ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত - পঞ্চম অধ্যায়) - মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF
মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন – ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) সাজেশন | Bharater Savabik Udvid – Madhyamik Geography Suggestion PDF : ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন ও অধ্যায় ভিত্তিতে প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হল। এবার পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষায় বা মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষায় ( WB Madhyamik Geography Suggestion PDF | West Bengal Madhyamik Geography Suggestion PDF | Bharater Savabik Udvid – WBBSE Board Class 10th Geography Question and Answer with PDF file Download) এই প্রশ্নউত্তর ও সাজেশন খুব ইম্পর্টেন্ট । আপনারা যারা আগামী মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য বা মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) | Madhyamik Geography Suggestion PDF | WBBSE Board Madhyamik Class 10th (X) Geography Suggestion Question and Answer খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর ভালো করে পড়তে পারেন।
পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন (West Bengal Madhyamik Geography Suggestion PDF / Notes) ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর – MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (SAQ), সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (Short Question and Answer), ব্যাখ্যাধর্মী বা রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (descriptive question and answer) এবং PDF ফাইল ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে দেওয়া রয়েছে।
Answer : শুষ্ক পর্ণমোচী অরণ্য ।
Answer : অন্ধ্রপ্রদেশে ।
Answer : উত্তরাখণ্ড রাজ্যের দেরাদুনে ।
Answer : উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদে ।
Answer : Forest Research Institute .
Answer : উপদ্বীপীয় মালভূমি ও পাহাড়ি অঞ্চলে ।
Answer : ড . কানাইয়ালাল মাণিকলাল মুনশি ।
Answer : Tiparian Tree .
Answer : আবহবিজ্ঞানী চ্যাম্পিয়ন ।
Answer : উদ্ভিদ রেখা ।
Answer : প্রায় এক শতাংশ ।
Answer : ভূপ্রকৃতি , জলবায়ু ও মৃত্তিকা ।
Answer : ১২ % ।
Answer : পর্ণমোচী ।
Answer : শুষ্ক পর্ণমোচী ।
Answer : আল্পীয় অরণ্য ।
Answer : সরলবর্গীয় এবং আল্পীয় অরণ্য ।
Answer : সরলবর্গীয় ।
Answer : ক্রান্তীয় পর্ণমোচী উদ্ভিদ ।
Answer : দেবদারু / ওক / বার্চ / ম্যাপল ।
Answer : (B) পার্বত্য অঞ্চলে
Answer : (A) পডসল
Answer : (D) সুন্দরী
Answer : (B) ম্যানগ্রোভ
Answer : (D) পাঞ্জাব
Answer : (A) জলবায়ু
Answer : (B) গঙ্গা বদ্বীপে
Answer : (D) ২১.০৫ %
Answer : (B) পুনর্ভব
Answer : (B) পর্ণমোচী
Answer : (A) ইউক্যালিপটাস
Answer : (B) ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে
Answer : (B) পর্ণমোচী প্রকৃতির
Answer : (D) ১০ শতাংশ
Answer : (B) ক্রান্তীয় পর্ণমোচী
16 কোন প্রকার অরণ্যে শ্বাসমূল ও ঠেসমূল দেখা যায় -(A) পর্ণমোচী(B) সাভানা(C) ম্যানগ্রোভ(D) মরু উদ্ভিদ
Answer : (C) ম্যানগ্রোভ
Answer : (A) ক্রান্তীয় চিরহরিৎ
Answer : (C) রোজউড
Answer : (A) চিরহরিৎ
Answer : (C) পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে
Answer : (B) কেরল
Answer : (A) পর্ণমোচী
Answer : (C) শুষ্ক পর্ণমোচী
Answer : (D) চিরহরিৎ
Answer : (D) চিরহরিৎ
Answer : (B) জেরোফাইট
Answer : (A) রাজস্থানের মরুপ্রান্তে
Answer : (D) ফণীমনসা
Answer : (C) আল্পীয়
Answer : (A) গুষ্ম ও তৃণ
Answer : C) আদ্র
Answer : (D) সুন্দরী
Answer : ক্রান্তীয় অঞ্চলে বর্ষার আগে গ্রীষ্মকালে গাছের জলের অভাব ঘটে । এই পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য অধিকাংশ গাছ গ্রীষ্মের আগে বসতে সব পাতা ঝরিয়ে ফেলে ।
Answer : শাল , সেগুন , শিমুল , মহুয়া , জারুল , শিরীষ , আম , জাম বিভিন্ন ধরনের ঘাস , কুল , পলাশ প্রভৃতি হল ক্রান্তীয় পর্ণমোচী অরণ্যের প্রধান উদ্ভিদ ।
Answer : ভারতের মরু অঞ্চলে অধিক উষ্ণতা ও শুষ্কতার জন্য ক্যাকটাস বা ফণীমনসা , কাঁটাগাছ বা বাবলা জাতীয় উদ্ভিদ জন্মায় । এই ধরনের উদ্ভিদকে জেরোফাইট বলা হয় ।
অথবা , ম্যানগ্রোভ অঞ্চলে ঠেসমূল দেখা যায় কেন ?
Answer : ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ নরম কাদামাটিতে জন্মায় । উপকূল অঞ্চলে প্রবাহিত প্রবল হাওয়ার বেগে গাছগুলি যাতে পড়ে না যায় , তার জন্য কাণ্ডের গোড়ার দিক থেকে এক রকমের অস্থানিক মূল বেরিয়ে মাটিতে প্রবেশ ঠেসমূল করে গাছগুলিকে ধরে রাখে । একেই ঠেসমূল বলা হয় ।
Answer : জলময় পরিবেশে জন্মানো গাছের ফল বা বীজগুলি জলে পড়ে যাতে নষ্ট না হয় বা ভেসে না যায় , তার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঝুলন্ত অবস্থায় বীজ থেকেই অঙ্কুরোদগম – এর মাধ্যমে নতুন উদ্ভিদের জন্ম হয় । একে বলে জরায়ুজ অঙ্কুরোদগম ।
Answer : ম্যানগ্রোভ অরণ্যের উদ্ভিদগুলি হল সুন্দরী , গরান , গেঁওয়া , কেয়া , গোলপাতা , হোগলা প্রভৃতি ।
Answer : সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ অঞ্চলে বিভিন্ন উদ্ভিদের মধ্যে সুন্দরী গাছের প্রাধান্য বেশি । তাই এই বনভূমির নামকরণ হয় সুন্দরবন ।
