বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan – Madhyamik Geography Suggestion PDF

0
বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল - দ্বিতীয় অধ্যায়) - মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF
বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল - দ্বিতীয় অধ্যায়) - মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF

বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন

Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan – Madhyamik Geography Suggestion PDF

মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) সাজেশন Bayumondal er Tap Ushnota & Biswa Ushnayan – Madhyamik Geography Suggestion PDF : বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন ও অধ্যায় ভিত্তিতে প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হল।  এবার পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষায় বা মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষায় ( WB Madhyamik Geography Suggestion PDF  | West Bengal Madhyamik Geography Suggestion PDF  | WBBSE Board Class 10th Geography Question and Answer with PDF file Download) এই প্রশ্নউত্তর ও সাজেশন খুব ইম্পর্টেন্ট । আপনারা যারা আগামী মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য বা মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) | Madhyamik Geography Suggestion PDF  | WBBSE Board Madhyamik Class 10th (X) Geography Suggestion  Question and Answer খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর ভালো করে পড়তে পারেন। 

মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন/নোট (West Bengal Class 10th Suggestion PDF / Madhyamik Geography Suggestion) | বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – MCQ, SAQ, Short, Descriptive Question and Answer

পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন (West Bengal Madhyamik Geography Suggestion PDF / Notes) বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর – MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (SAQ), সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (Short Question and Answer), ব্যাখ্যাধর্মী বা রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (descriptive question and answer) এবং PDF ফাইল ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে দেওয়া রয়েছে

বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়)    

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion : 

  1. মহাদেশীয় জলবায়ু অঞ্চলের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য কী ?

Answer : শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রার বিরাট ব্যবধান । 

  1. নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর বা দক্ষিণে প্রতি ১ ° অক্ষাংশের তফাতে উত্তাপ কত ডিগ্রি হারে কমতে থাকে ?

Answer : ০.২৮ ° C ।

  1. সূর্যরশ্মির পতনকোণের পার্থক্যে তাপের কী তফাৎ ঘটে ।

Answer : লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মি তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মিশ্ম চেয়ে বেশি উষ্ণ হয় ।

  1. এল নিনো শব্দের অর্থ কী ?

Answer : স্প্যানিশ শব্দ এল নিনোর অর্থ Christ Child বা বাংলায় শিশু খ্রিস্ট ।

  1. সর্বাধিক এল নিনো প্রভাবিত অঞ্চল কোনটি ?

Answer : ক্রান্তীয়মণ্ডলে প্রশান্ত মহাসাগরের উভয় দিক ।

  1. অধঃক্ষেপণের সাথে বায়ুর উষ্ণতার সম্পর্ক নির্ণয় করো ।

Answer : অধঃক্ষেপণ বেশি হলে উষ্ণতা কমে এবং অধঃক্ষেপণ কমলে উষ্ণতা বাড়ে ।

  1. সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থানের জলবায়ু কী প্রকৃতির হয় ।

Answer : চরমভাবাপন্ন ।

  1. পার্থিব বিকিরণের পরিমাণ কত ?

Answer : ৪৮ % ।

  1. সিক্সের গরিষ্ঠ ও লঘিষ্ঠ থার্মোমিটারের উদ্ভাবন কে করেন ?

Answer : James Six .

  1. পৃথিবীর অক্ষ মেরুরেখার সঙ্গে কত ডিগ্রি কোণে হেলে আছে ?

Answer : ২৩ / ২ ° ।

  1. চিরবসন্তের শহর কাকে বলা হয় ?

Answer : ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটো ।

  1. মানচিত্রে কোন্ রেখার সাহায্যে উষ্ণতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় ?

Answer : সমোয়রেখা । 

  1. কোনো নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে বায়ুমণ্ডলের অবস্থাকে কী বলে ?

Answer : আবহাওয়া ।

  1. কোনো অঞ্চলের ৩০-৩৫ বছরের আবহাওয়ার গড়কে কী বলে ?

Answer : জলবায়ু ।

  1. দিনের কোন সময়ে তাপমাত্রা সবথেকে বেশি হয় ?

Answer : দুপুর ২ টোর সময় ।

  1. ফারেনহাইট স্কেলের স্ফুটনাঙ্ক কত ?

Answer : ২১২ ° F

  1. কোন্ থার্মোমিটারের সাহায্যে দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন উষ্ণতা পরিমাপ করা হয় ?

Answer : সিক্সের গরিষ্ঠ ও লঘিষ্ঠ থার্মোমিটার ।

  1. উষ্ণতা মাসের মোট দিনের সংখ্যা কোন্ তাপমণ্ডলে শীতঋতু বেশি পরিলক্ষিত হয় না ?

Answer : উষ্ণমণ্ডলে ।

  1. কোন্ তাপমণ্ডলে উষ্ণতা সারাবছরই ০ ° C- এর কম থাকে ?

Answer : হিমমণ্ডলের ।

  1. গ্রিনহাউস গ্যাসের বৃদ্ধির কারণে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়াকে কী বলে ?

Answer : বিশ্ব উষ্ণায়ন ও গ্লোবাল ওয়ার্মিং ।

  1. যে – কোনো দুটি গ্রিনহাউস গ্যাসের নাম লেখো ।

Answer : কার্বন ডাইঅক্সাইড ও ক্লোরোফ্লুরোকার্বন ।

  1. কোন্ তাপমণ্ডলে সারাবছর দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য প্রায় সমান ।

Answer : উষ্ণমণ্ডল ।

  1. বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হওয়ার প্রধান পদ্ধতিগুলি কী কী ?

Answer : বিকিরণ , পরিচলন এবং পরিবহণ পদ্ধতি ।

  1. কোনো স্থানের দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন উদ্ধৃতার পার্থক্যারে কী বলে ?

Answer : দৈনিক উষ্ণতার প্রসর ।

MCQ | বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion :

  1. এল নিনোর সর্বাধিক প্রভাব পরিলক্ষিত হয় -(A) প্রশান্ত মহাসাগরে(B) ভারত মহাসাগরে(C) উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে(D) দক্ষিণ কুমেরু মহাসাগরে

Answer : (A) প্রশান্ত মহাসাগরে

  1. কোন্‌টি এল নিনো অবস্থায় দেখা যায় ? (A) প্রশান্ত মহাসাগরের(B) প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বে প্রবল বৃষ্টি(C) প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বে খরা(D) কোনোটিই নয়

Answer : (B) প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বে প্রবল বৃষ্টি

  1. অন্যতম গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের প্রধান উৎস হল -(A) কয়লা(B) রেফ্রিজারেটর(C) খনিজ তেল(D) ধানজমি

Answer : (D) ধানজমি

  1. ভারতের কোন্ শহরটিতে বার্ষিক উষ্ণতার প্রসার বেশি ? (A) দিল্লি (B) মুম্বাই(C) কোচিন(D) চেন্নাই

Answer : (A) দিল্লি

  1. কোন্ পদ্ধতিতে বায়ুমণ্ডল সর্বাধিক উত্তপ্ত হয় ।(A) পরিচলন(B) অ্যাডভেকশন(C) পরিবহণ (D) বিকিরণ

Answer : (D) বিকিরণ

  1. নিম্নলিখিত কোন্ মৃত্তিকায় তাপবিকিরণ সর্বাধিক ?(A) পলি(B) রেগুর(C) পডজল(D) বালি

Answer : (D) বালি

  1. সূর্যের বহিঃপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা প্রায় -(A) ৬০০ ° C (B) ৬oooºC(C) ৬০,০০০০ ° C(D) ৬০,০০০ ° C

Answer : (B) ৬oooºC

  1. নিষ্ক্রিয় সৌরতাপ বলতে কাকে বোঝায় ?(A) কার্যকারী সৌরবিকিরণ(B) নিটবিকিরণ(C) পার্থিব বিকিরণ(D) পৃথিবীর অ্যালবেডো

Answer : (D) পৃথিবীর অ্যালবেডো

  1. পার্থিব বিকিরণের পরিমাণ কত ?(A) ৩৪ %(B) ৪৮ %(C) ৬৬ %(D) ৭৮ %

Answer : (B) ৪৮ %

  1. নিম্নলিখিত কোন্ অক্ষাংশে গড় তাপমাত্রা বেশি হবে ?(A) ১০ ° উত্তর(B) ২০ ° দক্ষিণ(C) ৮০ ° উত্তর(D) ৬০ ° দক্ষিণ

Answer : (A) ১০ ° উত্তর

  1. পশ্চিমবঙ্গের কোন্‌খানটিতে বার্ষিক গড় উষ্ণতা কম হবে ? (A) কলকাতা (B) শিলিগুড়ি(C) কৃষ্ণনগর(D) দার্জিলিং

Answer : (D) দার্জিলিং

  1. কোন অক্ষরেখায় সারাবছর গড় লম্বসূর্যরশ্মি সর্বাধিক -(A) 0 °(B) 23 1/2° (C) ৯০ উত্তর(D) ৬৬1/2°

Answer : (A) 0 °

  1. পৃথিবীর চিরবসন্তের শহর কাকে বলা হয় -(A) লন্ডন(B) প্যারিস(C) কুইটো (D) সিডনি

Answer : (C) কুইটো

  1. কোন্ অঞ্চলে বার্ষিক গড় উষ্ণতার প্রসর সবচেয়ে কম – (A) উপকূল অঞ্চল(B) পার্বত্য অঞ্চল(C) মরুভূমি অঞ্চল(D) মালভূমি অঞ্চল

Answer : (A) উপকূল অঞ্চল

  1. ট্রপোস্ফিয়ারে উচ্চতা বৃদ্ধিতে উষ্ণতা হ্রাসের হার হল -(A) ২.৪ ° C / কিমি(B) ৪.৬ ° C / কিমি(C) / ৬.৪ ° C / কিমি(D) ৮.৬ ° C / কিমি

Answer : (C) / ৬.৪ ° C / কিমি

  1. নিম্নলিখিত কোন্ মাটির তাপবিকিরণ ক্ষমতা তুলনামূলক বেশি—(A) রেগুর মাটি(B) ল্যাটেরাইট মাটি(C) পলি মাটি(D) পডজল মাটি

Answer : 

  1. উপকূল সমভাবাপন্ন হওয়ার কারণ -(A) লম্ব সূর্যরশ্মি(B) তির্যক সূর্যরশ্মি(C) সারাবছর বৃষ্টি পড়ল(D) সমুদ্রবায়ু ও স্থলবায়ুর প্রভাব

Answer : (D) সমুদ্রবায়ু ও স্থলবায়ুর প্রভাব

  1. কোন্ বায়ু বসন্তকালে উত্তর আমেরিকার প্রেইরি অঞ্চলের উষ্ণতাকে হঠাৎ বাড়িয়ে দেয় -(A) চিনুক(B) রিজার্ড(C) ফন(D) সান্টাআনা

Answer : (A) চিনুক

  1. কোনটি গ্রিনহাউস গ্যাস – এর অন্তর্গত নয় -(A) অক্সিজেন(B) কার্বন ডাইঅক্সাইড(C) নাইট্রাস অক্সাইড(D) মিথেন

Answer : (A) অক্সিজেন

  1. সর্বনিম্ন উষ্ণতা রেকর্ড হয় কোন্ সময়ে ?(A) সকাল ১০ টায়(B) দুপুরবেলা(C) সন্ধ্যাবেলা(D) ভোরবেলা

Answer : (D) ভোরবেলা

  1. কোন্‌খানে দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন উষ্ণতা যোগ করে দুই দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যায় ?(A) দৈনিক গড় উষ্ণতা(B) দৈনিক উষ্ণতার প্রসর(C) সর্বনিম্ন উষ্ণতা(D) সর্বোচ্চ উষ্ণতা

