হয় তাকে বলে পায়া । লবণাক্ত জল জমা হয় বলে ওই হ্রদকে বলে প্রায়া ; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমে W মেক্সিকোর মরু অঞ্চলে পর্বতবেষ্টিত লবণাক্ত হ্রদকে বলে বোলসন । আফ্রিকায় প্রায়াকে শট্স ( Shotts ) বলে ।
উৎপত্তি : প্রবল বায়ুপ্রবাহের ফলে মরুভূমির বালি অপসারিত হয়ে ছোটো – বড়ো অনেক গর্তের সৃষ্টি হয় । এই গর্তগুলি যদি খুব গভীর হয়ে ভূগর্ভের জলস্তরকে স্পর্শ করে , তাহলে ভূগর্ভস্থ জল ও বৃষ্টির জল জমা হয়ে সেখানে প্লায়া হ্রদের সৃষ্টি হয় ।
Answer : মরুকরণ বা ‘ Desertification ‘ শব্দটি বর্তমানে বহুল প্রচলিত । জলবায়ুর পরিবর্তন , মানুষের অবিবেচক ক্রিয়াকলাপ , প্রভৃতির কারণে পৃথিবীতে মরুভূমির আয়তন ক্রমশ বেড়েই চলেছে ।
মরুভূমি সম্প্রসারণের কারণ : অরণ্যনিধন : বর্ধিত জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নগরায়ণ । বন কেটে বসতি গড়ে উঠছে । অরণ্য বিনাশের ফলে মাটি আলগা হয়ে পড়ায় ভূমিক্ষয় বাড়ছে । ভারতে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ১৫ লক্ষ হেক্টর অরণ্য বিনষ্ট হয় । ফলে মোট ভূমিভাগের ১ % ভূমি পরিণত হয় বন্ধ্যাভূমিতে ।
ভূমি ব্যবহার : ভূমি ব্যবহার বলতে মূলত নানা উদ্দেশ্য । পুরণের জন্য কখনও অর্থনৈতিকভাবে , কখনও বা সামাজিক ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ভূমির কার্যকারিতাকে বোঝায় । ভারতের মরু অঞ্চল পৃথিবীর সব মরুভূমির মধ্যে সর্বাধিক জনবহুল । কৃষিকার্যেই যেখানে লাভজনক অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ , সেখানে অতিরিক্ত কৃষিকার্যে মাটির কণাগুলি শিথিল হয়ে ভূমিক্ষয় বাড়ায় ।
অনিয়ন্ত্রিত পশুচারণ : শুষ্ক পরিবেশে অল্প জলের মাধ্যমে যদি তৃণভূমি সৃষ্টি করা যায় তাহলে সেখানে পশুচারণভূমি গড়ে ওঠে যা জীবিকার অন্যতম মাধ্যম । কিন্তু অতিরিক্ত পশুচারণ ভূমিক্ষয় বাড়ায় । পশুর খুরের আঘাতে মাটি আলগা হয় , গাছপালার আচ্ছাদন বিনষ্ট হয় ।
ভৌমজলের অভিব্যবহার : জলসেচের মাধ্যমে শুষ্ক ভূমিকে । কৃষিযোগ্য করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভৌমজল তুলে নেওয়া হয় , ফলে জলের সাথে কৌশিক প্রক্রিয়ায় লবণও উঠে আসে যা কৃষি প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে । তার সাথে জলের স্তর বেশি নেমে যাওয়ায় মরুভূমির মাটি আর্দ্রতা হারিয়ে মরুকরণ পদ্ধতিকে ত্বরান্বিত করে ।
খনিজ উত্তোলন : খনিজসম্পদের দুর্লভ ভাঙার থাকায় ভূগর্ভ থেকে তা উত্তোলন করা হয় । খননকার্যের মাধ্যমে ভূমিতে ধস নামার সম্ভাবনা থাকে , মাটির স্বাভাবিক প্রথন বা বুনন নষ্ট হয় । এটিও পরোক্ষভাবে মরুপ্রসারণে সাহায্য করে ।
মরুভূমি সম্প্রসারণ রোধের উপায় : মরুভূমি সম্প্রসারণের জন্য দায়ী কারণগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা যদি সম্ভব হয় তাহলে মরুপ্রসারণ রোধ করা যাবে । মরু আগ্রাসন থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য নিম্নলিখিত উপায়গুলি অবলম্বন করা একান্ত আবশ্যক ।