Answer : অরণ্য সংরক্ষণের অর্থ হল , বিচারবিবেচনা করে গাছ কাটা এবং সেইসঙ্গে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে গাছের অভাব পূরণ করা । অর্থাৎ অরণ্য ও অরণ্যজাত সম্পদের অপচয় বন্ধ করে প্রয়োজনমতো এবং বিজ্ঞানসম্মত ভাবে ব্যবহার করা , সুরক্ষিত রাখা ও বনভূমির পুনর্নবীকরণ করাকে অরণ্য সংরক্ষণ বলে ।
Answer : সামাজিক বনসৃজন হল জনগণের সহায়তায় গ্রামাঞ্চলের সামাজিক , অর্থনৈতিক ও পরিবেশের উন্নতির উদ্দেশ্যে বনভূমির সংরক্ষণ ও নতুন বনভূমি স্থাপন ।
Answer : কৃষকের নিজের জমিতে ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি কাঠ , সবুজ সার , পশুখাদ্য , ওষুধ , ফলমূল ইত্যাদি পাওয়ার জন্য গাছপালা লাগিয়ে যে বনভূমি গড়ে তোলা হয় তা হল কৃষি বনসৃজন ।
Answer : দুর্গমতার কারণে কাঠ সংগ্রহ কষ্টকর হলেও ( ১ ) মেহগনি , রোজউড , আয়রন উডের কদর খুব বেশি । আসবাব নির্মাণে এগুলি ব্যবহৃত হয় , ( ২ ) বন থেকে পাওয়া যায় বাঁশ ও বেত যা স্থানীয় কুটির শিল্পে ব্যবহৃত হয় ।
Answer : ভারতের উপকূল ও বদ্বীপ অঞ্চলসমূহে যেখানে সূক্ষ্ম পলিমাটির সঞ্চয় ও লবণাক্ত জলের প্রভাব রয়েছে এবং প্রতিদিন দুবার জোয়ার ও ভাটা হয় সেখানেই এই অরণ্য দেখা যায় ।
Answer : সারাবছর ব্যাপী উষ্ণও আর্দ্র গ্রীষ্ম ঋতুর জন্য গাছের বৃদ্ধিকালের কোনো নির্দিষ্ট সমীমিত সময় হয় না । তাই গাছগুলির গুঁড়িতে কোনো বর্ষবলয় থাকে না ।
Answer : জলবায়ু , মৃত্তিকা ও ভূমির প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে স্বাভাবিক উদ্ভিদ গড়ে ওঠে । জলবায়ুর উপাদান , বৃষ্টিপাত , আর্দ্রতা ও উয়তা উদ্ভিদকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে ।
Answer : বৃষ্টিপাত , উষ্ণতা , ভূপ্রকৃতি , মৃত্তিকা প্রভৃতির তারতম্য অনুসারে ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদকে প্রধানত পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে ।
যথা : ( ১ ) ক্রান্তীয় চিরহরিৎ অরণ্য ( ২ ) ক্রান্তীয় পর্ণমোচী অরণ্য ( ৩ ) ক্রান্তীয় মরু অরণ্য ( ৪ ) পার্বত্য উদ্ভিদ অরণ্য ও ( ৫ ) ম্যানগ্রোভ অরণ্য ।
Answer : ভারতের যেসব অঞ্চলে বার্ষিক ২০০ সেমির বেশি বৃষ্টিপাত হয় এবং গড় উয়তা ২৫ ° –৩০ ° সেলসিয়াস – এর মধ্যে এবং বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৮০ % -এর বেশি সেইসকল স্থানে যে উদ্ভিদ জন্মায় তাকেই বলে ক্রান্তীয় চিরহরিৎ উদ্ভিদ ।
Answer : ভারতের প্রায় ১২ % অঞ্চলজুড়ে রয়েছে এই অরণ্য । এই অরণ্য দেখা যায় আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ , পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢাল , উচ্চ অসম , নাগাল্যান্ড , মণিপুর , মিজোরাম এবং ত্রিপুরা ।
Answer : ভারতের যেসকল অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ২০০ সেমির বেশি , গড় উয়তা ২৫ ° – ৩০ ° সেলসিয়াস , আর্দ্রতার পরিমাণ ৮০ শতাংশের বেশি এবং বছরে ৮-৯ মাস জলবায়ু আর্দ্র প্রকৃতির সেখানে ক্রান্তীয় চিরহরিৎ উদ্ভিদ জন্মায় । অধিক বৃষ্টিপাত , উষ্ণতা ও আর্দ্রতার প্রভাবে গাছগুলি সারাবছর সবুজ থাকে । ক্রান্তীয় চিরহরিৎ অরণ্যের উদ্ভিদ চিরসবুজ কেন ? উত্তর : চিরহরিৎ অরণ্য অঞ্চলের গাছের পাতা শুকনো ঋতুতেও ঝরে পড়ে না । বেশি বৃষ্টির জন্য মাটি সবসময় ভিজে থাকে বলে গাছের কখনও জলের অভাব হয় না । এই কারণে গাছ সবসময় সবুজ পাতাতে ভরে থাকায় গাছগুলি চিরহরিৎ বা চিরসবুজ ।
Answer : রোজউড , আয়রনউড , এবনি , তুন , পুন , শিশু , বাঁশ , বেত প্রভৃতি হল ভারতের চিরহরিৎ অরণ্য অঞ্চলের উদ্ভিদ ।
Answer : চিরহরিৎ অরণ্যের গাছপালাগুলি বহু শাখাপ্রশাখাযুক্ত হয় এবং ভিজে মাটিতে সহজেই প্রচুর গাছপালা জন্মায় । এই বৃক্ষগুলি এত ঘনভাবে জন্মায় বলে বলা হয় যে ক্রান্তীয় চিরহরিৎ অরণ্যের ঘনত্ব খুব বেশি ।
Answer : চিরহরিৎ অরণ্যে অসংখ্য শাখাপ্রশাখা যুক্ত গাছগুলি এত ঘনভাবে জন্মায় যে , সূর্যালোক মাটিতে পৌছোতে পারে না । ফলে বনভূমির তলদেশ অন্ধকারাচ্ছন্ন , আর্দ্র ও স্যাঁতসেঁতে হয় । তাই একে চিরগোধূলি অঞ্চল বলে ।
Answer : অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও উয়তার অনুকূল্যে গাছগুলির অসংখ্য ভালপালা , সুপ্রশস্ত লম্বা পাতা বিস্তৃত হয়ে , গাছের মাথায় পরস্পর মিলে খোলা ছাতার মতো নিশ্ছিদ্র আস্তরণ তৈরি করে । একে অনেকটা চাঁদোয়ার মতো দেখতে চিরহরিৎ অরণ্যের উপরিভাগে সৃষ্ট চাদোয়া । লাগে বলে বলা হয় যে , চিরহরিৎ বৃক্ষের বনভূমির উপরের অংশে চাঁদোয়ার সৃষ্টি হয় ।
Answer : যেসকল অঞ্চলের উদ্ভিদের অধিকাংশই নির্দিষ্ট ঋতুতে সমস্ত পাতা ঝরে যায় , তাকে পর্ণমোচী শ্রেণির উদ্ভিদ বলে ।
Answer : যেখানে বার্ষিক গড় বৃষ্টি ৫০–২০০ সেমি এবং বৃষ্টির বেশিরভাগ ঘটে বর্ষাকালে সেখানে ক্রান্তীয় পর্ণমোচী উদ্ভিদ জন্মায় । গ্রীষ্মের আগে বসন্তে অধিকাংশ গাছ সব পাতা ঝরিয়ে ফেলে ।
Answer : অসম অববাহিকা , পশ্চিমবঙ্গ , বিহার , দাক্ষিণাত্য মালভূমির মধ্যপ্রদেশ , ছত্তিশগড় , ওড়িশা , তামিলনাড়ু , অন্ধ্রপ্রদেশ , মহারাষ্ট্র , কর্ণাটক প্রভৃতি অংশে ক্রান্তীয় পর্ণমোচী উদ্ভিদ দেখা যায় ।
Answer : মরু উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যগুলি হল— ( ১ ) এই অঞ্চলের উদ্ভিদগুলি অতি ক্ষুদ্র আকৃতির এবং এদের বৃদ্ধিও সীমিত । ( ২ ) শুষ্ক অঞ্চলে জলের অভাবের জন্য গাছের শিকড়গুলি খুব দীর্ঘ হয় ফলে মাটির অনেক গভীরে প্রবেশ করে জল সংগ্রহ করে । ( ৩ ) এইপ্রকার উদ্ভিদের কান্ড হয় খর্বকায় বা বেঁটে , শক্ত ও কাষ্ঠল । ( ৪ ) গাছে জল ধরে রাখার জন্য কোনো কোনো গাছের কাণ্ড হয় রসালো , চ্যাপটা ও ক্লোরোফিলযুক্ত এবং এদের রং হয় সবুজ । এইপ্রকার কাণ্ডকে বলে পর্ণকাণ্ড ।
