ভারতের জলবায়ু (ভারত - পঞ্চম অধ্যায়) - মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Bharater Jalabayu - Madhyamik Geography Suggestion PDF
মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন – ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) সাজেশন | Bharater Jalabayu – Madhyamik Geography Suggestion PDF : ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন ও অধ্যায় ভিত্তিতে প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হল। এবার পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষায় বা মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষায় (Bharater Jalabayu – WB Madhyamik Geography Suggestion PDF | West Bengal Madhyamik Geography Suggestion PDF | WBBSE Board Class 10th Geography Question and Answer with PDF file Download) এই প্রশ্নউত্তর ও সাজেশন খুব ইম্পর্টেন্ট । আপনারা যারা আগামী মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য বা মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) | Madhyamik Geography Suggestion PDF | WBBSE Board Madhyamik Class 10th (X) Geography Suggestion Question and Answer খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর ভালো করে পড়তে পারেন।
পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন (West Bengal Madhyamik Geography Suggestion PDF / Notes) Bharater Jalabayu | ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর – MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (SAQ), সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (Short Question and Answer), ব্যাখ্যাধর্মী বা রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (descriptive question and answer) এবং PDF ফাইল ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে দেওয়া রয়েছে।
Answer: ৩০ ° – ৩৫ ° C।
Answer: অধিক উষ্ণতা এবং স্বল্প আর্দ্রতা ।
Answer: রাজস্থান ।
Answer: বরদৈছিলা ।
Answer: অধিক উষ্ণতা ও আর্দ্রতা এবং ক্রমাগত বৃষ্টি ।
Answer: আরব সাগরীয় শাখা এবং ২. বঙ্গোপসাগরীয় শাখা ।
Answer: জম্মু ও কাশ্মীর / হিমাচল প্রদেশ / উত্তরাখণ্ড / সিনি 1 পশ্চিমবঙ্গ ( দার্জিলিং ) ।
Answer: গ্রীষ্মকালের শেষের দিকে , বিশেষত জুন মাসে ।
Answer: মৌসুমি বায়ু ।
Answer: লু / আঁধি ।
Answer: মৌসুমি বায়ুকে ।
Answer: জলবায়ু ।
Answer: চরমভাবাপন্ন ।
Answer: সমভাবাপন্ন ।
Answer: গ্রীষ্মকালের মে মাসে ।
Answer: দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ।
Answer: উত্তর – পূর্ব মৌসুমি বায়ু ।
Answer: নাতিশীতোয় , ভূমধ্যসাগরীয় ঘূর্ণবাত ।
Answer: অনিয়মিত মৌসুমি বৃষ্টিপাতের জন্য ।
Answer: হিমালয় পর্বতশ্রেণি ।
Answer: (D) রাজস্থান
Answer: (A) কমতে থাকে
সারাবছর ধরে -(A) প্রচণ্ড গরম(B) প্রবল শুষ্কতা(C) প্রবল বৃষ্টিপাত (D) প্রবল শৈত্য
Answer: (D) প্রবল শৈত্য
Answer: (B) উত্তর – পূর্ব
Answer: (B) সমভাবাপন্ন
Answer: (A) উত্তর
Answer: (C) শরৎকাল
Answer: (A) মালাবার
Answer: (C) উত্তর – পশ্চিম
Answer: (C) নাতিশীতোয়
Answer: (D) আশ্বিনের ঝড়
Answer: (A) গ্রীষ্ম
Answer: C) দিল্লি ও অমৃতসর
Answer: (B) ঋতুপরিবর্তন
Answer: (A) মৌসুমি বায়ু
Answer: (B) শৈলোৎক্ষেপ পদ্ধতিতে
Answer: (C) হিমালয়
Answer: (D) জুন
Answer: (D) লু
Answer: (B) কালবৈশাখী
Answer: (C) উত্তর – পশ্চিম
Answer: (C) উত্তর – পশ্চিম
Answer: মৌসুমি বায়ু হল এক ধরনের সাময়িক বায়ু যা ঋতুপরিবর্তনের সাথে সাথে পরস্পর বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয় । গ্রীষ্মকালে এই বায়ু সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে এবং শীতকালে স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে বয়ে যায় । পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে এই বায়ু প্রবাহিত হলেও , দক্ষিণ – পূর্ব এশিয়া হল মৌসুমি বায়ুর প্রধান বিচরণক্ষেত্র ।
Answer: পৃথিবীর সর্বাধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলটি হল চেরাপুঞ্জির নিকটবর্তী মৌসিনরাম , যা মেঘালয় রাজ্যের দক্ষিণভাগে অবস্থিত । এখানকার বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ( ১২৫০-১৪০০ সেমি ) । একে পৃথিবীর আর্দ্রতম স্থানও ( Wettest Place of the Planet ) বলা হয় ।
Answer: গ্রীষ্মকালে অধিক উষ্ণতায় ভারতের উত্তর – পশ্চিম অংশে যে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় তার প্রভাবে দক্ষিণের সমুদ্রের উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ মৌসুমি বায়ু ভারতে প্রবেশ করে । ফেলের সূত্রানুসারে এই বায়ু ডান দিকে বেঁকে ভারতে প্রবেশ করে বলে একে দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বলে । সারা ভারতের ৮৫-৯০ ভাগ বৃষ্টি এই বায়ুর প্রভাবেই ঘটে ।