( 1 ) বৃক্ষরোপণ : গাছপালা ধুলোর ঝড়কে আটকায় , ভূমিক্ষয় রোধ করে । মরুভূমিতে গাছ লাগালে প্রাকৃতিক সুরক্ষাপ্রাচীর গড়ে তোলা যায় । বালিয়াড়ির প্রসারণের দিকে আড়াআড়িভাবে গাছ লাগাতে হবে যাতে বায়ুর ক্ষয় রোধ করা যায় । এক্ষেত্রে যে গাছগুলিকে নির্বাচন করা হয় সেগুলি হল- Senna , Gum , Acacia , Prospis , Julflora , Lebber প্রভৃতি । Wind Break দিয়ে দেয়াল তৈরি করতে হবে যাতে ঝড়ের প্রবাহ আটকানো যায় ।
( ২ ) তৃণভূমি সৃষ্টি : মরুভূমিতে মাটির আর্দ্রতা সংরক্ষণে খুঁড়ে নীচু জমিতে জল থরে রেখে মুথাজাতীয় ঘাস লাগাতে হবে । এই প্রক্রিয়ায় পশুচারণ ভূমি যেমন গড়ে তোলা যাবে , সেইসঙ্গে মাটির সিক্ততা রক্ষা করা যাবে ।
( ৩ ) জলসেচ প্রকল্প : মরুভূমির মাটিতে খনিজ মৌল উপস্থিত থাকে , জলসেচের ব্যবস্থা করা গেলে মাটির উর্বরতা বাড়ে , কৃষিকাজ করা যায় । ফলে মরুভূমি শস্যশ্যামলা হবে ও মরুকরণ বাধা পাবে ।
( ৪ ) জলসংরক্ষণ পদ্ধতি : ( i ) বেড়া দিয়ে গাছগুলিকে সংরক্ষণ করতে হবে , ( ii ) গাছের গুঁড়ির আশেপাশে নুড়ি – পাথর জড়ো করে রাখতে হবে , রাতে যে অল্প শিশির জমে সেই জল যাতে অপচয় না হয় , ( iii ) বালিয়াড়ির গায়ে দাবার ছকের মতো ছোটো ছোটো ঘর কেটে কাদাপাথর দিয়ে পাঁচিল গাঁথতে হবে । বৃষ্টির জল সাময়িক ভাবে ওই দেয়ালে বাধা পাবে যা ঘাস গজাতে সাহায্য করবে , ( iv ) মরুভূমি অঞ্চলে ঝোপ গাছ জ্বালানি রুপে ব্যবহার না করে সৌর উনুন ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়া , ( v ) বাঁধ বা জলাধার তৈরি করে জল থরে রাখার ব্যবস্থা করা , ( vi ) মরুভূমিতে উদ্যান তৈরি করা ও মরূদ্যানকে সংরক্ষণ করা । ( vii ) গাছের গুঁড়ির আশেপাশে নুড়িপাথর বেষ্টিত করে রাখা যাতে মরুভূমিতে রাতে ঠান্ডায় শিশির জমে ।
Answer : মরুভূমি অঞ্চলে বায়ু প্রধানত ক্ষয়সাধন , বহন ( 3 অবক্ষেপণ — এই তিন থরনের কাজের মাধ্যমে ভূত্বকের পরিবর্তন ঘটিয়ে নানারকম ভূমিরূপ গঠন করে ।
( ক ) মরুভূমি অঞ্চলে বায়ুর ক্ষয়কাজ : মরু অঞ্চলে বায়ুর প্রধান কাজ ক্ষয়সাধন করা । বায়ুতে ভাসমান বালির পরিমাণ এবং বায়ুর গতিপথের ওপর বায়ুর ক্ষয়সাধনের ক্ষমতা নির্ভর করে । ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে বায়ুর শক্তি কিছুটা কমে যাওয়ায় ভূপৃষ্ঠের একেবারে কাছাকাছি বায়ুর গতিবেগ অনেকটা কম হয় । আবার ভূপৃষ্ঠ থেকে যতই উপরে ওঠা যায় — বায়ুর সঙ্গে উদ্বৃত্ত বালির পরিমাণ ততই কমে যেতে থাকে , ফলে ভূমির বেশি উপরেও বায়ুর ক্ষয়কাজের শক্তি হ্রাস পায় । সাধারণত মাটি থেকে ১ মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় বায়ুর ক্ষয়কাজ সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে । বায়ুর ক্ষয়কাজের প্রকারভেদ : বায়ু প্রধানত তিনভাবে ক্ষয়কাজ করে , যথা— ( 1 ) অবঘর্ষ , ( 2 ) অপসারণ এবং ( 3 ) ঘর্ষণ ।