যেমন — ফণীমনসা । ( ৫ ) গাছের জল যাতে পাতার মাধ্যমে বাষ্পমোচন হয়ে বেরিয়ে যেতে না পারে , তার জন্য গাছের কাণ্ড মোম জাতীয় পুরু ত্বকে ঢাকা থাকে ও গাছের গায়ে প্রচুর লোম ও কাঁটা থাকে । এদের পরকণ্টক বলে । ( ৬ ) উদ্ভিদগুলি বেশ দূরে দূরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান করে । ( 9 ) উদ্ভিদগুলির উচ্চতা ১০ মি . এর বেশি হয় না । এবং ( ৮ ) পরাগ মিলনের সুবিধার জন্য মরু উদ্ভিদের ফুলগুলি তীব্র গন্ধযুক্ত ও উজ্জ্বল রঙের হয় ।
Answer : পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে অবস্থিত সুন্দরবন ; এ ছাড়া গঙ্গা , মহানদী , গোদাবরী , কুয়া প্রভৃতি নদীর বদ্বীপ অঞ্চল , আন্দামান – নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নিম্ন উপকূলভাগ , গুজরাটের কচ্ছ । ও কাম্বে উপসাগরের উপকূলের নিম্ন জলাভূমিতে ম্যানগ্রোভ অরণ্য দেখা যায় । সুন্দরবন ভারতের তথা পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য । ভারতের মোট অরণ্যের ৬০ % সুন্দরবন অঞ্চলে অবস্থিত ।
Answer : ম্যানগ্রোভ অরণ্যের বৈশিষ্ট্যগুলি হল— ( ১ ) জোয়ার ভাটার প্রকোপে মাটি সবসময় স্যাঁতসেঁতে থাকে বলে উদ্ভিদগুলি চিরসবুজ ; ( ২ ) উদ্ভিদগুলি খর্বকার , শাখাপ্রশাখাযুক্ত এবং আকৃতি ছাতার মতো ; ( ৩ ) নরম মাটিতে যাতে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে তার জন্য গোড়ায় ঠেসমূল ও অধিমূল থাকে ; ম্যানগ্রোভ অরণ্য ( ৪ ) মাটিতে অক্সিজেন সরবরাহ কম থাকে বলে শ্বাসমূল দেখা যায় ; ( ৫ ) উদ্ভিদে জরায়ুজ অঙ্কুরোদগম দেখা যায় । প্রশ্ন ম্যানগ্রোভ অরণ্যের ব্যবহার লেখো । ( ১ ) কাঠ বাড়িঘর ও নৌকা তৈরিতে ব্যবহার হয় , ( ২ ) গোলপাতা ও হোগলা ঘর ছাউনিতে কাজে লাগে , ( ৩ ) বন থেকে মধু ও মোম সংগ্রহ হয় , ( ৪ ) স্থানীয় জ্বালানির জোগান আসে এই ভূমি থেকে ।
Answer : পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কোনো দেশে ৩৩.৩৩ % । বনভূমি থাকা প্রয়োজন । অথচ , বর্তমানে ভারতের বনভূমির পরিমাণ মাত্র ১৯.৪৫ % । তাই বনভূমির সংরক্ষণ একান্ত প্রয়োজন । বনভূমি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তাগুলি হল
( 1 ) মৃত্তিকা ক্ষয়রোধ উদ্ভিদের শিকড় মাটিকে ধরে রাখে । বনভূমি ধ্বংস হলে মৃত্তিকা বা ভূমিক্ষয় বাড়বে , যার প্রভাবে কৃষিকার্যের ক্ষতি হবে এবং সমভূমিতে বন্যা বাড়বে ।
( ২ ) মরুভূমির সম্প্রসারণ রোধ বনভূমি ধ্বংসের প্রভাবে মরুভূমির সংলগ্ন অঞ্চলও মরুভূমিতে পরিণত হয় । উদ্ভিদ দ্বারা বাধার অভাবে বালি ক্রমাগত উড়ে গিয়ে অন্যস্থানে সঞ্চিত হয় । এবং অঞ্চলটি মরুভূমিতে পরিণত হয় ।
( ৩ ) পরিবেশের ভারসাম্য উদ্ভিদ দিনের বেলা CO2 গ্রহণ করে । ও O2 ছাড়ে । উদ্ভিদের সংখ্যা কমলে CO2 এর পরিমাণ বাড়বে । ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হবে ।
( 8 ) জীবজগতের ভারসাম্য রক্ষা : ক্রমাগত বনভূমির উদ্ভিদের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকা প্রাণীকুল ধ্বংস হবে । ফলে পরিবেশে খাদ্যশৃঙ্খল বিনষ্ট হবে । ফলে বাস্তুতন্ত্রের বিঘ্ন হবে ।
( ৫ ) ভৌমজলের ভাণ্ডার পুরণ ও বন্যা রোধ : উদ্ভিদ মাটিকে ধরে রাখে । উদ্ভিদের শিকড় ও মাটির মধ্যে দিয়ে জল টুইয়ে চুইয়ে অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ফলে ভৌমজলের ভাণ্ডার বাড়ে ও পৃষ্ঠপ্রবাহ কমে । ফলে বন্যার সম্ভাবনা কমে । এ ছাড়া বনভূমি সংরক্ষণের ফলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায় , বনজসম্পদ ও জ্বালানি কাঠের জোগান বাড়ে এবং কিছুটা আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ হয় ।
Answer : সামাজিক বনসৃজনের উদ্দেশ্য হল —– ( ১ ) চাহিদা অনুযায়ী নতুন বনভূমি রোপণ ও আদি বনভূমির সংরক্ষণ , ( ২ ) পতিত জমিতে গাছ লাগিয়ে জমি ব্যবহারের উন্নতি , ( ৩ ) রোপণ করা গাছ থেকে ফল , কাঠ , জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ , ( ৪ ) কাগজ , প্লাইউড শিল্পে কাঠের জোগান সুনিশ্চিত করা , ( ৫ ) পশুখাদ্যের জোগান বৃদ্ধি , ( ৬ ) গ্রামের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন , ( ৭ ) মাটি ও জালের সংরক্ষণ ।
Answer : সামাজিক বনসৃজন – এর অঞ্চলগুলি হল— ( ১ ) পতিত জমি , ( ২ ) রাস্তা ও রেললাইনের পার্শ্ববর্তী খালি জমি , ( ৩ ) নদী ও খালপাড়ের জায়গা , ( ৪ ) পঞ্চায়েতের অব্যবহৃত জমি , ( ৫ ) শহর ও শিল্পাঞ্চলের ফাঁকা স্থান , ( ৬ ) বাড়ি , বিদ্যালয় , অফিস , ধর্মস্থানের আশেপাশের জায়গা , ( ৭ ) খনির পার্শ্ববর্তী ও অব্যবহৃত খনি অঞ্চল প্রভৃতি । প্রশ্ন ১৫ | কৃষি বনসৃজনের উদ্দেশ্য কী ? ডিত্তর : কৃষি বনসৃজনের উদ্দেশ্যগুলি হল— ( ১ ) অব্যবহৃত ও পতিত জমি যেখানে চাষ সম্ভব নয় সেই জমিকে উৎপাদনশীল কৃষকের করা , পরিবারের অতিরিক্ত কর্মসংস্থান , ( ৩ ) কাঠ , ফল , ফুল বিক্রি করে কৃষকের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি , ( 8 ) ভূমিক্ষয় রোধ , ( ৫ ) প্রয়োজনীয় কৃষি বনসৃজন জ্বালানির চাহিদা মেটানো । ( ৬ ) ভেষজ উদ্ভিদ লাগিয়ে ওষুধ শিল্পে কাঁচামালের জোগান বৃদ্ধি , ( ৭ ) পশুখাদ্যের জোগান , ( ৮ ) জমিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বাড়িয়ে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি ।
Answer : অবস্থান : পূর্ব হিমালয়ের ৩০০০-৪০০০ মি . উচ্চতায় এবং পশ্চিম হিমালয়ের ২০০০- ৪০০০ মি . উচ্চতায় এই বনভূমি দেখতে পাওয়া যায় ।