Answer : (D) সর্বোচ্চ উষ্ণতা

  1. প্রশান্ত মহাসাগরের জলবায়ুগত কোন অবস্থায় ভারতে খরা দেখা দেয় -(A) লা – নাদা(B) লা – নিনা(C) এল নিনো(D) কোনোটিই নয়

Answer : (C) এল নিনো

  1. বিকিরণ পদ্ধতি সর্বাধিক কার্যকর হয় কোন সময়ে ? (A) সকাল ১০ টায়(B) দুপুর ২ টোয়(C) বিকাল ৪ টায়(D) রাত্রি ৮ টায়

Answer : (D) রাত্রি ৮ টায়

  1. কোনটি সমোষ্ণরেখার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় ?(A) সমোষ্ণরেখার মান নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে কমে (B) সমোষ্ণরেখার প্রায় অক্ষরেখার সমান্তরালে থাকে(C) সমোষ্ণরেখা সমুদ্রে একে অপরের প্রায় সমান্তরাল(D) স্থলভাগে সমোষ্ণরেখা একে অপরকে ছেদ করে ।

Answer : (D) স্থলভাগে সমোষ্ণরেখা একে অপরকে ছেদ করে ।

  1. সূর্যকিরণের যে – অংশ পৃথিবীকে উত্তপ্ত করতে পারে না তাকে বলে -(A) অ্যালবেডা (B) Solar Constant(C) ইনসোলেশন (D) Heat Budget 

Answer : (A) অ্যালবেডা

  1. পৃথিবীর অ্যালবেডোর পরিমাণ— (A) ৬৬ % (B) ৩৪ %(C) ১৯ %(D) ৪৭ %

Answer : (B) ৩৪ %

  1. কার্যকারী সৌর বিকিরণের মোট পরিমাণ -(A) ৪৭ % (B) ৩৪ % (C) ৬৬ % (D) ১৯ %

Answer : (C) ৬৬ %

  1. কার্যকারী সৌর বিকিরণের যে অংশ সরাসরি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে তার পরিমাণ -(A) ৪৭ %(B) ১৫ %(C) ৬৬ %(D) ৩৪ % 

Answer : (B) ১৫ %

  1. কার্যকারী সৌর বিকিরণের যে – অংশ ভূপৃষ্ঠ সরাসরি শোষণ করে তার পরিমাণ -(A) ১৯ % (B) ৬৬ %(C) ৪৮ % (D) ৩৪ % 

Answer : (C) ৪৮ %

  1. পৃথিবীর অ্যালবেডোর যে – অংশ মেঘ দ্বারা প্রতিফলিত হয় তার পরিমাণ -(A) ৭ % (B) ২ %(C) ২৫ %(D) ৩৪ %

Answer : (C) ২৫ %

  1. পৃথিবীর অ্যালবেডোর যে অংশ বায়ুস্থিত ধূলিকণা দ্বারা প্রতিফলিত হয় তার পরিমাণ -(A) ৭ % (B) ৩৪ % (C) ২৫ %(D) ৩ %

Answer : (D) ৩ %

  1. পাশাপাশি অবস্থিত অণুগুলির সংস্পর্শের মাধ্যমে উত্তাপের অপসারণ প্রক্রিয়াকে বলে -(A) পরিচলন (B) বিকিরণ (C) অ্যাডভেকশন (D) পরিবহণ

Answer : (D) পরিবহণ

  1. যে পদ্ধতিতে তাপ কোনো জড়মাধ্যম ছাড়াও ঠান্ডা স্থানে সঞ্চালিত হয় তাকে বলে -(A) পরিবহণ (B) বিকিরণ (C) অ্যাডভেকশন(D) পরিচলন

Answer : (C) অ্যাডভেকশন

  1. চন্দ্র যে পদ্ধতিতে সূর্যকিরণ বায়ুমণ্ডল ভেদ করে সরাসরি ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে তাকে বলে -(A) পরিচলন (B) পরিবহণ (C) বিকিরণ (D) অ্যাডভেকশন

Answer : (C) বিকিরণ

  1. নীচ থেকে উপরে ও উপর থেকে নীচে বায়ু চলাচলের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডল উষ্ণ হবার পদ্ধতিকে বলে -(A) পরিবহণ(B) পরিচলন (C) বিকিরণ (D) তাপশোষণ

Answer : (B) পরিচলন

  1. বায়ুর তাপমাত্রা মাপার যন্ত্রের নাম -(A) থার্মোমিটার (B) হাইগ্রোমিটার (C) ফারেনহাইট (D) অ্যানিমোমিটার 

Answer : (A) থার্মোমিটার

  1. ফারেনহাইট স্কেলের হিমাঙ্ক -(A) ১২ ° F (B) ২১২ ° F(C) ৩২ ° F (D) 0 ° F 

Answer : (C) ৩২ ° F

  1. সেন্টিগ্রেড স্কেলের স্ফুটনাঙ্ক – (A) ৩২ ° C(B) ২১২ ° C(C) ১০০ ° C(D) ১২ ° C

Answer : (C) ১০০ ° C

  1. সমান উষ্ণতাযুক্ত স্থানগুলিকে যে রেখার মাধ্যমে যুক্ত করা হয় তাকে বলে -(A) সমপ্রেষ রেখা (B) সমবর্ষণ রেখা ।(C) সমোন্নতি রেখা(D) সমষ্ণরেখা 

Answer : (D) সমষ্ণরেখা

  1. ( ২৩ ,১/২ ° – ৬৬ ১ / ২ ° উত্তর অক্ষরেখার মধ্যবর্তী স্থান যে তাপবলয়ের অন্তর্গত তাকে বলে -(A) উত্তর নাতিশীতোয়মণ্ডল (B) দক্ষিণ নাতিশীতোয়মণ্ডল(C) উত্তর হিমমণ্ডল(D) উষ্ণমণ্ডল 

Answer : (A) উত্তর নাতিশীতোয়মণ্ডল

  1. ৪৫ ° – ৬৬ ১ / ২ ° পর্যন্ত অঞ্চল— (A) শীতল নাতিশীতোয়মণ্ডল (B) উষ্ণ নাতিশীতোয়মণ্ডল(C) উষ্ণমণ্ডল(D) উত্তর হিমণ্ডলের অন্তর্গত 

Answer : (A) শীতল নাতিশীতোয়মণ্ডল

  1. কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ উষ্ণতায় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের মোট পরিমাণকে বলে – (A) আপেক্ষিক(B) বিশেষ আর্দ্রতা (C) সাপেক্ষ(D) নিরপেক্ষ

Answer : (D) নিরপেক্ষ

  1. প্রতি ৩০০ ফুট উচ্চতায় উষ্ণতা হ্রাস পায়— (A) ১ ° F হারে (B) ২ ° F হারে(C) ৩ ° F হারে(D) ৬.৪ ° F হারে

Answer : (C) ৩ ° F হারে

  1. নির্দিষ্ট উষ্ণতায় নির্দিষ্ট পরিমাণ জলরাশি তার সমপরিমাণ স্থলভাগ অপেক্ষা বেশি তাপ গ্রহণ করে ।(A) 1/4 গুণ (B) 1/3 গুণ(C) ½ গুন(D) 1 গুন 

Answer : (A) 1/4 গুণ

  1. দক্ষিণ গোলার্ধের উষ্ণতম মাস হল -(A) জুলাই (B) সেপ্টেম্বর(C) জানুয়ারি(D) নভেম্বর

Answer : (C) জানুয়ারি

  1. উত্তর গোলার্ধের শীতলতম মাস হল (A) মার্চ(B) জানুয়ারি (C) জুলাই(D) ডিসেম্বর

Answer : (C) জুলাই

  1. বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে বেশি পরিমাণে যে গ্রিনহাউস গ্যাসের উপস্থিতি লক্ষ করা যায় সেটি হল -(A) CO²(B) CFC(C) NH³(D) NO²

Answer : (A) CO²

  1. উত্তর গোলার্ধের উষ্ণতম মাস -(A) ডিসেম্বর(B) মার্চ(C) জুলাই(D) জানুয়ারি

Answer : (C) জুলাই

সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর | বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion : 

  1. উষ্ণতা হ্রাসের স্বাভাবিক হার কাকে বলে ?

Answer : সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রতি ১০০০ মিটার উচ্চতা বৃদ্ধিতে ৬.৪ ° সে . হারে উষ্ণতা কমে , একে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা হ্রাসের স্বাভাবিক হার বলে ।

  1. সমুদ্র অপেক্ষা স্থলভাগে উষ্ণতার তারতম্য বেশি কেন ?

Answer : প্রাকৃতিক নিয়মে স্থলভাগ ( মহাদেশ ) জলভাগ ( সমুদ্র ) অপেক্ষা দ্রুতহারে উষ্ণ হয় এবং দ্রুতহারে শীতল হয় । আবার , স্থলভাগ গঠনকারী উপাদানের বৈষম্য খুব বেশি থাকায় উষ্ণ ও শীতল হওয়ার হারে খুব বেশি পার্থক্য লক্ষ করা যায় । কিন্তু জলভাগ বা সমুদ্র তরল পদার্থ ( জল ) দিয়ে গঠিত হওয়ায় এই পার্থক্য লক্ষণীয় নয় ।

  1. পৃথিবীর তিনটি তাপমণ্ডলের নাম লেখো ।

Answer : পৃথিবীর তিনটি তাপমণ্ডলের নাম হল – ( i ) উষ্ণুমণ্ডল , ( ii ) নাতিশীতোয়মণ্ডল ও ( iii ) হিমমণ্ডল ।

  1. সমো রেখা ( Isotherm ) কী ?

Answer : ভূপৃষ্ঠের সম উষ্ণতা বিশিষ্ট বিভিন্ন স্থানগুলিকে মানচিত্রে যে রেখা দিয়ে যুক্ত করা হয় , তাকে সমোয় রেখা বলা হয় ।

  1. সমোয় রেখার গুরুত্ব কী ?

Answer : সমোয় রেখার মানচিত্রের সাহায্যে ( i ) ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থানের উষ্ণতার বণ্টন সম্বন্ধে ধারণা করা যায় । ( ii ) উষ্ণতা কোন্‌দিকে বাড়ছে বা কমছে এবং তার পরিবর্তনের হার সম্পর্কে জানা যায় ।

  1. তাপবিষুব রেখা কী ?

Answer : কোনো নির্দিষ্ট দিনে প্রতিটি দ্রাঘিমার সর্বোচ্চ উষ্ণতাকে রেখা দিয়ে যোগ করে প্রাপ্ত রেখা হল তাপবিষুব রেখা । এই রেখা নিরক্ষরেখার নিকটে অবস্থান করলেও সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়নের সাথে সাথে স্থান পরিবর্তন করে ।

  1. গ্রিনহাউস প্রভাব ( Green house effect ) কী ?

Answer : যে পদ্ধতিতে ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সূর্যালোক পৃথিবীপৃষ্ঠে প্রতিফলিত হওয়ার ফলে সৃষ্ট দীর্ঘ তরঙ্গ রশ্মি বায়ুমণ্ডলের কিছু গ্যাস দ্বারা শোষিত হয় এবং পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি করে তা হল । গ্রিনহাউস প্রভাব ।

  1. প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির নাম লেখো । 

Answer : প্রধান প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি হল- ( i ) কার্বন ডাইঅক্সাইড ( CO2 ) , ( ii ) মিথেন ( CH4 ) , ( iii ) ক্লোরোফ্লুরোকার্বন ( CFC ) , ( iv ) নাইট্রাস অক্সাইড ( N2O ) এবং ( v ) জলীয় বাষ্প ।

  1. বিশ্ব উষ্ণায়ন ( Global warming ) কাকে বলে ?