(1) অবঘর্ষ ( Abrasion ) । বায়ুপ্রবাহের সঙ্গে ভাসমান বালি , ছোটো ছোটো পাথরখণ্ড , শক্ত কোয়ার্টজ কশা প্রভৃতির সঙ্গে ঘর্ষণে শিলাস্তর ক্ষয় পায় , একে অবঘর্ষ বলে । এই রকমের ঘর্ষণে শিলাস্তরে গভীর দাগ বা আঁচড়ানোর দাগ বা মৌচাকের মতো অসংখ্য ছোটো ছোটো ছিদ্রের সৃষ্টি হয় । অপবাহন না অপসারণ ( Deflation ) প্রবল বায়ুপ্রবাহের ফলে মরুভূমির শিথিল বালুকারাশি এক স্থান থেকে অপর স্থানে স্থানান্তরিত হলে তাকে অপসারণ বলা হয় । অপসারণের কাজের ফলে ধান্দ ও মরুদ্যানের সৃষ্টি হয় ।
(2) ঘর্ষণ ( Attrition ) : মরুভূমিতে প্রবলবেগে বায়ুপ্রবাহের ফলে বড়ো বড়ো পাথরগুলি পরস্পরের সঙ্গে ঠোকাঠুকি লেগে ঘষা খেয়ে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গিয়ে অবশেষে ছোটো ছোটো গোলাকৃতি বালুকণায় । পরিণত হলে তাকে ঘর্ষণ প্রক্রিয়া বলে । এই প্রক্রিয়া মরুভূমি অঞ্চলে বড়ো বড়ো পাথরের খণ্ডকে ক্ষয়প্রাপ্ত করে বালিতে পরিণত করতে সাহায্য করে । অর্থাৎ পাথরখণ্ড থেকে বায়ুর ক্ষয়কাজের শেষ পর্যায় হল বালি ।
( খ ) মরুভূমি অঞ্চলে বায়ুর বহন কাজ ক্ষয়কাজের ওপর বায়ুর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ হল বহন প্রক্রিয়া । এই প্রক্রিয়ায় বায়ু ক্ষয়িত শিলাচূর্ণ এবং বালিকে প্রধানত তিনভাবে বহন করে , যথা 1. ভাসমান প্রক্রিয়া , 2. লঘদান প্রক্রিয়া এবং 3. গড়ানো প্রক্রিয়া ।
বায়ুবাহিত বালিকণার লম্ফদান প্রক্রিয়ায় সর্বাপেক্ষা বেশি পরিমাণে বালি মরুভূমিতে এক স্থান থেকে অন্যত্র বাহিত হয় । সাহারা মরুভূমিতে এক – একটি ধূলিঝড় ( Dust – storm ) একেবারে প্রায় ২০ লক্ষ টন ধূলিকণা এক স্থান থেকে অন্যত্র বহন করতে পারে ।
( গ ) মরুভূমি অঞ্চলে বায়ুর সঞ্জয়কাজ : মরু অঞ্চলে কোনো বড়ো শিলাখণ্ডে বা ক্যাকটাস জাতীয় গাছে বায়ুবাহিত বালি বাধা পেয়ে সঞ্চিত হয় । একে বায়ুর সঞ্চয়কাজ বলে । সঞ্চয়কাজ তিনটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পাদিত হয় , যথা— 1. থিতানো প্রক্রিয়া , 2. উপলেপন প্রক্রিয়া এবং 3. অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া ।
Answer : শুদ্ধ গাছপালাহীন মরু বা মরুপ্রায় প্রান্তের ও উপকূলের বালিয়াড়ি অঞ্চলের সর্বাধিক ক্ষয়কারী প্রাকৃতিক শক্তি বায়ুপ্রবাহ বায়ুর ক্ষয়জাত ভূমিরূপগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল –
( ক ) সার সৃষ্ট গর্ভ ( Defiation hollow ) : মরু অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহের তীর আঘাতে স্থানে স্থানে হাজার হাজার টন বালি অপসারণ প্রক্রিয়ার ফলে স্থানান্তরে পরিবাহিত হয় । ফলে বিশাল অঞ্চলজুড়ে ছোটো – বড়ো গর্ভ সৃষ্টি হয় । একে বলে অপসারণ সৃষ্ট গর্ত ।