বৈশিষ্ট্য : ( ১ ) তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী শীতকালের জন্য এখানে প্রবল তুষারপাত হয় । ফলে গাছগুলির আকৃতি অনেকটা মোচার মতো অর্থাৎ শঙ্কু আকৃতির হয় । ফলে তুষারপাতের পর অনায়াসে তুষার ঝড়ে পড়ে যায় । ( ২ ) গাছগুলি অনেক দীর্ঘ বা লম্বা আকৃতির হয় । ( ৩ ) এই বৃক্ষে সারাবছর পাতা দেখা যায় । ( ৪ ) এই অরণ্য বিশেষ ঘন হয় না । শঙ্কু আকৃতির সরলবর্গীয় উদ্ভিদ ( ৫ ) এই গাছের কাঠগুলি নরম ও হালকা প্রকৃতির হয় । ( ৬ ) বছরের বেশিরভাগ সময় মাটি তুষারাবৃত থাকে বলে এই জাতীয় বনভূমিতে ঝোপঝাড় বা লতাগুল্ম জন্মাতে পারে না । সেইজন্যে এই বনভূমির তলদেশ খুব পরিষ্কার থাকে ।
Answer : ভারতের পার্বত্য অঞ্চলের মিশ্র অরণ্য : ভারতের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে পূর্ব হিমালয়ের ১০০০-৩০০০ মি . উচ্চতায় এবং পশ্চিম হিমালয়ের ১৫০০ – ২৫০০ মি . উচ্চতায় ইউক্যালিপটাস , উড , পপলার , ওয়ালনাট , ওক , চেস্টনাট , স্পুস , পাইন ইত্যাদি পর্ণমোচী 3 চিরহরিং মিশ্র অরণ্য মিশ্র অরণা দেখা যায় । অরণ্যের বৈশিষ্ট্য : মিশ্র বনভূমিতে সামগ্রিক ভাবে অধিকাংশ বৃক্ষ পর্ণমোচী যারা শীতকাল ছাড়া সারাবছর সবুজ থাকে ।
Answer : ( i ) চিরহরিৎ অরণ্য অঞ্চলের গাছের পতা শুকনো ঋতুতেও ঝরে পড়ে না । বেশি বৃষ্টির জন্য মাটি সবসময় ভিজে থাকে বলে গাছের কখনও জলের অভাব হয় না । এই কারণে ও গাছ সবসময় সবুজ পাতাতে ভরে থাকায় গাছগুলি চিরহরিৎ বা চিরসবুজ । ( ii ) চিরহরিৎ বনভূমির গাছগুলির কাঠ শক্ত ও ভারী । ( iii ) চিরহরিৎ গাছের পাতা যথেষ্ট চওড়া এবং ঘনসবুজ । ( iv ) সূর্যকিরণ পাওয়ার আশায় চিরহরিৎ অরণ্যের বৃক্ষগুলির উচ্চতা খুব বেশি হয় ( গড় ৩৫–৪৫ মিটার ) । ( v ) চিরহরিৎ অরণ্যের উদ্ভিদের ঘনত্ব খুব বেশি হয় । ( vi ) চিরহরিৎ অরণ্য অঞ্চলে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ঘনসন্নিবিষ্ট হয়ে অবস্থান করার ফলে সূর্যকিরণ মাটিতে প্রবেশ করতে পারে না । ( vii ) এই অরণ্যের ভূমিসংলগ্ন তলদেশ গুল্ম , লতাপাতা , আগাছা ও অর্কিড জাতীয় পরগাছা উদ্ভিদে পূর্ণ থাকে ।
Answer : উত্তর – পূর্ব ভারত , আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং পশ্চিমঘাট পর্বতের ঢালে বাৎসরিক গড় বৃষ্টি ২৫০ সেমি বা তারও বেশি । এখানকার গড় উষ্ণতা ২৫ ° -২৭ ° সেলসিয়াস এবং বছরের ৮–৯ মাস জলবায়ু উষ্ণ- আর্দ্র বা স্যাঁতসেঁতে প্রকৃতির । উষ্ণ- আর্দ্র জলবায়ুর কারণেই এখানে অতিঘন চিরসবুজ বা চিরহরিৎ জাতীয় অরণ্য গড়ে উঠেছে ।
Answer : আর্দ্র পর্ণমোচী : ভারতের যেখানে গ্রীষ্মকালীন উষ্ণতা ২৭ ° – ৩০ ° সেলসিয়াস এবং শীতকালীন উষ্ণতা ১৫ ° –২০ ° সেলসিয়াস সেখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাত ১০০–২০০ সেমি এবং বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৬০ % ৭৫ % , সে আর্দ্র পর্ণমোচী অরণ্য দেখা যায় । প্রয়োজনীয় উষ্ণতা ও আকার অভাবে এই অরণ্যের বৃক্ষগুলির পাতা শীতকালে করে যায় বলে একে পর্ণমোচী বা ‘ পাতাঝরা ‘ উদ্ভিদ বলে । আর্দ্র পর্ণমোচী উদ্ভিদ
শুদ্ধ পর্ণমোচী : সাধারণত ঘাস , গুল্ম এবং ছোটো ছোটো পাতাঝরা গাছ– এইসবকে একসঙ্গে বলে শুষ্ক পর্ণমোচী উদ্ভিদ । ভারতের যেসব অঞ্চল শুষ্ক অর্থাৎ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম , বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ৫০-১০০ সেমি এবং গড় উচ্চতা হল ২৫ ° – ৩০ ° সেলসিয়াস সেখানে এই জাতীয় উদ্ভিদ জন্মায় ।
Answer : পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে জলবায়ু আর্দ্র নিরক্ষীয় প্রকৃতির । এখানে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২০০ সেমির বেশি এবং বৃষ্টিপাতের সময়কালও দীর্ঘ । এ ছাড়া একদিকে মৌসুমি বায়ু পশ্চিমঘাট পর্বতের প্রতিবাত ঢালে যেমন বৃষ্টিপাত ঘটায় , অন্যদিকে সমুদ্র থেকে উত্থিত নিম্নচাপের কারণেও এখানে বৃষ্টিপাত হয় । অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে মুক্তিকার আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় , এখানে চিরহরিৎ জাতীয় বনভূমির সৃষ্টি হয়েছে । অপরদিকে পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্বঢালের ( অনুবাত ঢাল ) বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুবই কম ( মাত্র ২০ – ৫০ সেমি ) । এই শুষ্কতা ও রুক্ষতার কারণে এখানে কাঁটা ঝোপ ও যুগ্ম জাতীয় অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে ।
Answer : ক্রান্তীয় পর্ণমোচী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যগুলি হল – ( ১ ) শুষ্ক ঋতুতে জলের খরচ বাঁচানোর জন্য অধিকাংশ গাছ গ্রীষ্মের আগে পাতা ঝরিয়ে ফেলে । ( ২ ) চিরহরিৎ অরণ্যের মতো উদ্ভিদের ঘনত্ব অত বেশি নয় । ( ৩ ) গাছের উচ্চতা মাঝারি এবং আকৃতি বিভিন্ন ধরনের হয় । ( ৪ ) একই প্রজাতির উদ্ভিদের সমাবেশ একইসঙ্গে লক্ষ করা যায় ।
Answer : ক্রান্তীয় পর্ণমোচী উদ্ভিদের ব্যবহারগুলি হল ( ১ ) আসবাবপত্র , ঘরবাড়ি , বাস , লরির কাঠামো তৈরিতে শাল , সেগুন , শিশু , গামার কাঠের গুরুত্ব অপরিসীম । ( ২ ) বাঁশ ও সাবাই ঘাস কাগজ শিল্পে কাঠমন্ড তৈরিতে ব্যবহৃত হয় । ( ৩ ) বনভূমি থেকে পাওয়া যায় বুঁদ ও শিরীয় আঠা , কেন্দুপাতা ( বিড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ) , শালপাতা যা বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয় । ( ৪ ) নিকৃষ্ট শ্রেণির কাঠ স্থানীয় জ্বালানি রূপে ব্যবহৃত হয় ।
জেনে রাখো : ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে The Indian Council of Forestry and Research Education ( ICFRE ) উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুনে তাদের সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন ।