Answer: সেপ্টেম্বর মাসের শেষ বা অক্টোবর মাসের শুরুতে ভারতের স্থলভাগের তুলনায় ভারত মহাসাগরের ওপর তাপমাত্রা বেশি থাকে । ফলে স্থলভাগের ওপর উচ্চচাপ এবং জলভাগের ওপর নিম্নচাপ অবস্থান করে । এই সময় এই বায়ু স্থলভাগ থেকে জলভাগের দিকে প্রবাহিত হয় । এই বায়ুতে জলীয় বাষ্প থাকে না তাই শুষ্ক । এই বায়ু উত্তর – পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয় । তাই একে উত্তর – পূর্ব মৌসুমি বায়ু বলে । এই বায়ুর প্রভাবে করমণ্ডল উপকূলে বৃষ্টিপাত হয় ।
Answer: গ্রীষ্মকালের শেষের দিকে উত্তর – পশ্চিম ভারতে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হলে আরব সাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ আর্দ্র দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আকস্মিকভাবে পশ্চিম ভারতে প্রবেশ করে । জলীয় বাষ্পপূর্ণ এই বায়ুপ্রবাহ পশ্চিমঘাট পর্বতে বাধা পেয়ে দক্ষিণ – পশ্চিম ভারতের মালাবার উপকূলে হঠাৎ প্রবল বৃষ্টিপাতের মধ্য দিয়ে ভারতে বর্ষাকালের সুচনা করে , তাই একে মৌসুমি বিস্ফোরণ ( Burst of Monsoon ) বলা হয় ।
Answer: শীতকালে ভারতে বৃষ্টিপাত তেমন না – হলেও এই সময়ে : ( ১ ) প্রত্যাবর্তনকারী মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে তামিলনাড়ুর করমণ্ডল উপকূলে এবং ( ২ ) ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল থেকে আগত পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে জম্মু – কাশ্মীর , রাজস্থান , পাঞ্জাব , হরিয়ানা , উত্তরপ্রদেশ , উত্তরাখণ্ড , বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের কোনো কোনো অঞ্চলে সামান্য বৃষ্টিপাত হয় । প্রশ্ন ১৪ ভারতে ভিন্ন ঋতুতে হয় , এমন দুটি ঝড়ের নাম লেখো । উত্তর : ভারতে ভিন্ন ঋতুতে হয় , এমন দুটি ঝড় হল ( ১ ) শরৎকালে আশ্বিনের ঝড় এবং ( ২ ) গ্রীষ্মকালে কালবৈশাখীর ঝড় ।
Answer: ভারতের অধিকাংশ বৃষ্টিপাত পাহাড়ে বাধা পেয়ে হয় । জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু | বৃষ্টিছায় অবস যখন পাহাড়ে বাধা পায় , তা কিছুটা উপরে উঠে শীতল হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায় । কিন্তু এই বায়ু যখন পাহাড়ের উলটোদিকের ঢালে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল পৌঁছোয় তখন সেখানে বৃষ্টিপাত কম হয় । বিপরীত পাশের পাহাড়ের এই ঢাল বা অনুবাত ঢাল অঞ্চলকে বৃষ্টিচ্ছায় অংশ বলা হয় । যেমন — ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্ব ঢাল এবং মেঘালয়ের গারো , খাসি , জয়ন্তিয়া পাহাড়ের উত্তর ঢাল হয় বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল ।
Answer: কোনো নির্দিষ্ট স্থানের ও নির্দিষ্ট সময়ের বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা , আর্দ্রতা , বায়ুচাপ , বায়ুপ্রবাহ , মেঘের অবস্থা , বৃষ্টিপাত প্রভৃতির অবস্থাকে বোঝায় । আবহাওয়া সর্বদা পরিবর্তিত হয় ।
Answer: কোনো স্থানের বা কোনো একটি বড় অঞ্চলের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ বছরের আবহাওয়ার গড়ো অবস্থাকে জলবায়ু বলে । কোনো অঞ্চলের জলবায়ু বছরের পর বছর প্রায় একইরকম থাকে ।
Answer: গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু , অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্ণাটক রাজ্যে ঘূর্ণিবায়ুর প্রভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ যে – বৃষ্টিপাত হয় , তাকে ‘ আম্রবৃষ্টি ’ বলে । এই বৃষ্টিপাতের প্রভাবে এই অঞ্চলে আমের ফলন ভালো হয় । এ ছাড়া এই বৃষ্টিপাতের ফলে কর্ণাটক রাজ্যে কফি চাষের সুবিধা হওয়ায় , একে চেরি ব্লসম ( Cherry Blosom ) বলে ।
Answer: গরমকালে ( জ্যৈষ্ঠ মাসে ) উত্তর ভারতের রাজস্থান , পাঞ্জাব , হরিয়ানা , দিল্লি অংশে দিনের বেলায় অত্যধিক শুষ্ক ও উষ্ণবায়ু শোঁ শোঁ করে প্রচণ্ড বেগে প্রবাহিত হয় , তাকে লু ( Loo ) বলে । এর ফলে উষ্ণতা ৫০ ° সে . ছাড়িয়ে যায় । এই বায়ুর প্রচণ্ড উত্তাপের ফলে প্রতিবছর বহু মানুষ ও গবাদিপশু মারা যায় ।
Answer: রাজস্থান মরুভূমি অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে যে ধূলিঝড় হয় , স্থানীয় ভাষায় তাকে আঁধি বলে । এই ঝড়ে বৃষ্টি হয় না বলে প্রচুর ধুলো – বালি ওড়ে । তবে এই ঝড়ে উষ্ণতা কিছুটা কমে ।
Answer: যে – ধরনের জলবায়ুতে শীতে বেশি শীত আর গরমে প্রচণ্ড গরম পড়ে , সেই জলবায়ুকে চরমভাবাপন্ন জলবায়ু বলে । সাধারণত দেশের অভ্যন্তরভাগে অর্থাৎ সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থানে এই ধরনের জলবায়ু দেখা যায় । ভারতের দিল্লি , লখনউ , আম্বালা , রায়পুর প্রভৃতি শহরের মতো মধ্য ও উত্তর ভারতের স্থানগুলিতে চরমভাবাপন্ন জলবায়ু দেখা যায় ।