( খ ) গৌর ( Gour ) : গৌর হল বায়ুর ক্ষয়কাজের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপের এক অন্যতম নিদর্শন । বায়ুর গতিপথে কঠিন ও কোমল শিলায় গড়া কোনো বৃহৎ শিলাখণ্ড অনুভূমিকভাবে অবস্থান করলে নীচের কোমল অংশে বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন দিক থেকে প্রবাহিত বায়ুর অবঘর্ষজনিত ক্ষয়কাজের তীব্রতা বেশি হওয়ার জন্য শিলাস্তূপটির নীচের অংশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সরু স্তম্ভের মতো হয় এবং উপরের কম ক্ষয়প্রাপ্ত কঠিন অংশটি বিরাট আয়তন নিয়ে ব্যাঙের ছাতা বা স্তম্ভের মতো দাঁড়িয়ে থাকে । স্তম্ভাকৃতি এইরকম শিলাখণ্ডকে গৌর বলে ।
উদাহরণ : আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি এবং এশিয়ার ইরান মরুভূমিতে অনেক গৌর আকৃতির ভূমিরূপ দেখা যায় । বৈশিষ্ট্য : ( i ) জার্মান ভাষায় গৌরকে ফিটজফেলসেন ( pitzfelsen ) বলে । ( ii ) অনেক সময় গৌরের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে এক থরনের রঙের প্রলেপ সৃষ্টি হয় । এই থরনের গৌরকে ডেজার্টভার্নিস বলে ।
উদাহরণ আফ্রিকার সাহারা ও এশিয়ার ইরানের মরুভূমিতে দেখা যায় । ( গ ) ইয়ারদাং ( Yardang ) : মরুভূমি অঞ্চলে কঠিন ও কোমল শিলাস্তর পাশাপাশি লম্বভাবে অবস্থান করলে দীর্ঘকাল থরে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় বায়ু কোমল শিলা দ্রুত ক্ষয় করে গহ্বর বা সুড়ঙ্গের মতো ভূমিরূপ গঠন করে । কঠিন শিলাস্তরগুলি পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন মূর্তি গঠন করে । এই বিশেষ ভূমিরূপকে বলে ইয়ারদাং ।
বৈশিষ্ট্য : ( ক ) ইয়ারদাং দেখতে অনেকটা পাঁজরের মতো । ( খ ) এর গড় উচ্চতা প্রায় ৭ মিটার । ( গ ) কোমল শিলায় গঠিত গর্তের দু – পাশ নালিকার মতো হয় ।
উদাহরণ : দক্ষিণ আমেরিকার চিলির আটাকামা মরুভূমি , মধ্যএশিয়ার তুর্কিস্তান মরুভূমিতে ইয়ারদাং দেখা যায় ।
( ঘ ) জিউগেন ( Zeugen ) : মরুভূমি অঞ্চলে উপরের স্তরে কঠিন শিলা ও নীচে কোমল শিলাগঠিত অংশে পর্যায়ক্রমে –অনুভূমিকভাবে থাকা পাঠন ও কোমল অনুভূমিকভাবে অবস্থান করলে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় বায়ুর ক্ষয়কাজে কঠিন শিলাগঠিত অংশে অতি অল্প ক্ষয় পেয়ে চ্যাপটা প্রায় সমতল চুড়াবিশিষ্ট টিলার মতো দাঁড়িয়ে থাকে এবং কোমল শিলাস্তর বেশি ক্ষয় পেয়ে ফাটল বরাবর লম্বা খাত বা গহ্বর সৃষ্টি হয় । এই বিশেষ ভূমিরূপের নাম জিউগেন ।
বৈশিষ্ট্য : জিউগেনের গড় উচ্চতা ৩ – ৩০ মিটার পর্যন্ত হয় । জিউগেন দেখতে সারিবদ্ধ চ্যাপটা মাথাযুক্ত ভূমিরূপ ।
উদাহরণ : উত্তর আমেরিকার সোনেরান মরুভূমিতে দেখা যায় ।
( ঙ ) ইনসেলবার্জ ( Inselberg ) : জার্মান শব্দ ইনসেলবার্জ – এর অর্থ দ্বীপময় পাহাড় । প্রায় সমতল মরুভূমির মাঝে বিক্ষিপ্তভাবে জেগে থাকা সমান উচ্চতাবিশিষ্ট কঠিন শিলা গঠিত অবশিষ্ট মসৃণ টিলাকে বলে ইনসেলবার্জ । • নামকরণ : ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে ভূবিজ্ঞানী পাসার্জ ( S. Passarge ) সমগ্ৰায়ভূমির অবশিষ্ট টিলাকে ইনসেলবার্জ নামকরণ করেন । ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে ভূবিজ্ঞানী বর্নহার্ডট ( W.A. Bornhardt ) পূর্ব আফ্রিকার অবশিষ্ট পাহাড়কে প্রথম নামকরণ করেন ।