Answer : উত্তর – পূর্ব ভারতের মেঘালয় মালভূমি অঞ্চলে বাৎসরিক বৃষ্টি প্রায় ৩০০-৪০০ সেমি । ( ব্যতিক্রম চেরাপুঞ্জি ও মৌসিনরাম , বৃষ্টি ১১০০ ও ১২০০ সেমি ) এবং গড় উয়তা ২৫ ° – ৩০ ° সেলসিয়াস । এখানে বৃষ্টিপাত অধিক হলেও বৃষ্টিপাতের অধিকাংশই ঘটে জুন থেকে সেপ্টেম্বর – এর মধ্যে এবং বাকি সময় জলবায়ু শুষ্ক প্রকৃতির । পক্ষান্তরে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ প্রায় নিরক্ষরেখার নিকটে অবস্থিত হওয়ার কারণে সারাবছর ধরেই এখানে উয়আর্দ্র জলবায়ু বিরাজ করে । মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ( ২০০-২৫০ সেমি ) কম হলেও বর্ষাকাল বেশ দীর্ঘ । অর্থাৎ , বৃষ্টিমুখর দিনের সংখ্যা এখানে মেঘালয় অপেক্ষা অধিক । মেঘালয় অপেক্ষা আন্দামানের জলবায়ু অধিক উষ্ণ- আর্দ্র হওয়ায় উদ্ভিদের ঘনত্বও আন্দামানে অধিক ।
Answer : ক্রান্তীয় পর্ণমোচী অরণ্য ( Tropical Deciduous Forest ) : ঋতু নিয়ন্ত্রিত , বৃষ্টিপাত হওয়ায় ভারতে শুষ্ক ঋতুতে যেসকল গাছ – এর পাতা একসঙ্গে ঝরে পড়ে যায় ক্রান্তীয় অঞ্চলের এই গাছপালা যুক্ত অরণ্যকে ক্রান্তীয় পর্ণমোচী অরণ্য বা পাতাঝরা গাছের বনভূমি বলে ।
শ্রেণিবিভাগ : ক্রান্তীয় পর্ণমোচী অরণ্যকে ভারতে দু – ভাগে ভাগ করা যায় যথা- ( ১ ) আর্দ্র পর্ণমোচী অরণ্য ( Moist Deciduous Forest ) এবং ( ২ ) শুষ্ক পর্ণমোচী অরণ্য ( Dry Deciduous Forest ) Igen EHA 162 ( ক ) আর্দ্র পর্ণমোচী অরণ্য ( Moist deciduous Forest ) :
আঞ্চলিক বণ্টন : ভারতের মোট বনভূমির প্রায় ২৭ % অঞ্চলজুড়ে রয়েছে এই পর্ণমোচী বনভূমি । হিমালয় পর্বতের পাদদেশের তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চল , পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্বঢাল , ছোটোনাগপুর মালভূমি , পশ্চিমবঙ্গ সমভূমি , অসম সমভূমি ও ওড়িশা , অন্ধ্রপ্রদেশ , তামিলনাড়ু , কর্ণাটক , কেরল রাজ্যে এই অরণ্য দেখা যায় ।
প্রাকৃতিক পরিবেশ ভারতের যেখানে গ্রীষ্মকালীন উষ্ণতা ২৭ ° – ৩০ ° সেলসিয়াস এবং শীতকালীন উষ্ণতা ১৫ ° – ২০০ সেলসিয়াস সেখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাত ১০০-২০০ সেমি . এবং বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৬০ ° – ৭৫ ° , সেখানে আর্দ্র পর্ণমোচী অরণ্য দেখা যায় ।
বৈশিষ্ট্য : ( ১ ) শীতকালে অধিকাংশ বৃক্ষের পাতা ঝরে যায় । ( ২ ) বৃক্ষগুলির কাঠ অত্যন্ত শক্ত ও মূল্যবান । ( ৩ ) অধিকাংশ গাছের ছাল পুরু ও অমসৃণ । ( ৪ ) গাছগুলির গড় উচ্চতা ২৫–৬০ মিটার পর্যন্ত । ( ৫ ) বহু ডালপালা বিশিষ্ট এই গাছগুলিতে বর্ষবলয় স্পষ্ট দেখা যায় । ( ৬ ) এই অরণ্য অপেক্ষাকৃত কম ঘন । ( ৭ ) গাছগুলি মাঝারি থেকে বৃহৎ পত্রযুক্ত এবং গাছের ছাল পুরু ও অমসৃণ এবং ( ৮ ) এই অরণ্য যথেষ্ট সুগম ।
প্রধান বৃক্ষ : সাল , সেগুন , পলাশ , কুল , শিমুল , মহুয়া , কুসুম , আম , জাম , চন্দন , অর্জুন ইত্যাদি । ( 4 ) যুদ্ধ পর্ণমোচী উ s ( Dry Deciduous Forest ) :
আঞ্চলিক বণ্টন : রাজস্থানের পূর্বাংশ , উত্তরপ্রদেশের দক্ষিণ ও পূর্ব অংশে , বিহারের পশ্চিমাংশ , ঝাড়খণ্ডের দক্ষিণাংশ , মধ্যপ্রদেশ , ছত্তিশগড় , মহারাষ্ট্র , কর্ণাটক , তামিলনাড়ু , তেলেঙ্গানা প্রভৃতি রাজ্যে এই বৃক্ষের বনভূমি দেখা যায় ।
প্রাকৃতিক পরিবেশ : সাধারণত ঘাস , গুল্ম এবং ছোটো ছোটো পাতাঝরা গাছ — এইসবকে একসঙ্গে বলে শুষ্ক পর্ণমোচী উদ্ভিদ । ভারতের যেসব অঞ্চল শুষ্ক অর্থাৎ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম , বার্বিক গড় বৃষ্টিপাত ৫০-১০০ সেমি এবং গড় উষ্ণতা হল ২৫ ° – ৩০০ সেন্টিগ্রেড সেখানে এই জাতীয় উদ্ভিদ জন্মায় ।
বৈশিষ্ট্য : ( ১ ) এই অঞ্চলে প্রধানত লম্বা ঘাস , তৃণ , গল্প জাতীয় উদ্ভিদ বেশি জন্মায় । ( ২ ) গাছগুলি তাপ সহনশীল এবং গাছের কাণ্ডের আবরণ অত্যন্ত পুরু ও অমসৃণ । ( ৩ ) উদ্ভিদগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে বেড়ে ওঠে । ( ৪ ) উদ্ভিদগুলির উচ্চতা ১০ মিটারের বেশি হয় না । ( ৫ ) মাঝারি থেকে অল্প বৃষ্টিপাতের কারণে এই অঞ্চলের বনভূমি ঘন হয় না । ( ৬ ) এখানে সাবাই ঘাস , হাতি ঘাস , শর , চাপড়া ইত্যাদি গাছ দেখা যায় ।
প্রধান বৃক্ষ : সাবাই ঘাস , হাতি ঘাস , শর , চাপড়া ইত্যাদি ।
ম্যানগ্রোভ অরণ্য ( Mangrove Forest ) : diely নদীর বদ্বীপ অঞ্চল ও অন্যান্য নীচুস্থান , যেখানে সাগরের নোনা জল প্রবেশ করে , সেইসব অঞ্চলে যে বনভূমি সৃষ্টি হয় , তাকে ম্যানগ্রোভ বনভূমি বলা হয় । * আঞ্চলিক বণ্টন : পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে অবস্থিত সুন্দরবন ; এ ছাড়া গঙ্গা , মহানদী , গোদাবরী , কৃষ্ণা প্রভৃতি নদীর বদ্বীপ অঞ্চল , আন্দামান – নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নিম্ন উপকূলভাগ , গুজরাটের কচ্ছ ও কাম্বে উপসাগরের উপকূলের নিম্ন জলাভূমিতে ম্যানগ্রোভ অরণ্য দেখা যায় । সুন্দরবন ভারতের তথা পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য । ভারতের মোট অরণ্যের ৬০ % সুন্দরবন অঞ্চলে অবস্থিত ।
বৈশিষ্ট্য : ( i ) এইসব গাছের শিকড় নদীর জোয়ারের সময় শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার জন্য মাটি ফুঁড়ে ওঠে , একে শ্বাসমূল বলা হয় । ( ii ) কাণ্ডকে ভেজা নরম মৃত্তিকায় সোজাভাবে ধরে রাখার জন্য এইসব গাছে ঠেসমূলও দেখা যায় । ( iii ) এখানকার উদ্ভিদ চিরহরিৎ প্রকৃতির । তাই একে চিরসবুজ উপকূলীয় বনভূমিও বলা হয় । ( iv ) এখানকার উদ্ভিদের অপর বৈশিষ্ট্য হল জরায়ুজ অঙ্কুরোদগম ( v ) লবণাম্বু উদ্ভিদগুলি মোমের মতো এক তৈলাক্ত পদার্থের প্রলেপ দ্বারা আবৃত থাকে এবং ( vi ) এই অরণ্যের বৃক্ষের কাণ্ড রসালো প্রকৃতির হয় । প্রধান বৃক্ষ : সুন্দরী, গরান, গেওয়া, কেয়া, গোলপাতা, প্রভৃতি উদ্ভিদ দেখা যায় ।