Answer: যে – ধরনের জলবায়ুতে শীত ও গ্রীষ্মকালের তাপমাত্রার পার্থক্য কম হয় , সেই ধরনের জলবায়ুকে সমভাবাপন্ন জলবায়ু বলে । এটি প্রধানত সমুদ্রতীরবর্তী স্থানে দেখতে পাওয়া যায় । এই অঞ্চলে খুব বেশি ঠান্ডা পড়ে না বা গরমও পড়ে না । ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চল যেমন — মুম্বাই , চেন্নাই , পুরী , বিশাখাপত্তনম প্রভৃতি অঞ্চলে এইরূপ জলবায়ু দেখা যায় ।
Answer: আমরা জানি উচ্চতা বৃদ্ধিতে উষ্ণতা হ্রাস পায় । কাশ্মীর , দার্জিলিং প্রভৃতি স্থানগুলি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেকটা উঁচুতে অবস্থিত বলেই সারাবছর উষ্ণতা এখানে কম । তাই গ্রীষ্মপ্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও কাশ্মীর , দার্জিলিং – এর জলবায়ু শীতল ।
Answer: বর্ষাকালে দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এখানে বৃষ্টি পাত হয় । ও শরৎ ও শীতকালে উত্তরপূর্ব শুষ্ক মৌসুমি বায়ু বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে এবং ফেরেল সূত্রানুসারে ডানদিকে বেঁকে করমণ্ডল উপকূলে প্রবেশ করে — পূর্বঘাটে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায় । তাই করমণ্ডল উপকূলে দু – বার বর্ষাকাল দেখা যায় ।
Answer: গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আরব সাগরীয় শাখাটি আরব সাগরের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় প্রচুর জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে নিয়ে এসে পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং এই পর্বতের পশ্চিম ঢালে প্রবল শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটায় ( বছরে ৩৫০ – ৫০০ সেমি ) ।
পশ্চিমঘাট পর্বত অতিক্রম করার পর এই বায়ুপ্রবাহ ( মৌসুমি বায়ুর আরব সাগরীয় শাখা ) যখন দাক্ষিণাত্য মালভূমিতে প্রবেশ করে তখন এতে জলীয় বাষ্প বিশেষ থাকে না বলে এই বায়ুপ্রবাহের প্রভাবে দাক্ষিণাত্য মালভূমিতে খুবই কম বৃষ্টিপাত ( বছরে ৩০–৬০ সেমি মাত্র ) হয় । এই কারণে পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্বাংশে বিশেষত দাক্ষিণাত্য মালভূমির অভ্যন্তরভাগে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল গড়ে উঠেছে ।
Answer: আরব সাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আরব সাগরীয় শাখা জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই দক্ষিণ – পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে পশ্চিম উপকূলের পশ্চিমঘাট পর্বতমালায় বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং আরও উপরে উঠে যেতে থাকে । বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরের প্রবল শৈত্যের সংস্পর্শে এসে ওই জলীয় বাষ্পপূর্ণ আর্দ্র বায়ু শীতল ও ঘনীভূত হয়ে পশ্চিমঘাট পর্বতের বায়ুমুখী ঢালে অবস্থিত ভারতের কোঙ্কন উপকূল এবং মালাবার উপকূলে প্রবল শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটায় ( এই অঞ্চলে গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৫০ সেমির বেশি ) ।
Answer: ( মরু অঞ্চলের ভূমিতে বালুকণার পরিমাণ বেশি থাকে । এ ছাড়া এই বালুকণার মধ্যে কোয়ার্টজ নামক খনিজ থাকে । এরা তাপ ধরে রাখতে পারে না , ফলে এগুলি সবই দ্রুত উত্তপ্ত হয় এবং দ্রুত শীতল হয় , এর ফলে মরু অঞ্চলের উত্তাপের চরমভাব লক্ষ করা যায় । মরু অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুবই কম হওয়ার ফলে এখানে চরমভাবাপন্ন জলবায়ু দেখা যায় । মরু অঞ্চলের বালুকাময় মৃত্তিকার জলধারণ ক্ষমতা নেই বললেই চলে , এই কারণে স্বাভাবিকভাবেই উত্তাপ যথেষ্ট বৃদ্ধি পায় , আবার যথেষ্ট হ্রাসও পায় । এই সমস্ত কারণে মরু অঞ্চলে শীত ও গ্রীষ্মের উষ্ণতার পার্থক্য বেশি ।
Answer: শীতকালে ও শরৎকালে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু প্রত্যাগমন করে । এই প্রত্যাগমনকারী মৌসুমি বায়ু শুষ্ক ও আর্দ্রতাহীন হয় । তবে যেহেতু এই সময় নিকটবর্তী সমুদ্র উঘ্ন থাকে , সেহেতু উষ্ণ আর্দ্র সামুদ্রিক বায়ুর সাথে শুষ্ক বায়ুর সংঘর্ষে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে ঘূর্ণবাতের উৎপত্তি ঘটে তাই এই দুই সাগরে এই সময় গড়ে ৩ / ৪ টি ঘূর্ণবাত দেখা যায় । এই সামুদ্রিক ঘূর্ণবাতের ফলে সমুদ্র উপকূল ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে মাঝে মাঝে বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড় – বৃষ্টি হয় ।