বৈশিষ্ট্য : ( i ) দীর্ঘদিন থরে ক্ষয়ে যাওয়ার ফলে মসৃণ , গোলাকার হয় ; ( ii ) ইনসেলবার্জ গ্রানাইট , নিস্ জাতীয় আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলা দ্বারা গঠিত ; ( iii ) এদের উচ্চতা ৩০–৩০০ মিটার ; ভূমির ঢাল তীক্ষ্ণ , ( iv ) ক্ষয়ে গেলে বোর্নহার্ড , ক্যাসেলকপিজ ও টরস্ ( Tors ) গঠিত হয় ।
জেনে রাখো : দীর্ঘদিন থরে ক্ষয়কার্য চলার ফলে ইনসেলবার্জগুলি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যে ছোটো ছোটো টিলায় পরিণত হয় , তাকে বলে টরস্ ( Tors ) । আবার প্রচুর পরিমাণে শিলাখণ্ড কোনো স্থানে একসাথে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে , তাকে বলে কোপিস | ( Koppise ) । ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমির বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলে এইসব দেখতে পাওয়া যায় ।
Answer : কোনো বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বায়ুবাহিত বালি বাধা পেয়ে জমা হয় । বায়ুর সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল –
( ক ) বালিয়াড়ি ( Dune ) : কোনো বিস্তীর্ণ স্থানজুড়ে থাকা উঁচু ও দীর্ঘ বালির স্তূপকে বলে বালিয়াড়ি । মরুভূমি ও সমুদ্রোপকূলে বালিয়াড়ি দেখা যায় । TOMARTISORY বিজ্ঞানী ব্যাগনল্ডের মতে আকৃতি অনুসারে বালিয়াড়ি দু – রকম— ( ১ ) তির্যক বালিয়াড়ি ( ২ ) অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি ।
( ১ ) তির্যক বালিয়াড়ি ( Transverse dune ) : মরুভূমি অঞ্চলে যেখানে সারাবছর থরে একই দিকে বায়ু প্রবাহিত হতে থাকে সেখানে বায়ুর গতির সঙ্গে তির্যক বা আড়াআড়ি ভাবে যেসব বালিয়াড়ি গড়ে ওঠে তাকে বলে তির্যক বালিয়াড়ি । তির্যক বালিয়াড়িগুলির মধ্যে বার্খান পাঠ্যক্রমের অন্তর্গত ।
( ২ ) বাৰ্খান বালিয়াড়ি ( Barkhan ) : বাৰ্খান একটি তুর্কি শব্দ ; এর অর্থ হল কিরঘিজ , স্টেপ অঞ্চলের বালিয়াড়ি । যে সমস্ত বালিয়াড়ির গঠন অর্ধচন্দ্রাকার বা আধখানা চাঁদের মতো দেখতে হয় তাদের বাৰ্খান বলে ।
বৈশিষ্ট্য : ( ক ) বার্খানের দুটি প্রান্তে দুটি শিরার মতো শিং ( Horn ) দেখা যায় । ( খ ) এরা বায়ুর গতির দিকে ক্রমশ ঢালু এবং বিপরীত দিকে খাড়া হয়ে থাকে । ( গ ) বার্থানের উচ্চতা ১৫–৩৫ মিটার , প্রস্থ ৪০–৭০ মিটার , আয়তন ৫ বর্গকিমি থেকে ২০০ বর্গমিটার পর্যন্ত হয় ।
উদাহরণ : সাহারা মরুভূমিতে অনেক বৃহদায়তন বাৰ্খান দেখা যায় ।
( ২ ) অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি বা সিক্ বালিয়াড়ি ( Scif dune ) স্থায়ী বালিয়াড়ির মধ্যভাগ বায়ুতাড়িত হয়ে ভেঙে গিয়ে বায়ুর গতিপ্রবাহের সঙ্গে সমান্তরালে অনুদীর্ঘ বালিয়াড়ি গঠন করে । বায়ুর গতির সঙ্গে সমান্তরালভাবে গড়ে ওঠা বালিয়াড়িকে অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি বলা হয় । অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ির একটি বিশেষ রূপ হল সিফ দয়াড়ি ।