Answer : গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাবে পৃথিবীর উষ্ণতা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েই চলেছে । ফলে জলবায়ুরও পরিবর্তন হচ্ছে । এই বিশেষ উষ্ণকরণের প্রক্রিয়াকে বলে বিশ্ব উষ্ণায়ন ।

  1. বৈপরীত্য উত্তাপ কোথায় কোথায় দেখা যায় ?

Answer : বৈপরীত্য উত্তাপ দেখা যায় পার্বত্য উপত্যকায় , বরফাবৃত মেরু ভূপৃষ্ঠে , দীর্ঘ শীতকালীন রাতে , শান্ত ও শুষ্ক বায়ুস্তরে এবং মেঘমুক্ত আকাশে ।

  1. পৃথিবীর সর্বনিম্ন ও সর্বাধিক উষ্ণতাবিশিষ্ট স্থান দুটির নাম লেখো ।

Answer : পৃথিবীর উষ্ণতম স্থান হল লিবিয়ার আল আজিজিয়া ( ৫৮ ° সে . ) এবং শীতলতম স্থান হল অ্যান্টার্কটিকার ভস্টক ( −৮৮ ° সে . ) ।

  1. উত্তর গোলার্ধে শীতকালে স্থলভাগে সমোয় রেখাগুলি দক্ষিণে বেঁকে যায় কেন ?

Answer : শীতকালে উত্তর গোলার্ধে সমুদ্র অপেক্ষা স্থলভাগ অধিক শীতল থাকে বলে সমোয় রেখাগুলি শীতকালে সমুদ্র অপেক্ষা মহাদেশে কিছুটা দক্ষিণে বেঁকে অবস্থান করে ।

  1. উষ্ণতার প্রসর কাকে বলে ? 

Answer : কোনো নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন উষ্ণতার পার্থক্যকে উষ্ণতার প্রসর বলে । 

  1. কোনো স্থানে সর্বাধিক সূর্যালোক দুপুর ১২ টায় পেলেও বায়ুমণ্ডল দুপুর ২ টোয় সর্বাধিক উত্তপ্ত হয় কেন ?

Answer : যেসকল পদ্ধতির মাধ্যমে বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হয় , তার মধ্যে বিকিরণ হল সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ । কোনো স্থানে আগত সূর্যরশ্মি দুপুর ১২ টায় সর্বাধিক হারে পতিত হলেও বিকিরণের হার সর্বাধিক হয় দুপুর ২ টোয় । তাই বায়ুমণ্ডলও সর্বাধিক উত্তপ্ত হয় দুপুর ২ টোয় ।

  1. ইনসোলেশন ( Insolation ) কাকে বলে ?

Answer : সৌরশক্তির প্রায় ২০০ কোটি ভাগের মাত্র এক ভাগ ক্ষুদ্র তরঙ্গ হিসেবে প্রতি সেকেন্ডে ২,৯৭,০০০ কিমি বেগে পৃথিবীতে আসে , একে ইনসোলেশন বা সূর্যরশ্মির তাপীয় ফল বলে । 

  1. নিট বিকিরণ কাকে বলে ?

Answer : সূর্য থেকে আগত সকল তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বিকিরণ এবং পৃথিবী ও বায়ুমণ্ডল থেকে বহির্গামী সকল তরঙ্গের বিকিরণের যে পার্থক্য তা হল নিট বিকিরণ । দিনের বেলা নিট বিকিরণ উদ্বৃত্ত বলে গরম বেশি এবং রাত্রে নিট বিকিরণে ঘাটতি দেখা যায় বলে তাপ কম ।

  1. পার্থিব বিকিরণ ( Terrestrial Radiation ) কাকে বলে ?

Answer : পুনঃবিকিরিত শক্তি যা দীর্ঘতর তরঙ্গরূপে ভূপৃষ্ঠ থেকে রাত্রে ফিরে যায় ( ৪৮ % ) তাকে পার্থিব বিকিরণ বলে । পার্থিব বিকিরণের ( ৪৮ % ) মধ্যে ৬ % যায় সরাসরি মহাশূন্যে এবং বাকি ৪২ % যায় বায়ুমণ্ডলে ।

  1. অ্যালবেডো ( Albedo ) কী ?

Answer : আগত সৌররশ্মির প্রায় ৩৪ % মেঘপুঞ্জ , ধূলিকণা , দ্বারা প্রতিফলিত হয়ে মহাশূন্যে ফিরে যায় । এই রশ্মি পৃথিবী ও বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে না , একে অ্যালবেডো বলে । 

  1. কার্যকারী সৌর বিকিরণ ( Effective Solar Radiation ) কী ?

Answer : পৃথিবীতে আগত সৌররশ্মির যে অংশ ভূমিপৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে , তাকে বলে কার্যকারী সৌর বিকিরণ । এর শতকরা পরিমাণ ৬৬ % ।

  1. বিকিরণ ( Radiation ) কাকে বলে ?

Answer : সূর্য থেকে আগত শক্তি পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে এবং উত্তপ্ত পৃথিবী থেকে তাপ বৃহৎ তরঙ্গরূপে বেরিয়ে যায় । এই বৃহৎ তরঙ্গের তাপ বায়ুমণ্ডলের ধূলিকণা শোষণ করে পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে । এই পদ্ধতি হল বিকিরণ ।

  1. পরিচলন পদ্ধতি ( Convection ) কাকে বলে ?

Answer : উষ্ণতার প্রভাবে ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন বায়ু উত্তপ্ত হয়ে প্রসারিত ও হালকা হয়ে উপরে উঠে যায় এবং অপেক্ষাকৃত শীতল ও ভারী বায়ু নীচের দিকে নামতে থাকে । পরবর্তীকালে সেগুলিও উত্তপ্ত হয়ে উপরে উঠতে থাকে । এইভাবে বায়ুর উল্লম্ব সঞ্চালন এবং তার প্রভাবে বায়ুর উত্তপ্ত হওয়ার পদ্ধতি হল পরিচলন ।

  1. পরিবহণ পদ্ধতি ( Conduction ) কাকে বলে ?

Answer : যে পদ্ধতিতে দুটি বস্তু পরস্পর সংলগ্ন অবস্থায় থাকলে উষ্ণ বস্তু থেকে শীতল বস্তুতে তাপ সঞ্চালিত হয় , তাকে পরিবহণ পদ্ধতি বলে । 

  1. ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য উষ্ণতা ( Sensible temperature ) কাকে বলে ?

Answer : যে উষ্ণতা ও শীতলতা মানবশরীরের ত্বক অনুভব করতে পারে তাকে বলে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য উষ্ণতা ।

  1. সিক্সের গরিষ্ঠ ও লঘিষ্ঠ থার্মোমিটার কোন কাজে ব্যবহৃত হয় ?

Answer : সিক্সের গরিষ্ঠ ও লঘিষ্ট থার্মোমিটার এর সাহায্যে দিনের ( ২৪ ঘণ্টা ) সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন উষ্ণতা নথিভুক্ত করা হয় । James Six , 1782 খ্রিস্টাব্দে এই যন্ত্রটির উদ্ভাবন ঘটান ।

  1. বায়ুর উষ্ণতা কোন কোন এককে মাপা হয় ?

Answer : বায়ুর উষ্ণতা ( i ) সেলসিয়াস স্কেল ( ° C ) , ( ii ) ফারেনহাইট স্কেল ( ° F ) ও ( iii ) রোপার স্কেল ( ° R ) – এ পরিমাপ করা হয় ।

  1. বার্ষিক গড় উষ্ণতা ( Annual Mean Temperature ) কাকে বলে ?

Answer : কোনো নির্দিষ্ট স্থানের প্রতি মাসের গড় উষ্ণতা যোগ করে ১২ দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যায় বার্ষিক গড় উষ্ণতা ।

  1. লীনতাপ ( Latent Heat ) কী ?

Answer : কোনো বস্তু বা পদার্থের অবস্থার পরিবর্তনের সময় ওই বস্তু বা পদার্থ যে তাপ গ্রহণ বা বর্জন করে তাকে বলে লীনতাপ ( Latent Heat ) ।

  1. বৈপরীত্য উষ্ণতা ( Inversion of temperature ) বলতে কী বোঝ ?

Answer : সাধারণ নিয়ম অনুসারে ভূপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর উষ্ণতা ৬.৪ ° সে . হারে হ্রাস পায় । কিন্তু কখনো – কখনো উচ্চতার বৃদ্ধি সঙ্গে সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা হ্রাস না – পেয়ে বরং বেড়ে যায় । একেই বায়ুমণ্ডলের বৈপরীত্য উত্তাপ বলে ।

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নোত্তর | বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion : 

  1. শীতকালে মেঘাচ্ছন্ন অপেক্ষা মেঘমুক্ত রাত্রি অধিক শীতল হয় কেন ?

Answer : মেঘের আবরণ দিনের বেলা সূর্যরশ্মিকে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছোতে বাধা দেয় এবং রাত্রিবেলা ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপকে পৃথিবীর আবহমণ্ডলের বাইরে পৌঁছোতে দেয় না । এজন্য মেঘাচ্ছন্ন রাত্রিতে ভূপৃষ্ঠ যে তাপ বিকিরণ করে তা মেঘের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং খুব বেশি উপরে না উঠতে পেরে গ্রিনহাউস এফেক্ট প্রক্রিয়ায় তা বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরকে উত্তপ্ত করে । এর ফলে মেঘাচ্ছন্ন রাত্রি উষু হয় । অন্যদিকে , মেঘমুক্ত রাত্রিতে ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকীর্ণ তাপ পৃথিবীর আবহমণ্ডলের বাইরে চলে যেতে পারে , তাই মেঘমুক্ত রাত্রি মেঘাচ্ছন্ন রাতের তুলনায় শীতল হয় ।

  1. শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং – এর তাপমাত্রা কম কেন ?

Answer : স্বাভাবিক অবস্থায় উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা হ্রাস পায় । বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা হ্রাসের হার হল প্রতি ১ কিলোমিটারে ৬.৪ ° সেলসিয়াস । শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিঙের দূরত্ব বেশি নয় , কিন্তু যেহেতু দার্জিলিং – এর উচ্চতা শিলিগুড়ির তুলনায় অনেক বেশি সেই হেতু দার্জিলিং – এর তাপমাত্রা সবসময়েই শিলিগুড়ির তাপমাত্রার তুলনায় অনেক কম হয় ।

  1. লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মির তুলনায় তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মিতে উত্তাপের পরিমাণ কম হয় কেন ?

Answer : ( ক ) তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মির তুলনায় অনেক বেশি পথ অতিক্রম করে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছোয় এবং বেশি স্থানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে , ফলে তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মিতে উত্তাপের পরিমাণ কম হয় ।

 ( খ ) লম্বভাবে পতিত রশ্মি অক্ষোকৃত কম পথ অতিক্রম করে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছোয় এবং অপেক্ষাকৃত কম স্থানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে । ফলে লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মিতে উত্তাপের পরিমাণ বেশি হয় ।

  1. দিনের বিভিন্ন সময়ে ভূপৃষ্ঠে তাপের তারতম্য হয় কেন ?