Answer: মরু অঞ্চলের ভূমিতে বালুকণার পরিমাণ বেশি থাকে । এ ছাড়া এই বালুকণার মধ্যে কোয়ার্টজ নামক খনিজ থাকে । এরা তাপ ধরে রাখতে পারে না । ফলে এগুলি সবই দ্রুত উত্তপ্ত হয় এবং দ্রুত শীতলও হয়ে যায় । মরু অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুবই কম হওয়ার ফলে এখানে চরমভাবাপন্ন জলবায়ু দেখা যায় । এ ছাড়া মরু অঞ্চলের বালুকাময় মৃত্তিকার জলধারণ ক্ষমতা নেই বললেই চলে । তাই স্বাভাবিক কারণেই উত্তাপ যথেষ্ট বৃদ্ধি পায় , আবার যথেষ্ট হ্রাসও পায় । এই কারণে রাজস্থানের মরু অঞ্চলে তাপমাত্রার প্রসর বেশি অথবা শীত ও গ্রীষ্মের উষ্ণতার পার্থক্য বেশি ।
Answer: দক্ষিণ ভারতের তিনদিক জুড়ে রয়েছে আরব সাগর , ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর । সমুদ্রের কাছাকাছি হওয়ায় ভারতের উপকূল অঞ্চলের জলবায়ু সমভাবাপন্ন ও বেশ আরামদায়ক হয় । জল ও স্থলভাগে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্যের জন্য যথাক্রমে সমুদ্র বায়ু ও স্থলবায়ু প্রবাহিত হয় । ফলে জলবায়ুর চরমভাব থাকে না । কিন্তু সমুদ্র থেকে দূরত্ব বাড়লে জলবায়ুর চরমভাব বাড়তে থাকে ।
Answer: পূর্ব ভারতে পশ্চিমবঙ্গ ও তার আশপাশে গ্রীষ্মকালের বিকেলে মাঝে মাঝে বজ্রবিদ্যুৎ ও বৃষ্টিপাতের সঙ্গে এক ভীষণ ঝড়ের আগমন ঘটে — এই ঝড় কালবৈশাখী নামে পরিচিত । উত্তর পশ্চিম দিক থেকে এই ঝড়ের আগমন ঘটে বলে এর ইংরেজি নাম ‘ নর ওয়েস্টার ‘ । কালবৈশাখীর বায়ুপ্রবাহ খুবই ঠান্ডা , তাই এই বায়ুর প্রভাবে গ্রীষ্মকালীন উষ্ণতা একলাফে অনেকটা নেমে যায় । গ্রীষ্মকালের শুরুতে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমপ্রান্তে ছোটোনাগপুর মালভূমি । অঞ্চলে স্থানীয়ভাবে নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হলে , ওই নিম্নচাপযুক্ত অঞ্চল ভরাট করার জন্য উত্তরের শীতল বায়ু এবং দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ছুটে আসে । এই দুই বিপরীতধর্মী বায়ুপ্রবাহের সংঘর্ষের ফলে কালবৈশাখীর ঝড় – বৃষ্টি সৃষ্টি হয়ে থাকে ।
Answer: শরৎকালে প্রত্যাবর্তনকারী শুষ্ক মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে । সমুদ্রের অপেক্ষাকৃত উষ্ণতা – আর্দ্র বায়ুর সংঘর্ষে মাঝে মাঝে 7
ঘূর্ণবাতের উৎপত্তি ঘটে । এই ঘূর্ণবাত অত্যন্ত গভীর হলে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় । একেই বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে সাইক্লোন । বলা হয় । এই ঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়ে প্রবল ঝড় – বৃষ্টি ঘটায় । এই ঘূর্ণিঝড়ই পশ্চিমবঙ্গে সাইক্লোন নামে পরিচিত ।
Answer: ভারতে মৌসুমি বায়ুর দুটি শাখার মধ্যে একটি হল আরব সাগরীয় শাখা । • আরব সাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আরব সাগরীয় শাখা জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই দক্ষিণ – পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে পশ্চিম উপকূলের পশ্চিমঘাট পর্বতমালায় বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং এই পর্বত ও আরব সাগরের উপকূলের মধ্যবর্তী গোয়া ( কোঙ্কন উপকূল ) ও কেরলে মালাবার উপকূলে প্রবল শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটায় ( গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত ২৫০ সেমি – এর বেশি ) । • এরপর পশ্চিমঘাট পর্বত অতিক্রম করে । এই বায়ুপ্রবাহ মধ্যপ্রদেশ ও দাক্ষিণাত্য মালভূমিতে প্রবেশ করে । কিন্তু পশ্চিমঘাট পর্বতের অপর দিকে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল অবস্থিত হওয়ায় জলীয় বাষ্পে ঘাটতি পড়ে বলে এইসব অঞ্চলে গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৫০ সেন্টিমিটারেরও কম । এই বায়ুপ্রবাহ যতই আরও পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে থাকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও ততই কমতে থাকে । আরব সাগরীয় মৌসুমি বায়ুর উত্তর শাখা উত্তরে রাজস্থানের দিকে অগ্রসর হয় , এবং জলীয় বাষ্প অত্যন্ত কম থাকায় বৃষ্টি অত্যন্ত কম ( ২৫ সেমির কম ) ।
Answer: ভারতে মৌসুমি বায়ুর যে শাখা বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তা বঙ্গোপসাগরীয় শাখা । 1) দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বঙ্গোপসাগরীয় শাখার প্রভাবে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের বদ্বীপ সমভূমি অঞ্চল ও উত্তর – পূর্ব ভারতের পাহাড়ি রাজ্যগুলিতে প্রবল বৃষ্টিপাত হয় ।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে , দক্ষিণ – পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে খাসি পাহাড়ের দক্ষিণের বায়ুমুখী ঢালে অবস্থিত চেরাপুঞ্জি – মৌসিনরাম অঞ্চলে পৃথিবীর মধ্যে সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হয় ( ১,২৫০-১,৪০০ সেমি ) , কিন্তু বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় এই পার্বত্য অঞ্চলের উত্তর ঢালে ( অনুবাত ঢালে ) অবস্থিত শিলং শহরে বৃষ্টিপাত হয় বছরে মাত্র ২৫০ সেমি । ও দক্ষিণ – পূর্ব মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ পূর্ব হিমালয়ে পৌঁছোনোর পর পশ্চিমমুখী হয়ে গাঙ্গেয় সমভূমির মধ্য দিয়ে যতই পাঞ্জাব ও রাজস্থানের নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয় , বৃষ্টিপাত ততই কমতে থাকে । উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে , দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ুপ্রবাহের প্রভাবে নিম্ন গাঙ্গেয় সমভূমির কলকাতায় বছরে ২০০ সেমি মধ্য গাঙ্গেয় সমভূমির পাটনায় বছরে ১৫০ সেমি এবং উচ্চ গাঙ্গেয় সমভূমির হরিদ্বারে বছরে প্রায় ১০০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয় । এই বায়ু যখন রাজস্থানে পৌঁছোয় , জলীয় বাষ্পের অভাবে সেখানে বৃষ্টি কম হয় ।