সিদ্ধ বালিয়াতি : সিফ্ট একটি আরবি শব্দ , যার অর্থ সোজা তলোয়ার । অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ির মধ্যে যেসব বালিয়াড়ি আকারে বেশ সরু কিন্তু খুব লম্বা তাদের বলে সিফ্ বালিয়াড়ি ।
বৈশিষ্ট্য : ( ক ) এই বালিয়াড়ির অনুবাত প্রান্তটি তলোয়ারের মতো সরু এবং প্রতিবাত প্রান্তটি চওড়া ও গোল হয় ।
( খ ) দুটো সিফ্ বালিয়াড়ির মধ্যবর্তী অঞ্চলকে করিডোর বলে ; এর মধ্য দিয়ে বায়ু প্রবলবেগে সোজা প্রবাহিত হয় ।
( গ ) সি বালিয়াড়ি দৈর্ঘ্যে খুব বড়ো হয় ; প্রস্থে ছোটো হয় ।
( ঘ ) সি বালিয়াড়ির উচ্চতা ১০০ মিটার হয় ।
( ঙ ) পরস্পর সমান্তরালে একাধিক সিফ্ বালিয়াড়ি গঠিত হয় । উদাহরণ : দক্ষিণ ইরানের মরুভূমিতে সিফ্ বালিয়াড়ি দেখা যায় ।
[ খ ] লোয়েস ( Loess ) বায়ুর পরিবহণ ও অবক্ষেপণের মাধ্যমে গঠিত সমভূমি হল লোয়েস । লোয়েস শব্দের অর্থ ‘ স্থানচ্যূত বস্তু ’ । মরুভূমির হলুদ ও ধূসের বর্ণের কোয়ার্টজ , ফেল্ডস্পার , ডলোমাইট ও অন্যান্য খনিজ সমৃন্য ০.০৫ মিমি ব্যাসযুক্ত সূক্ষ্ম বালিকণা , মাটিকণা বায়ুর সঙ্গে দূরে উড়ে গিয়ে দূরবর্তী নীচু ভূমি ভরাট করে লোয়েস গঠন করে । বৈশিষ্ট্য কখনো কখনো মরুভূমির বালি বায়ু দ্বারা অপসারিত হয়ে পার্শ্ববর্তী কোনো উর্বর কৃষি ভূমিকে ক্রমশ ঢেকে ফেলে জমির উর্বরতা নষ্ট করে দেয় । ধীরে ধীরে কৃষি ভূমিটিকে মরুভূমি গ্রাস করে ফেলে ।
উদাহরণ মধ্য এশিয়ার গোবি মরুভূমি থেকে শীতকালীন উত্তর – পূর্ব মৌসুমি বায়ু বাহিত হয়ে বিপুল পরিমাণে বালি ও মাটি কণা উত্তর চিনের হোয়াংহো নদী অববাহিকায় দীর্ঘদিন থরে সঞ্ছিত হয়ে সেখানে লোয়েস সমভূমি সৃষ্টি করেছে ।
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Bengali Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik English Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Geography Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik History Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Physical Science Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Life Science Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Mathematics Suggestion 2023 Click Here
PDF Name : মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF
Price : FREE
Download Link1 : Click Here To Download
Download Link2 : Click Here To Download
West Bengal Madhyamik Geography Suggestion PDF prepared by expert subject teachers. WB Madhyamik Geography Suggestion with 100% Common in the Examination.
West Bengal Madhyamik Geography Suggestion Download. WBBSE Madhyamik Geography short question suggestion. Madhyamik Geography Suggestion PDF download. Madhyamik Question Paper Geography.