Answer : সকালে এবং বিকালে কোনো স্থান থেকে সূর্য অনেক দূরে থাকে বলে— ( ১ ) সূর্যরশ্মি সকাল ও বিকালবেলা ভূপৃষ্ঠের সেই স্থানে তুলনামূলকভাবে বেশি তির্যকভাবে পড়ে । ( ২ ) সূর্যরশ্মি বেশি বায়ুস্তর ভেদ করে আসে এবং ( ৩ ) বেশি স্থানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে । এজন্য সকাল এবং বিকালে আমরা সূর্য থেকে কম তাপ পাই । অন্যদিকে , ( ১ ) দুপুরে সূর্যরশ্মি পৃথিবীপৃষ্ঠের কোনো স্থানে লম্বভাবে পড়ে , ( ২ ) অল্প বায়ুস্তর ভেদ করে আসে এবং ( ৩ ) অল্প স্থানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বলে দুপুরবেলা আমরা তুলনামূলকভাবে বেশি উত্তাপ পাই । দুপুরে তুলনামূলকভাবে বেশি তাপ পাওয়ার আরও একটি প্রধান কারণ হল যে , বেলা ২ টো পর্যন্ত ভূপৃষ্ঠের তাপ ক্রমশ বাড়তে থাকে , কিন্তু এই সময়ের পর থেকে ভূপৃষ্ঠ যে পরিমাণ তাপ গ্রহণ করে সেই পরিমাণ তাপই বিকিরণ করে বলে সঞ্চিত তাপ আর বাড়ে না । এজন্য কোনো স্থানে বেলা ২ টোয় দিনের মধ্যে সর্বাধিক তাপ অনুভূত হয় ।

  1. দিনের বেলায় সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে বাতাস বয় । – কেন ?

Answer : সাধারণত দিনের বেলায় সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত বায়ুকে সমুদ্রবায়ু বলে । সমুদ্রবায়ুর প্রবাহের কারণ : ( ১ ) সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে দিনের বেলায় স্থলভাগ জলভাগের তুলনায় বেশি গরম হয়ে পড়ে । গরম স্থলভাগের সংস্পর্শে এসে স্থলভাগসংলগ্ন বায়ু ও গরম এবং হালকা হয়ে উপরে উঠে যেতে থাকে , ফলে সেখানে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় । স্থলভাগের তুলনায় সমুদ্রের জলভাগ অপেক্ষাকৃত কম উত্তপ্ত হওয়ায় সেখানে উচ্চচাপের সৃষ্টি হয় । স্থলভাগ ও জলভাগের বায়ুচাপের তারতম্যের ফলে সমুদ্রসংলগ্ন ঠান্ডা ও উচ্চচাপের বায়ু তখন উপকূলের উত্তপ্ত স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়ে আসতে থাকে । সমুদ্র থেকে প্রবাহিত হওয়ায় এই বায়ুকে সমুদ্রবায়ু বলে । 

( ২ ) সমুদ্রবায়ু সাধারণত দিনের বেলায় প্রবাহিত হলেও দুপুরবেলায় সর্বাধিক বেগে প্রবাহিত হয় ।

  1. সমোয়রেখাগুলি সমুদ্রে পরস্পর সমান্তরাল কিন্তু মহাদেশে এঁকেবেঁকে অবস্থান করে । কারণ ব্যাখ্যা করো ।

Answer : সমুদ্রভাগ সমাকৃতি ( Honogeneous ) অঞ্চল হওয়ায় উষ্ণতার বণ্টনে তেমন বৈচিত্র্য ঘটে না । সাধারণ নিয়মে অক্ষাংশ পরিবর্তনে উষ্ণতার পরিবর্তন ঘটে । কিন্তু স্থলভাগে উচ্চতা , ভূমির ঢাল , বায়ুপ্রবাহ মৃত্তিকার পার্থক্য , বনভূমির বন্টন প্রভৃতির তারতম্যজনিত কারণে উষ্ণতার আঞ্চলিক বৈষম্য অত্যন্ত প্রকট । তাই সমুদ্রে সমোয় রেখাগুলি একে অপরের সমান্তরালে বা অক্ষরেখার সমান্তরালে অবস্থান করলেও স্থলভাগে বা মহাদেশে সমোয় রেখাগুলি একে অপরের সমান্তরালে অবস্থান করে না ।

  1. ‘ পার্বত্য অঞ্চলে অধিবাসীরা উপত্যকা ছেড়ে পাহাড়ের ঢালে বসবাস করে ।’— কেন ?

Answer : উষ্ণতার স্বাভাবিক হ্রাস হার অনুসারে প্রতি ১০০০ মিটার উচ্চতা বৃদ্ধিতে ১ ° সেলসিয়াস হারে উষ্ণতা কমে । পার্বত্য অঞ্চলে মাঝে মাঝে এর ব্যতিক্রমও ঘটে অর্থাৎ উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে উষ্ণতা বেড়ে যায় । একে বলে বৈপরীত্য উত্তাপ । রাতের বেলায় তাপ বিকিরণ করে উঁচু পর্বতের ঢাল খুব ঠান্ডা হয়ে পড়ে ; বাতাস শীতল ও ভারী হয় । মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে তা উচ্চ পর্বতগাত্রের ঢাল বৈপরীত্য উত্তাপ বেয়ে নেমে আসে । উপত্যকার নীচের অংশের উষ্ণতা কমিয়ে দেয় । পর্বতগাত্র কিন্তু তখনও উষ্ণ থাকে ।

  1. এল নিনো ও লা নিনা বলতে কী বোঝ ?

Answer : সাধারণ অবস্থায় প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বে পেরু , ইকুয়েডর উপকূল বরাবর হামবোল্ড স্রোত আসে । কোনো কোনো বছর এই অঞ্চলে উত্তর দিক থেকে গরমজলের স্রোত ( এল নিনো স্রোত ) এসে অঞ্চলটিকে ঢেকে ফেলে উষ্ণতা বাড়িয়ে দেয় । ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বে হয় নিম্নচাপ এবং পশ্চিমে উচ্চচাপ । এই অবস্থায় পেরু , ইকুয়েডরে প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা দেখা দেয় এবং পশ্চিমে অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় হয় খরা । এই অবস্থা হল এল নিনো ( অর্থ ‘ শিশু খ্রিস্ট ‘ ) । 

কোনো কোনো বছর পেরু , ইকুয়েডর উপকূলের উষ্ণতা সাধারণ অবস্থার থেকে অনেকটা কমে যায় । এই সময়ে নিরক্ষরেখা বরাবর প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বে হয় উচ্চচাপ এবং পশ্চিমে নিম্নচাপ । এই অবস্থায় পেরু , ইকুয়েডর অঞ্চলে হয় খরা এবং পশ্চিমে অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় হয় বন্যা । এই অবস্থা হল লা নিনা ( অর্থ “ ছোট্ট বালিকা ‘ ) । যে বছর সাধারণ অবস্থা বিরাজ করে তা হল লা না ( অর্থ ‘ কিছুই নয় ‘ ) । এল নিনো বছরে আমাদের দেশে খরা এবং লা নিনা বছরে বন্যা দেখা দেয় ।

  1. এল নিনো ও লা নিনার প্রভাব ব্যাখ্যা করো ।

Answer : এল নিনো ও লা নিনার প্রভাব : এলনিনোর প্রভাবে ( ১ ) দক্ষিণ পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পেরু , চিলি ও ইকুয়েডর – এ বজ্রপাতসহ ঝড়শবৃষ্টি ও বন্যা হয় । ( ২ ) উত্তর আমেরিকার উত্তর – পশ্চিম অংশ ও কানাডায় শীতের প্রকোপ কমে । ( ৩ ) দক্ষিণ – পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উচ্চচাপের সৃষ্টি হয় যার প্রভাবে পূর্ব অস্ট্রেলিয়া , নিউগিনি , ফিলিপাইনস , ইন্দোনেশিয়া , বাংলাদেশ ও ভারতে গ্রীষ্মকালে প্রবল তাপপ্রবাহ , অনাবৃষ্টি , খরা ইত্যাদির প্রাদুর্ভাব দেখা যায় । ( ৪ ) যে বছর এল নিনো প্রবাহিত হয় সেই বছর দক্ষিণ – পূর্ব এশিয়াতে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি বায়ুর ( দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ) স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয় এবং কম বৃষ্টিপাতের ফলে খরা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় । অন্যদিকে লা নিনা অবস্থায় জেট প্রবাহ শক্তিশালী হয়ে , এই অঞ্চলে ( দক্ষিণ এশিয়া ) অত্যধিক মৌসুমি বৃষ্টিপাত ও বন্যার সৃষ্টি করে । অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে যে প্রশান্ত মহাসাগরে তৈরি হওয়া সহায়িকা , এল নিনো ( সমুদ্রের উপরিতলের তাপমাত্রা বৃদ্ধির অবস্থা ) এবং না নিনা ( সমুদ্রের উপরিতলের তাপমাত্রা হ্রাসের অবস্থা ) স্থিতাবস্থা নেই । 

  1. উষ্ণতার তারতম্যে বায়ুচাপের তারতম্য ঘটে কেন ?

Answer : উষ্ণতার বৃদ্ধিতে বায়ু প্রসারিত হয় এবং আয়তনে বেড়ে যায় । আয়তনে বেড়ে গেলে বায়ুর চাপ কমে যায় — অর্থাৎ বায়ু উষ্ণ হলে বায়ুর চাপ কমে । নিরক্ষীয় অঞ্চলের বায়ু উষ্ণ হওয়ায় এই অঞ্চলে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় । একইভাবে বায়ুর উষ্ণতা কমে গেলে বায়ু সংকুচিত হয় এবং বায়ুচাপ বেড়ে যায় । এইজন্য প্রচণ্ড ঠান্ডার জন্য দুই মেরু অঞ্চলে বায়ুচাপও বেশি হয় । সুতরাং বায়ুর উষ্ণতার সঙ্গে বায়ুচাপের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে । বায়ুর উষ্ণতার সঙ্গে বায়ুর চাপ ‘ ব্যস্তানুপাতে ’ পরিবর্তিত হয় — অর্থাৎ উষ্ণতা কমলে বায়ুচাপ বাড়ে এবং উষ্ণতা বাড়লে বায়ুচাপ কমে । অর্থাৎ অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে উষ্ণতা x বায়ুচাপ ।

  1. সমোয় রেখার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো ।

Answer : ভূপৃষ্ঠের যেসব স্থানে বার্ষিক উষ্ণতা একইরকম থাকে , সেইসব স্থানকে কাল্পনিক রেখার সাহায্যে যুক্ত করে মানচিত্রে দেখানো হয় । একে বলে সমোয় রেখা বা Isotherm ; ISO = same . thermos = Temperature ; সমোয় রেখার বিশেষ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায় । যেমন – ( ক ) সমোয় রেখাগুলি মূলত পূর্ব – পশ্চিমে । বিস্তৃত থাকে ও অক্ষরেখা বরাবর পরস্পর সমান্তরালভাবে অবস্থান । করে । ( খ ) স্থলভাগ ও জলভাগের পাশাপাশি অবস্থান থাকলে সমোয় রেখাগুলি বাঁক নেয় । ( গ ) গ্রীষ্মকালে রেখাগুলি স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে নিরক্ষরেখার দিকে বাঁক নেয় । ( ঘ ) শীতকালে এর বিপরীত পরিস্থিতি দেখা যায় ।

  1. তাপ বাজেট ( Heat Budget ) কাকে বলে ? 