Answer : কোনো স্থানের জলবায়ু অর্থাৎ বার্ষিক বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার ঋতুগত তারতম্য ওই স্থানের স্বাভাবিক উদ্ভিদকে প্রভাবিত করে । কোনো স্থানের জলবায়ুর ওপর সেখানকার উদ্ভিদের প্রকৃতি নির্ভরশীল যেমন—
( ১ ) ভারতের যে সমস্ত অঞ্চলে বার্ষিক বৃষ্টিপাত ২০০ সেন্টিমিটারের বেশি এবং তাপমাত্রা যথেষ্ট তীব্র সেইসব অঞ্চলে , নিরক্ষীয় অঞ্চলের মতো চিরহরিৎ বৃক্ষের বনভূমি দেখা যায় । এইসব অঞ্চলের গাছপালাগুলি বছরের কোনো সময়েই পত্রহীন হয় না । এইসব অঞ্চলে শিশু , গর্জন , রোজউড , মেহগনি , চাপলাস , নাহার , লোহাকাঠ প্রভৃতি প্রধান বৃক্ষ ছাড়াও মধ্যে মধ্যে রবার , বাঁশ ও আবলুস বৃক্ষও চোখে পড়ে । ভারতের অসম , অরুণাচল , পশ্চিমঘাট ও পূর্বঘাট পর্বতমালা , উত্তরবঙ্গ , বিহার ও ওড়িশার বৃষ্টিবহুল অঞ্চলে এই বনভূমি দেখা যায় ।
( ২ ) ভারতের যেসব অঞ্চলে বার্ষিক বৃষ্টিপাত ১০০–২০০ সেন্টিমিটারের মধ্যে , শীতকাল শুকনো এবং শীতের শুরতে বৃষ্টিপাত হয় , সেইসব অঞ্চলে পাতাঝরা বা পর্ণমোচী বৃক্ষের বনভূমি দেখা যায় । এই অঞ্চলের প্রধান স্বাভাবিক উদ্ভিদ হল শাল , শিমুল , সেগুন , জারুল , মহুয়া , পলাশ , শিরীষ , বট , অশ্বত্থ , আম , কাঁঠাল প্রভৃতি । উত্তরপ্রদেশ , বিহার , ওড়িশা , মধ্যপ্রদেশ এবং পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পূর্ব ঢালসংলগ্ন মাঝারি বৃষ্টিযুক্ত অঞ্চলে এই বনভূমি দেখা যায় ।
( ৩ ) ভারতের যেখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাত ৫০ ক বৃষ্টিপাত ৫০–২০০ সেন্টিমিটার , সেখানে সাবাই , কাশ প্রভৃতি তৃণ বা গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ দেখা যায় । আরাবল্লীর পূর্ব দিকে অবস্থিত রাজস্থানের মরুপ্রান্ত , গুজরাটের কচ্ছ ও কাথিয়াওয়ার অঞ্চল এবং দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক ও পশ্চিম – ভারতের মহারাষ্ট্রের কোনো কোনো অঞ্চলে এই ধরনের স্বাভাবিক উদ্ভিদ দেখা যায় ।
( ৪ ) রাজস্থানের মতো অঞ্চলে যেখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাত ৫০ সেন্টিমিটারের কম ও উত্তাপ খুব বেশি ( গ্রীষ্মকালীন গড় উষ্ণতা ৪০ ° সেন্টিগ্রেডের বেশি ) , সেখানে জলের অভাবে কাটা জাতীয় গাছ জন্মায় । বাবলা , ফণীমনসা প্রভৃতি ক্যাকটাস জাতীয় গাছ এই অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য স্বাভাবিক উদ্ভিদ । অপেক্ষাকৃত আর্দ্র অঞ্চলে বুনো খেজুর , তাল প্রভৃতি উদ্ভিদ দেখা যায় ।
( ৫ ) উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উয়তা ক্রমশ কমে যায় । বলে হিমালয় পর্বতের বিভিন্ন উচ্চতায় তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের তারতম্যের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্বাভাবিক উদ্ভিদ জন্মায় , যেমন ( ক ) পূর্ব হিমালয় অঞ্চলের পাদদেশ থেকে ১,০০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত অঞ্চলে শিশু , মেহগনি , গর্জন , রোজউড প্রভৃতি চিরহরিৎ বৃক্ষের বনভূমি দেখা যায় । পশ্চিম হিমালয়ে অবশ্য এই বনভূমি দেখা যায় না ; ( খ ) হিমালয় পর্বতের ১,০০০ – ২৫০০ মিটার উচ্চতাযুক্ত অঞ্চলে পপলার , ওক , ম্যাপল , ওয়ালনাট , বার্চ প্রভৃতি পর্ণমোচী বা পাতাঝরা গাছের বনভূমি দেখা যায় । ( গ ) হিমালয়ের ২,০০০ মিটার থেকে ৪,০০০ মিটার উচ্চতায় পাইন , ফার , স্পুস প্রভৃতি সরলবর্গীয় বৃক্ষ জন্মায় ; ( ঘ ) হিমালয় পর্বতের ৪,০০০ মিটারের বেশি উচ্চতায় অত্যধিক ঠান্ডা ও তুষারপাতের জন্য বৃক্ষ বিশেষ জন্মায় না । এখানে জুনিপার , রডোডেনড্রন , নাকস ভূমিকা প্রভৃতি তৃণগুল্ম জন্মায় , যা আল্লীয় তৃণভূমি নামে পরিচিত ।
( ৬ ) গঙ্গা , মহানদী , গোদাবরী , কৃয়া প্রভৃতি নদীর মোহানার কাছে অবস্থিত বদ্বীপ অঞ্চলের নিম্ন জলাভূমি অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ বনভূমি নামে শ্বাসমূল ও ঠেসমূলযুক্ত বিশেষ এক ধরনের উদ্ভিদ দেখা যায় । এখানকার স্বাভাবিক উদ্ভিদদের মধ্যে সুন্দরী , গরান , গেওয়া , ক্যাওড়া প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য । ম্যানগ্রোভ বনভূমি ঠিক জলবায়ু নির্ভর নয় , কারণ নদীর মোহানার বদ্বীপ অংশের নিম্ন জলাভূমি অঞ্চলের যেখানে জোয়ারভাটা হয় এবং মাটি লবণাক্ত ও সবসময় ভিজে থাকে , সমুদ্রোপকূলবর্তী সেইসব অঞ্চলেই কেবলমাত্র বনভূমি দেখা যায় ।
Answer : হিমালয়ের বিভিন্ন অঞ্চলে অক্ষাংশ , উচ্চতা , বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার তারতম্যের জন্য বিভিন্ন ধরনের বনভূমি দেখতে পাওয়া যায় , যেমন – ( ক ) চিরহরিৎ তারণ্য : পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশ থেকে ১,০০০ মি . উচ্চতা পর্যন্ত অংশে এবং পশ্চিম হিমালয়ের ৫০০০ মি . উচ্চতাযুক্ত অঞ্চলে অধিক উষ্ণতা ও বৃষ্টিপাতের কারণে শাল , শিশু , চাপলাস , মেহগনি , গর্জন , রোজউড প্রভৃতি শক্ত কাঠের বনভূমি দেখা যায় । ( খ ) পাইন অরণ্য : পূর্ব ও পশ্চিম হিমালয়ের ১,০০০ – ২,০০০ মিটার উচ্চতায় বিক্ষিপ্তভাবে পাইন জাতীয় উদ্ভিদের বনভূমি দেখা যায় ।। ( গ ) পর্ণমোচী বৃক্ষের অরণ্য : পূর্ব হিমালয়ের ১,০০০ – ২,৫০০ মি . উচ্চতায় ও পশ্চিম হিমালয়ের ৫০০ – ২,০০০ মি . উচ্চতায় দেবদারু , পপলার , ওক , ম্যাপল , ওয়ালনাট , বার্চ ইত্যাদি বৃক্ষের বনভূমি দেখা যায় । ( ঘ ) মিশ্র অরণ্য : পূর্ব হিমালয়ের ১,০০০ – ৩০০০ মি . উচ্চতায় এবং পশ্চিম হিমালয়ের ১,৫০০ ২,৫০০ মি . উচ্চতায় ইউক্যালিপটাস , ওক , আয়রন উড , পাইন , স্পুস সমেত নাতিশীতোয় পর্ণমোচী এবং নাতিশীতোয় চিরহরিৎ মিশ্র অরণ্য দেখা যায় । ( ঙ ) সরলবর্গীয় অরণ্য : পূর্ব হিমালয়ের ৩,০০০ – ৪,০০০ মিটার উচ্চতায় এবং পশ্চিম হিমালয়ের ২,০০০ – ৪,০০০ মিটার উচ্চতায় পাইন , দেবদারু , ফার , স্পুস , উইলো , এলম