মাধ্যমিক ভূগোল (Madhyamik Geography) বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর।
মাধ্যমিক ভূগোল পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বোর্ডের (WBBSE) সিলেবাস বা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী দশম শ্রেণির ভূগোল বিষয়টির সমস্ত প্রশ্নোত্তর। সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা, তার আগে winexam.in আপনার সুবিধার্থে নিয়ে এল মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশান – বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর । ভূগোলে ভালো রেজাল্ট করতে হলে অবশ্যই পড়ুন । আমাদের মাধ্যমিক ভূগোল ।
আমরা WBBSE মাধ্যমিক পরীক্ষার ভূগোল বিষয়ের – বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর – সাজেশন নিয়ে বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর নিয়ে বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়)চনা করেছি। আপনারা যারা এবছর দশম শ্রেণির ভূগোল পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাদের জন্য আমরা কিছু প্রশ্ন সাজেশন আকারে দিয়েছি. এই প্রশ্নগুলি পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণির ভূগোল পরীক্ষা তে আসার সম্ভাবনা খুব বেশি. তাই আমরা আশা করছি Madhyamik ভূগোল পরীক্ষার সাজেশন কমন এই প্রশ্ন গুলো সমাধান করলে আপনাদের মার্কস বেশি আসার চান্স থাকবে।
মাধ্যমিক ভূগোল, মাধ্যমিক ভূগোল, মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর, নবম শ্রেণি ভূগোল, দশম শ্রেণি ভূগোল, নবম শ্রেণি ভূগোল, দশম শ্রেণি ভূগোল, ক্লাস টেন ভূগোল, মাধ্যমিকের ভূগোল, ভূগোল মাধ্যমিক – বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়), দশম শ্রেণী – বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়), মাধ্যমিক ভূগোল বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়), ক্লাস টেন বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়), Madhyamik Geography – বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়), Class 10th বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়), Class X বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়), ইংলিশ, মাধ্যমিক ইংলিশ, পরীক্ষা প্রস্তুতি, রেল, গ্রুপ ডি, এস এস সি, পি, এস, সি, সি এস সি, ডব্লু বি সি এস, নেট, সেট, চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতি, Madhyamik Geography Suggestion , West Bengal Madhyamik Class 10 Geography Suggestion, West Bengal Secondary Board exam suggestion , WBBSE , মাধ্যমিক সাজেশান, মাধ্যমিক সাজেশান , মাধ্যমিক সাজেশান , মাধ্যমিক সাজেশন, মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশান , মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশান , মাধ্যমিক ভূগোল , মাধ্যমিক ভূগোল, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, Madhyamik Geography Suggestion Geography , মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF,মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF, Madhyamik Class 10 Geography Suggestion PDF.
এই ” মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF ” পোস্টটি থেকে যদি আপনার লাভ হয় তাহলে আমাদের পরিশ্রম সফল হবে। আরোও বিভিন্ন স্কুল বোর্ড পরীক্ষা, প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার সাজেশন, অতিসংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত ও রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (All Exam Guide Suggestion, MCQ Type, Short, Descriptive Question and answer), প্রতিদিন নতুন নতুন চাকরির খবর (Job News in Geography) জানতে এবং সমস্ত পরীক্ষার এডমিট কার্ড ডাউনলোড (All Exam Admit Card Download) করতে winexam.in ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।
একাদশ শ্রেণীর সমস্ত বিষয় সাজেশন ২০২৩ Class 11 All Subjects Suggestion 2023 PDF Download একাদশ…
একাদশ শ্রেণীর গণিত সাজেশন ২০২৩ Class 11 Mathematics Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর গণিত…
একাদশ শ্রেণীর জীববিদ্যা সাজেশন ২০২৩ Class 11 Biology Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর জীববিদ্যা…
একাদশ শ্রেণীর রসায়ন সাজেশন ২০২৩ Class 11 Chemistry Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর রসায়ন…
একাদশ শ্রেণীর পদার্থবিদ্যা সাজেশন ২০২৩ Class 11 Physics Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর পদার্থবিদ্যা…
একাদশ শ্রেণীর সমাজবিজ্ঞান সাজেশন ২০২৩ Class 11 Sociology Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর সমাজবিজ্ঞান…