Answer : যে পরিমাণ আগত সৌরবিকিরণ ক্ষুদ্রতরঙ্গ রূপে পৃথিবী পৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডলে পৌঁছায় , তা দীর্ঘতরঙ্গ রূপে পুনঃবিকিরিত হয়ে আবার মহাশূন্যে ( space ) ফিরে যায় । এর ফলে পৃথিবীতে উষ্ণতার ভারসাম্য দেখা যায় । একেই পৃথিবীর উষ্ণতার সমতা বা তাপ বাজেট বলে । সূর্য থেকে আগত মোট শক্তিকে ( ২০০ কোটি ভাগের ১ ভাগ ) যদি আমরা ১০০ % ধরি তাহলে দেখা যায় ৬৬ % ( ১৫ % বায়ুমণ্ডল , ৩ % মেঘ এবং ৪৮ % ভূপৃষ্ঠ দ্বারা শোষিত হয় ) বিভিন্ন পদ্ধতিতে বায়ুমন্ডলে উতপ্ত করে । এটি কার্যকর সৌরবিকিরণ । এর দ্বারা পৃথিবী ও বায়ুমণ্ডল উতপ্ত হয় । আগত ১০০ % সৌরশক্তির বাকি ৩৪ % বিভিন্ন মাধ্যম দ্বারা ( মেঘ দ্বারা ২৫ % , মহাকাশে বিচ্ছুরিত হয়ে ৬ % , ভূপৃষ্ঠ দ্বারা প্রতিফলিত হয়ে ৩ % ) , প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরিত হয়ে পুনরায় মহাশূন্যে ফিরে যায় । ইহা বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করতে পারে না বলে , এটি হল নিষ্ক্রিয় সৌরতাপ । একে বলে পৃথিবীর অ্যালবেডো ( Albedo ) । এইভাবেই তাপ বাজেটের হিসাবনিকাশ করা হয়ে থাকে ।

  1. কার্যকর সৌর বিকিরণ ও অ্যালবেডো বলতে কী বোঝ ? 

Answer : কার্যকর সৌর বিকিরণ : সূর্য থেকে আগত মোট শক্তিকে ( ২০০ কোটি ভাগের ১ ভাগ ) যদি আমরা ১০০ শতাংশ ধরি তবে দেখা যাবে এর ৬৬ শতাংশ [ ১৫ % বায়ুমণ্ডল , ৩ % মেঘ , ৪৮ % ভূপৃষ্ঠের দ্বারা শোভিত হয় । বিভিন্ন পদ্ধতিতে বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে । একেই কার্যকর সৌর বিকিরণ বলে । 

অ্যালবেডো : আগত সৌরশক্তির বাকি ৩৪ ভাগ বিভিন্ন মাধ্যম দ্বারা ( মেঘের দ্বারা ২৫ % , মহাকাশে বিচ্ছুরিত হয়ে ৬ % , ভূপৃষ্ঠ দ্বারা প্রতিফলিত হয়ে ৩ % ) প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরিত হয়ে পুনরায় মহাশূন্যে ফিরে যায় । ইহা বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করতে পারে না । একেই পৃথিবীর অ্যালবেডো ( Albedo ) বলে ।

  1. কার্যকর সেরোবি অক্ষাংশ অনুসারে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার কী ধরনের পরিবর্তন ঘটে ?

Answer : পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলকের মতো ; ফলে সূর্যরশ্মি পৃথিবীর মাঝবরাবর ( নিরক্ষীয় অঞ্চলে ) লম্বভাবে পতিত হয় । অক্ষাংশ যত বাড়ে সূর্যরশ্মির পতনকোণের তির্যকতা বাড়ে । লম্বভাবে পতিত রশ্মির সূর্যতাপের পরিমাণ বেশি , তার বায়ুমণ্ডলে উষ্ণতার পরিমাণ বাড়ে । অপরপক্ষে ক্রান্তীয় অঞ্চলে বছরে দু – দিন সূর্যরশ্মি পুরোপুরি লম্বভাবে পড়ে ফলে উষ্ণতা তুলনামূলক কম হয় । ক্রান্তীয় অঞ্চল সূর্যের লম্বরশ্মি পতনের শেষ সীমা ; এরপর কোথাও লম্বভাবে পড়ে না তির্যকভাবে পতিত হয় সুতরাং গরমের পরিমাণ কমতে থাকে ।

  1. দৈনিক উষ্ণতার প্রসর ( Durinal Range of Temperature ) কাকে বলে ? 

Answer : কোনো স্থানের দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন উষ্ণতার পার্থক্য হল – দৈনিক উষ্ণতার প্রসর । উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে , জুন মাসের কোনো ১ দিনের তাপমাত্রা ধরা হল , সর্বোচ্চ ৩৭ ° সে . এবং সর্বনিম্ন হল ২৯ ° সে .। এইক্ষেত্রে , তাপমাত্রার দৈনিক প্রসর হল ৩৭ ° সে -২৯ ° সে = ৮ ° সে .। 

  1. উচ্চস্থান শীতল হয় কেন ? 

অথবা , উচ্চতা বাড়লে উষ্ণতা কমে যায় কেন ? 

অথবা , টুপোস্ফিয়ারে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে উষ্ণতা হ্রাস পায় কেন ?

Answer : উচ্চস্থান শীতল হয় কারণ- ( i ) উচ্চতা যত বাড়ে বিকিরণ পদ্ধতির প্রভাব তত কমে । ( ii ) উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধুলিকণার জলীয় বাষ্প ও অন্যান্য উপাদান কমতে থাকে বলে তাপশোষণ ও সংরক্ষণ কম । ( iii ) ঊর্ধ্বাকাশে বায়ুর চাপ কম বলে বায়ু হালকা ও পাতলা হয় , যা দ্রুত তাপ বিকিরণ করে শীতল হয় ।

  1. কী কী কারণে বায়ুমণ্ডলে উষ্ণতার বৈপরীত্য ঘটে ?

Answer : বায়ুমণ্ডলে উষ্ণতার বৈপরীত্যর কারণ হল ( i ) নাতিশীতোয় অঞ্চলের পার্বত্য উপত্যকায় উচ্চ অংশের শীতল ও ভারী বায়ু ঢাল বেয়ে নেমে আসে ( ক্যাটাবেটিক বায়ু ) এবং উপত্যকার নিম্নাংশের অপেক্ষাকৃত উষ্ণ বায়ু উপরে ওঠে । এই অবস্থায় উপত্যকার নিম্নাংশে উষ্ণতা কমে যায় এবং উপরের দিকে উষ্ণতা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে । ( ii ) অধিক উচ্চতায় ঘন ও শুষ্ক বায়ুর অবনমন ঘটলে উষ্ণতা বেড়ে গিয়ে উষ্ণতার বৈপরীত্য ঘটায় । ( iii ) শীতকালে মহাদেশের কোনো কোনো স্থান অতিদ্রুত হারে তাপ বিকিরণে শীতল হয় । ফলে ওই অঞ্চলের ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন অঞ্চলও শীতল হয় । কিন্তু উপরের বায়ু অত দ্রুত শীতল হয় না বলে উপরে উষ্ণতা কিছুটা বেশি থাকে । এই প্রক্রিয়া রাতের বেলা হয় কিন্তু সাময়িক । ( iv ) পরস্পর বিপরীত দিক থেকে আগত উষ্ণ ও শীতল বায়ুর সম্মিলনে শীতল বায়ুর ঢাল বরাবর উষ্ণবায়ু উঠে পড়লে সীমান্ত বরাবর বৈপরীত্য উষ্ণতা ঘটে ।

  1. বৈপরীত্য উষ্ণতার প্রভাবে কী কী বায়ুমণ্ডলীয় আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটে ?

Answer : বৈপরীত্য উষ্ণতার প্রভাবে সাধারণত ( i ) পার্বত্য উপত্যকায় শান্ত আবহাওয়া দেখতে পাওয়া যায় , ( ii ) ভোরবেলায় বৈপরীত্য উত্তাপের জন্য উপত্যকাগুলি মেঘে ঢেকে যায় । বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর উষ্ণতা বাড়লে উপত্যকাগুলি মেঘমুক্ত হয় । ( iii ) শীতল বায়ুর উপর উষ্ণ বায়ু উঠলে কুয়াশা সৃষ্টি হয় এবং সীমান্ত অঞ্চলে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয় । এর ফলে মধ্য অক্ষাংশে তুহিন । সৃষ্টি হয় । ( iv ) নাতিশীতোয় অঞ্চলে উপত্যকার মধ্যভাগে চাষবাস হয় , জনবসতি গড়ে ওঠে ।

  1. শিলিগুড়ি অপেক্ষা দার্জিলিং বা দিল্লি অপেক্ষা সিমলা শীতল হয় কেন ?

Answer : আমরা জানি উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে উষ্ণতা ৬.৪ ° সে . / কিমি হারে হ্রাস পায় । শিলিগুড়ি প্রায় সমুদ্রপৃষ্ঠে অবস্থিত হলেও দার্জিলিং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচুতে অবস্থিত । আবার দিল্লি সমুদ্রপৃষ্ঠের নিকটে অবস্থিত হলেও সিমলা অনেক উঁচুতে অবস্থিত । অধিক উচ্চতায় অবস্থানের কারণে শিলিগুড়ি অপেক্ষা দার্জিলিং এবং দিল্লি অপেক্ষা সিমলায় সারাবছর উষ্ণতা কম থাকে ।

  1. পুরী বা মুম্বাই অপেক্ষা দিল্লির জলবায়ু চরম হয় কেন ?

Answer : মুম্বাই , পুরী প্রভৃতি স্থান সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত । উপকূল বরাবর ২৪ ঘণ্টায় বায়ুপ্রবাহের কারণে ( দিনের বেলায় সমুদ্র থেকে স্থলবাগের দিকে সমুদ্রবায়ু এবং রাতের বেলায় স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে স্থলবায়ু ) উষ্ণতা সারাবছর সমভাবাপন্ন থাকে , অর্থাৎ বার্ষিক উষ্ণতার প্রসার খুব বেশি হয় না । পক্ষান্তরে দিল্লি সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থানে অবস্থানের কারণে সমুদ্রবায়ুর প্রভাব এখানে থাকে না বললেই চলে । তাই উষ্ণতায় এখানে চরমভাব লক্ষ করা যায় । অর্থাৎ উষ্ণতার প্রসার এখানে খুব বেশি হয় । তাই পুরী ও মুম্বাই অপেক্ষা দিল্লির জলবায়ু চরম প্রকৃতির ।

  1. উচ্চতা বাড়লে বায়ুর উষ্ণতা হ্রাস পায় ।’— কেন ব্যাখ্যা করো ।

Answer : বায়ুমণ্ডলীয় নিম্নস্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে উষ্ণতা ক্রমবর্ধমান হারে কমতে থাকে ; হিসাব অনুসারে প্রতি ১০০০ মিটারে ৬.৪ ° সেলসিয়াস হারে কমে । কারণ— 

( ক ) সূর্যরশ্মি প্রথমে ভূপৃষ্ঠে এসে পৌঁছোয় , ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত করে , ভূপৃষ্ঠ থেকে তাপগ্রহণ করে বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হয় । 

( খ ) ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন বায়ুস্তর ঘন , যত ওপরে যাওয়া যায় বায়ুস্তর হালকা হয় ; ঘন বায়ুর উত্তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি । 

( গ ) ভূপৃষ্ঠের নিকটবর্তী স্থানের বায়ুর চাপ বেশি ; ওপরের পাতলা হালকা বায়ুস্তর তাপের বিক্রিরণ করে শীতল হয় । 

( ঘ ) উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে গ্যাসীয় উপাদান , ধূলিকণা , জলকণার পরিমাণ কমতে থাকে , ফলে ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপ এবং সূর্য থেকে আসা তাপ শোষণ কম হয় ।  

  1. মহাদেশের অভ্যন্তরে জলবায়ু চরম কেন ?