ইত্যাদি উদ্ভিদ দেখা যায় । ( চ ) আত্মীয় অরণ্য সরলবর্গীয় অরণ্যের ঊর্ধ্বে ( ৩,৫০০– ৪,৫০০ মি . ) যেখানে বছরে ৩/৪ মাস বরফাবৃত ও বাকি সময় বরফমুক্ত থাকে সেখানে জুনিপার , রডোডেনড্রন , নাকস ভমিকা , লার্চ , ভুর্জ ও নানান রকম তৃণ ও গুল্ম জাতীয় আত্মীয় উদ্ভিদ জন্মায় । হিমালয় পর্বতের বিভিন্ন অঞ্চলের জলবায়ুর তারতম্যই হল । এই পর্বতের বিভিন্ন অংশে স্বাভাবিক উদ্ভিদ বিভিন্ন প্রকৃতির হওয়ার অন্যতম কারণ , যেমন- ( ক ) উচ্চতার তারতম্য : উচ্চতার তারতম্যের ফলে হিমালয় পর্বতের বিভিন্ন অংশের উয়তা ও বৃষ্টিপাতের তারতম্যের সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক উদ্ভিদের প্রকৃতিরও পরিবর্তন হয় । ( খ ) আর্দ্রতা ও বৃষ্টিপাতের তারতম্য : পূর্ব হিমালয়ে বৃষ্টিপাত ও আর্দ্রতা পশ্চিম হিমালয়ের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় পূর্ব ও পশ্চিম হিমালয়ের একই উচ্চতায় স্বাভাবিক উদ্ভিদের মধ্যে অনেক তারতম্য দেখা যায় । ( গ ) অক্ষাংশগত অবস্থানের তারতম্য পশ্চিম হিমালয় পূর্ব হিমালয়ের তুলনায় উচ্চ অক্ষাংশে অবস্থিত হওয়ায় পশ্চিম হিমালয়ের উষ্ণতা পূর্ব হিমালয়ের উষ্ণতার তুলনায় অনেক কম । উয়তার তারতম্যের ফলে পূর্ব ও পশ্চিম হিমালয়ের স্বাভাবিক উদ্ভিদের তারতম্য হয় ।
Answer : ক্রান্তীয় চিরহরিৎ অরণ্য ( Tropical Evergreen Forest ) :
অবস্থান : ভারতের ১২ % অঞ্চলজুড়ে রয়েছে এই অরণ্য । এটি দেখা যায় , পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে , পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশভূমি , উত্তর – পূর্বের পাহাড়ি অঞ্চল , পশ্চিমবঙ্গ , ঝাড়খণ্ড , বিহার ও ওড়িশার বৃষ্টিবহুল অংশ ও আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে এই উদ্ভিদ দেখা যায় । গড়ে ওঠার কারণ : ভারতের যেসব অঞ্চলে বার্ষিক ২০০ সেমির বেশি বৃষ্টিপাত হয় এবং গড় উয়তা ২৫ ° – ৩০ ° সেলসিয়াস – এর মধ্যে এবং বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৮ % এর বেশি সেখানে এই বৃক্ষের বনভূমি দেখা যায় । অত্যধিক বৃষ্টিপাতের জন্য মাটি সর্বদাই ভিজে থাকে , ফলে গাছে জলের অভাব হয় না । এই কারণে গাছগুলি সর্বদাই চিরহরিৎ থাকে ।
বৈশিষ্ট্য : ( i ) অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে গাছে জলের অভাব হয় না বলে এই গাছগুলি সারাবছর সবুজ পাতায় ঢাকা থাকে । এইজন্য একে চিরসবুজ অরণ্য বলে । ( ii ) ঘন অরণ্যে বৃক্ষগুলি এমন সংঘবদ্ধভাবে অবস্থান করে যে , সূর্যালোক অরণ্যের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে না , ফলে অরণ্যের মধ্যে এক অন্ধকারাচ্ছন্ন স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ বিরাজ করে । এই জন্য এই বনভূমিকে চির গোধূলি অঞ্চল ( Land of Eternal Twilight ) বলে । ( iii ) এই অরণ্যে বৃক্ষের বড়ো বড়ো পাতাগুলি একসঙ্গে মিশে বৃক্ষের উপর দিকে চাঁদোয়া ( Canopy ) সৃষ্টি করে । ( iv ) গাছের বৃদ্ধি অত্যন্ত দ্রুত গঠিত হয় । ( v ) অরণ্যের তলদেশ আগাছা ও লতাগুল্মে ভরা থাকে । ফলে অন্ধকারাচ্ছন্ন ও স্যাঁতসেঁতে এই অরণ্যের গাছগুলি সূর্যালোক পাবার আশায় এক অদৃশ্য প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠে । ফলে গাছগুলি সুদীর্ঘ হয় । ( vi ) এখানকার গাছের কাঠ অত্যন্ত শক্ত ও ভারী হয় । ( vii ) এই গাছ বহু শাখাপ্রশাখাযুক্ত হয় ।
প্রধান বৃক্ষ : শিশু , গর্জন , রোজউড , মেহগনি , চাপলাস , নাহার , লোহাকাঠ , পুন , তুন ইত্যাদি হল প্রধান বৃক্ষ । এ ছাড়া রবার , বাঁশ ও আবলুসও চোখে পড়ে । ক্রান্তীয় মনু উদ্ভিদ ( Tropical Desert Forest ) :
অবস্থান : রাজস্থানের মরুপ্রান্তে এবং তার সংলগ্ন গুজরাটের কচ্ছ কাথিয়াবাড় , পাঞ্জাবের মরু অংশ এবং দাক্ষিণাত্য মালভূমির বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলে এই ধরনের উদ্ভিদ দেখা যায় । গড়ে ওঠার পরিবেশ যেখানে গড় বার্ষিক বৃষ্টি ২৫-৫০ সেমি এবং উষ্ণতা খুব বেশি ( ২৫ ° – ৩০ ° সেলসিয়াস ) এবং আর্দ্রতা খুবই কম । সেখানে এই ধরনের উদ্ভিদ দেখা যায় ।
বৈশিষ্ট্য : ( ১ ) এই অঞ্চলের উদ্ভিদগুলি অতিক্ষুদ্র আকৃতির এবং এদের বৃদ্ধিও সীমিত । ( ২ ) শুষ্ক অঞ্চলে জলের অভাবের জন্য গাছের শিকড়গুলি খুব দীর্ঘ হয় ফলে মাটির অনেক গভীরে প্রবেশ করে জল সংগ্রহ করে । ( ৩ ) এইপ্রকার উদ্ভিদের কাণ্ড হয় খর্বকায় বা বেঁটে , শক্ত ও কাষ্ঠল । ( 8 ) গাছে জল ধরে রাখার জন্য কোনো কোনো গাছের কাণ্ড হয় রসাল , চ্যাপটা ও ক্লোরোফিলযুক্ত এবং এদের রং হয় সবুজ । এইপ্রকার কান্ডকে বলে পর্ণকাণ্ড । যেমন — ফণীমনসা । ( ৫ ) গাছের জল যাতে পাতার মাধ্যমে বাষ্পমোচন হয়ে বেরিয়ে যেতে না পারে , তার জন্য গাছের কাণ্ড মোম জাতীয় পুরু ত্বকে ঢাকা থাকে ও গাছের গায়ে প্রচুর লোম ও কাঁটা থাকে । এদের পত্রকণ্টক বলে । ( ৬ ) উদ্ভিদগুলি বেশ দুরে দুরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান করে । ( ৭ ) উদ্ভিদগুলির উচ্চতা ১০ মি . এর বেশি হয় না এবং ( ৮ ) পরাগ মিলনের সুবিধার জন্য মরু উদ্ভিদের ফুলগুলি তীব্র গন্ধযুক্ত ও উজ্জ্বল রঙের হয় ।
প্রধান বৃক্ষ : খয়ের , বাবলা , খেজুর , ক্যাকটাস , ফণীমনসা , বিভিন্ন ঘাস ও কাঁটাঝোপ এখানকার প্রধান উদ্ভিদ ।
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Bengali Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik English Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Geography Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik History Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Physical Science Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Life Science Suggestion 2023 Click Here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Mathematics Suggestion 2023 Click Here