Answer: ভারতের ৯০ % বৃষ্টিপাত দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সংঘটিত হয় , কিন্তু মৌসুমি বৃষ্টিপাত খুবই অনিশ্চিত , কারণ ১ প্রতি বছর মৌসুমি বায়ু সমপরিমাণে জলীয় বাষ্প নিয়ে আসে না । আবার ও মৌসুমি বায়ুর আগমন ও প্রত্যাগমন প্রতি বছর একই সময়ে ঘটে না । এর ফলে কোনও বছর মৌসুমি বায়ুর দ্বারা কম জলীয় বাষ্প আমদানি ও এই বায়ুপ্রবাহ দেরিতে আসার ফলে ভারতে অনাবৃষ্টি বা খরা দেখা দেয় , আবার কোনো বছর অতিরিক্ত পরিমাণ জলীয় বাষ্প আমদানি এবং দেরিতে প্রত্যাগমনের ফলে ভারতে অতিবৃষ্টি ও বন্যার প্রাদুর্ভাব লক্ষ করা যায় ।
Answer: থর মরুভূমির বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থান এই অঞ্চলে মরুভূমি সৃষ্টি করতে সাহায্য করেছে ,
কারণ : ( আরব সাগর থেকে জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে দক্ষিণ – পশ্চিম বায়ুর | আরব সাগরীয় শাখা , পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটানোর পরে সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছের উপকূল অতিক্রম করে মরু অঞ্চলের উপর দিয়ে যখন প্রবাহিত হয় , তখন এই বায়ুতে জলীয় বাষ্প বিশেষ থাকে না , তাই দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি | বায়ুর প্রভাবে এই অঞ্চলে নামমাত্র বৃষ্টিপাত হয় । বঙ্গোপসাগরীয় শাখা উত্তর ভারত অতিক্রম করে যখন এখানে পৌঁছোয় তখন জলীয় বাষ্প খুব কম থাকায় বৃষ্টি খুবই কম । এ ছাড়া , ২) মরুভূমি অঞ্চলে মৌসুমি বায়ুপ্রবাহকে বাধা দেওয়ার জন্য কোনো । উঁচু পর্বত না – থাকায় এবং এই অঞ্চলের একমাত্র পর্বত আরাবল্লি উত্তর – দক্ষিণে প্রসারিত হওয়ায় এই অঞ্চলে বার্ষিক বৃষ্টিপাত হয় খুবই কম ( বছরে ১৫ সেন্টিমিটারেরও কম ) । কোনো কোনো বছর থর মরুভূমিতে বৃষ্টিপাত একেবারেই হয় না । এত কম বৃষ্টিপাতের ফলেই ভারতের পশ্চিমপ্রান্তে থর মরুভূমির সৃষ্টি হয়েছে ।
Answer: মেঘালয় কথার অর্থ ‘ মেঘের আলয় ’ বা ‘ মেঘের দেশ ‘ । মেঘালয় রাজ্যের বিশেষ ভৌগোলিক ও জলবায়ুগত অবস্থানের জন্য বঙ্গোপসাগর থেকে আগত জলীয় বাষ্পপূর্ণ আর্দ্র বায়ু বাংলাদেশের সুরমা উপত্যকা পার হয়ে মেঘালয় রাজ্যের গারো , খাসি , জয়ন্তিয়া পাহাড়ের খাড়া ঢালে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে হঠাৎ অনেক উঁচুতে উঠে যায় এবং ঘনীভূত হয়ে সেখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায় । পৃথিবীর সর্বাধিক বৃষ্টিবহুল স্থান এখানেই অবস্থিত । প্রবল বৃষ্টি ও আকাশ মেঘে ঢাকা থাকে বলে এই রাজ্যের নামকরণ হয় মেঘালয় ।
Answer: গ্রীষ্মকালীন দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এবং শীতকালীন উত্তর – পূর্ব মৌসুমি বায়ু , — ঋতুপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই দুই বায়ুপ্রবাহের দিকও পরিবর্তন হয় । মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারতে প্রায় ৯০ % বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে । ভারতের স্বাভাবিক বনভূমি , কৃষি ও কৃষিজাত ( যেমন — পাট , চিনি , চা , কফি প্রভৃতি ) শিল্পই শুধু নয় , এদেশের অধিবাসীদের খাদ্য , বাসস্থান এবং জীবিকাও মৌসুমি বায়ুর গতিপ্রকৃতির ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল । এ ছাড়া শীতকালীন মৌসুমি বায়ু উত্তর – পূর্ব দিক থেকে স্থলভাগের উপর দিয়ে বয়ে আসে বলে ওই বায়ুতে জলীয় বাষ্প থাকে । না , ফলে এই বায়ুর প্রভাবে শীতকালে ভারতে বৃষ্টি হয় না । মৌসুমি জলবায়ুর দ্বারা প্রভাবিত ভারতকে ‘ মৌসুমি জলবায়ুর দেশ ‘ বলা হয় । বা বলা যায় যে , ভারত হল মৌসুমি বায়ুর প্রধান বিচরণক্ষেত্র ।
Answer: ভারতের জলবায়ুতে মৌসুমি বায়ুর বিরাট প্রভাব লক্ষ করা যায় । তাই ভারতকে ‘ মৌসুমি জলবায়ুর দেশ বলা হয় । ভারতের জলবায়ু ও জনজীবনে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবগুলি হল— জলবায়ুর ওপর প্রভাব :