Answer : সমুদ্র থেকে দূরে অবস্থিত মহাদেশের ভিতরে সমুদ্র বায়ু ও স্থল বায়ুর প্রভাব ততটা পড়ে না বলে চরমভাবাপন্ন । সহায়িকা , জলবায়ু দেখা যায় , অর্থাৎ এখানে ঠান্ডা ও গরম উভয়ই খুব বেশি হয় । এই ধরনের জলবায়ুকে মহাদেশীয় জলবায়ু বলে । শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রার বিরাট ব্যবধান হল মহাদেশীয় জলবায়ুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য । 

উদাহরণ : মধ্য এশিয়া , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যভাগ মহাদেশীয় জলবায়ুর অন্তর্গত ।

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion : 

1. চিত্রসহ বিভিন্ন তাপমণ্ডলের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দাও ।

Answer : অক্ষরেখার নিরিখে যেসকল অঞ্চলে উষ্ণতা মোটামুটি সমান সেগুলিকেই বলে তাপমণ্ডল । তাপমণ্ডল তিনটি— 

( i ) উষ্ণুমণ্ডল : অবস্থান : নিরক্ষরেখাকে মাঝখানে রেখে উত্তরে কর্কটক্রান্তি এবং দক্ষিণে মকরক্রান্তির মধ্যবর্তী অঞ্চল । 

বৈশিষ্ট্য : ( i ) গড় উষ্ণতা বেশি , গড়ে ২৭ ° সে . ( ii ) এখানে শীত ঋতু অতটা পরিলক্ষিত হয় না । হলেও খুব শীতল নয় । ( iii ) বাৎসরিক উষ্ণতার প্রসার কম । উৎপত্তির কারণ : ( i ) গড় সূর্যরশ্মির পতনকোণ সারাবছর বেশি ( ৯০ ° -এর কাছাকাছি ) । ( ii ) সারাবছর দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য প্রায় সমান । ( ii ) নাতিশীতোর মণ্ডল অবস্থান : উ . গোলার্ধে কর্কটক্রান্তি রেখা থেকে সুমেরুবৃত্ত এবং দ . গোলার্ধে মকরক্রান্তি থেকে কুমেরুবৃত্ত পর্যন্ত অঞ্চল । 

বৈশিষ্ট্য : ( i ) গড় উদ্বৃতা ০ ° -২৭ ° সে . ( ii ) নিম্ন অক্ষাংশ থেকে উচ্চ অক্ষাংশের দিকে তাপমাত্রা দ্রুতহারে কমে । ( iii ) বার্ষিক উষ্ণতার প্রসর বেশি । ( iv ) ক্রান্তিরেখাদ্বয় অঞ্চল হল গ্রীষ্মপ্রধান নাতিশীতোয় মন্ডল এবং মেরুবৃত্ত রেখাদ্বয় অঞ্চল হল শীতপ্রধান নাতিশীতোয় মণ্ডল ।

উৎপত্তির কারণ : ( i ) গড় সূর্যরশ্মির পতনকোণ মধ্যম প্রকৃতির । গ্রীষ্মকালে পতনকোণ বাড়ে এবং শীতকালে কমে । ( ii ) দিন ও রাতের গড় দৈর্ঘ্য সারাবছর মাঝামাঝি । ( iii ) 

হিমমণ্ডল : অবস্থান : উ . গোলার্ধে সুমেরুবৃত্ত থেকে সুমেরুবিন্দু এবং দ . গোলার্ধে কুমেরুবৃত্ত থেকে কুমেরুবিন্দু হল হিমমণ্ডল । 

বৈশিষ্ট্য : ( i ) গড় উষ্ণতা সারাবছরই ০ ° সে . – এর কম । ( ii ) দু – একটি স্থানে কদাচিৎ উষ্ণতা হিমাঙ্কের উপরে ওঠে । ( iii ) বাৎসরিক উষ্ণতার প্রসর খুব বেশি । ( iv ) অঞ্চলটি বরফে ঢাকা । ( v ) মাঝে মাঝে অরোরা দেখা যায় । উৎপত্তির কারণ : ( i ) দিন ও রাতের দৈর্ঘ্যের তারতম্য খুব বেশি । ( ii ) কোনো কোনো স্থানে একটানা ৬ মাস দিন ও ৬ মাস রাত বিরাজ করে । ( iii ) দিনের সময়কালে সূর্যরশ্মির পতনকোণ অতি তির্যক । 

2. পৃথিবীব্যাপী বিশ্বউষ্ণায়নের প্রভাব ব্যাখ্যা করো ।

Answer : বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব ( Effects of global warming ) ক্রমবর্ধমান হারে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি বায়ুতে নির্গত হওয়ার ফলে বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা ক্রমশ বাড়ছে । যেমন- ১৮৫০-১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা ১ ° সেন্টিগ্রেড বেড়েছে । বিজ্ঞানীদের অনুমান ২০৩০ খ্রিস্টাব্দে উষ্ণতা বাড়ার হার হবে ২ ° সেন্টিগ্রেড । গ্লোবাল ওয়ার্মিং – এর সম্ভাব্য প্রভাবগুলি নীচে আলোচনা করা হল – 

( ১ ) মেরু অঞ্চলের বরফের গলন ও পার্বত্য হিমবাহের গলন ( Melting of polar ice caps and mountain glacier ) : 

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে কুমেরু মহাদেশের গভীর পুরু বরফের স্তর এবং অন্যান্য মহাদেশীয় ও পার্বত্য হিমবাহ খুব দ্রুত গলতে থাকবে এবং বরফগলা জল সমুদ্রে যুক্ত হয়ে সমুদ্রের জলের পরিমাণকে আরও বাড়িয়ে দেবে এবং সমুদ্রজলের উষ্ণতা ও লবণতার হেরফের ঘটবে , যার পরোক্ষ ফলস্বরূপ সমুদ্রস্রোতের পরিবর্তন ও অন্যান্য সামুদ্রিক পরিবেশের পরিবর্তন ঘটবে । এর ফলাফল স্বরূপ- ( i ) স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র ব্যাহত হবে , ( ii ) ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটবে , ( iii ) উপকূলবর্তী এলাকার নীচু অংশ জলমগ্ন হবে , ( iv ) সমুদ্রের লবণাক্ত জলের প্রভাবে মাটি অনুর্বর হয়ে পড়বে । 

( ২ ) সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি ( Rise of sea level ) : বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে মেরু ও উঁচু পার্বত্য অঞ্চলের বরফ বেশি পরিমাণে গলবে এবং সমুদ্র জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে । বিগত শতাব্দীতে ১.৫ ° C তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সমুদ্র জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১০–১২ সেমি । বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা , এই হারে বিশ্ব উষ্ণায়ন চলতে থাকলে এই শতাব্দীর শেষে সমুদ্র জলতলের উচ্চতা ৩০–৯০ সেমি বৃদ্ধি পাবে । এর ফলে সমুদ্র উপকূল অঞ্চল প্লাবিত হবে , জলাভূমি ও নীচুভূমি বিনষ্ট হবে , উপকূল অঞ্চলে ক্ষয়ের পরিমাণ বাড়বে , ম্যানগ্রোভ বনভূমি ও বন্যপ্রাণীর বিনাশ ঘটবে এবং নদীর জলের লবণতার পরিমাণ বাড়বে । এর ফলে আগামী কয়েক দশকে সিসিলি , মালদ্বীপ ও মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ , বাংলাদেশের উপকূলের এক বিরাট অংশ , মিশর , আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা , লুইসিয়ানা ও ক্যারোলিনা এবং ভারতের উপকূল অঞ্চল সমুদ্রে তলিয়ে যাবে । 

( ৩ ) অধঃক্ষেপণের প্রকৃতি পরিবর্তন ( Change in nature of precipitation ) : বায়ুমণ্ডলীয় উষ্ণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জলবায়ুগত পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী । বৃষ্টিপাতের বণ্টনে সামগ্রিক পরিবর্তন ঘটবে । উত্তর গোলার্ধের উত্তরদিকের দেশগুলিতে অতিবৃষ্টি এবং দক্ষিণদিকের দেশগুলিতে খরার প্রকোপ বাড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে । 

( ৪ ) শস্য উৎপাদনের হ্রাসবৃদ্ধি ( Over and under production of crops ) : তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে ঋতুগুলির সময়সীমা বৃদ্ধি পাবে , ফলে কৃষিপণ্যের উৎপাদন হ্রাস পাবে । এ ছাড়া তাপমাত্রা সহায়িকা , বাড়লে উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষের হার বাড়ে । এই কারণে ভুট্টা , আম , জোয়ার , বাজরা প্রভৃতি ফসলের উৎপাদন বাড়লেও ধান , গম , ওট , বার্লি , সয়াবিন , তামাক , তুলো , পাট প্রভৃতি ফসলের উৎপাদন কমে যাবে । বিজ্ঞানীদের অনুমান , প্রধান খাদ্যফসলগুলির বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের হার ১০ % – ৭০ % পর্যন্ত কমবে । 

( ৫ ) কৃষিপদ্ধতির পরিবর্তন ( Change in agricultural methods ) : বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কৃষিক্ষেত্রের স্থান পরিবর্তন ঘটবে এবং কৃষিজমির পরিমাণ ১০ % -৫০ % কমে যাবে । উদাহরণ হিসেবে বলা যায় , যেসব অঞ্চলে গমচাষ হত , উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সেসব অঞ্চলে গমের পরিবর্তে অন্য শস্যের চাষ হচ্ছে । তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের পরিবর্তনের ফলে প্রধান কৃষিকাজের এলাকা আরও উচ্চ অক্ষাংশের দিকে বিস্তৃত হবে । ভুট্টা , আখ , জোয়ার বাজরার উৎপাদন বাড়লেও ধান , গম , বার্লি , ওট , সয়াবিন , তুলো , তামাকের উৎপাদন কমে যাবে । 

( ৬ ) এল নিনো ও পৃথিবীব্যাপী তার প্রভাব ( Bl – Nine and its global effects ) : বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রের জল উগ্ন হয়ে উঠলে যে নিম্নচাপ তৈরি হয় তা আয়ন বায়ুপ্রবাহকে দুর্বল করে এবং দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় । অন্যদিকে , পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে স্বাভাবিকের থেকে বেশি শীতল আবহাওয়া সৃষ্টি হয় । একে এল নিনো ঘটনা বলে । এল নিনো বলতে দক্ষিণমুখী বিশেষ একটি অস্থির ও উষ্ণ সমুদ্রস্রোতকে বোঝায় , যা দক্ষিণ – পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে ১০০-৩৫ ° দ , অক্ষাংশ ও ৯০ ° -১২০ ° প দ্রাঘিমায় লক্ষ করা যায় । এই স্রোত প্রতি বছর ক্রিসমাসের কাছাকাছি সময় পেরু ও ইকুয়েডরের পশ্চিম উপকূল দিয়ে প্রবাহিত হয় ।

3. বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হওয়ার পদ্ধতিগুলির ব্যাখ্যা  দাও । 

Answer : বায়ুমণ্ডল বিভিন্নভাবে উত্তপ্ত হয়— ( ক ) প্রধান পদ্ধতি : 

( i ) বিকিরণ ( Radiation ) কোনো মাধ্যম ছাড়াই যখন তাপ এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুতে সঞ্চালিত ( transmission ) হয় , তখন তাকে বিকিরণ পদ্ধতি বলে । সূর্যরশ্মি ক্ষুদ্র তড়িৎ চুম্বক তরঙ্গরূপে বায়ুস্তর ভেদ করে পৃথিবীতে এসে পৌঁছোয় এবং পৃথিবীপৃষ্ঠ তাপ শোষণ করে উত্তপ্ত হয় । উত্তপ্ত ভূপৃষ্ঠ বৃহৎ তরঙ্গরূপে তাপ বিকিরণ করে বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে । 