PDF Name : মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF
Price : FREE
Download Link1 : Click Here To Download
Download Link2 : Click Here To Download
West Bengal Madhyamik Geography Suggestion PDF prepared by expert subject teachers. WB Madhyamik Geography Suggestion with 100% Common in the Examination.
West Bengal Madhyamik Geography Suggestion Download. WBBSE Madhyamik Geography short question suggestion. Madhyamik Geography Suggestion PDF download. Madhyamik Question Paper Geography.
মাধ্যমিক ভূগোল (Madhyamik Geography) ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর।
মাধ্যমিক ভূগোল পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বোর্ডের (WBBSE) সিলেবাস বা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী দশম শ্রেণির ভূগোল বিষয়টির সমস্ত প্রশ্নোত্তর। সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা, তার আগে winexam.in আপনার সুবিধার্থে নিয়ে এল মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশান – ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর । ভূগোলে ভালো রেজাল্ট করতে হলে অবশ্যই পড়ুন । আমাদের মাধ্যমিক ভূগোল ।
আমরা WBBSE মাধ্যমিক পরীক্ষার ভূগোল বিষয়ের – ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর – সাজেশন নিয়ে ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর নিয়ে ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়)চনা করেছি। আপনারা যারা এবছর দশম শ্রেণির ভূগোল পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাদের জন্য আমরা কিছু প্রশ্ন সাজেশন আকারে দিয়েছি. এই প্রশ্নগুলি পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণির ভূগোল পরীক্ষা তে আসার সম্ভাবনা খুব বেশি. তাই আমরা আশা করছি Madhyamik ভূগোল পরীক্ষার সাজেশন কমন এই প্রশ্ন গুলো সমাধান করলে আপনাদের মার্কস বেশি আসার চান্স থাকবে।
মাধ্যমিক ভূগোল, মাধ্যমিক ভূগোল, মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর, নবম শ্রেণি ভূগোল, দশম শ্রেণি ভূগোল, নবম শ্রেণি ভূগোল, দশম শ্রেণি ভূগোল, ক্লাস টেন ভূগোল, মাধ্যমিকের ভূগোল, ভূগোল মাধ্যমিক – ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়), দশম শ্রেণী – ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়), মাধ্যমিক ভূগোল ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়), ক্লাস টেন ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়), Madhyamik Geography – ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়), Class 10th ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়), Class X ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়), ইংলিশ, মাধ্যমিক ইংলিশ, পরীক্ষা প্রস্তুতি, রেল, গ্রুপ ডি, এস এস সি, পি, এস, সি, সি এস সি, ডব্লু বি সি এস, নেট, সেট, চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতি, Madhyamik Geography Suggestion , West Bengal Madhyamik Class 10 Geography Suggestion, West Bengal Secondary Board exam suggestion , WBBSE , মাধ্যমিক সাজেশান, মাধ্যমিক সাজেশান , মাধ্যমিক সাজেশান , মাধ্যমিক সাজেশন, মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশান , মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশান , মাধ্যমিক ভূগোল , মাধ্যমিক ভূগোল, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, Madhyamik Geography Suggestion Geography , মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF,মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF, মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF, Madhyamik Class 10 Geography Suggestion PDF.
এই ” মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion PDF PDF ” পোস্টটি থেকে যদি আপনার লাভ হয় তাহলে আমাদের পরিশ্রম সফল হবে। আরোও বিভিন্ন স্কুল বোর্ড পরীক্ষা, প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার সাজেশন, অতিসংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত ও রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (All Exam Guide Suggestion, MCQ Type, Short, Descriptive Question and answer), প্রতিদিন নতুন নতুন চাকরির খবর (Job News in Geography) জানতে এবং সমস্ত পরীক্ষার এডমিট কার্ড ডাউনলোড (All Exam Admit Card Download) করতে winexam.in ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।
একাদশ শ্রেণীর সমস্ত বিষয় সাজেশন ২০২৩ Class 11 All Subjects Suggestion 2023 PDF Download একাদশ…
একাদশ শ্রেণীর গণিত সাজেশন ২০২৩ Class 11 Mathematics Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর গণিত…
একাদশ শ্রেণীর জীববিদ্যা সাজেশন ২০২৩ Class 11 Biology Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর জীববিদ্যা…
একাদশ শ্রেণীর রসায়ন সাজেশন ২০২৩ Class 11 Chemistry Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর রসায়ন…
একাদশ শ্রেণীর পদার্থবিদ্যা সাজেশন ২০২৩ Class 11 Physics Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর পদার্থবিদ্যা…
একাদশ শ্রেণীর সমাজবিজ্ঞান সাজেশন ২০২৩ Class 11 Sociology Suggestion 2023 PDF Download একাদশ শ্রেণীর সমাজবিজ্ঞান…