( বৃষ্টিপাত : ভারতের অধিকাংশ বৃষ্টিপাত মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঘটে থাকে । ভারতের বর্ষাকাল মৌসুমি বায়ুর আগমন , বিচরণ ও গতিপ্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল । ঋতুবৈচিত্র্য : মৌসুমি বায়ুর দিক পরিবর্তনের সাথে সাথে ভারতের ঋতুপরিবর্তন হয়ে থাকে , যথা — শীত , গ্রীষ্ম , বর্ষা ও শরৎ । বৃষ্টিপাতের অসম বণ্টন : ভারতে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের বণ্টন সর্বত্র সমান নয় ।
বৃষ্টিপাতের ছেদ ( Break of Monsoon ) : মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে একটানা বৃষ্টিপাতের মাঝে মাঝে বৃষ্টিপাতের ছেদ ঘটে । ৫ আর্দ্র গ্রীষ্মকাল ও শুষ্ক শীতকাল : জলীয় বাষ্পপূর্ণ দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গ্রীষ্মকাল হল আর্দ্র ও জলীয় বাষ্পহীন উত্তর – পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে শীতকাল হল শুষ্ক । বায়ুপ্রবাহ : গ্রীষ্মকালে সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে মৌসুমি বায়ুর প্রবাহ দেখা যায় ( সমুদ্রবায়ু ) এবং শীতকালে স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ দেখা যায় ( স্থলবায়ু ) ।
উষ্ণতা : মৌসুমি বায়ুর আগমনে আকাশ মেঘে ঢেকে যায় ও বৃষ্টি হয় বলে ভারতের গড় উষ্ণতা ৫ ° -১০ ° C কমে যায় । আবার শরৎকালে মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাগমনে আকাশ মেঘমুক্ত হয় বলে গড় উষ্ণতা কিছুটা বেড়ে যায় ।
ঘূর্ণবাতের উৎপত্তি শরৎকালের প্রত্যাগমনকারী মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে যেসকল ঘূর্ণবাতের সৃষ্টি হয় , তার প্রভাবে পূর্ব উপকূল বরাবর মাঝে মাঝে প্রবল ঝড় – বৃষ্টি হয় । জনজীবনে প্রভাব : ( কৃষিকাজের ওপর প্রভাব ভারতের কৃষিকাজ মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভরশীল ( বিশেষত খারিফ শস্য ) ।
কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপন ভারতে কৃষিভিত্তিক শিল্প ( বস্ত্র শিল্প , চিনি শিল্প , পাট শিল্প ) স্থাপনেও মৌসুমি বায়ুর পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে ।
অরণ্যসম্পদ সৃষ্টি মৌসুমি বায়ুজনিত বৃষ্টিপাতের তারতম্য ভারতের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল ও পশ্চিমঘাট পার্বত্য অঞ্চলে প্রচুর অরণ্যসম্পদ সৃষ্টি করেছে ।
মৃত্তিকার ওপর প্রভাব : মৃত্তিকা সৃষ্টি , মৃত্তিকার গঠন ইত্যাদি নানান বিষয় নির্ভর করে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ওপর ।
অর্থনৈতিক বিকাশ ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশসাধনে মৌসুমি বায়ু প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য করে । ও জীবনযাত্রা : ভারতের বেশিরভাগ মানুষের খাদ্যাভ্যাস , জীবিকা , পোশাক , বাসস্থান মৌসুমি বায়ু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় ।
জীবন ও সম্পত্তিহানি : মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে মাঝে মাঝে যে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয় , তা অনেক সময় জীবন ও সম্পত্তির বিনাশ ঘটায় ।
খরা ও বন্যার প্রভাব মৌসুমি বায়ুর খামখেয়ালিপনার কারণে এখানে মাসে মাসে স্বল্পবৃষ্টিতে খরা ও প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা দেখা দেয় । খরা ও বন্যা উভয়ই জনজীবন ও অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলে ।
Ans; গ্রীষ্মকালে উত্তর – পশ্চিম ভারতে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ভারতের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় । এর প্রভাবে ভারতের অধিকাংশ বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয় । মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারতে গ্রীষ্মকাল আর্দ্র ও শীতকাল প্রায় শুষ্ক থাকে । ভারতের প্রায় ৯০ % বৃষ্টিপাত মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে হয়ে থাকলেও মৌসুমি বৃষ্টিপাত ভারতে অত্যন্ত অনিশ্চিত । মৌসুমি বায়ুর এই খামখেয়ালিপনার জন্যই ভারতে কোনো বছর খরা ও কোনো বছর বন্যার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় । মৌসুমি বৃষ্টিপাত ভারতের মৃত্তিকা , স্বাভাবিক উদ্ভিদ ও কৃষিকাজের ওপর প্রভাব বিস্তার করে । নিম্নে এই সম্পর্কে আলোচনা করা হল –
মৃত্তিকার ওপর প্রভাব মৃত্তিকার উৎপত্তি , আর্দ্রতা , শুষ্কতা , মৃত্তিকা ক্ষয় , ভূমিধস ইত্যাদির ওপর মৌসুমি বৃষ্টির প্রভাব ফেলে । বৃষ্টির পরিমাণের তারতম্য ঘটে । যেসব অঞ্চলে বেশি বৃষ্টিপাত হয় সেখানে ধৌত প্রক্রিয়াও বেশি হয় ও মাটি বেশি উর্বর হয় । আবার যেসব অঞ্চলে স্বল্প বৃষ্টিপাত হয় সেখানে জলসেচের মাধ্যমে কৃষিকাজ করা হয় ও মাটির লবণতা বৃদ্ধি পায় । মৃত্তিকার উৎপত্তির ক্ষেত্রে দেখা যায় যে , অধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত । অঞ্চলে প্রধান শিলাস্তর থেকে এলুভিয়েশান প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় । ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা আবার স্বল্প বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে লাভা শিলা থেকে রেগুর মৃত্তিকা সৃষ্টি হয় । অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে অনাবৃত ভূমিতে মৃত্তিকা ক্ষয় বাড়ে ।