( ii ) পরিবহণ ( Conduction ) পাশাপাশি অণুর সংস্পর্শের মাধ্যমে উষ্ণতার অপসারণ প্রক্রিয়াকে পরিবহণ বলে । এই পদ্ধতিতে বায়বীয় কণার মাধ্যমে বেশি উত্তপ্ত পদার্থ থেকে কম উত্তপ্ত পদার্থের দিকে তাপের সঞ্চালন ঘটে । 

( iii ) পরিচলন ( Con – vection ) : উষ্ণতার প্রভাবে ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন বায়ুর অণুগুলি উত্তপ্ত হয়ে প্রসারিত ও হালকা হয় । ফলে তা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে এবং ঊর্ধ্বাংশের অপেক্ষাকৃত শীতল ও ভারী বায়ু নীচের দিকে নামতে থাকে । পরবর্তীকালে সেগুলিও উত্তপ্ত উপরে উঠতে থাকে । ফলে বায়ুতে উল্লম্ব সঞ্চালন ও তার প্রভাবে বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকে পরিচলন পদ্ধতি বলে । 

( iv ) অ্যাডভেকশন ( Advection ) : ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে অনুভূমিকভাবে বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে তাপের সঞ্চালন ঘটলে তাকে অ্যাডভেকশন বলে । এই পদ্ধতির মাধ্যমেই নিম্ন অক্ষাংশের উষ্ণতা উচ্চ অক্ষাংশের দিকে সঞ্চালিত হয় । ভারতের উত্তর – পশ্চিমে প্রবাহিত ‘ লু ’ অ্যাডভেকশন পদ্ধতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ । ( খ ) অপ্রধান পদ্ধতি : 018 ) বাষ্প , কার্বন ডাইঅক্সাইড 

( v ) বায়ুমণ্ডলে ধূলিকণা , জলীয় বাষ্প , প্রভৃতি সূর্য থেকে আগত শক্তিকে সরাসরি শোষণ করে বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে । JPURCU PATRES PART 

( vi ) বায়ুরাশি যত উপরে ওঠে ততই প্রসারিত হয় বলে উষ্ণতা কমে এবং বায়ু যখন উপর থেকে নীচে নামে তখন সংকুচিত হয় বলে উষ্ণতা বাড়ে । 

( vii ) ভূ – অভ্যন্তরের বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থের ( ইউরেনিয়াম , থোরিয়াম , রেডিয়াম প্রভৃতি ) তেজস্ক্রিয়তায় উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় । 

( viii ) আগ্নেয়গিরি , প্রস্রবণ প্রভৃতির মাধ্যমে নির্গত ভূ – অভ্যন্তরীণ তাপের প্রভাবে । এবং 

( ix ) কিছু কিছু শিলার ( CaCO3 ) রাসায়নিক আবহবিকারে সৃষ্ট তাপের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডল সামান্য হারে উত্তপ্ত হয় । 

4. বায়ুমণ্ডলে উষ্ণতার তারতম্যের কারণগুলি কী কী ?

 অথবা , বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের প্রধান তিনটি কারণ ব্যাখ্যা করো ।

Answer : বায়ুমণ্ডলের তাপের তারতম্যের কারণসমূহ ( Causes of variation of atmospheric temperature ) : বায়ুমণ্ডলের এই তাপের তারতম্যের কারণগুলি হল Riehote sims 

( ১ ) অক্ষাংশ ( Latitude ) : সৌরশক্তি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার প্রধান উৎস হলেও , অক্ষাংশ অনুসারে সূর্যকিরণ ভূপৃষ্ঠের কোথাও লম্বভাবে এবং কোথাও তির্যকভাবে পড়ে । লম্বভাবে পতিত রশ্মির তুলনায় তির্যকভাবে পতিত রশ্মিতে উত্তাপের পরিমাণ কম হয় । নিরক্ষরেখার ওপর প্রায় সারাবছর ধরে সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ে । নিরক্ষরেখা থেকে যতই উত্তর বা দক্ষিণ মেরুর দিকে যাওয়া যায় ততই সূর্যরশ্মি পৃথিবীপৃষ্ঠে তির্যকভাবে পড়তে থাকে যার ফলে নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে উভয় মেরুর দিকে উত্তাপ ক্রমশ কমতে থাকে । সাধারণত , নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর বা দক্ষিণে প্রতি ১ ° অক্ষাংশের পার্থক্যে ০.২৮ ° সেলসিয়াস হারে উদ্বৃতা কমে যায় । 

( ২ ) উচ্চতা ( Altitude ) : সূর্য থেকে বিকিরণ পদ্ধতিতে আগত তাপশক্তি বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে এলেও বায়ুমণ্ডলকে সরাসরিভাবে উত্তপ্ত না করে প্রথমে কঠিন ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে । পরে ওই উত্তপ্ত বায়ু ভূপৃষ্ঠের সংস্পর্শে আসলে ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন বায়ুস্তর উত্তপ্ত হয় এবং সমপৃষ্ঠ 3056 ওই তাপ ধীরে ধীরে ওপরের বায়ুস্তরে সঞ্চারিত হয় । তাই নীচের বায়ুস্তরের উষ্ণতা বেশি হয় এবং যত উপরে ওঠা যায় বায়ুর উষ্ণতা ততই কমতে থাকে । সাধারণত প্রতি ১ কিলোমিটার উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য ৬.৪ ° সেলসিয়াস হারে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা কমতে থাকে , একে ‘ উষ্ণতা হ্রাসের গড় ’ বা ‘ Lapse rate of temperature ” বলে । এই কারণেই একই অক্ষাংশে অবস্থিত হলেও উচ্চস্থান অপেক্ষাকৃত শীতল হয় । উদাহরণ : জম্মু অপেক্ষা উঁচুতে অবস্থিত শ্রীনগর শীতলতর । 

( ৩ ) স্থলভাগ ও জলভাগের বণ্টন ( Distribution of Land & Water Bodies ) : ( i ) পৃথিবীর কোনো স্থান সমুদ্র থেকে যত দূরে অবস্থিত হয় , সেখানে উষ্ণতার ততই চরমভাব দেখা যায় , কারণ : গ্রীষ্মকালে একই অক্ষাংশে অবস্থিত মহাদেশগুলির স্থলভাগের উপরিভাগ সমুদ্রের জলের চেয়ে অনেক বেশি উত্তপ্ত হয় । এইজন্য সমুদ্রের নিকটবর্তী অঞ্চলে আবহাওয়া কখনোই চরমভাবাপন্ন হয় না । উদাহরণ : উত্তর গোলার্ধের ৩৫ ° থেকে ৬০ ° উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত জার্মানি , পোল্যান্ড এবং আল্পস পর্বতের পাদদেশীয় দেশসমূহে এক বিশেষ ধরনের সামুদ্রিক জলবায়ু পরিলক্ষিত হয় একে পশ্চিম উপকূলীয় সামুদ্রিক জলবায়ু বলে । শীত ও গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রার স্বল্প ব্যবধান , বেশিরভাগ সময়ে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ এবং বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতা হল সামুদ্রিক জলবায়ুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য । অন্যদিকে , ( ii ) সমুদ্র থেকে দূরে অবস্থিত মহাদেশের ভিতরের দিকে সমুদ্রের প্রভাব ততটা পড়ে না বলে চরমভাবাপন্ন জলবায়ু দেখা যায় , অর্থাৎ এখানে ঠান্ডা ও গরম খুব বেশি হয় । এই ধরনের জলবায়ুকে মহাদেশীয় জলবায়ু বলে । শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রার বিরাট ব্যবধান হল মহাদেশীয় জলবায়ু অঞ্চলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য । উদাহরণ : মধ্য এশিয়া , কানাডা , রাশিয়া , ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের পূর্বাঞ্চল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও পশ্চিম ভাগে মহাদেশীয় জলবায়ু দেখা যায় । 

( ৪ ) বায়ুপ্রবাহ ( Movement of winds ) বায়ুপ্রবাহ হল জলবায়ুর তারতম্যের অপর একটি কারণ । ক্রান্তীয়মণ্ডলে অপেক্ষাকৃত শীতল সমুদ্র বায়ুর প্রভাবে স্থলভাগের উদ্বৃতা কিছুটা হ্রাস পায় , অন্যদিকে উদ্ভুতর সমুদ্র থেকে আগত পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে নাতিশীতোয় মণ্ডলের উপকূলবর্তী স্থলভাগের উষ্ণতা কিছুটা বৃদ্ধি পায় । এ ছাড়াও বিভিন্ন দিক থেকে প্রবাহিত উষ্ণ কিংবা শীতল স্থানীয় বায়ুপ্রবাহগুলিও ( চিনুক , ফন , সিরোক্কো , মিস্টাল , খামসিন প্রভৃতি ) স্থানীয়ভাবে উষ্ণতার তারতম্য ঘটাতে সাহায্য করে । আর্দ্রবায়ুর প্রভাবে কোথাও বৃষ্টি হয় মাবার শুষ্কবায়ুর প্রভাবে কোনো কোনো স্থানে আবহাওয়া শুষ্ক হয় । 

( ৫ ) সমুদ্রস্রোত ( Ocean currents ) : বায়ুপ্রবাহের মতো বিভিন্ন সমুদ্রস্রোতের মধ্যেও তাপমাত্রার পার্থক্য দেখা যায় যার প্রধান কারণ হল সমুদ্রস্রোতগুলির উৎস অঞ্চলের তাপমাত্রার পার্থক্য । সাধারণত কোনো অঞ্চলের কাছ দিয়ে উষ্ণুস্রোত প্রবাহিত হলে তার প্রভাবে অঞ্চলটির তাপমাত্রা বাড়ে , পক্ষান্তরে কোনো অঞ্চলের কাছ দিয়ে শীতল সমুদ্রস্রোত প্রবাহিত হলে সেই স্থানটির তাপমাত্রা কমে । উদাহরণ হিসেবে বলা যায় , ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ ও ল্যাব্রাডর উপকূ ল একই অক্ষাংশে অবস্থিত হলেও উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের প্রভাবে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের বায়ুমণ্ডল উষু হওয়ায় নিকটস্থ সমুদ্রে বরফ জমে না , কিন্তু শীতল ল্যাব্রাডর স্রোতের প্রভাবে ল্যাব্রাডর উপকূলে বরফ জমে । 

( ৬ ) ভূমির ঢাল ( Inclination of the Land ) ভূমির ঢালের তারতম্যের জন্য কোনো স্থানের উত্তাপের তারতম্য ঘটতে দেখা যায় , যেমন : ( i ) উত্তর গোলার্ধে কোনো স্থানের ভূমির ঢাল দক্ষিণমুখী অর্থাৎ নিরক্ষরেখার দিকে হলে সেখানে সূর্যকিরণ লম্বভাবে পড়ে , ফলে সেখানকার বায়ুমণ্ডল বেশি উত্তপ্ত হয় । আবার ( ii ) উত্তর গোলার্ধের কোনো স্থানের ভূমির ঢাল ( সাইবেরিয়া অঞ্চল ) নিরক্ষরেখার বিপরীত দিকে হলে সেখানে সূর্যকিরণ তির্যকভাবে পড়ে এবং স্থানটির উষ্ণতা তুলনামূলকভাবে কম হয় । ( iii ) দক্ষিণ গোলার্ধে কোনো স্থানের ভূমির ঢাল উত্তরমুখী —অর্থাৎ নিরক্ষরেখার দিকে হলে সেখানে সূর্যকিরণ লম্বভাবে পড়ে , কারণ দক্ষিণ গোলার্ধের উত্তরমুখী ঢালে সূর্য প্রায় লম্বভাবে কিরণ দেয় । 