বাভাবিক উদ্ভিদের ওপর প্রভাব : ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে স্বাভাবিক উদ্ভিদের প্রকৃতি বিশেষভাবে নির্ভর করে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও বণ্টনের ওপর । যে সব অঞ্চলে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২০০ সেমির বেশি , সেখানে চিরহরিৎ উদ্ভিদ দেখা যায় ।
যেমন — পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে , পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে এই অরণ্য দেখা যায় । ভারতে শীতকাল শুষ্ক বলে এখানে পর্ণমোচী বৃক্ষের বনভূমি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় , যেখানে বৃষ্টিপাত ৫০-১০০ সেমি সেখানে শুষ্ক পর্ণমোচী বৃক্ষের অরণ্য দেখা যায় । নদী মোহানাগুলিতে লবণাক্ত জলের সবুজ ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ জন্মায় , যেমন— সুন্দরবন । শুষ্ক জলবায়ুর সীমানার দিকে ৫০ সেমির কম বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে হালকা জঙ্গল , কাঁটা ঝোপঝাড় ও সাভানা তৃণভূমি জন্মায় । যেমন — গুজরাটের পশ্চিমাংশ , রাজস্থানের মরুভূমি ইত্যাদি ।
কৃষিকাজের ওপর প্রভাব : ভারতের কৃষিকাজ সম্পূর্ণরূপে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভরশীল । মৌসুমি বৃষ্টিপাতের পরিমাণ , বণ্টন এবং তার আগমন ও প্রত্যাগমনের ওপর ভিত্তি করে ভারতে শস্য ক্যালেন্ডার তৈরি হয় । খরিফ শস্যের চাষ হয় মৌসুমি বৃষ্টিপাত দ্বারা প্রভাবিত অধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে । আবার কম বৃষ্টিপাতযুক্ত সময়ে জলসেচের মাধ্যমে রবি শস্যের চাষ হয় । এমনকি বাগিচা ফসল , তফসল চাষও বৃষ্টিপাত ও উষ্ণতার ভূমিকা অপরিসীম ।
Answer: 1. মৌসুমি বায়ুর অত্যধিক প্রভাব : ভারতের জলবায়ুতে ঋতুপরিবর্তন হয় প্রধানত দুটি বিপরীতধর্মী মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে । যথা — একটি হল গ্রীষ্মকালীন দক্ষিণ – পশ্চিম আৰ্দ্ৰ মৌসুমি বায়ু এবং অপরটি হলো উত্তর – পূর্ব শুষ্ক মৌসুমি বায়ু । তাই ভারতকে ‘ মৌসুমি জলবায়ুর দেশ বলা হয় ।
Answer: যেসব উপাদান ভারতের জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে । সেগুলি হল অক্ষাংশগত অবস্থান ভারত এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত এবং উত্তরে ৩৭ ° ৬ উত্তর অক্ষাংশ থেকে দক্ষিণে ৮ ° ৪ ° উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত । এ ছাড়া কর্কটক্রান্তি রেখা ( ২৩ ° ৩০ ′ উত্তর অক্ষাংশ ) ভারতের প্রায় মধ্যভাগ দিয়ে গেছে , ফলে অক্ষাংশ অনুসারে ভারতের উত্তরাংশ নাতিশীতোয় মণ্ডলে এবং ভারতের দক্ষিণাংশ উষ্ণুমণ্ডলে অবস্থিত ।
[ ২ ] উচ্চতা : সাধারণত সমুদ্র সমতল থেকে কোনো স্থানের প্রতি কিলোমিটার উচ্চতা বৃদ্ধিতে ৬.৪ ° সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে যায় । তাই গাঙ্গেয় সমভূমির তুলনায় সুউচ্চ হিমালয় অঞ্চলের গড় তাপমাত্রা সারাবছর অনেক কম থাকে । যেমন — উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে ( লাহুল স্পিতি উপত্যকা , কেদার – বদ্রী , রোটাং পাস ইত্যাদি ) তাপমাত্রা সারাবছরই ১০ ° C- এর নীচে থাকে ।
জেট বায়ুর প্রভাব : ভারতের আবহাওয়া ও জলবায়ুর ওপর জেট বায়ুর প্রভাব তাৎপর্যপূর্ণ । দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ু যখন ভারতে প্রবেশ করে তার আগেই পশ্চিমা জেট বায়ু ( Westerly Jet ) উত্তর দিকে সরে যায় । তবে এই সময় ভারতের ওপর জেট বায়ু ( Easterly Jet ) থাকে তার অবস্থানের । কোনো কোনো স্থানে বৃষ্টিপাত – এর নিবিড়তা ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায় ।
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Bengali Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik English Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Geography Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik History Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Physical Science Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Life Science Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Mathematics Suggestion 2023 Click Here
PDF Name : মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF
Price : FREE
Download Link1 : Click Here To Download
Download Link2 : Click Here To Download
West Bengal Madhyamik Geography Suggestion PDF prepared by expert subject teachers. WB Madhyamik Geography Suggestion with 100% Common in the Examination.