( ৭ ) মেঘাচ্ছন্নতা ও অধঃক্ষেপণ ( Cloud cover & precipitation ) : মেঘ সৌরকিরণকে বহুলাংশে প্রতিফলিত করে , যার ফলে সৌরতাপের অনেকাংশই ভূপৃষ্ঠে এসে পৌঁছতে পারে না । এ ছাড়া বৃষ্টিপাতের ফলেও তাপমাত্রা কমে । বৃষ্টির জলকণা বেশ কিছুটা তাপ শোষণ করে নেয় । আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালের তুলনায় বর্ষাকালে সৌর – বিকিরণ কিছুই কমে না ; তবুও বর্ষাকালে গ্রীষ্মকালের তুলনায় তাপমাত্রা কম হওয়ার কারণ হল অধঃক্ষেপণ তথা বৃষ্টিপাত । 

( ৮ ) স্বাভাবিক উদ্ভিদ ( Natural vegetation ) : বনভূমি সৃি কার অভ্যন্তরে জলীয় বাষ্প ধরে রাখে ফলে মাটি আর্দ্র থাকে । ভূপৃষ্ঠে বনভূমির আচ্ছাদন থাকলে বায়ুমণ্ডল দিনের বেলা সহজে গরম হতে পারে না এবং রাত্রিতে খুব তাড়াতাড়ি তাপ হারিয়ে ঠান্ডা হয়ে যায় না । নিরক্ষীয় অঞ্চলের গহন বনভূমি সূর্যের তাপীয় ফল অনেকাংশে হ্রাস করে এবং এখানকার বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা একই অক্ষাংশে অবস্থিত বনভূমিহীন অঞ্চল থেকে অনেকাংশে কম হয় । তা ছাড়া বনভূমির বৃক্ষসমূহ প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প সংযোজন করে বৃষ্টিপাত ঘটায় ফলে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পেলে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা স্বাভাবিক ভাবে কমে আসে । 

( ৯ ) মৃত্তিকা ( Soil ) : পাললিক মৃত্তিকায় কাদার ভাগ বেশি থাকায় পার্বত্য মৃত্তিকা থেকে এর জলধারণের ক্ষমতা বেশি । ফলে এই মৃত্তিকা সহজে গরম বা ঠান্ডা হয় না । পার্বত্য মৃত্তিকায় জলধারণ ক্ষমতা কম তাই এই মাটি দ্রুত উত্তপ্ত হয় এবং দ্রুত শীতলও হয়ে যায় । এইজন্য পাললিক মৃত্তিকায় গড়া সমতল ভূভাগের তুলনায় পার্বত্য অঞ্চলে দৈনিক উষ্ণতার প্রসরও ( Diurnal range of temperature ) বেশি হয় । আবার মরুভূমির দৈনিক উষ্ণতার প্রসরও এই একই কারণে বেশি হয় । কালো রঙের মাটি বেশি পরিমাণে সূর্যতাপ গ্রহণে সক্ষম বলে , হালকা রঙের মৃত্তিকা অঞ্চল থেকে এখানকার বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বেশি হয় । 

( ১০ ) নগরায়ণ ও শিল্পায়ন ( Urbanisation & Industrialisation ) : শহরাঞ্চলের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা গ্রামাঞ্চল থেকে বেশি হয় । শহরের বাড়িগুলি সাধারণত ইট , লোহা , সিমেন্ট , বালি প্রভৃতি মালমশলা দিয়ে তৈরি হয় । যাদের আপেক্ষিক তাপ কম । ফলে , দিনের বেলা শহর যতটা উত্তপ্ত হয় , গ্রাম ততটা হয় না । শহরাঞ্চলের বায়ুমণ্ডলের উত্তাপ বৃদ্ধির আরও একটি কারণ হল কলকারখানার চিমনি থেকে নির্গত ধোঁয়া , ধূলিকণা প্রভৃতি — যারা শুধুমাত্র তাপের উৎসই নয় , তারা ভূপৃষ্ঠের তাপ বিকিরণকেও প্রতিহত করে ।

5. অক্ষাংশ ও উচ্চতা বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে , উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো ।

Answer : অক্ষাংশ ও উচ্চতার ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার পরিবর্তনের কারণসমূহ – 

( i ) অক্ষাংশের ভিত্তিতে অবস্থান ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা নির্ভর করে কোনো স্থানে আগত সূর্যরশ্মির পরিমাণের উপর এবং আগত সূর্যরশ্মির পরিমাণের ওপর এবং আগত সূর্যরশ্মির পরিমাণ নির্ভর করে সেই স্থানের অক্ষাংশের ওপর । অক্ষাংশের পরিবর্তনের সাথে সাথে সূর্যরশ্মির পতনকোপের যেমন তারতম্য হয় , তেমনি দিনরাত্রির দৈর্ঘ্যেরও হ্রাসবৃদ্ধি ঘটে । নিরক্ষীয় অঞ্চল বরাবর সারাবছর গড় সূর্যরশ্মি লম্বভাবে , মধ্য অক্ষাংশে তির্যকভাবে ও উচ্চ অক্ষাংশে অতি তির্যকভাবে পতিত রশ্মি অপেক্ষা কম বায়ুস্তর ভেদ করে আসে এবং কম অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে — তাই উষ্ণতা বেশি হয় । এই কারণে নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে ও দক্ষিণে উষ্ণতা ক্রমশ কমতে থাকে । 

( ii ) উচ্চতার প্রভাব : উষ্ণতার নিয়ন্ত্রণে উচ্চতাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । ট্রপোস্ফিয়ারে উচ্চতাবৃদ্ধির সঙ্গে উষ্ণতা ৬.৪ ° সে . / কিমি হারে হ্রাস পায় — একে ‘ ল্যাপস্ রেট ’ বলে । সাধারণভাবে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিকিরণের প্রভাব কমে , ধুলিকণার পরিমাণ কমতে থাকে এবং বায়ুর চাপও কম হয় । তাই উচ্চতা বৃদ্ধিতে উষ্ণতা হ্রাস পায় । এই কারণেই অধিক উচ্চ অঞ্চলের উষ্ণতা কম হয় । অধিক উচ্চতার কারণেই প্রায় নিরক্ষরেখা বরাবর অবস্থিত । হওয়া সত্ত্বেও কিনিয়ার মাউন্ট কিলিমাঙ্খারো পর্বতের ওপর সারাবছর বরফ জমে থাকে । এই কারণেই শিলিগুড়ি অপেক্ষা | দার্জিলিং এবং দিল্লি অপেক্ষা সিমলার উষ্ণতা সারাবছর কম ।

মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৩ – Madhyamik Suggestion 2023

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Bengali Suggestion 2023 Click Here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik English Suggestion 2023 Click Here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Geography Suggestion 2023 Click Here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik History Suggestion 2023 Click Here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Physical Science Suggestion 2023 Click Here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Life Science Suggestion 2023 Click Here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Mathematics Suggestion 2023 Click Here

FILE INFO : Madhyamik Geography Suggestion with PDF Download for FREE | মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন বিনামূল্যে ডাউনলোড করুণ | বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর – MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর, সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর, ব্যাখ্যাধর্মী, প্রশ্নউত্তর

PDF Name : মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF

Price : FREE

Download Link1 : Click Here To Download

Download Link2 : Click Here To Download

পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক  ভূগোল পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর ও শেষ মুহূর্তের সাজেশন ডাউনলোড। মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। West Bengal Madhyamik  Geography Suggestion Download. WBBSE Madhyamik Geography short question suggestion. Madhyamik Geography Suggestion PDF  download. Madhyamik Question Paper  Geography. WB Madhyamik Geography suggestion and important questions. Madhyamik Geography Suggestion PDF.

Get the Madhyamik Geography Suggestion PDF by winexam.in

 West Bengal Madhyamik Geography Suggestion PDF  prepared by expert subject teachers. WB Madhyamik  Geography Suggestion with 100% Common in the Examination.

Class 10th Geography Suggestion

West Bengal Madhyamik  Geography Suggestion Download. WBBSE Madhyamik Geography short question suggestion. Madhyamik Geography Suggestion PDF  download. Madhyamik Question Paper  Geography.

মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর |  WB Madhyamik Geography  Suggestion

মাধ্যমিক ভূগোল (Madhyamik Geography) বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) 

মাধ্যমিক ভূগোল পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বোর্ডের (WBBSE) সিলেবাস বা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী  দশম শ্রেণির ভূগোল বিষয়টির সমস্ত প্রশ্নোত্তর। সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা, তার আগে winexam.in আপনার সুবিধার্থে নিয়ে এল মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশান – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর । ভূগোলে ভালো রেজাল্ট করতে হলে অবশ্যই পড়ুন । আমাদের মাধ্যমিক ভূগোল

দশম শ্রেণির ভূগোল সাজেশন | বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়)

আমরা WBBSE মাধ্যমিক পরীক্ষার ভূগোল বিষয়ের – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর – সাজেশন নিয়ে বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর নিয়ে বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়)চনা করেছি। আপনারা যারা এবছর দশম শ্রেণির ভূগোল পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাদের জন্য আমরা কিছু প্রশ্ন সাজেশন আকারে দিয়েছি. এই প্রশ্নগুলি পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণির ভূগোল পরীক্ষা  তে আসার সম্ভাবনা খুব বেশি. তাই আমরা আশা করছি Madhyamik ভূগোল পরীক্ষার সাজেশন কমন এই প্রশ্ন গুলো সমাধান করলে আপনাদের মার্কস বেশি আসার চান্স থাকবে।

মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF with FREE PDF Download

 মাধ্যমিক ভূগোল, মাধ্যমিক ভূগোল, মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর, নবম শ্রেণি ভূগোল, দশম শ্রেণি ভূগোল, নবম শ্রেণি ভূগোল, দশম শ্রেণি ভূগোল, ক্লাস টেন ভূগোল, মাধ্যমিকের ভূগোল, ভূগোল মাধ্যমিক – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়), দশম শ্রেণী – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়), মাধ্যমিক ভূগোল বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়), ক্লাস টেন বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়), Madhyamik Geography – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়), Class 10th বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়), Class X বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়), ইংলিশ, মাধ্যমিক ইংলিশ, পরীক্ষা প্রস্তুতি, রেল, গ্রুপ ডি, এস এস সি, পি, এস, সি, সি এস সি, ডব্লু বি সি এস, নেট, সেট, চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতি, Madhyamik Geography Suggestion , West Bengal Madhyamik Class 10 Geography Suggestion, West Bengal Secondary Board exam suggestion , WBBSE , মাধ্যমিক সাজেশান, মাধ্যমিক সাজেশান , মাধ্যমিক সাজেশান , মাধ্যমিক সাজেশন, মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশান ,  মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশান , মাধ্যমিক ভূগোল , মাধ্যমিক ভূগোল, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, Madhyamik Geography Suggestion Geography , মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF,মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF, Madhyamik Class 10 Geography Suggestion PDF.

বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF

  এই ” মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুমণ্ডলে তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF ” পোস্টটি থেকে যদি আপনার লাভ হয় তাহলে আমাদের পরিশ্রম সফল হবে। আরোও বিভিন্ন স্কুল বোর্ড পরীক্ষা, প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার সাজেশন, অতিসংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত ও রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (All Exam Guide Suggestion, MCQ Type, Short, Descriptive Question and answer), প্রতিদিন নতুন নতুন চাকরির খবর (Job News in Geography) জানতে এবং সমস্ত পরীক্ষার এডমিট কার্ড ডাউনলোড (All Exam Admit Card Download) করতে winexam.in ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here