West Bengal Madhyamik Geography Suggestion Download. WBBSE Madhyamik Geography short question suggestion. Madhyamik Geography Suggestion PDF download. Madhyamik Question Paper Geography.
মাধ্যমিক ভূগোল (Madhyamik Geography) ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর।
মাধ্যমিক ভূগোল পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বোর্ডের (WBBSE) সিলেবাস বা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী দশম শ্রেণির ভূগোল বিষয়টির সমস্ত প্রশ্নোত্তর। সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা, তার আগে winexam.in আপনার সুবিধার্থে নিয়ে এল মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশান – ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর । ভূগোলে ভালো রেজাল্ট করতে হলে অবশ্যই পড়ুন । আমাদের মাধ্যমিক ভূগোল ।
আমরা WBBSE মাধ্যমিক পরীক্ষার ভূগোল বিষয়ের – ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর – সাজেশন নিয়ে ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর নিয়ে ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়)চনা করেছি। আপনারা যারা এবছর দশম শ্রেণির ভূগোল পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাদের জন্য আমরা কিছু প্রশ্ন সাজেশন আকারে দিয়েছি. এই প্রশ্নগুলি পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণির ভূগোল পরীক্ষা তে আসার সম্ভাবনা খুব বেশি. তাই আমরা আশা করছি Madhyamik ভূগোল পরীক্ষার সাজেশন কমন এই প্রশ্ন গুলো সমাধান করলে আপনাদের মার্কস বেশি আসার চান্স থাকবে।
মাধ্যমিক ভূগোল, মাধ্যমিক ভূগোল, মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর, নবম শ্রেণি ভূগোল, দশম শ্রেণি ভূগোল, নবম শ্রেণি ভূগোল, দশম শ্রেণি ভূগোল, ক্লাস টেন ভূগোল, মাধ্যমিকের ভূগোল, ভূগোল মাধ্যমিক – ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়), দশম শ্রেণী – ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়), মাধ্যমিক ভূগোল ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়), ক্লাস টেন ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়), Madhyamik Geography – ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়), Class 10th ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়), Class X ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়), ইংলিশ, মাধ্যমিক ইংলিশ, পরীক্ষা প্রস্তুতি, রেল, গ্রুপ ডি, এস এস সি, পি, এস, সি, সি এস সি, ডব্লু বি সি এস, নেট, সেট, চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতি, Madhyamik Geography Suggestion , West Bengal Madhyamik Class 10 Geography Suggestion, West Bengal Secondary Board exam suggestion , WBBSE , মাধ্যমিক সাজেশান, মাধ্যমিক সাজেশান , মাধ্যমিক সাজেশান , মাধ্যমিক সাজেশন, মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশান , মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশান , মাধ্যমিক ভূগোল , মাধ্যমিক ভূগোল, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, Madhyamik Geography Suggestion Geography , মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF,মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF, Madhyamik Class 10 Geography Suggestion PDF.
এই ” মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের জলবায়ু (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF ” পোস্টটি থেকে যদি আপনার লাভ হয় তাহলে আমাদের পরিশ্রম সফল হবে। আরোও বিভিন্ন স্কুল বোর্ড পরীক্ষা, প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার সাজেশন, অতিসংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত ও রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (All Exam Guide Suggestion, MCQ Type, Short, Descriptive Question and answer), প্রতিদিন নতুন নতুন চাকরির খবর (Job News in Geography) জানতে এবং সমস্ত পরীক্ষার এডমিট কার্ড ডাউনলোড (All Exam Admit Card Download) করতে winexam.in ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।
একাদশ শ্রেণীর সমস্ত বিষয় সাজেশন ২০২৩ Class 11 All Subjects Suggestion 2023 PDF Download একাদশ…
একাদশ শ্রেণীর গণিত সাজেশন ২০২৩ Class 11 Mathematics Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর গণিত…
একাদশ শ্রেণীর জীববিদ্যা সাজেশন ২০২৩ Class 11 Biology Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর জীববিদ্যা…
একাদশ শ্রেণীর রসায়ন সাজেশন ২০২৩ Class 11 Chemistry Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর রসায়ন…
একাদশ শ্রেণীর পদার্থবিদ্যা সাজেশন ২০২৩ Class 11 Physics Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর পদার্থবিদ্যা…
একাদশ শ্রেণীর সমাজবিজ্ঞান সাজেশন ২০২৩ Class 11 Sociology Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর সমাজবিজ্ঞান…